নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংবেদনশীলতা

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৫৫

বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভয়ানক রকম বিকৃতি ঘুমিয়ে আছে। বর্বর মনো ভাব বিরাজ করে নিরবে। সুযোগ পেলেই সে সব বিকৃত অমানবিক মনোভাব বেরিয়ে আসে।
সেটা হতে পারে একা একা । বন্ধুদের আড্ডায় বন্ধুদের সাথে। একজন দুজন সঙ্গী সাথে নিয়ে। অথবা পরিবারে, সমাজে, অফিসে, রাস্তায়। গোত্র বর্ন লিঙ্গ বৈষম্য অবলম্বন করে।
আজকাল ফেসবুকে অনেক প্রতিবাদ দেখি। নানা রকম খবর ভাইরাল হয় মানুষের বিকৃত স্বভাবের কাজ কামের। কিছু খবর দেখে শোনে আতকে উঠি, আতংকগ্রস্ত হই, শিউরে উঠি। যারা এসব খবর দেখে প্রতিবাদ করেন তাদের মধ্যেও অনেকে গোপনে এসব কর্ম মনে মনে হয় তো ভাবেন, করেন । জানা যায় না কিছুই যতক্ষণ পর্যন্ত ভয়াবহ ভাবে কিছু না করে ধরা পরে।
মানুষের মনো জগতের খবর আমরা জানতে পারি না সহজে। যতক্ষণ না সে মানুষটি তার নিপাট ভালো মানুষের চরিত্রটি উন্মোচণ করে তার আচরণে। ধরা পরে অপরাধী হয়ে।
আশে পাশের বহু মানুষের মাঝে যে বিকৃত স্বভাব একজন থাকে, তা কাছের মানুষটিও অনেক সময় বুঝতে পরে না। যেমন নিজের স্বামী বা স্ত্রী যখন লুকিয়ে পরকিয়া করে নিজের স্ত্রী বা স্বামী, সন্তান তা বুঝতে পারে না। আত্মিয় স্বজন বিশ্বাস করে না। আবার অনেকে জেনে, লুকিয়ে হাসে, মজা নেয় ব্যাপারটি নিয়ে। পরিবারে বাচ্চা বলৎকার, ধর্ষণের শিকার হয় কাছের আত্মিয় দ্বারা, অনেক অভিভাবক সে খবর জানেন না।
ঘর থেকে বেরিয়ে যায় যে ভালো মানুষ ঘরে ফিরে আসে ভালো মানুষ তার মাঝের সময় কতটা খোলামেলা পরিবারের কাছে। স্ত্রী সন্তানের কাছে বা স্বামী/ স্ত্রীর কাছে। অনেক কিছু গোপন থাকে পরিবারের মাঝেও। গোপন থাকে পারিবারিক গণ্ডিতে। নানা রকম লোক লজ্জা এবং অর্থনৈতিক অনিরাপত্তার মাঝে।
যে সব ভালো মানুষ বিকৃত ভাবে তাকায় রাস্তার নারীর দিকে। গায়ে হাত দেয় সুযোগ পেলেই যে কোন অবস্থায়, তাদের জীবন যাপন সবার কাছে কিন্তু খুব সুন্দর।
তাদের মুখোশের আড়ালের অন্তরের ভিতরের খবর কেউ জানে না।
এ সব বিকৃত মনোভাব পুরুষ, নারী জন্মগত ভাবে কিছু বিকৃত মানসিকতা নিয়েই জন্মায়। তাদের অনেক ভালো করার চেষ্টা করেও ভালো করা যায় না। কোন এক পূর্ব পুরুষের জিন তাদের কুক্ষিগত করে রাখে তাড়িয়ে বেড়ায়। জন্মগত স্বভাবের এদের সংখ্যা খুব বেশি না।
এছাড়া অনেকে খারাপ আচরণ করে নিজের বেড়ে উঠা পরিবেশের কারণে। ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে অমানবিকতা পরিবেশের প্রভাবে।
মানুষকে অমানবিক ভাবে পারিবারিক নির্যাত করা এসব দেখে দেখেই শিশুরা বড় হয়। ঘরে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে নানা রকম অশান্তি। দেনা পাওনার টানাপুড়েন। চাহিদা পুরণের জন্য অমানবিক ব্যবহার। মা, বাবার মতানৈক্য, সন্তানকে কড়া শাসন। এছাড়া কাজের লোকের সাথে খারাপ ব্যবহার ছাড়াও পরিবারে আত্মিয় স্বজনের সাথে নানা রকম বিরোধ সব সময়ই লেগে থাকে অনেক পরিবারে। কেউ কাউকে দেখতে পারে না। আত্মিয় যে মানুষটির কাছে সন্তান অনেক ভালোবাসা পায় হঠাৎ তার সাথে কথা না বলার আদেশ যেমন পায়, তেমন তাদের আর কখনো দেখা হওয়ার সুযোগও বন্ধ করে দেন অভিবাবক। সন্তানের উপর এর প্রতিক্রিয়া প্রভাব কেমন হয় তা কিন্তু কেউ ভাবেন না। নিজেদের প্রয়োজন নিজেদের অবস্থা নিয়েই ব্যাস্ত অভিভাবক।
সামাজিক স্ট্যাটাস, ধর্মের বৈষম্য প্রত্যেক মানুষ নিজে ছাড়া আর বাকি সব মানুষদের নিচু শ্রেণীর ভাবার মনোভাব। শিক্ষা থেকে অফিস, রাজনীতি সব জায়গায় নানা ধরনের বুলি, বৈষম্য, অশালীন আচরণের সম্মুখিন হয় মানুষ প্রতি নিয়ত।
বাড়িতে, ঘরের বাইরে, স্কুলে, কাজে, চলার পথে অপমানিত হয়ে তার শোধ উঠানোর জন্য নিজের চেয়ে নিচু ভাবা মানুষকে বেছে নেয় মানুষ অবচেতন মনে। একের উপর অন্যের রাগ. বকা, মার দেখার সাথে শিশু বয়সের নরম কোমল মনোভাব, সহানুভুতিশীল মন, নষ্ট হয়ে যায়।
সাথে যোগ হয়েছে, বুঝে না বুঝে যথেচ্ছা ভাবে অর্ন্তজালের ব্যবহার করে পর্ণ, যৌনতায় আকর্ষণ হওয়া। যার সফলতা পাওয়ার জন্য যে কোন মানুষকে বেছে নেয়ার ভাবনা চিন্তা চলতে পারে ভিতরে ভিতরে পরিশুদ্ধ না হওয়া মনে।
এই ভাবনার সাথে দারিদ্রতা, নীচুতার সাথে থাকা অনেক মন, নিজেকে উপরে উঠানোর চেষ্টায় যে কোন ভাবে অর্থ রোজগারের ধান্দাও করে। এরা এক সময় অর্থর জোড়েই প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় সমাজে বেশ পাকাপোক্ত ভাবে। কোনরকম খারাপ কাজকে এরা খারাপ মনে করে না নিজেদের বেলায়। এমন মানুষরা আবার বেশ ভালো অবস্থানে থেকে অন্যদের শাসন শোষণ করারও সুযোগ পায়।
সেই সাথে স্কুলে ধমক, বেত্রঘাত, শাসন দিয়ে শিক্ষা দেয়ার পদ্ধতি এখনো চলছে। যদিও অনেক বছর আগে। শাসন করা মার দেয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় ভাবে।
শিক্ষকরাও তো, এক একজন এই সব প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে, এই সামাজিক অবস্থান থেকে এসেছেন এবং আছেন নানা রকম জটিল অবস্থার মাঝে।
খুব অল্প মানুষ সক্রিয় ভাবে মননশীল মানবিকতার চর্চা করেন। সব জায়গায় তার ব্যবহার করেন। এরা আবার নানা রকম বুলির আওতায় পরেন। তাদের মার্জিত স্বভাবের জন্য।
এখনো ছোট বেলা থেকে মানুষের প্রতি সম্মান ভালোবাসা দেখানোর অনুভুতি না শিখালে। প্রকৃতিগত ভাবে শিশুদের মধ্যে থাকা, মানবিক সেন্সেশন নষ্ট না করে বরং তার যত্ন নিয়ে মানবিক অনুভুতির উন্নতি করার প্রতি জোড় দেয়া খুব দরকার। নয়তো এক সময় বর্বতার ভয়াবহ রূপ আরো বেশি দেখতে হবে।
অনেক বইয়ের ভাড়ে শিশুদের মন মানসিকতা, মাথা, মেরুদণ্ড, নুইয়ে না দিয়ে বরং শিশুদের মানবিক বিকাশে সাহায্য করা জরুরী হয়ে উঠেছে। এ জন্য শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে প্রয়োজন পারিবারিক ভাবনা চিন্তার পরিবর্তন।
পরিবারের মানুষ প্রত্যেকের আলাদা ভাবে স্বয়ং সম্পন্ন হওয়ার জন্য বেশি চেষ্টা করা দরকার। পরিবারের একজনের আয়ের উপর নির্ভর না করে। আঠারো বছরে সাবলম্বী হয়ে নিজের ভাবনা নিজের হলে, কাজ করে আয় করে, চলার মধ্যে দিয়ে অনেক কিছু শিক্ষা হবে। একজনের থেকে অর্থ নিয়ে আরামসে ব্যয় করার চেয়ে।
বিদেশ থেকে পাঠানো টাকার উপর যে সব সংসার চলে, তারা কখনো জানে না হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমের খবর। কিন্তু তারা সুখে উড়ে ভাব দেখায় বড়লোকি চালের হঠাৎ গজিয়ে উঠা অহংকারে ধরাকে সরা জ্ঞান করে অনায়াসে।
সামাজিক অনেক নিয়ম বদল দরকার, বাংলাদেশের মানুষের মনোজগৎ উন্নত করতে।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:০৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ,সমাজের বাস্তবতাকে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।সমাধানের কিছু ইঙ্গিতও দিয়েছেন।বিষয়টি একটি দীর্ঘ মেয়াদী প্রকৃয়া।প্রথমে কোন কাজটি দিয়ে শুরু করতে হবে সেটা ঠিক করাই গুরুত্বপূর্ণ ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০১

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নুরুলইসলা০৬০৪
প্রথম মন্তব্যটি অত্যন্ত সুন্দর ভাবে করেছেন লেখাটি পড়ে।
আসলে বিষয়টি দীর্ঘ মেয়াদি। এর প্রভাব কাটিয়ে উঠা অনেকের কাছে কঠিন।
কিন্তু নিয়ম করে শোধরানো শুরু করলে দ্রুতই তার ফলাফল দেখা যাবে।
এক বছরের মধ্যে করোনার প্রভাবে পৃথিবী ব্যাপী অনেক পরিবর্তন খুব দ্রুত হয়েছে।
ভালো পরামর্শ গ্রহণ করে এই ভয়াবহ অবস্থার মাঝেও ভালো আছেন অনেকে।
তাই শুরুটা হওয়া জরুরী।

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ভাল একটি বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন ।
বেশী কথা লিখতে পারছিনা ।
প্রচন্ড দাত ব্যথায় ভুগছি ।কভিড সময়ে
ডেনটিস্ট এপয়েন্টমেন্ট পাওয়া ভেরী টাফ।

সংবেদনশীলতা প্রয়োজন ।

শুভেচ্ছা রইল

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী দাঁতের যন্ত্রনা নিয়েও লিখেছেন মন্তব্য। পড়েছেন সেটাই বড়। সুস্থ হয়ে আলোচনায় আপনার সুচিন্তিত কিছু ধারনা যোগ করবেন।
বিষয়টা সামাজিক ব্যাধী হয়ে ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পরছে।

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:০৭

মুজিব রহমান বলেছেন: শতশত বছর ধরে আমরা এমন নষ্ট সমাজ বিনির্মান করেছি। এর থেকে উত্তরণের জন্য মানুষের মধ্যেকার ভাবাদর্শ বদলাতে কাজ করতে হবে। কথা বলার অধিকার আদায় করে নিতে পারলেও সেটা কিছুটা সম্ভব হবে। তবে রাষ্ট্র যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও একটি সুসভ্য ও বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ গঠনে উদ্যোগ নিতো তবুও কাজ হতো। মিডিয়াও নষ্ট সমাজ ধরে রাখতেই তৎপর।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুজিব রহমান
যথার্থ বলেছেন এই অবক্ষয় একদিনে হয়নি। শত শত বছরের ভুল ধারনার ফল। তবে বিগত কিছু দশক থেকে এর চর্চা ভয়ানক ভাবে বেড়ে গেছে। লোভী নেতাদের বিশাল একটা অবদান আছে এতে।
সাধারন মানুষকে লাঠিয়াল হিসাবে ব্যবহার বর্তমানে মাসলম্যান, বডিগার্ডে পরিবর্তন হয়েছে। নারী অবমাননা, ধর্মের দোহাই, সব কিছুই অনেক কালের প্রাপ্তি। এর পিছনে কিছু মানুষের স্বার্থ এবং লোভী চেহারা।
রাষ্ট্র অনেক নিয়ম রাখলেও সাধারনরা পালন করছে না এটা একটা বড় সমস্যা। সেটা শুরু করার যায় কি ভাবে এ নিয়ে ভাবনা চিন্তা অলোচনা পদক্ষেপ খুব জরুরী।

৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধর্মান্ধ মানষ যতই ধার্মিক হয় ততই স্বার্থপরে পরিনত হয়,
আসলে ওরা ধার্মিকতা দেখায়, শোঅফ। বাস্তবে অসৎ, ব্যক্তিজীবিনে পাপকর্মে লিপ্ত পাপিষ্ট। আর ধার্মিকতার লেবাসে পরিবারে সমাজে ঘৃনা আর বিদ্বেষ ছড়ায়।
ধর্মন্ধতা মানুষকে বিবেক হীন করে ফেলে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৩২

রোকসানা লেইস বলেছেন: সত্যি ধর্ম তাদের মধ্যে নাই। ধর্মকে কবজা করে ব্যবসাটাই প্রয়োজন। নিজেদের সুবিধা পাওয়া ছাড়া কি আর করে তারা।
ধার্মিকরা এখন বিশাল ধনাঢ্যও যা একদমই যায় না ধর্মের সাথে।

শুভেচ্ছা হাসান কালবৈশাখী

৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ক্রমশঃ বিকাশমান নানামুখি সমস্যার উপর কিছুটা আলোকপাত করেছেন, সমাধানের কিছুটা ইঙ্গিতও উঠে এসেছে আলোচনায়, তবে এ নিয়ে আরও বিস্তর, গুরুতর আলোচনা প্রয়োজন। সমস্যাগুলোর যে অস্তিত্ব রয়েছে, এটা আলোচনায় নিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ।
মিডিয়াও নষ্ট সমাজ ধরে রাখতেই তৎপর - দুঃখজনক হলেও, মুজিব রহমান এর এ কথাটা সম্পূর্ণ সত্য। সামাজিক অনাচার আগেও ঘটতো, কিন্তু সমাজের বিবেক, অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় সতর্ক মিডিয়ার কারণে বিনা বাধায় এর বিস্তার এতটা সহজ ছিলনা। তিন চার দশক আগেও সামাজিক মূল্যবোধের এতটা অবক্ষয় ছিল না।
খুব অল্প মানুষ সক্রিয়ভাবে মননশীল মানবিকতার চর্চা করেন - এদের সংখ্যাটা প্রেষণার দ্বারা বাড়াতে হবে, এদের বিরুদ্ধে বুলির সংক্রমণ থামাতে হবে।
জনসতর্কতামূলক পোস্টে প্লাস + + রেখে গেলাম।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫২

রোকসানা লেইস বলেছেন: আবহমান কাল থেকেই এক ধরনের মানুষ, রাজা আর অন্য ধরনের মানুষ প্রজা, ছোটলোক, নীচু শ্রেণীর তা অর্থ, প্রতিপত্তির জন্য যেমন। ধর্মের জন্যও অনেক বৈষম্য ধারন করে, বয়ে চলছে বাঙলার বুকে। সে ধারনা রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে আছে সব সময়। আগে যাকে মান্যতা বলা হতো তার মধ্যেও আসলে মানুষের মাঝে ভেদাভেদের বিশাল একটা অবস্থান ছিল। বর্তমান সময়ে যেন এর তীব্রতা আরো বেশি হচ্ছে।
আর যারা বোঝেন সংবেদনশীল তারা চুপচাপ নিরবে মার খেয়ে যাচ্ছেন। হারিয়ে যাচ্ছেন দিনে দিনে।
মিডিয়ার কারণে যেমন প্রচার পাচ্ছে খারাপ কিছু তা কিন্তু নিয়ন্ত্রন করতে পারে সরকার ইচ্ছ করলেই।
চীনে গিয়েছিলাম সেখানে ফেসবুকসহ অনেক বাইরের এ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ। এত বিশাল মানুষের দেশে, অসংখ্য মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে তারা যদি পারে আমাদের দেশেও পারা উচিৎ। পশ্চাত্য দেশগুলিতে অবাধে পর্ণ ব্যবহারের উপর অনেক নিয়ন্ত্রণ এখন। বাচ্চাদের স্কুলে শিখানো হয় অর্ন্তজালের ব্যবহার বিধি, ভালোমন্দ।
সহজ না করে কড়া ভাবে নিষিদ্ধ করে অনেক বেশি আকর্ষণ বাড়ানো হয় আমাদের দেশে, অনেক কিছুর উপর।
সব বিষয়ের উপর আলোকপাত করলাম। সবাই মিলে আলোচনা করে নতুন ভাবে ভাবা এবং উদ্যোগ নেয়া যায়।
দেশে সব নিয়ম আছে কিন্তু কেন সিন্ডিকেটের জন্য সব কিছু আটকে যায় নিয়ম পালন হয় না। এই সিন্ডিকেটের গণ্ডিটি উঠিয়ে দিতে পারলে অনেকটা সহজ হবে। সাধারন মানুষের পথ চলা।
সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান

৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: একদম সত্য কথা লিখেছেন।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:২৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: মিথ্যা নিয়ে লিখে সময় নষ্ট করার মানে নাই তাই :)
শুভেচ্ছা রাজীব নুর

৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৯

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: মনস্তাত্বিক বিষয়ের উপস্থিতি আছে লেখায়।
আমার শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিএম বরকতউল্লাহ
মানুষ মানবিক তাদের মনস্তাত্বিক বিষয় চর্চা না থাকলে অমানবিকতার সমস্যা প্রচুর হবে সমাজে। যা ঘুনপোকার মতন খেয়ে ফেলছে আমাদের অনুভুতি।
মানবিকতার বিকাশ ঘটানো জরুরী হয়ে পরেছে।

৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

স্থিতধী বলেছেন: প্রকৃতির নিয়মে সমাজে জনক - জননী হবার আগে; সভ্য পিতা- মাতা হবার যোগ্যতাটি সবার অর্জন করা উচিৎ। তবেই আমরা ঘড়ে ঘড়ে সুনাগরিক সন্তান দেখার সম্ভাব্যতা বাড়াতে পারবো। ৫ নম্বর মন্তব্যে ব্লগার খায়রুল আহসান সাহেবের সাথে সম্পূর্ণ একমত।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: খুব প্রয়োজনীয় কথা বলেছেন। অনেক আগের লেখায় এই বিষয়ে লিখেছি ।
প্রকৃতির নিয়মে মা বাবা হয়ে যাচ্ছেন কিন্তু দায়িত্ব সম্পর্কে অনেকে স্বচেতন না। মা অনেক সময় ফেলতে পারেন না দায়িত্ব পালন করেন। ইদানিং অবশ্য অনেকে ফেলেও দেন। কিন্তু অনেক বাবা আবার জানেনও না সন্তানের মনের খবর সংসারে থেকেও। কেবল কড়া শাসন করনে সন্ততানকে।
পরিবার থেকে আসতে হবে পরিশীল শিক্ষা,নৈতিকতা, সততা। তারপর স্কুল, রাস্ট্র শিখাবে ।
শুভেচ্ছা জানবেন স্থিতধী

৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৫১

অজানা তীর্থ বলেছেন: একদম মনের কথা লিখেছেন। এই সমাজে একপ্রকার ভদ্রলোকের বদ অভ্যাসগুলো কেউ জানেনা।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:১৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ অজানা তীর্থ।
এই বদলোকগুলো খুব ভয়ানক সমস্যা সমাজ সংসারের। এরা আপন হয়ে মিশে থাকে অথচ ভয়ংকর মনে।
এদের ভয়াবতা থেকে মুক্ত থাকার জন্য মানবিকতা, মানুষকে সম্মান দেয়ার চর্চা অনুশীলন প্রয়োজন ঘরে ঘরে।

১০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: একদম সত্যি কথা। উপরে আমরা অনেক ভালো মানুষ কিন্তু ভিতরে লুচ্চা নাম্বার ওয়ান।

১১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০১

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙালী ।
মানুষের মধ্যে জন্ম থেকে যে সংবেদনশীল মনটা থাকে তা সুন্দর করে লালন করার ব্যবস্থা করলে এইসব লুচ্চা লুলুমীগুলো দূর হয়ে যাবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.