নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখি

এই বেশ ভালো আছি

সোহেল রনি

আমার হালের একটা বলদ চাই,এক খন্ড জমিন ও চাই।সেই জমিনে পাট জন্মায়,ফাসির একটা দড়িও চাই।

সোহেল রনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ইতিহাস।

২২ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮





বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এই শিল্পটি হঠাৎ করে আজকের এই অবস্থানে এসে পৌছাইনি,এর পেছনে রয়েছে দির্ঘ ইতিহাস।

নেট ঘাটাঘাটি করে সেই দির্ঘ ইতিহাসের সার সংক্ষেপ শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে:



১।১৯৬০ সালে পুরান ঢাকার উর্দু রোডে রিয়াজ স্টোর নামে একটি টেইলারিং আউটফিট যাত্রা সুরু করে কেবলমাত্র আভ্যান্তরিন চাহিদা মেটানোর জন্য,১৯৭৩ সালে এই রিয়াজ স্টোর রিয়াজ গার্মেন্টস নাম ধারন করে-১০০০০পিস পুরুষদের টি-শার্ট ইউরোপে রপ্তানি করে।সুতরাং রিয়াজ গার্মেন্টস কে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের পথিকৃৎ বলা যায়।



সে সময়ের ব্যাংক ব্যাবস্থা আজকের দিনের মত শক্তিশালি ছিলোনা সরাসরি অর্থের লেনদেন করতে হতো বিদেশি ক্রেতাদের সাথে।



২।১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ ও দক্ষিন কোরিয়ার দাঈয়ু কোম্পানি যৌথ ভাবে স্থাপন করে দেশ গার্মেন্টস এই দাঈয়ু কোম্পানি উন্নত প্রশিক্ষনের জন্য ১২০ জন সেলাই মেশিন অপারেটর যার মধ্যে ৩ জন ছিলো মহিলা দক্ষিন কোরিয়া পাঠায়,কথিত আছে এই ১২০ জন প্রশিক্ষন শেষে দেশে ফিরে চুক্তির শর্ত ভংগ করে নিজেরাই আলাদা গার্মেন্টস খুলে বসেন,১৯৮০ সালে দেশ গার্মেন্টস পুরো মাত্রা্য় পোশাক তৌরি শুরু করে।অপর একটি দক্ষিন কোরিয়ান কোম্পানি ইয়াং ওয়ান ও এ সময় যৌথ ভাবে তৌরি পোশাক উৎপাদন আরম্ভ করে।

৩।এর পরের ঘটনা গুলো রুপকথার মত,বাংলাদেশ খুব দ্রুত আর্ন্তজাতিক বিশ্বে পরিচিতি লাভ করে,ভালো মান আর সল্পমূল্য বিদেশি ক্রেতাদের চুম্বকের মত আকর্ষন করলো বিস্তৃত হতে থাকলো বাংলাদেশে তৌরি পোশাকের বাজার,এ সময়ে সরকার তৌরি পোশাক খাত কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়,ব্যাংকগুলো এলসি ব্যাক টু ব্যাক করতে শুরু করলে বিদেশে পন্য রপ্তানি তে যে গতি আসে তেমনি এই শিল্পের জন্য কাঁচামাল এবং মেশিন পত্র বিদেশ থেকে আনার পথ সুগম হয়।

৪।১৯৮২ সাল বাংলাদেশে গারমেন্টস ফ্যাক্টরির সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৭টি,১৯৮৪-৮৫ সালে বেড়ে দাড়া্য় ৫৮৭ টিতে,১৯৯৯তে ২৯০০ বর্তমানে বাংলাদেশে ৫৯০০ টি গারমেন্টস ফ্যাক্টরি আছে,যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের যার ৮০ ভাগ নারী।

৫।২০১১-১২ সালের হিসাব মতে বাংলাদেশ ১৯.০৯ বিলিওন ইউ এস ডলার মুল্যের তৌরি পোশাক (নিট ও ওভেন) বিদেশে রপ্তানি করে যা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৭৮ দশমিক ৫৯ ভাগ।





তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

আরজু পনি বলেছেন:

শুরুটা খুব ভালো হচ্ছে।
চালিয়ে যান।
ব্লগিং আনন্দময় হোক।।

২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:২৩

সোহেল রনি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু,আপনার এই উৎসাহ আমার প্রেরণা হয়ে থাকবে।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

ডার্ক ম্যান সুজা বলেছেন: আমি Primeasia University থেকে Textile engineering গত মাস এ complete এ করলাম... এখন Job খুঁজছি ।। কেউ কি হেল্প করতে পারবেন ??
Factory (Knit) Merchandiser এ কাজ করার ইচ্ছা।। Production/Quality হলেও চলবে।।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩

সোহেল রনি বলেছেন: মিঃ ডার্ক ম্যান আপনি আনেক বেশি প্রফেশনাল মনে হচ্ছে। :)

প্রথমত আমি ওয়াচে আছি তাই আপনার পোস্টে কমেন্ট করতে পারিনি।


আপনার মেইল আইডিটা দিলে আলাপ করতে সুবিধা হয়।

ধন্যবাদ।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭

সুজানা কন্দক বলেছেন: সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের সেরা ১১টি দেশী পোশাক ব্যান্ড দেখে নিন দেখে নিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.