নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

গতিশীল মানুষ স্থবির থাকবে না

২৭ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৫৭


পৃথিবীতে সে এলো সবার শেষে কিন্তু পৃথিবীর তাবদ মানুষ তার খবর জানল খুব তাড়াতাড়ি। এত অল্প সময়ে পৃথিবীর মানুষের সাথে আর কোন অসুখের বা পৃথিবীতে আসা নতুন কোন কিছুরই পরিচয় হয়নি। ডেঙ্গু ইবোলা জিকা এরা অনেকদিন বিরাজ করছে কিন্তু পৃথিবীর সবাই তাদের চিনে না। অথচ এই কোভিড ১৯ এসেই নিজের বিস্তার দারুণ ভাবে ছড়িয়ে দিল মানুষের মাঝে। দেশে বিদেশে, গ্রামে শহরে, ধনী দরিদ্র, শিক্ষিত অশিক্ষিত, বুঝে না বুঝে সকল মানুষকে শুনতে হলো তার কথা, মানতে হলে তার কারণে বিধি নিষেধ।
তার ডরে, ঘরের মানুষ আলাদা থাকা থেকে, ঘরে ঘরে তালা বন্ধ হয়ে গেলো। বন্ধ হলো মানুষের মুখ দেখা কাছে যাওয়া। দেশগুলো একে একে আলাদা হয়ে গেল। বন্ধ হলো পড়াশুনা, অফিস, কোর্ট আদালত। যাতায়াত, সকল রকম কাজ ।
একবিংশ শতাব্দীর পৃথিবীর উন্নত মানুষকে নাকানি চুবানি খাইয়ে ঘরে বন্দি করে নিজে বিস্তার করতে থাকল দেশে দেশে করোনা ভাইরাস।
বছরের শুরু থেকে প্রায় অর্ধেক বছর পার হয়ে গেলো তার ভয়ে ভয়ে। চেনা নিয়ম লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে বেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দেশে দেশে।
মানুষের জীবন এমন এক ছকে বাঁধা পরেছে এখন মানুষ নিজেকে কাজে ব্যাস্ত রাখতে ভালোবাসে। কাজ আয় এবং ব্যায়ের ব্যালেন্সে জীবন চলে মানুষের নিজস্ব সক্ষমতায়।
এক সময়ে নারীরা গৃহবধূর জীবন যাপন করত শুধু। তাদের জীবন গৃহকোনে নির্ধারিত ছিল। বাপের বাড়ি বছরে একবার যাওয়া ছাড়া কোথাও যাওয়ার সুযোগ ছিল না তাদের, তাও সবার ভাগ্যে জুটত না। কিন্তু এখন ধনী দরিদ্র নারীরাও ব্যস্ত বাইরের কাজে, ঘোরাফেরায়। সাবলম্বী এক একজন মানুষ, নিজস্ব পরিমণ্ডলে তাদের সামর্থ অনুযায়ী ব্যস্ত। প্রতিদিন নারীরাও সকাল সন্ধ্যা ঘরের বাইরে কাটায় এ সময়ে।
মানুষের স্বভাব যতক্ষণ বেঁচে থাকা ততক্ষণ ব্যস্ত থাকা। অনেক প্রাণীর মতন এক মাস বা তিনমাস, ছয়মাস একবেলা খেয়ে, ঘুমিয়ে মানুষ কাটাতে পারে না। মানুষ মৃত্যুর আগ মূহুর্ত পর্যন্ত ব্যস্ত থাকতেই ভালোবাসে। এহেন মানুষকে করোনা ভাইরাস এসে। ঘরে বন্দী করে রাখতে চাচ্ছে, জীবন বাঁচানোর জন্য ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। অথচ মানুষ নিজের জীবনের পরোয়া না করেই ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে, বাইরে যাচ্ছে কেউ ভয়ে ভয়ে, কেউ কেয়ার না করে , কেউ বা জীবনের ভীষণ রকম প্রয়োজনে, চেনা জীবনেই ফিরে যেতে চাচ্ছে।
রান্নার আগেই খাবার চেয়ে ব্যস্ত হওয়া মানুষের মতন অনেকে ভেকসিন পাওয়ার আশায় অস্থির হয়ে আছে কিন্তু যারা রান্না করছে তারা সটিক রেসিপি সঠিক ভাবে রান্না না হওয়া পর্যন্ত টেবিলে খাবার বাড়তে পারছে না ঐকান্তিক আপ্রাণ প্রচেষ্টার পরও। যতটুকু সময় লাগবে ততটুকু সময় পর্যন্ত সফলতার জন্য কাজ করেই যাচ্ছে ধৈর্য ধরে। আর কেউ অপেক্ষায় আছে ধন্বন্তরি এই মহৌষধ পাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে।
যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ মৃত্যু অবধারিত জেনেও মানুষ কাজ করে যায়। কাজ করতেই ভালোবাসে। এক সময় শুধু খাওয়ার জন্য শিকার করাই মানুষের কাজ ছিল। এখন শুধু কাজ নয় এখন মানুষ ভালোবাসে আড্ডা দিতে, পার্টি করতে কনর্সাট দেখতে, বাইরে খেতে, শপিং করতে, বেড়াতে ভ্রমণে যেতে। আয় রোজগার, পড়ালেখা প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় কত কিছুর সমাহার মানুষের জীবন। সে সব রেখে ঘর বন্দি জীবন কেমন পাগালপাড়া লাগছে মানুষের কাছে। তবু কেউ কেউ মানিয়ে চলার চেষ্টা করছে এই অদ্ভুত পরিবেশের সাথে।
মানুষের কত কাজ শেষ হয় না শেষ নিঃশ্বাস অবধি। আরো কিছুদিন সময় পাওয়া গেলে অনেক কিছু গোছগাছ করে ফেলা যেত এমন ধারনা ভাবনায় বিভোর মানুষ। কিন্তু হুট করে ডাক এসে যায়। কতজনা চলে যায় জীবন খেলা সাঙ্গ করে। তাদের ফেলে রাখা কাজ গুলো আর কারো কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ থাকে না। যত্নে তুলে রাখা আজীবনের ধন বিলিয়ে দেয়া হয়, সরিয়ে ফেলা হয়, এসব আর রেখে কি হবে ভেবে। নিজেদের জায়গা করে নেয়ার জন্য কত যত্নে রাখা একজনের সঞ্চয় মানুষ নির্মম ভাবে সরিয়ে ফেলে। কোন কিছুরই আর প্রয়োজন থাকে না। একজন মানুষ চলে গেলে তাঁর সাথে তাঁর সঞ্চিত ব্যবহৃত সবকিছুই অপ্রোয়জনীয় হয়ে যায়, অন্যদের কাছে।
অথচ এই মানুষটি কত যত্নে তিলতিল করে জমায় নিজের ভালোলাগার কত কিছু এক জীবন ধরে। অদ্ভুত মানুষের জীবন। মানুষ মরন আছে জেনেও বেঁচে থাকে প্রতিদিন তিলতিল করে স্বপ্ন সাজায়। করোনার ভয়েও মানুষ আটকে থাকব না, মনে হচ্ছে মানুষ নিজেস্ব গতিতেই চলতে থাকবে। এ ভাবেই যারা বেঁচে থাকবে তারা থেকে যাবে আগামী পৃথিবীর জন্য।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমি করোনায় মরতে চাই না।
আমার জন্য দোয়া করবেন।

২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: ভালো থেকো। কিছু হবে না।

২| ২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: মানুষের জীবন এমন এক ছকে বাঁধা পরেছে এখন মানুষ নিজেকে কাজে ব্যাস্ত রাখতে ভালোবাসে।
কাজ আয় এবং ব্যায়ের ব্যালেন্সে জীবন চলে মানুষের নিজস্ব সক্ষমতায়।

...............................................................................................................................
তাই তো ঈদে বাসায় কেউ থাকতে চাচ্ছে না, বন্ধ বিনোদন কেন্দ্রে গিয়ে কড়া নাড়ছে ।

২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৫৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: এক অভ্যাসের মানুষ অন্য রকম জীবনে অভ্যস্থ হতে পারছে না।
জীবনের প্রচলিত নিয়মেই চলছে।

৩| ২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৩৯

ডাকঘর সাহিত্য পত্রিকা বলেছেন: অসাধারণ ভাবনা, ভালোলাগা একরাশ।

৪| ২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:১৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
করোনা ভাইরাস যেভাবে এসেছিল এক সময় আবার সেই ভাবে চলেও যাবে ।
এই ভাইরাসের দাপট চিরদিন থাকবে না । পৃথিবী আবার আগের মত সুন্দর হয়ে উঠবে।

৫| ২৯ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



সুন্দর লিখেছেন ।
ঠিকই বলেছেন করোনার ভয়ে মানুষ আটকে থাকবে না । মনে হচ্ছে মানুষ নিজস্ব গতিতে চলতে থাকবে এভাবেই । যারা বেঁচে থাকবে তারা থেকে যাবে আগামী পৃথিবীর জন্য। করোনা আক্রান্ত হয়ে এর বাস্তব উপলদ্ধি আমার হয়ছে।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

৩০ শে মে, ২০২০ রাত ১:৩০

রোকসানা লেইস বলেছেন: সম্ভব না লক ডাউন হয়ে থাকা। কি ভাবে চলবে থেমে থাকলে। একদম শুরুতে আটকে দিতে পারলে হয়তো মাস খানেকের মধ্যে শেষ হয়ে যেত। কিন্তু সব মানুষ এক রকম সচেতন না। তাই অনেকে না জেনে আক্রান্ত হচ্ছে আবার ছড়াচ্ছে অন্যদের মাঝে।
এখন শেষ দেখার অপেক্ষা করতে হবে আমাদের।

আপনার উপর দিয়ে তো ভীষণ ঝড় গেছে তা হলে তবে আপনি এখন সবচেয়ে নিরাপদ। এবং অন্যের সাহায্যকারীও হতে পারেন। সোনার চেয়ে দামী আপনার প্লাজমা।
আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন আমাদের সাথে । আক্রান্ত হলে কি করতে হবে অনেকেই সচেতন হতে পারবেন জেনে।
একবার করোনা হওয়ার পরে কি আবার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে? ডাক্তার হিসাবে আপনি কি মনে করেন ।
শুভেচ্ছা রইল ভালো থাকুন


৬| ০১ লা জুন, ২০২০ দুপুর ২:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




রোকসানা লেইস আপা,
আপনি আমাকে খোঁজ করেছেন আমি বোন আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। বোনরে আমি কিছুটা ব্যস্ত আছি গ্রামের বাড়িতে ফসলি ও পতিত জমিতে চাষের ব্যবস্থা করেছি - নিজ এলাকায় প্রায় ৬০% ভিন্ন এলাকায় ৩০% কাজ হয়েছে বাকি কাজ চলছে। এই পৃথিবীতে মানুষের যা সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন তা হচ্ছে খাদ্য। মানুষের মৌলিক অধিকারের ১ নম্বর চাহিদা। আমি বিস্তারিত লিখবো এ বিষয়ে।

আমি ব্যক্তি জীবনে কাজের বিনিময়ে খাদ্য টাইপ মানুষ। সরকারি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করেছি অবসর নিয়ে শুরু হলো পুরোদমে ব্যবসা, কিন্তু মহামারী করোনার কারণে এভাবে অবসরে যাবো কখনো কল্পনা করিনি। মানুষ থেমে থাকার না মানষ চলবে চলার পথ থামবে না।

লেখায় অফুরন্ত ভালোবাসা বোন। দোয়া করি আপনি ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।

ইতি আপনার ভাই


ঠাকুরমাহমুদ
ঢাকা, বাংলাদেশ





০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানানোর জন্য। আসলে সময়টা সবাই মোটামুটি অবসর কাটাচ্ছে। আর লেখা ব্লগে সময় পার করছে। তবে সময়টা অস্থিরতারও। হঠাৎ অনেকদিন আপনাকে না দেখে সত্যি ভাবনা হলো।
আসলে কাজ ছাড়া মানুষ ঘরে থাকতে পারে না। সম্ভবও না।
জেনে খুব ভালোলাগল আপিনি কৃষি কাজে ব্যস্ত আছেন। এটা সব চেয়ে প্রয়োজনীয় প্রথম বিষয়। খাদ্য ছাড়া মানুষের জীবনের আর সব কিছু থেমে যাবে।
আমিও এখন মাঠে কাজে ব্যস্ত। এখানে খুব অল্প সময় পাওয়া যায় ফসল ফলানোর জন্য।
ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.