নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিউপল্টনের পথে নষ্টালজিক স্মৃতি

২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৩:১৪

অনেকদিন পর নিউপল্টনে গেলাম কয়েকদিন আগে। এক সময় নিউপল্টনে অনেক বেশি যাওয়া হতো। তখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। হলে থাকতাম। মঝে মাঝে ছুটির দিনে আমার বান্ধবীর বাড়ি যেতাম। সারাদিন কাটিয়ে আসতাম ওর সাথে।
আমার স্কুলের বান্ধবীদের অনেকের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল স্কুল পাশের পরে। কারো কলেজের দুই ক্লাস শেষ হতেই। আমরা গুটি কয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন পেয়েছিলাম।
বলছিলাম নিউ পল্টনে বান্ধবীর বাড়ি যাওয়ার কথা। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছটফটে আনন্দময় জীবন। নো চিন্তা ডু ফূর্তি সময়ে আমার বান্ধবী পুরোদস্তুর সংসারি। নিজেকে সামলে ছোট একটা বাচ্চা সামলাচ্ছে । ওর ছোট একটা বাচ্চা আছে তখন। বাড়িতে শ্বশুড় শাশুড়ি আর ওরা আড়ইজন। এছাড়া আত্মিয় স্বজন সবার সাথে খুব হৃদ্যতা ভালোবাসা। সুন্দর করে সব সামলে চলছে সে। নিউপল্টনে বনেদি পুরানো বাড়ি ওদের। ওর শ্বশুড় বাড়ির লোকজন অনেকদিন যাবত ওই বাড়িতে থাকতেন। ও পুরাই গিন্নি তখন। প্রতিদিন নতুন কিছু রান্না শেখা তা পরিবেশন করা, যত্ন আত্মি তদারকি এসব নিয়ে বেশ ব্যস্ত। আমি যখনই যেতাম সারা দুপুর থেকে খেয়ে দেয়ে বিকালে হলে ফিরতাম। তুলে তুলে ঠিকঠাক মতন খাওয়াত। হলে কি খাই না খাই তাই আলাদা মনোযোগ দিত। সবচেয়ে মজা ছিল ও অনেকটা যেন আমার গার্জিয়ান হয়ে উঠত। আমাকে প্রায় হলে পৌঁছে দিতে চাইত, সাবধানতা অবলম্বন করে। অথচ আমরা একই বয়সি।
তবে সব চেয়ে বেশি ভালোলাগত যতই গিন্নী হোক ও আগের মতনই প্রাণখোলা হাসি আর মজার মজার জোকস বলে হাসাত খুব। গল্পের ঝাঁপি খুলে বসলে ওর কথা আর থামত না। আর সে সব কথা সংসার কেন্দ্রিক ছিল না। বাচ্চা স্বভাবটা ওর মধ্যে বেশ ছিল। সেই স্কুল, কলেজ জীবনের আড্ডা জমত। সুখি আনন্দময় জীবনে আছে তাই প্রাণখোলা হাসি আগের মতনই ছিল ।
ওর সাথে আমার প্রথম পরিচয় হয়েছিল ক্লাস নাইনে। হঠাৎ গোলগাল ফুটফুটে সুন্দর নতুন একটা মেয়ে ক্লাসে দেখলাম। তারপর কিভাবে যেন আমরা প্রাণের বন্ধু হয়ে গেলাম।
একই পাড়ায় আমাদের বাসা। ছুটির দিনে একে ওপরের বাসায় যেতাম আড্ডা দিতাম। জেনেছিলাম ও ওর চাচার বাসায় থাকে। ওর মা নেই। মাঝে মাঝে বাবার কাছে গিয়ে থাকত।
একদিন নিউপল্টনে ওর বাসায় গিয়ে হাতের কাছে একটা বই পেলাম। ও যখন রান্নায় ব্যস্ত আমাকে খাওয়াবে বলে, তখন এক বসায় আমি সব গুলো কবিতা পড়ে তার প্রেমে পরে গেলাম। সৈয়দ শামসুল হকের লেখা অন্য ধরনের কবিতার বই। বইটার নাম পরাণের গহীন ভিতর। ওর সাথে আলোচনা করলাম কবিতাগুলো দারুণ। আমাকে এই বই একটা কিনতে হবে।
বিকালে নিউমার্কেটে গেলাম আমরা। নিউমার্কেটে সেই সময় অনেকগুলো বইয়ের দোকান ছিল আড্ডা ছিল লেখকদের। লাইব্রেরীর সব গুলো দোকানে ঢুকে জিজ্ঞেস করছে, পরাণের গহীন ভিতর আছে? খুঁজে কোথাও একটা পরাণের গহীন ভিতরে পাওয়া গেল না। আমি বললাম, বাদদে আমি পরে কিনে নিব। কিন্তু সে নাছোড়বান্দা শেষ দোকানে পাওয়া গেল একটা বই। সেটা কিনে লিখে আমাকে দিয়ে তবেই ওর শান্তি হলো।
ওর ননদ ছিলেন আমেরিকায়। উনি ওদের স্পন্সর করে ছিলেন। খুশি ছিল ও ছেলে মেয়ে নিয়ে আমেরিকা চলে যাবে। বাচ্চাদের বিদেশে পড়ালেখার সুযোগ পাওয়ার জন্য ও বেশি খুশি ছিল। নতুন জায়গায় গিয়ে কিছু একটা করে জীবনটাকে কি ভাবে গোছাবে পরিকল্পনার গল্পগুলো করেছিল। জাতিয় ক্রিকেটার, ক্রিকেট কোচ থেকে সাংবাদিক জগতের সাথে জড়িত ওর স্বনামধন্য স্বামী কয়েক দিনেই হাঁফিয়ে উঠলেন, আমেরিকার জীবনে মাঠের ছেলেদের রেখে তাঁর ভালো লাগে না। ছেলেকে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে দিয়ে চলে এলেন, স্বামী স্ত্রী, মেয়ে কে নিয়ে দেশে।
তখন আমি দেশেই জীবন যাপন করতাম। ফিরে আসার পর এক দুবার ওর সাথে দেখা হয়ে ছিল। ছেলের জন্য মন খারাপ করত। তারপর কেমন করে যেন আমি চলে গেলাম বিদেশের জীবনে। অনেকদিন যোগাযোগ রইল না। কয়েক বছর আগে শুনলাম রোজার সেহরী খাওয়ার পর হঠাৎ করে বুকে ব্যাথা বলতে বলতেই এ জীবনের সব খেলা সমাধান করে ফেলে। খুব মন খারাপ ছিল। ফিরে এসে দেখা করার সুযোগটা দিল না। হারিয়ে গেল চিরতরে।
আর এবার এসে শুনি ওর স্বামীটিও গত মাসে চলে গেছেন তার কাছে অবশেষে, অনেকদিন একাকী জীবন কাটিয়ে।
নিউ পল্টনে যাওয়ার আর কেউ রইল না। আন্তরিকতায় যে হাসতে হাসতে কত কত গল্প করবে।

আরো একজনের বাসায় যেতাম নিউপল্টনে। তিনি ছিলেন হুমায়ুন আজাদ। উনার কাছে যেতে হতো খুব প্রয়োজনীয় কিছু কাজে। একটা সময় স্যার কিছু বিষয়ে আমাকে অনেক সাহায্য করে ছিলেন। সন্ধ্যা সকালে উনার বই ভর্তি ড্রয়িং রুমে যেতাম কিছু পরামর্শ কিছু কাগজ পত্রের সাইন নেয়ার জন্যে। জরুরী কথা বলার জন্য। উনি আন্তরিকতায় কাজ করে দিতেন। কাজের বেলায় উনি সব সময় আন্তরিক ছিলেন।
অনেকদিন পর সেই পথে গিয়ে মনে পরে গেল অনেক কথা।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৪:০২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পুরনো বান্ধুবির স্মৃতি ভালই লাগছিল কিন্তু শিষের দিকে এসে মনটা খারাপ হয়ে গেলো।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৪৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: এই তো জীবনের শেষ পরিণতি। কেউ আগে চলে যায় । খুব তাড়াতাড়ি যাওয়া কিন্তু সুন্দর যাওয়া স্বামীর কোলে মাথা রেখে কজন যেতে পারে।

শুভকামনা নুরুলইসলা০৬০৪

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৭:৫৩

ইসিয়াক বলেছেন:








মোরা ভোরের বেলায় ফুল তুলেছি, দুলেছি দোলায়
বাজিয়ে বাঁশি, গান গেয়েছি বকুলের তলায়......

রবি ঠাকুরের লেখা দু'চরণ মনে পড়ে গেল। ধীরে ধীরে সব প্রিয় জিনিস স্মৃতি হয়ে যায়। তারপর নিজে ই কোন একদিন স্মৃতির পাতায় ঠাই নিতে হয়।
কি আর করা। এটাই জীবন। এটাই ভবিতব্য। নন মানতে না চাইলেও মেনে নিতে হয়।

চমৎকার স্মৃতি কথা।

শুভকামনা রইল।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ওর বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর অনেকদিন পর যখন দেখা হলো তখন এমই মনে হয়েছিল

আর মাঝে হলো ছাড়াছাড়ি গেলেম কে কোথায় আবার দেখা যদি হলো সখা প্রাণের মাঝে আয়।
কিন্তু এখন তো জীবনের সীমানা ছাড়িয়ে চলে গেলো।

সুন্দর মন্তব্য করেছেন
শুভকামনা ইসিয়াক

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩০

জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার স্মৃতিচারণ!
আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নিউ পল্টন এলাকায় খুব যাতায়াত ছিলো। আমার একটা টিউশনি ছিলো নিউ পল্টনে। ছাত্রাবস্থায় আমার অল্প স্বল্প লেখালেখির সুবাদে সমসাময়ীক লেখকদের আড্ডাস্থল ছিল নিউপল্টনস্থ ধানশীষ প্রকাশণী অফিসে। প্রতিন দিন বিকেলে একবার ঐ এলাকায় যাওয়া হতোই।

সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন

বাহ জানা হয়ে গেল আপনার কিছু কথা। হয়তো বই মেলায় কখনো আপনার সাথে দেখা হয়েছে সে সময়, লেখালেখির সুবাদে। ফেব্রুয়ারী জুড়ে বৈকালিক আড্ডা তখন বাংলা একাডেমিতেই দিতাম।
এছাড়া নিউ পল্টনের কাছের তখনকার বিডিআর গেট দিয়ে ইণ্ডিয়ান পুরানো বাংলা সিনেমা দেখতে যেতাম প্রায় দুপুরে দল বেঁধে।
শুভেচ্ছা থাকল

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০৩

অপু তানভীর বলেছেন: পুরোনো দিনের স্মৃতি মানুষের মনকে উদাস করে দেয় । অনেক পুরানো কথা মনে পড়ে । কাছের মানুষের এই যে চলে যাওয়া এটা আমার কাছে কখনও স্বাভাবিক হয় নি । অথচ দেখুন এই চলে যাওয়াটা এই পৃথিবীর সব থেকে কঠিন বাস্তবতা, কঠিন সত্য ।

স্কুল জীবনে আমার মলি নামের একজন বান্ধবী ছিল । বলা যায় জীবনে কারো সাথে সর্ব প্রথম আন্তরিক সম্পর্ক হয়ে উঠেছিলো তার সাথেই । ওর বাসায় আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে যেতাম প্রায় । যশোরের বিএডিসির ভেতরে ওদের বাসা ছিল । কত বিকেল আমাদের এক সাথে কেটেছে গল্প আড্ডা দিয়ে । কত দুপুরে আন্টির হাতের খাবার খেয়েছি ।

কলেজে উঠেই আলাদা হয়ে গেলাম । বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠে একদিন শুনতে পেলাম যে স্বামীর সাথে যাওয়ার সময় মলি এক্সিডেন্ট করে মারা গেছে । কী অশ্চর্য মনে হয়েছিলো সেদিন । এতো কাছের মানুষটার সাথে আর কোন দিন কথা হবে না । কোন দিন তাকে আর দেখা হবে না !

২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১

রোকসানা লেইস বলেছেন: যতই সামনে যাই আগের দিনগুলো সাথেই থাকে। বদল মেনে চলি তাই মন খারাপের ভিতরে ঢুকে যাই না। জীবনের নিয়মই এমন।

আহা প্রথম ক্রাশ মলির এমন মৃত্যু সত্যি খুবই কষ্টদায়ক খবর।

এলেখার সাথে আরো কিছু লেখা হয় গিয়েছিল তেমন হারিয়ে যাওয়ার। পরে আলাদা করে রেখে দিলাম সব না মিলানোর জন্য।
সুখ দুঃখের মিলে মিশেএই পথ চলা তবু চলতে হবে আমাদের শেষ সময় পর্যন্ত।
শুভকামনা থাকল অপু তানভীর

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:১১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: লেখাটা পড়তে গিয়ে মনে পড়েছিলো আমার স্কুলের বন্ধু নাজিয়ার কথা। কলেজে উঠতে উঠতে সে পালিয়ে গিয়ে সংসারী হয়ে গেলো।
ওদের বাড়িতে গিয়েছিলাম আমরা। গাঢ় সবুজ রং কচুপাতা টাইপ রং এর জরিপাড় শাড়ি পরা নাজিয়া খুব গিন্নী বান্নি হয়ে হাসিমুখে আমাদের খাওয়াচ্ছিলো।

ওমন সুখী চেহারার একান্নবতী পরিবারের বাড়ির বৌটি হয়ে যেতে ইচ্ছে হচ্ছিলো সেই মুহর্তে। সব পড়ালেখা ছেড়ে ছুড়ে দেি। কি আছে জীবনে!

যাইহোক সেই নাজিয়া কোথায় এখন জানিনা আমি।

তোমার বন্ধুটি পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে
আর আমার অনেক চেনা মানুষেরাও পৃথিবীতে থেকেও হারিয়ে গেছে জীবন থেকে নানা কারণে বা জীবনের নিয়মে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: প্রিয় বন্ধু নাজিয়া কই গেলো? এই ফেসবুকের যুগে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না?
আমার মোটামুটি সব বন্ধুদের খুঁজে পেয়েছি।
বন্ধুভাগ্য ভালো হওয়া খুব ভালো।
শুভকামনা কবিতা পড়ার প্রহর

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:১১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: েএভাবে এক জন এক জন করে সবাই চলে যায়।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫২

রোকসানা লেইস বলেছেন: স্কুল ইউনিফর্ম পরা এক রকম আমাদের জীবন কত অন্যরকম হবে তখন ভাবতেই পারিনি।

শুভকামনা মোঃ মাইদুল সরকার

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: মন খারাপের কথা-
আপনার বন্ধুটার জন্য ভীষন মায়া হোল!
এভেবে প্রিয়জনগুলো একে একে ছেড়ে চলে যাচ্ছে- বড্ড বেশী একা হয়ে যাচ্ছি।
আপনি সুস্থ্য ও ভাল থাকুন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: সুস্থ সুন্দর মেয়েটা এত অল্প সময়ে চলে যাবে কেউ ভাবিনি। অথচ এই জীবন।
আর গত বছর থেকে এত মানুষের চলে যাওয়া দেখলাম। বেঁচে থাকাটা সত্যি যেন এক অনিন্দ্যসুন্দর অবস্থা ।

ধন্যবাদ ভালো থাকবেন আপনিও শুভকামনা।

৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:২৭

মেহবুবা বলেছেন: অনেক কিছু বলতে গিয়ে গোল পাকিয়ে যাচ্ছে।
স্কুলের বন্ধু দেশে এসেছে, ছেলে বিয়ে দেবে মেয়ে খুঁজে দিতে হবে।
একটা ফুলের মালা কিনে দিলাম, চুলে পরে নিল ; কি মিষ্টি লাগছিল! মনে হল সেই ছোটবেলা ফিরে এসেছে।
বন্ধুভাগ্য সত্যি আমার ঈর্ষনীয়!৷
"পরাণের গহীন ভিতর" সৈয়দ শামছুল হকের লেখা, জেনেছিলাম আনিসুল হকের এক লেখায় ; পড়া হয়নি।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:০৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: তালগোল পাকিয়ে কিছু তথ্য দিলেন। বন্ধু দেশে আসা ফূলের মালা কিনে দেয়া, ভালো।
কিন্তু বিদেশে থাকা একটি ছেলেকে দেশের মেয়ে যদি ছেলের পছন্দ না থাকে তাকে বিয়ে করিয়ে নিয়ে যাওয়া খুব একটা সুন্দর ভাবনা না।
পরানের গহীন ভিতর সেই সময়ে নতুন প্রাকাশিত। আপনার এখনো পড়া হয়নি!! পড়ে ফেলবেন।

শুভেচ্ছা রইল

৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের সময় বইমেলা ছিলো আমাদের সিজনাল অন্যতম আড্ডার যায়গা। অন্যদিকে টিএসসি- আশাবাবাগ মৌলি রেস্টুরেন্টে নিয়মিত বৈকালিক আড্ডা। বিডিআর সিনেমা হলে নিয়মিত হিন্দি উর্দু সিনেমা আমিও দেখতাম। মনে হচ্ছে- আপনি আমি প্রায় সমসাময়িক হবো।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:১২

রোকসানা লেইস বলেছেন: যেহেতু আপনি লেখালেখির সাথে ছিলেন তাই মনে হলো বই মেলায় অবশ্যই যেতেন।
যে নামগুলো উল্লেখ করলেন তা ছাড়া তো এই দশ বছর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের যাওয়ার আর কোন জায়গা ছিল না তো । এখন বহু ক্যাফে রিসোর্ট দল বেঁধে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ।

হয় তো বা হতে পারে নাও হতে পারে।
ভালো থাকবেন

১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার নস্টালজিক লেখা ভালো লাগলো।
অনেক অনেক আগে (মোগল আমলে সম্ভবত) ঐখানে সৈন্যরা থাকতো। তাই নাম হয়েছে পল্টন। পল্টন মানে ফৌজ বা সৈন্যদল।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:১৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ভালো ব্যাখ্যা দিলেন পল্টন নামের। তবে পল্টন ইংলিশ শব্দ মনে হয়। মোগল শব্দের চেয়ে।

ধন্যবাদ ভালো থাকবেন

১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হুমায়ুন আজাদের সাথে স্মৃতি নিশ্চই অন্যরকম অনুভূতি হিসেবে কাজ করবে এখন!!
সাহসী লেখক একজন।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪১

রোকসানা লেইস বলেছেন: এখন না সব সময়ই ভালো একটা অনুভূতি ছিল উনার ব্যাপারে।

শুভকামনা মরুভূমির জলদস্যু

১২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩০

উদারত১২৪ বলেছেন: ভালো লাগলো

বাঙালি সম্পর্কে বাবরের মূল্যায়ন কতটুকু ছিল

২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:১৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ উদারত১২৪

১৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: রোকসানা লেইস,




জীবনের মতো মরে যায় সম্পর্কগুলোও তবুও "পরাণের গহীন ভিতর" থেকেই যেন উঠিয়ে নিয়ে এসেছেন নিউপল্টনের পথে ছড়িয়ে থাকা এমন সম্পর্কের নষ্টালজিক স্মৃতি!

২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:২০

রোকসানা লেইস বলেছেন: ঠিক বলেছেন অনেক সম্পর্কও মরে যায় মানুষ জীবিত থাকাকালীনও।

ইচ্ছে করে জিগাই, কেন এমন দুঃখ দেয় জীবন
যারে আপন ভাবি সে কেন হারায় মৃত্যুর পরপারে।

শুভকামনা আহমেদ জী এস

১৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: পুরোনো সৃতি গুলো নিয়মিত লিখুন। পড়তে ভালো লাগে।
হুমায়ূন আজাদ স্যারের বাড়ি কিন্তু বিক্রমপুর। আমার বাড়িও বিক্রমপুর। তিনি একজন সত্যিকারের জ্ঞানী মানুষ ছিলেন।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:২৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর
পুরানো স্মৃতিগুলো লিখছি সাথে নতুন স্মৃতিও একটা আত্মজীবনি বের করব। তুমি কিনে পড়বে তো?

হুমায়ুন আজাদের ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না গল্পটি তার কিশোর জীবন নিয়ে লেখা পড়লে বোঝা যায়। পড়েছো আশা করি।
কে কোথাকার মানুষ তা দিয়ে আমি কাওকে কাছে টানি না দূরে ঠেলি না। মানুষের জ্ঞান আমাকে আকর্ষন করে পৃথিবী ব্যাপী মানুষের সাথে সম্পর্কে বাঁধি নিজেকে।
ভালো থেকো শুভেচ্ছা জেনো।

১৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:২৮

চাঙ্কু বলেছেন: কি সুন্দর স্মৃতি কিন্তু শেষে এসে মন খারাপ হয়ে গেল!!

২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩০

রোকসানা লেইস বলেছেন: এ কী! আপনি কই থেকে চাঙ্কু? আছেন এখনো ব্লগে।
এই আপনার মন্তব্যগুলো আমার প্রথমদিকের লেখায় আপনার সাথে বন্ধুত্ব হয়েছিল তো তাই না।
ভালোলাগল খুব অনেক দিন পর আপনার উপস্থিতি।
ভালো থাকবেন শুভকামনা

১৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:০৯

সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো স্মৃতিচারণ আপু। অপারে ভালো থাকুক অমন প্রিয় বন্ধূ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩১

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ সোহানী।
তাই ভালো থাকুক তারা দুজনে মিলে ওপারে

১৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৬:৫৯

Abida-আবিদা বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিচারণ, আপু!

২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ Abida-আবিদা

১৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্লাটুন থেকে সম্ভবত পল্টন শব্দ বাংলায় এসেছে। বাংলা অভিধানে পল্টন শব্দ পাওয়া যায় যাকে ইংরেজিতে প্লাটুন বলে। হাসপাতালের মত।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: তাই মনে হয় এটা অনেক অর্থবহ
শুভেচ্ছা থাকল

১৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:১৪

মেহবুবা বলেছেন: ২৪/১০/২০২১ এ ছেলেটি মা বাবার অনুপস্থিতিতে ( ওনারা এ দেশে আর সে আমেরিকায়) siblings এর মন ভাল রাখবার জন্য ভাল ভূমিকা রেখেছে বলে মা খুশী হয়ে বলল,'তোমার জন্য কি নিয়ে আসব'?
ছেলের জবাব, "বউ নিয়ে এস "।
অতএব ......

২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৫০

রোকসানা লেইস বলেছেন: ছেলে নিজে চাইলে ভালো ।
ছেলে বাঙ্গালি আছি তাহলে।

২০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

নয়া পল্টনের স্মৃতিময় দিনগুলির কথা সুন্দর করে উঠে এসেছে ।
পাঠে ভাল লাগল । নয়া পল্টনে আমিউ দিন কয়েক কাটিয়ে
এলাম । অনেক স্মৃতি জমা হয়ে গেছে ।

শুভেচ্ছা রইল

২৮ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী

অনেকদিন পর আপনাকে দেখেও খুব ভালোলাগল ।
অবসরে লিখে ফেলুন আপনার স্মৃতিটুকুও ।
প্রত্যেকের স্মৃতি ভিন্ন বৈচিত্রধারায় নতুন কিছু শিখায় জানায় আমাদের।
শুভকামনা থাকল ভালো থাকবেন অনেক।

২১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:০০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী দারুণ স্মৃতির ঝাঁপি।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩০

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.