নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছোট্ট শহরের সাধারণ ছেলে

মোঃ মেহেদী হাসান সজীব

1 2 3 Start

মোঃ মেহেদী হাসান সজীব › বিস্তারিত পোস্টঃ

খালা কি জীবনে কোনদিন কোম্পানিতে চাকরি করেছেন?

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২১

খালা জীবনে কোনদিন কর্পোরেট জব করোনাই বুঝা যায়। করলে বুঝতেন যে বাংলাদেশে কোম্পানি গুলোতে সকালে অফিসে ঢোকার টাইম আছে কিন্তু বের হওয়ার টাইম নাই। আমরা রাত ৯টা ১০টা পর্যন্ত অফিস করতাম যেখানে আমাদের ৮ ঘণ্টা ডিউটি টাইম বিকাল ৪টাতেই শেষ হয়ে গিয়েছে।

খালা যে চেষ্টা করে ১২ ঘণ্টা ডিউটির কথা বলছে না? সেই ১২ ঘণ্টা ডিউটি বাংলাদেশের বেসরকারি চাকুরীজীবীরা এমনিতেই করে। আমরা ৯টা/১০টায় অফিস শেষ করে জ্যামে আটকে ১১টা, সড়ে ১১টায় বাড়ি আসতাম। তারপর ফ্রেশ হয়ে ১২টার সময় রান্না করতে বসতাম। খাবার ও বাকি কাজ কাম সেরে দেড়টা দুইটার সময় ঘুমাতে যেতাম তারপর আবার সকাল ৮টায় অফিস। এই ছিলো জীবন। সেখানে অন্তত মেয়েদেরকেও যদি অফিসে বসের এই অত্যাচার থেকে সামান্য মুক্তি দেওয়া যায় সেটা তাদের জন্য যে কতবড় আশীর্বাদ তা তোমার মত গলা বেচে খাওয়া নেত্রীরা বুঝবে না কোনদিন।

অনেকে বলতে পারেন যে ছেলেদের জন্য কি তাহলে? হ্যাঁ... সেটাও ভ্যালিড প্রশ্ন এবং আমরা সেটা নিয়েও কথা বলতে পারি তবে আপাতত মেয়েদেরকে একটা টাইম ফ্রেমে আনা বেশী জরুরি।

কারণ, পুরুষ হিসেবে আমাদের জন্য রাত ১১টা ১২টায় বাড়ী যাওয়া কোন ব্যাপার না। কিন্তু একজন নারীর অতরাতে একা একা বাড়ি ফেরা কতটা রিস্কের তা নিশ্চয় বলা লাগবে না। শহরে বিভিন্ন ক্রাইম জোন আছে যেখানে সন্ধ্যার পরেই চোর, ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসীদের আখড়া বসে। আমার কলিগ আমাকে বহুবার বলতো "ভাই... রাতের বেলা ঐ জায়গাটা দিয়ে যেতে ভয় লাগে। দয়াকরে আমাকে একটু আগিয়ে দিন।" অফিস শেষে মেয়ে কলিগদের এগিয়ে দিয়ে বাড়ী ফেরা আমাদের দৈনন্দিন রুটিন হয়ে গেছিলো।

এমন পরিস্থিতিতে দিনের আলো থাকতে থাকতে যদি অন্তত মেয়েদের বাড়িতে ফেরার ব্যবস্থা করা যায় তাহলে তার নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয় এবং মেয়েরা চাকরি করেও পরিবার ও সন্তানদের কিছুটা সময় দেওয়ার সুযোগ পায়। এছাড়াও আরেকটা সুবিধা হলো দুইটা আলাদা সময়ে ছুটি হলে রাতে পিক টাইমে অফিস ফেরা কর্মচারীদের কারণে যে মাইল কে মাইল জ্যাম বাধে। কর্মীদের দুই ভাগে ভাগ করে দিলে সেই জ্যামটাও বহুলাংশে কমে আসবে।

এই খালা বলে সময় ১২ ঘণ্টা ডিউটি করতে হবে। কিন্তু খালা... তোমার তো পরিবার নাই। সারাদিন বক্তৃতা দিয়ে রাতে লিডারের বাড়িতে চলে যাবা অথবা ১২ ঘণ্টা ডিউটি করে রাতে বসের রুমে নাইট ডিউটি দিবা। কিন্তু সবার তো আর সেই সুযোগ নেই। অন্য মেয়েদের চাকরি ছাড়াও পরিবার আছে নিজস্ব জীবন আছে এবং তাদের নিরাপত্তারও একটা বিষয় আছে।
-----------
আর দুই, ৪টা বিয়ের এখতিয়ার তো মেয়েরাও দেয়নি, জামাতও দেয়নি। দিয়েছে আল্লাহ।
পুরুষের ৪ বিয়ের এই নিয়ম জামাতের বানানো না, যে আপনি জামাতের কাছে জবাব চাচ্ছেন। ৪ বিয়ে ইসলামের আইন। এছাড়াও ৪টা বিয়ের অধিকার আমাদের প্রচলিত আইনেও আছে। বাংলাদেশ মুসলিম ম্যারেজ এক্ট এ পুরুষের একসাথে ৪টি বিয়ে করার অধিকার দেওয়া আছে। এখন আপনি যদি এই আইন চেঞ্জ করতে চান তাহলে জামাতের কাছে প্রশ্ন না করে... কোর্টে আপিল করেন আইন চেঞ্জ করার। আর যদি ধর্মের আইন বদলাতে চান তাহলে নিজেকে নাস্তিক ঘোষণা করে ইসলামের বিরুদ্ধে একটিভিজমে লেগে যান। কোন সমস্যা নেই। কোলকাতা থেকে তসলিমা নাসরিন চাচীও দেখলাম আপনাকে সাপোর্ট দিয়েছে। তাই নিশ্চিন্তে নাস্তিক হয়ে যান। কোলকাতা থেকে প্রচুর ব্যকাপ পাবেন।

শুভ কামনা...
সানজিন ইসলাম তুলি
বিএনপি পদ প্রার্থী

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.