![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী জুড়েই অস্থিরতা চলছে বিশ সাল থেকে। ছিমছাম শান্ত অবস্থা একটা ভয়ানক অস্থিরতার মধ্যে পড়ে গেছে পৃথিবীর মানুষ।
কোভিটের মরনদশা কাটিয়ে না উঠতেই রাশিয়ার, ইউক্রেন আক্রমণ। বিশাল প্রভাব পরল সব দেশের বাজার জুড়ে।
পৃথিবীর অর্থনীতিতে বিশাল চাপ ফেলল। এরমধ্যেই ইউরোপের সাথে বৃটেনের ব্রেক্সিট ছড়াছড়ি হয়ে গেল।
হামাস, ইসরাইলের মানুষ হাইজ্যাক করে অকারণ ক্ষেপিয়ে তুলল। এক হাজার মানুষকে আটকে রেখে, নির্যাতন করে, নিজেদের পঁচিশ হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণ হলো।
যুদ্ধ না থামালে ট্রাম্প তাদের গুঁড়িয়ে দিবে এমন হুমকির পরে সুরসুর করে সব যুদ্ধ বন্ধ করে জিম্মিদের ফিরিয়ে দিল। এদের কথা শুনাতে পেরে ট্রাম্পের নিজের উপর আস্তা ভয়াবহ ভাবে বেড়ে গেলো।
পানামা, গ্রীনল্যান্ড দখল থেকে। ম্যাক্সিকো, কানাডার উপর পঁচিশ পারসেন্ট ট্যারিফ আরপের ঘোষনা দিয়ে দিল। ভেবেছে সারা পৃথিবী নিজের মতন সে বাণিজ্যে দখল করে নিবে।
উত্তর দক্ষিণ দেশগুলোতে বিশাল আকারের শুল্ক বসিয়ে নিজেরাই শুধু আয় করবে। অন্য দেশ পাল্টা কর বাড়ানোর সাহস রাখবে, সেটা হয়তো ভাবেনি।
অধিকার ফলানোর জন্য হুমকি ধামকি দিচ্ছে এদেশ সেদেশকে। আগে ছিল চীনের উপর ক্ষ্যাপা এখন অন্যদেশে দখলে নজর দিয়েছে। ছোট ভাইর মতন থাকা কানাডার নির্বাচিত প্রধান মন্ত্রীর উপর নিজের দলের অনাস্থা, তার পদ ছেড়ে দেয়ার খবরে কানাডাকে একান্নতম স্টেইট বানানো খুব সহজ ভেবেছে। অথচ দেখা যাচ্ছে নিজেদের মধ্যে যতই বিরোধ থাকুক কানাডার সব দল এবং সব প্রভিন্সের প্রিমিয়াম মিলে এক সাথে যুথবদ্ধ, ট্রাম্পের এই হুমকির বিরুদ্ধে।
ছোট ভাইর মতন আমেরিকার পাশে থাকা কানাডা, সব সময় সমান তালে তাল মিলিয়েছে আমেরিকার কথায়। কিন্তু এবার মনে হয় ভিন্ন চিত্র সত্যি সামনে এসেছে। যেখানে আমেরিকার জন্য নয় নিজেদের জন্য, নিজের দেশের জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ।
বুদ্ধি বলিহারি মানুষের, ক্ষমতা এবং অর্থলিপ্সু ভয়াবহ দানবকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, নির্বচন করে আমেরিকার মানুষ।
আমেরিকার নানা বিষেশজ্ঞর পোষ্ট দেখছি, যারা কানাডার উপর এই কর আরোপে বিরক্ত। তাদের দেশের মানুষ এই সাইকোকে দেশের প্রধান করেছে বলে নিজেরাই লজ্জিত হচ্ছে।
মাত্র উনত্রিশ ভাগ মানুষ ভোট দিয়েছে আর বেশির ভাগ মানুষই ভোট দেয়নি। মানুষের ভোট দেয়া না দেয়ার ফলাফল এখন মানুষ ঘরে বসে উপভোগ করবে। এমনিতেই জিনিস পত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়েছে পৃথিবীর সব দেশে। এই ট্যারিফের ভাড়ে সব জিনিসের দাম এখন আরো অনেক বাড়বে। অনেকে ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হবে। দরিদ্র সংখ্যা বাড়বে। হয়তো ট্রাম্পের কোষাদক্ষে ডলারের পাহাড় জমবে।
কানাডার প্রধামমন্ত্রী, আমেরিকার জিনিস না কেনার আহ্বান করেছেন। এর ফলে ক্ষতি হবে আমেরিকার ব্যবসাযীদের। আর ভয়াবহ দামের কারণে মানুষের জীবন হবে দূভোর্গে পরিপূর্ণ। ব্যবসায়ীরা নিজেদের চেষ্টায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে আর এই সব রাজনীতিবিদরা তার মাখন খাওয়ার জন্য নানা রকম নিয়ম করে। এখন একমাত্র উপায় মনে হয় আমেরিকার ব্যবসায়ীদের নিজেদের মধ্যে ঐক্য করে ট্রাম্পরে কথা না শোনা। আগের মতনই ব্যবসা বানিজ্য করা। এটা কঠিন তবে তাদেরই উদ্যোগ নিয়ে ঠিক করতে হবে অদ্ভুত নিয়ম না মানার জন্য। কারণ দিন শেষে তারাই হবে ভুক্তভুগি। আর সাধারন মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে যাবে অনেক জিনিসের দাম। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। কানাডার দোকান থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে আমেরিকার পণ্য।
ট্রাম্প তার আগের পাঁচ বছর সময়ে কোন যুদ্ধ করিনি । এটা অনেকের, ট্রাম্পকে সাপোর্ট দেওয়ার একটা ভালো চিন্তা ছিল। সে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর চেষ্টা করেছিল। এখনো সে সেই চিন্তাই করছে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য সে, কানাডা, গ্রিনল্যান্ড, পানামা সবটাই আমেরিকা বানিয়ে নিজের দখলে নিয়ে নিতে চায়। বন্দুক দিয়ে যুদ্ধ নয়, অর্থনৈতিক ভাবে নানা রকম চাপ দিয়ে অর্থনৈতিক ফায়দা আদায় করতে চায়।
প্রতিটি দেশ নিজস্ব সার্বভৌমত্ব স্বাধীনতায় বিশ্বাসী তারা অন্য দেশের স্বার্থের অঙ্গরাজ্য হতে চায় না। নিজের স্বকীয়তায় বাঁচতে চায়।
কানাডার রাজনীতিবিদদের মধ্যে নানা রকম মতবিরোধ থাকলেও দেশের সার্বভৌমত্ব স্বকীয়তা রক্ষা করার জন্য সকল রাজনীতিবিদ সকল চিন্তাবিদ এক। তারা কেউ কানাডাকে আমেরিকার অঙ্গরাজ্য হিসেবে দেখতে চায় না। একই কথা বলছে গ্রীনল্যান্ড এবং পানামা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়ে ট্রাম্প সবসময়ই অদ্ভুত ধারণা নিয়ে অকারণ কথাবার্তা তৈরি করছে, ক্ষমতাসীন, সর্বেসর্বা ভাবছে নিজেকে।
ছোট হলেও অন্য দেশগুলো নিজস্ব শক্তিতে নিজস্ব স্বাধীনতায় বাঁচতে চায়,কারো অঙ্গরাজ্য হতে চায় না। ট্রাম্পের এই সমস্ত কথাবার্তা পৃথিবীতে একটা অস্থিরতা তৈরি করা ছাড়া আর কিছু না।
কানাডা কিছু জিনিস আমদানি করে আমেরিকা থেকে সেগুলো বন্ধ করে দিলে কেমন হবে। কানাডা আমদানি করতে পারে নিজেদের প্রয়োজনীয় পণ্য মেক্সিকো সাউথ আমেরিকা আফ্রিকা এশিয়া থেকে। কম দামে পেতে পারে আরো আমেরিকার থেকে । মোট অটোমোবাইলস, পার্টস আমেরিকা থেকে না এনে সরাসরি জাপান থেকে নিতে পারে। সাথে নিজের শক্তি বাড়ানো দরকার উৎপাদনে। কানাডার সব সময় আমেরিকার সাথে ছোট ভাইয়ের মতো থাকার সুযোগ আজ ট্রাম্প নিচ্ছে। আগেরবারও চীনের সাথে ঝামেলা হয়েছে কানাডার আমেরিকার জন্য।
দেশদেশ মিলে মিশে বিশ্বায়নের এক সুন্দর সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সব কিছু ভেঙ্গে যাচ্ছে যেন। কোভিট এসে বলে গেছে মানুষকে, নিজেদের মতন বাঁচো। কিন্তু মানুষ কিছুদিন একা, বিচ্ছিন্ন থেকে আবার মানুষের সাথে মিলে মিশে থাকার জন্য সহজ জীবনে চলছিল। কিন্তু ট্রাম্প আবার বৈষম্য তৈরি করার পায়তারায় মেতেছে। অর্থনৈতিক যুদ্ধ যেন শুরু হয়ে গেছে।
কোভিটের সময় যেমন অনেক কিছু পাওয়া যাচ্ছিল না শুরু হয়েছিল ফেসমাক্স দিয়ে। হ্যান্ড সেনেটাইজার দিয়ে। সব দেশ নিজেদের জন্য তৈরি শুরু করেছিল। এখন মনে হচ্ছে নিজেদের সম্পদে স্বয়ং সম্পূন্ন হওয়া খুব জরুরী প্রতিটি দেশের মানুষের।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:৩৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: আমেরিকার নাগরিক ভোট দিয়ে অবশ্যই জিতিয়েছে, যত টুকুই ভোটই হোক এবার কোন রিউমার শোনা যায়নি। সূত্র দিতে পারছি না। আমি কিছু টিভি টকশ দেখেছি।
কিছু ইউটিউব। আমেরিকাতে ট্রাম্পের সাপোর্টার যেমন আছে। তেমনি বিরোধী এবং তাকে অপছন্দ করার মানুষও আছে অনেক। তারাই তাকে উন্মাদ বলছে। আমি না।
আপনি সাইকো মনে না করতে পারেন কিন্তু আমেরিকার অনেক মানুষ মনে করে।
এই তো ভোটের আগে তাকে মেরে ফেলতেও চেয়েছিল, গুলি লেগেছিল কানে, আমেরিকায়ই ঘটনা ঘটেছিল। অন্যদেশে না, অন্যে দেশের মানুষও করেনি ,গুলি।
আমেরিকার মানুষকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে অন্যদেশের উপর মানুষের উপর চাপ প্রয়োগ কোন সঠিক সমাধান না। ত্রিশ দিন স্থগিত হলো সবটাই স্থগিত হবে শেষ পর্যন্ত। যেমন ম্যাক্সিকোর বেলায় হয়েছে। নয়তো বোমেরাং আমেরিকার মানুষের উপরই পরবে। এক ধরনের বৈষম্য শুরু হয়ে গেছে এ্কজন সরকার প্রধানের কথার মাধ্যমে। এইটাই উন্মাদনা, উসকে দেওয়া। অথচ জনগন মিলে মিশেই ছিল দুইদেশের । ব্যবসা বানিজ্য, ভ্রমণ ভালোবাসায়। সেটা নষ্টকরার জন্য ট্রাম্পই দায়ী।
দুইটি দেশ পাশাপাশি থাকলেও তাদের নিয়ম, শৃঙ্খলায় অনেক পার্থক্য। কথায় কথায় গোলাগুলি আমেরিকায় হয়। লাখলাখ
অবৈধ অভিবাসি আমেরিকা থেকে কানাডায় ঢুকে আপনি উল্টা বললেন।
আরো বিষদে একটা লেখা দিব মন্তব্য বড় হয়ে যাচ্ছে।
অভিবাসী এবং তারা অবৈধ এই কথাটা যখন আপনি বলেন তখন মানবিকতাহীন মনে হয়। আপনি নিজেও অভিবাসী আমেরিকায় যেভাবেই সে বৈধতা অর্জন করুন।
মানুষের পৃথিবীতে যেকোন দেশে যাওয়ার অধিকার যেকোন মানুষের আছে বলে আমি মনে করি। এই সব নিয়ম নীতিদিয়ে মানুষকে আটকে রাখা হাস্যকর একটা প্রচেষ্টা।
২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৫৮
কামাল১৮ বলেছেন: সুন্দর আন্তর্জাতিক বিশ্লেষণ।নির্যাতন যত বাড়বে প্রতিরোধ তত তঠিন হবে।নতুন পোলারাইজেশন হবে বিশ্বের।একবিশ্ব ব্যবস্থা ভেঙ্গে গড়ে উঠবে বহু কেন্দ্রীক বিশ্ব ব্যবস্থা।জনগন মুক্তি পাবে নয়া সাম্রাজবাদী শোসন থেকে।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:৩৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ। সেটাই হচ্ছে বিভক্তি শুরু হয়েছে। সাথে যদি প্রতিটি দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এবং যারা ঝগড়া করে না তারা মিলেমিশে যুথবদ্ধ হয়ে চলে শক্তিবৃদ্ধি করতে পারে বড় শক্তির বিরুদ্ধে। আমেরিকাই একা হয়ে যাবে শেষ পর্যন্ত।
৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৩:৩২
রবিন_২০২০ বলেছেন: দীর্ঘদিন ধরে অযোগ্যরা কানাডার অর্থনীতি শেষ করেছে, তার বর্ডার এখন মেক্সিকো বর্ডারের মতো উন্মুক্ত। লোকজন আমেরিকাতে চলে আসতে চাইছে। চীন আর ভারত থেকে লোকজন বিমানে করে কানাডা আসে আর হেটে হেটে কিংবা গাড়িতে চেপে আমেরিকাতে ঢুকে পরে। এই ইলিগ্যাল ইম্মিগ্রান্টরা এসেই বাচ্চা পয়দা করে শুরু করে, ওয়েলফেয়ার সিস্টেম থেকে সুবিধা আদায়ের জন্য। বাচ্চার খরচ, মেডিক্যাল , হাউসিং , ফুডস্টাম্প, লিগ্যাল ফী, সোশ্যাল ওয়ার্কার ফী ইত্যাদি মিলিয়ে ৩/৪ জনের একটা পরিবারের জন্য US ট্যাক্সপেয়ারদের মাসিক প্রায় ২০ হাজার ডলারের বোঝা টানতে হয়। মানুষ ত্যাক্ত বিরক্ত ক্লান্ত। তাই সবাই ট্রাম্প এর পিছনে জড়ো হয়েছে। হয়তো বড়ো ধরণের ভুল হয়েছে কিন্তু আর কি চয়েস ছিলো?
ট্রাম্প কিন্তু landslide victory পেয়ে ক্ষমতায় এসেছে।
বি: দ: - ৫১তম স্টেট হয়ে যাওয়াটাই কানাডার জন্য উত্তম।
ভালো থাকবেন।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:৪৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: আপনি যা বললেন মানুষের জীবন নিয়ে আপনার কোন অনুভুতি আছে বলে মনে হয় না।
বাংলাদেশের মানুষরা কেন বিভিন্ন দেশে পারি জমায় বলতে পারেন? আপনি বিদেশে থেকে অন্য মানুষের বিদেশ আসা পছন্দ করছেন না। অথচ উন্নত দেশে মানুষ আসলে, তাদের থাকা খাওয়া নাগরিকত্ব দেয়ার বিভিন্ন ব্যবস্থ করার জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে । মানবিক বিবেচনায়। মাত্র ২০০০০ ডলারের হিসাব নিয়ে এত উদ্বগ্নি। মিলিয়ন ডলারের বাড়ি যাদের পুরে গেলো তারা কিন্তু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে রাখে এই সব অভিবাসিদের জন্য।
উন্নত দেশে থাকার চেষ্টা যে কোন মানুষ করতে পারে।
কানাডা সম্পূর্ণ আলাদা একটা দেশ এবং নিজস্ব জাতিগত চিন্তায় সব মানুষ একমত। ৫১তম স্টেট এসব আকাশকুসুম স্বপ্ন।
৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৩৪
আহরণ বলেছেন: যত গর্জে তত বর্ষে না। এসব করে ট্রাম্প বেশি দিন চলতে পারবে না। ব্যাক ফায়ার হবেই। অলরেডি মেক্সিকোর সাথে নতুন দেনদরবার শুরু করেছে। ক্যানাডাও রিটালিয়েট করবে।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:৫১
রোকসানা লেইস বলেছেন: ঠিক পিছু হটেছে অলরেডি ম্যাক্সিকোয়। কানাডায়ও তাই হবেঅ
অকারণ একটা অশান্তি তৈরি করা ছাড়া আর কিছু হলো না।
নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার মতন। এইসব উল্টাপাল্টা কথাবার্ত চিন্তা।
৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:২৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি ভালো লিখেছেন।
ট্রাম্পকে বাইরে থেকে দেখলে গাধার বাচ্চা মনে হয়, এটা সত্য। কিন্তু মিথ্যা কথা বলে জনগণের মগজ ধোলাইয়ের যে বিপুল ক্ষমতা লোকটার আছে, সেটা অস্বীকার করা যায় না। এটা অনেকটা ধোঁকা দিয়ে ধর্মান্ধদের রাজাকার সাইদীকে চাঁদে দেখানোর মতো ক্ষমতা বলতে পারেন।
কানাডার ওপর ২৫% ট্যারিফের যে দুটি কারণ এই বানরটি উল্লেখ করেছে - একটি ফেন্টানিল এবং বর্ডার নিরাপত্তা - তার দুটিই মিথ্যা। ইউএস-এ যে ফেন্টানিল বা অবৈধ ড্রাগের প্রবেশ ঘটে, তার ১% শতাংশও কানাডা থেকে যায় না। বর্ডার নিরাপত্তার বিষয়টিও তাই। অবৈধ অভিবাসীদের ২ বা ৩% এর বেশি কানাডা থেকে ইউএসে যায়না।
কানাডা থেকে অবৈধভাবে বর্ডার পার হয়ে আমেরিকায় ঢুকলে দায়িত্বটি কানাডার নয়, ইউএস এর। আপনি যখন রেইনবো ব্রিজ পার হয়ে সড়ক পথে কানাডা থেকে আমেরিকা যান, তখন আপনার পাসপোর্ট আমেরিকার বর্ডার সিকিউরিটি চেক করে, কানাডার বর্ডার সিকিউরিটি নয়। ঠিক বিমান ভ্রমনের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি তাই।
এই সহজ বিষয়টি আপনি ট্রাম্পের দ্বারা মগজ ধোলাই হওয়াদের বোঝাতে পারবেন না। অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর পরে, যখন ট্রাম্প বৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর ব্যবস্থা তৈরি করবে, একমাত্র তখনই এদের উপলব্ধি হবে।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:৫৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
ট্রাম্প হলো একনম্বর অর্থলিপ্সু নিজের অনেক অর্থ কিভাবে বাড়াবে এই চিন্তা ছাড়া। সে আর কিছু চায় না। দেশের ব্যবসা বানিজ্যে হয়তো এক পারসেন্ট কর বসাবে নিজের জন্য।
যত এইড এতদিন ধরে চালুছিল সব বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ মানবিক এই কাজগুলো আমেরিকার গুণ ছিল এতে আমেরিকার মানুষের কোন ক্ষতি হচ্ছিল না।
যে যেমন বুঝতে চায় বা যার বোঝর ক্ষমতা যেমন তা থেকে পরিবর্তন করা সহজ না।
৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:২০
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটা লেখা।
পৃথিবীতে সমস্যার শেষ নেই। চারিদিকে সমস্যা। এইসব সমস্যা নিয়েই প্রিথিবীবাসী এগিয়ে চলেছে।
৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:৫৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: সমস্যা শুধু বৃদ্ধিই পাচ্ছে নানারকম নতুন নতুন সমস্যা।
হয়তো এক সময় মানুষ বুঝবে এইসব অহেতুক হানাহানি ।
৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:১৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: ... সূত্র দিতে পারছি না। আমি কিছু টিভি টকশ দেখেছি। কিছু ইউটিউব।
টকশো আর ইউটিউব দেখে আপনি সামুর মতো একটা প্ল্যাটফর্মে যেখানে হাজার হাজার লোক প্রতিদিন ভিজিট করে, সেখানে বলে বসলেন আমেরিকার ২০২৪ এর নির্বাচনে ২৯% জনগন ভোট দিয়েছে। বিষয়টা যাচাই করার মতোও গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় নি আপনার কাছে?!
লেখক বলেছেন:.. আমেরিকাতে ট্রাম্পের সাপোর্টার যেমন আছে। তেমনি বিরোধী এবং তাকে অপছন্দ করার মানুষও আছে অনেক। তারাই তাকে উন্মাদ বলছে। আমি না।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে অংশ নিলে বিরোধী মত থাকবে, তাকে অপছন্দ করবে এটাই কি স্বাভাবিক নয়? ট্রাম্প-কে অনেকেই অনেক উপাধি দিয়েছে তবে কাউকে "সাইকো" বা "উন্মাদ" বলতে শুনিনি। আর বলে থাকলেও দোষের কিছু নেই। তবে আপনি আপনার লিখায় কারো মন্তব্য কোট করেন নি বরং নিজেই লিখেছেন, সে জন্যই আমার মন্তব্যে আমি আপনার দেয়া উপাধিকে কোট দিয়ে লিখেছি।
লেখক বলেছেন: ... লাখলাখ অবৈধ অভিবাসি আমেরিকা থেকে কানাডায় ঢুকে আপনি উল্টা বললেন।
তাই নাকি! আমার জানা ছিলো না, তথ্যসূত্র দেয়ার অনুরোধ থাকছে আবারও। আমার দেখা সংবাদ অনুযায়ী কেবল কানাডা থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১৯৯,০০০ হাজার মানুষ আমেরিকায় অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে আমেরিকা-কানাডা সীমান্ত দিয়ে (সূত্র)। যদিও এদের বেশীরভাগই কানাডিয়ান নন, তদুপরি কানাডা তার দেশ হয়ে আমেরিকায় যাওয়া এ ধরনের অবৈধ অভিবাসীদের সীমান্তে আটক করে নি বরং তারা ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকে এসে কানাডা হয়েই আমেরিকায় ঢুকেছে।
লেখক বলেছেন: অভিবাসী এবং তারা অবৈধ এই কথাটা যখন আপনি বলেন তখন মানবিকতাহীন মনে হয়। আপনি নিজেও অভিবাসী আমেরিকায় যেভাবেই সে বৈধতা অর্জন করুন।
আপনার ভাষ্য সত্যিই হাস্যকর। বৈধভাবে আসা আর অবৈধভাবে কাগজপত্র ছাড়াই একটা দেশের আইন ভঙ্গ করে রাতের আঁধারে সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করাকে আপনার কাছে কোন সমস্যা মনে হচ্ছে না! দু'টো একই বিষয় মনে হচ্ছে আপনার কাছে! মানবিকতাহীন মনে হচ্ছে! তাহলে আমার এত আইন-কানুন মেনে, ইন্টারভিউ দিয়ে, বছরের পর বছর অপেক্ষা করে, আয়কর দিয়ে নাগরিকত্ব নেয়ারতো কোন দরকার ছিলো না। রাতের আঁধারে ঢুকে পড়লেই ল্যাটা চুকে যেত!
লেখক বলেছেন: মানুষের পৃথিবীতে যেকোন দেশে যাওয়ার অধিকার যেকোন মানুষের আছে বলে আমি মনে করি। এই সব নিয়ম নীতিদিয়ে মানুষকে আটকে রাখা হাস্যকর একটা প্রচেষ্টা।
আপনি যেটা মনে করেন সেভাবে যে পৃথিবীতো দূরের কথা, কোন দেশ-ই যে চলে না আশা করি সেটা বোঝেন।
বুঝতে পারছি অবৈধ অভিবাসীদের জন্য আপনার খারাপ লাগে বা লাগছে। কিন্তু নিয়ম-নীতি না থাকলেতো সমস্যা! আমেরিকা অনেক উদার দেশ বলেই আমি মনে করি। এ দেশ যেভাবে অভিবাসীদের স্বাগত জানিয়েছে তা পৃথিবীর আর কোন দেশ করেছে বলে আমার জানা নেই। আমেরিকা অভিবাসীদের দেশ অবশ্যই, তবে অবৈধ অভিবাসীদের দেশ হোক এটা কখনোই কামনা করি না বা সমর্থনও করি না। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:১৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমেরিকার বেশীরভাগ মানুষ যদি ভোট দিয়ে কাউকে নির্বাচিত করে থাকে তাতে সমস্যার কিছু দেখছি না, এটাই গণতন্ত্র। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী এবং দল হিসেবে বিগত সরকারে তাদের কর্মকান্ডকে মানুষ ভালোভাবে যে নেয় নি, এই নির্বাচনের ফলাফল তারই প্রমাণ। ট্রাম্পকে "সাইকো" মনে করি না এবং তাকে ভোট দেয়াতেও কোন লজ্জ্বাবোধ করছি না। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সবার আগে আমেরিকার জনগণের ইচ্ছে ও চাওয়াকে প্রাধান্য দেবে সেটাই কাম্য। লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসীর আগমন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, বছরের পর বছর ধরে ইউক্রেনের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ায় সহায়তা করা, বাউডেন পরিবারের ইউক্রেনের ব্যবসায় সম্পৃক্ততা এমন অনেক ইস্যুতেই মতানৈক্য রয়েছে যেগুলো মানুষ ভালোভাবে নেয় নি।
আপনি লিখেছেন, "মাত্র উনত্রিশ ভাগ মানুষ ভোট দিয়েছে আর বেশির ভাগ মানুষই ভোট দেয়নি"। বিষয়টি যদি সত্যিই আমেরিকার ২০২৪ সালের নির্বাচন প্রসঙ্গে উল্লেখ করে থাকেন তবে আপনার তথ্যসূত্র জানালে ভালো হতো। এবারের নির্বাচনে ভোট প্রদানে সক্ষম/উপযোগী এমন ৬৩+% আমেরিকান ভোট দিয়েছেন (সূত্র)। ধন্যবাদ।