![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাংবাদিক ও ক্ষুদ্রলেখক। সত্য তুলে ধরাই আমার লক্ষ্য।
কথা ছিল মুদি যদি গদি পায় কিন্তু গদি পাওয়ার আগেই শুরু হয়েছে মুসলিম গনহত্যা।
ইনডিয়র আসাম রাজ্যের কোকরাঝাড় ও বাকসা জেলায় দুদিন ধরে সংখ্যালঘু বাঙালী মুসলমানদের উপর গণহত্যা চলছে।
এতে হত্যার শিকার হয়েছেন বহু মুসলমান। যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। হালনাগাদ খবরে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ২৬জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে কোকরাঝাড় ও বাকসা জেলায় দু’দফা গণহত্যায় শিকার ১১জনের লাশ উদ্ধার হলেও ইনডিয়া কর্তৃপক্ষ আক্রান্ত মুসলমানদের রক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
যার পরিণতিতে শুক্রবার বিকালে বাকসা জেলায় ফের হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটেছে। হালনাগাদ খবরে এখান থেকে এ পর্যন্ত ২৫ জন মুসলমানের লাশ উদ্ধার হওয়ার কথা জানা গেছে।
হত্যাযজ্ঞ থেকে বাঁচতে কিশোর-যুবকসহ শত শত মুসলমান পুরুষ পালিয়ে বেড়াচ্ছে। হত্যা ও ধর্ষণের শঙ্কার মধ্যে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন শিশু ও নারীরা।
আক্রান্তরা অভিযোগ করেছেন, গত ২৪ এপ্রিল আসামে লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই ইনডিয়ার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী স্থানীয় প্রায় সব তরুণ মুসলমানদের তাড়া করে ফিরছিল।
এ কারণে রাতের বেলা তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিল। বয়স্ক পুরুষদের তত্ত্বাবধানে শিশু ও নারীরা শুধু বাড়িতে থাকতো। এই সুযোগে স্বশস্ত্র বোড়ো জঙ্গীরা তাদের বাড়িঘরে আগুন দেয় ও নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে।
অসমীয়া প্রতিদিন জানিয়েছে, শুক্রবার বিকালে কারফিউ চলাকালেই বাকসা জেলার শালবাড়ি মহকুমার নারায়ণগুড়ির কয়েকটি সংখ্যালঘু (মুসলমান) পল্লীতে ঘাতকেরা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে ও তাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এতে অন্তত ১৫ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে অসমীয়া প্রতিদিন জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
নিহতদের মধ্যে ১১জনের নামা জানা গেছে। তারা হলেন, রহিমা, ইব্রাহিম, আয়েশা, রিমিয়া, সমেজ আলী, হাজেরা খাতুন, লতিফা নেছা, মঞ্জুয়ারা বেগম, রহিম আলী, জয়ফল, এক বছর বয়সী শিশু বাহারুদ্দিন।
নারায়ণগুড়ির বেঁকী নদীর পশ্চিম দিকে অবস্থিত খাগ্রাবাড়ী (গেমপাড়া) গ্রামটিতে এ হামলায় কমপক্ষে অর্ধশত পরিবার গৃহহীন ও শিশুসহ বহু মুসলমান নিখোঁজ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে বাকসা জেলার শালবাড়ী মহকুমারই নরসিংবাড়ীতে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় জেলা প্রশাসন বিকাল ৪টার পর থেকে কারফিউ জারি করেছিল।
কিন্তু বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কারফিউ চলাকালেই ৩০-৪০ জন স্বশস্ত্র ব্যক্তি খাগ্রাবাড়ীতে গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ শুরু করে। তারা ঘরবাড়িতে আগুণ ধরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি পলায়রনত গ্রামবাসীকে ধরে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করে।
প্রশ্নবিদ্ধ ইনডিয়ার রাষ্ট্রীয় বাহিনীর ভূমিকা
আসামে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের গণহত্যার পেছনে ইনডিয়ার রাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতার অভিযোগ করছেন স্থানীয় আক্রান্ত মুসলমানরা। তাদের দাবি হামলার আগে থেকেই সেনা ও পুলিশের তাড়া খেয়ে মুসলমান তরুণরা রাতে বাড়িতে অবস্থান করতে পারছিল না। এই সুযোগে নির্বিঘ্নে গণহত্যা চালিয়েছে জঙ্গীরা।
অন্যদিকে অভিযোগ পাওয়া গেছে, হামলার সময় আশেপাশে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ অবস্থান করলেও আক্রান্ত মুসলমানদের রক্ষায় তারা কোনো চেষ্টা করেনি।
নরেন্দ্রমোদি ও প্রমীলা রাণীর সাম্প্রদায়িক উস্কানি
ইনডিয়ার লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্রমোদি ও বিজেপির সমর্থক আসামের আঞ্চলিক দল বোড়ো পিপলস ফ্রন্টের নেত্রী প্রমীলা রাণী ব্রহ্মর বাঙালী মুসলমানদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন।
এর মধ্যে গত ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুরে নরেন্দ মোদি হুঙ্কার দেন, ‘ইনডিয়ায় অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিরা বিছানা, বালিশ গুছিয়ে তৈরি থাকুন। ১৬ মের পর তাদের এদেশ থেকে তাড়ানো হবে।'
মূলত বিজেপি এতদিন ধরে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া ইনডিয়ার নাগরিক বাংলা ভাষাভাষী মুসলমানদেরকে বাংলাদেশি আখ্যায়িত করে তাদের জন্মভূমি থেকে বিতাড়নের যে অপরাজনীতি করে আসছে তার অংশ হিসেবেই মোদি এই বক্তৃতা করেন।
প্রসঙ্গত, আসামের স্বশাসিত এলাকা বোড়োল্যাণ্ডের ৩০ ভাগ মানুষ বোড়ো জাতি। বাকি ৭০% মানুষই অবোড়ো – যাদের একটা বড় অংশ বাংলাভাষী মুসলমান। এই বাঙালী মুসলমানদের অনেকেই আবার কোকরাঝাড় ও বাকসা জেলার বাসিন্দা।
গত ২৪ এপ্রিল এই এলাকায় লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সব সম্প্রদায়ের অবোড়োদের মতো স্থানীয় মুসলমানরাও বিপিএফ প্রার্থীর বদলে সাবেক উলফা কমান্ডার হীরা শরণিয়াকে সমর্থন করে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে বোড়োল্যান্ড এলাকার জেলাগুলিতে মুসলমানদের উপর সন্ত্রাসী হামলা শুরু করে বোড়োরা। তাদের হাতে শতাধিক মুসলমান নিহত ও কয়ে লাখ উদ্বাস্তু হয়। বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও বহু মুসলমান নিজেদের বাড়িতে ফিরতে পারছেন না।
আর কত রক্ত খাবে হিন্দুস্থানী জঙ্গিরা???
ওরা কেন জঙ্গি ও সাম্পদায়িক হিসাবে আখ্যায়িত হয় না ???
এখানে কেন মানবাধিকার নেই???
সেকুলাস! সেকুলাস!! সেকুলাশ!!!!
০৩ রা মে, ২০১৪ সকাল ১১:০৬
সত্য সাহা বলেছেন: Click This Link
০৩ রা মে, ২০১৪ সকাল ১১:১১
সত্য সাহা বলেছেন: ভারতীয় পত্রিকা Click This Link
২| ০৩ রা মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৪
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: গণহত্যার পেছনে ইনডিয়ার রাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতার অভিযোগ করছেন স্থানীয় আক্রান্ত মুসলমানরা।
০৩ রা মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৮
সত্য সাহা বলেছেন: মুল কারন বিজেপিকে ভোট না দিয়ে উলফা নেতাকে ভোট দেয়া।
৩| ০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
মুদ্দাকির বলেছেন: এক ভয়ানক সময়ের দিকে যাছি আমরা !!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫৭
রাজীব দে সরকার বলেছেন:
খবরের একটা ফেইথফুল লিঙ্ক দেন