নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নের খোঁজে দেখি তোমায় /বাঁধি সীমাহীন ভালোবাসায়/দাও কিছু সুখের বৃষ্টি / ভিজি আমি /উড়াই দিগন্তের নীলিমায় তোমার নামে / স্বপ্নের এক বিশাল ঘুড়ি।

স্প্যানকড

আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।

স্প্যানকড › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনেক হইছে বাপু বনাম ম্যারিটাল রেপ !

৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:২৪

ছবি নেট

" ম্যারিটাল রেপ " এই জিনিস টা হচ্ছে বিবাহের পর স্বামী কর্তৃক ধর্ষণ! অনেক নারী মাথা নত করে মেনে নিয়েছেন। দুর্বল যারা তারা।মানে আর্থিক দিক দিয়ে সব দিক দিয়ে স্বামীর উপর পুরাপুরি নির্ভর তারাই মেনে নিয়েছেন।এর পিছনে সমাজ, ধর্ম বিশাল ভুমিকা কি রাখছে না?

খুব ছোটকাল থেকেই নারীদের মগজে ঢুকিয়ে দেয় " স্বামী যা বলবে তাই শির ধার্য।" এমন নারী গন ই এই ম্যারিটাল রেপ মেনে নিচ্ছেন।এর সংখ্যা বিশাল হবে যদি জরিপ করা হয় কিন্তু সাহস কে দেখাবে?

আবার একটা ছেলে কিশোর থেকে যৌবনে আসার সময় মগজে ঢুকায় ফেলে। বউ হতে হবে আগুন এটম বোম! বাসর ঘরে ঢুকার আগে কালেমা পড়ার মতো মন্ত্র পইড়া নেয় বা মগজে ঢুকিয়ে দেয়া হয়
" পয়লা রাইতে বিলাই মারন চাই "!

এ সমাজে যতই নারী দের উন্নয়ন এর কথা বলুক আসলে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে নারীদের যৌন দাসী বানানোর চেষ্টা করা হয়। অবশ্য ইসলাম ধর্মে আছে " নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যেন সহবাস করা না হয় " আবার বাংলাদেশের ঘরে ঘরে যে বেহেশতী জেওর বা মুকছেদুল মুমীন কিতাব আছে তাতে বলা আছে। স্বামী সেক্স করার জন্য ডাকলে স্ত্রী সাড়া না দিলে ফেরেশতা লালত করে! কি তাজ্জব! কোনটা সঠিক?অন্য ধর্মের ব্যাপারে আইডিয়া নাই। মানে নারীর কোন ইচ্ছা অনিচ্ছা নাই !

পশ্চিমা বিশ্বে আপনি চাইলেই আপনার স্ত্রীকে বিছানায় পাবেন না যদি না তার ইচ্ছে থাকে।কিন্তু সেখানেও নারীদের খুব সুকৌশলে সেক্স এর খোরাক হিসেবে নেয়া হয়। তবে কি ধরে নিব নারী মুক্তির কথা আসলে একটা ফাঁদ!

অনেক নারী ভাগ্যকে মেনে নেয় রাতের পর রাত ধর্ষিত হতে থাকে। সেক্স সম্পর্কে বাজে ধারণা নিয়ে চলতে শুরু করে। গোপনে গোপনে কাঁদে। এ কান্নার শেষ কোথায়?

আচ্ছা! এখন যদি ব্যাপারটা উল্টো হয় মানে কোন পুরুষের ইচ্ছে নেই কিন্তু নারী জোর করে পুরুষাঙ্গ ভরে শরীরের মজা নিল অথবা এখন তো নানান সেক্স টয় মানে " কৃত্রিম লিংগ " বাজারে পাওয়া যায় তা দিয়ে যদি পুরুষ কে মারতে থাকে সেক্ষেত্রে পুরুষগন কি করবে? চুপ থাকবে? না, মাথা তুলে বলবে,

" অনেক হইছে বাপু! এইবার মাফ কইরা দাও " !

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৩৫

এমেরিকা বলেছেন: স্বামী বিছানায় ডাকলে স্ত্রী যদি কোন ওজর ছাড়া ডিনাই করে, তাহলে ফেরেশতারা সারা রাত লানত দেয় - এটা বেহেশতী জেওরের নয়, হাদীসের কথা। একটা বিবাহিত পুরুষ যদি যৌন অতৃপ্তি নিয়ে ঘুমায়, তাহলে তার সারা দিনে এমনকি কর্মক্ষেত্রেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই স্ত্রীর উপর স্বামীর আহবানে সাড়া দেয়ার বাধ্য বাধকতা দেয়া হয়েছে। এটা ম্যারিটাল রেপ নয়। স্বামীর কর্তব্য হচ্ছে স্ত্রীকে প্রেমময় আহবান করবে, যাতে স্ত্রী নিজ তাগিদেই সাড়া দেয়। নিয়মিত যৌন সম্পর্ক দাম্পত্য জীবনকে অধিক মজবুত করে এবং ছোটখাট সমস্যা নিরসনে ম্যাজিকের মত কাজ করে। তাই স্বামী স্ত্রী উভয়েরই উচিত নিয়মিত যৌন সম্পর্ক চালু রাখা।

স্ত্রী যদি স্বামীর আহবানে সাড়া না দেয়, তাহলে খুব বেশিই সম্ভাবনা আছে যে সে অন্য নারীর প্রতি আকৃষ্ট হবে, যা থেকে তৈরি হবে ব্যাভিচারের প্রেক্ষাপট। সেটা কারোর জন্য ভালো হবেনা।

তবে শেষ প্যারায় যা বললেন, সেরকম ঘটার কোনই সম্ভাবনা নেই। নারীর মধ্যে পুরুষকে ধর্ষন করার কোন রকম কোন ক্ষমতা নেই। তবে যৌন বিকৃতির পশ্চিমা দুনিয়ায় অনেক কিছুই হয়, যার শিকার নিরীহ স্কুল ছাত্রেরা হয় বলে জেনেছি।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৫৬

স্প্যানকড বলেছেন: বলেন কি এমন হাদিস আছে ! প্রেম ময় আহবান কোন নারী ফেলতে হয়তো পারবে না। আসলে আমি বলতে চাচ্ছি " ইচ্ছা অনিচ্ছা এবং নারীকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করা। " তাকে সম্মান করা। সে যে শুধু যৌনতার জন্য ঘরে আছে তা যেন মনে না করা। শেষ প্যারার ব্যাপারটা জানি হওয়ার সম্ভাবনা কম কিন্তু প্রতিবাদ যদি শুরু হয় তাহলে উপায়? ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৬

এমেরিকা বলেছেন: প্রেমময় আহবানও নারী ফেলতে পারবে, যদি তার মনে যে কোন কারণেই ঐ মানুষটির প্রতি ঘৃণা বা অবহেলা থাকে। সেসব ক্ষেত্রে ফেরেশতারা তাকে অভিশাপ দিতে থাকবে। যদি সে সাড়া দিত, তাহলে হয়তোবা মানুষটির প্রতি তার ধারণা বদলে যেতে পারত।

নারী ও পুরুষে মধ্যে পুরুষ যে কিছুটা হলেও সুপিরিওর - এটা সমস্ত ধর্ম, সংস্কৃতি ও আইন স্বীকার করে। তাই তাকে তার প্রাপ্য সম্মান দিতেই হবে। স্ত্রীকে স্বামীর আনুগত্য করতেই হবে - তা না হলে কোন সংসারে ব্যালেন্স থাকবেনা। স্ত্রীর কাছ থেকে প্রাপ্য বুঝে পেলে স্বামী তার জন্য জান দিয়ে দেবে - এটা স্ত্রীরা যত বুঝবে, ততই মঙ্গল।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৫৫

স্প্যানকড বলেছেন: মিস্টার এমেরিকা, পুরুষ সুপিরিয়র! নারী কি? হেলাফেলা ? সব পুরুষ ভালো? একদম না। হুম, আপনার কথামতো চুপ করে থাকো যাই হোক সে বাইরে গমন করুক বা পরকীয়া। মদ, জুয়া নিয়ে পড়ে থাকুক কোন সমস্যা নাই। মানে স্বামী চাহিবা মাত্র দুই পা ছড়াইয়া দাও! নইলে ফেরেস্তা দিবে লানত ! আজব! এখন বুঝতাছি দেশ এখনো সেই ১৪০০ বছর আগে আছে। ইসলাম বা অন্য ধর্ম আছে। নাম কা ওয়াস্তে। অনেক পুরুষের মগজ ঠিক হয় নাই। নারীদের তাই রক্ষা নাই। ভালো থাকবেন। আর কিছু বলার নাই।

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৪৯

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: মিস্টার আমেরিকার কাছে আমার প্রশ্ন স্ত্রীর মনে স্বামীর বিরুদ্ধে ঘৃণা কেন তৈরি হয়?

আর পুরুষ সুপিরিয়র এটা কোরানের কোথায় বলা আছে জানালে একটু জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারতাম।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৫৭

স্প্যানকড বলেছেন: মিস্টার এমেরিকা সেইরম পুরুষ! ইয়া মাবুদ! আমি এহন কিতা করতাম?

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: মূর্খ বর্বর পুরুষরা সমাজের অভিশাপ।

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭

স্প্যানকড বলেছেন: হায় হায় কন কি মশাই! নারীবাদীরা তাইলে কারে ধরব? যেখানে খোদ স্রষ্টা এ কথা বলেছেন! এখন জ্ঞ্যান অর্জন করছি শিক্ষানবিশ ! ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৪

পাঁচ-মিশালি বলেছেন: যেখানে খোদ স্রষ্টা এ কথা বলেছেন!

স্রষ্টার কথা বিনা প্রশ্নে মেনে নিতে হবে। স্রষ্টা আল-কোরানে ইরশাদ করেছেন যে তিনি কোরানকে বোঝার জন্য সহজ করে দিয়েছেন।

"আমি কোরআনকে খুব সহজ করে দিয়েছি, যাতে করে তোমরা এর শিক্ষা মনে রাখতে পারো। (হে মানুষ!) তুমি কি এর শিক্ষা হৃদয়ে ধারণ করবে না?"
-সূরা আল-কামার, ৫৪, আয়াত ২২

৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০৯

স্প্যানকড বলেছেন: হুম, আল্লাহর হুকুম আহকাম মেনে চলা প্রতিটা মুসলিম নর নারীর জন্য ফরজ । ফরজ তরক করার প্রবনতা ইদানীং বেশি। ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আসলে জানা আর না জানার ব্যবধান সবসময়ই প্রকট হয়!
দেখেনতো ইনারা কি বলেন?
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর - এই আয়াতটি নাযিলের প্রেক্ষাপট কি?

একদা ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) আমি তো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছি। রাসূল (ﷺ) ওমরকে জিজ্ঞাসা করলেন ব্যাপার কি? ওমর বললেন, রাত্রে আমি আমার সওয়ারী উল্টো করেছি (অর্থাৎ আমার স্ত্রীর পেছনের দিক হতে তার যোনীতে সহবাস করেছি)। রাসূল (ﷺ) কোন উত্তর দিলেন না। পরক্ষনেই ওমরের প্রশ্নের জবাবে এই আয়াতটি নাযিল হয়।

অন্য বর্ণনায় এসেছে, মক্কার মুশরিকরা তাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাসের সময় পার্শ্ব নিয়ে তেমন কোন চিন্তা ভাবনাই করতো না। তারা যেই পার্শ্ব দিয়ে তাদের খুশি সেই পার্শ্ব দিয়েই তাদের স্ত্রীদের যোনীতে সহবাস করতো। ইসলাম গ্রহণের পর মক্কার মুহাজির সাহাবাগণ যখন মদীনায় আগমন করেন, তখন মক্কা হতে আগত একজন মুহাজির সাহাবী মদীনার একজন আনসারী মহিলাকে বিয়ে করেন। বিয়ের রাতে সে স্ত্রীকে তার ইচ্ছামত সহবাসের প্রস্তাব প্রদান করেন, কিন্তু স্ত্রী সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং স্পষ্ট ভাষায় বলে দেন যে আমি ঐ একটি নিয়ম ছাড়া অন্য কোন নিয়মে সহবাস করার অনুমতি দেব না। কথা বাড়তে বাড়তে একসময় তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দরবারে গিয়ে পৌছায়। অতঃপর এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়।

[তাবারী, আবূ জা’ফর মুহাম্মাদ ইবনু জারীর, তাফসীরঃ জামিউল কোরআন, ৪/১৭০-১৭১, (ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ , প্রকাশকালঃ মে, ১৯৯৪), ইবনু কাসীর, ইসমাঈল ইবনু উমার, তাফসীরুল কোরআনীল আযীম, ২/২১৯-২২১(ইসলামিক ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ, ৫ম সংস্করণ, মার্চ, ২০১১), সুয়ূতী, জালালুদ্দীন আব্দুর রহমান ইবনে আবী বকর, তাফসীরে জালালাইন, ১/৪৮৫, (ইসলামিয়া কুতুবখানা, নর্থব্রুক হল রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা, তা.বি), মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, তাফসীরে নূরুল কোরআন, ২/২৮১-২৮২ ( আল-বালাগ পাবলিকেশন্স, স্যার সৈয়দ আহমদ রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা, ৩য় প্রকাশ, আগস্ট, ২০০৮ ইং)]।

আয়াতটির শানে নুযূল আমাদেরকে বলছে, এই আয়াতাংশটুকু নাযিল হওয়ার কারণ হলো মুসলিমদের যৌনমিলনের পদ্ধতি কিরূপ হবে তা স্পষ্ট করে তোলা। ইহুদীরা মনে করতো স্বামী যদি পিছন দিক হতে তার স্ত্রীর যোনিতে সহবাস করে তবে সন্তান হলে তা টেরা হবে। তারা কেবলমাত্র নারীদের সাথে সামনের দিক হতে যোনীতে মিলন করতো। তাদের এই মিথ্যা দাবীকে খণ্ডন করে আয়াতটি নাযিল হয়। কেননা চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুসারে এই কথা প্রমাণিত নয় যে, কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীর সামনের দিক হতে যোনীতে মিলন না করে পার্শ্ব পরিবর্তন করে তো উৎপাদিত সন্তান টেরা কিংবা বিকলাঙ্গ হবে। তাই কোরআন ইহুদীদের এই দাবির অসারতা প্রমাণ করেছে এবং সাথে সাথে স্বামী ও স্ত্রীকে এই স্বাধীনতা প্রদান করেছে যে, তারা চাইলে যে কোন পদ্ধতিতে একে অপরের সাথে মিলিত হতে পারবে; তবে মিলনের একমাত্র স্থান হবে যোনি। কিন্তু যোনি ব্যাতীত অন্য কোন স্থান ব্যবহার করা যাবে না যেমন মলদ্বার কেননা এটা হারাম।

মলদ্বারে গমন করাকে উলামাদের সবাই হারাম বলে গণ্য করেছেন। ঈমাম আহমাদ বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা লজ্জাবোধ কর কিন্তু আল্লাহ তায়ালা কোন ব্যপারে লজ্জাবোধ করেন না। তাই তোমরা স্ত্রীদের মলদ্বার দিয়ে সঙ্গম করো না।

ঈমাম তিরমিজী বর্ণনা করেন যে, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, পুরুষের সঙ্গে পুরুষ সমকাম করলে এবং পুরুষ স্ত্রীর মলদ্বার দিয়ে সঙ্গম করলে তাদের প্রতি আল্লাহ তায়ালা রহমতের দৃষ্টি প্রদান করেন না।

তাউস (র) হতে বর্ণিত তিনি বলেনঃ জনৈক ব্যক্তি ইবনে আব্বাস (রাযি) কে মলদ্বার দিয়ে সহবাস করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তুমি কি আমাকে কুফরী সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করছো?
ঈমাম আহমাদ বর্ণনা করেন যে, আবু হোরায়রা (রাযি) বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সে ব্যক্তি অভিশপ্ত যে তার স্ত্রীর মলদ্বার দিয়ে সঙ্গম করে।

ঈমাম নাসায়ী বর্ণনা করেছেন যে, আবু হোরায়রা (রা) বলেনঃ রসূল (ﷺ) বলেছেন, তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে যথাযথ লজ্জাবনত হও। তোমরা স্ত্রীদের মলদ্বার দিয়ে সঙ্গম করো না।

আবূ জাওরীয়া বলেনঃ জৈনেক ব্যক্তি আলী (রা) কে জিজ্ঞেস করলেন স্ত্রীদের মলদ্বার দিয়ে সহবাস করা সম্পর্কে। আলী (রা) উত্তরে বললেনঃ পেছনে করলে আল্লাহ পেছনে রেখে দেবেন। (অতঃপর বললেন) তুমি কি এই ব্যাপারে আল্লাহর কথা শোন নাই? আল্লাহ বলেছেন, তোমরা এমন নির্লজ্জতার কাজ করেছ, যা তোমাদের পূর্বে সমগ্র বিশ্বের কেউই করে নাই।

ইবন মাসউদ (রা), আবূ দারদা (রা), আবু হোরায়রা (রা), ইবনে আব্বাস (রা), আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রা), আনাস ইবন মালিক (রা) প্রমুখ বড় বড় সাহাবাদের সবাই স্ত্রীর মলদ্বার দিয়ে সহবাস করাকে হারাম বলে গণ্য করেছেন। আবু হানিফা, শাফেঈ, আহমাদ ইবনু হাম্বাল, সাইদ ইবনু মুসাইয়াব, আবূ সালমা, ইকরিমাহ, তাউস, আতা, সাঈদ ইবনু যুনাইর, উরওয়া ইবন যুনাইর, মুজাহিদ ইবনু যুবাইর, হাসান (রাহিমাহুমুল্লাহ) প্রমুখ বড় বড় আলিমগণ এটাকে হারাম বলেছেন।
[ইবনু কাসীর, ইসমাঈল ইবনু উমার, তাফসীরুল কোরআনীল আযীম, ২/২২৩-২২৯ (ইসলামিক ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ, ৫ম সংস্করণ, মার্চ, ২০১১)]।

আমাদের আলোচনার মাধ্যমে এই কথা অত্যন্ত জোরালোভাবেই প্রমাণিত হয় যে, ইসলাম বিদ্বেষীরা পবিত্র কোরআনের এই আয়াতকে যে অর্থে ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায় আয়াতটি তার সম্পূর্ণ বিপরীত অর্থ প্রকাশ করছে। অনেকে এই আয়াত উল্লেখ পূর্বক এ কথা বুঝাতে চান যে এই আয়াতের মাধ্যমে নারীদেরকে কেবলমাত্র পুরুষের কামসামগ্রী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। পুরুষকে প্রদান করা হয়েছে যৌনাচারের অবাধ স্বাধীনতা আর নারীকে করেছে নিষ্কাম। নারীকে বানিয়েছে পুরুষের জন্য শস্যক্ষেত্র আর পুরুষকে বানানো হয়েছে সেই শস্যক্ষেত্রের ইচ্ছামত ব্যবহারকারী ইত্যাদি ইত্যাদি।

অথচ এই আয়াতটি তাদের ধারণার সম্পূর্ণ বিপরীত। ইসলাম এই আয়াতের মাধ্যমে নারীদের জন্য এমন কোন বিধান প্রণয়ন করে নি; যার দ্বারা নারীর যৌন স্বাধীনতাকে হরণ করা হয়েছে, তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে তার প্রাপ্য অধিকার হতে, তার কামকে চাপিয়ে রাখতে বাধা প্রদান করেছে। কিংবা এই আয়াতটি পুরুষকে নারীর উপর সহিংস করা জন্য, নারীকে ইচ্ছেমত উপভোগ করার সুযোগ দেয়ার জন্য, নারীকে পুরুষের কামদাসী বানানোর জন্য নাযিল হয় নি। বরং পুরুষ ও নারী যাতে তাদের দাম্পত্য জীবনে যৌনাচার করে পারস্পরিক সন্তুষ্ট হতে পারে সে জন্যে মহান আল্লাহ এই আয়াত নাযিল করেছেন।

আমরা উপর্যুক্ত আলোচনায় দেখেছি যে, ইহুদীরা স্বামী ও স্ত্রীর পারস্পরিক তৃপ্তিকে সীমাবদ্ধ করেছিল কিন্তু এই আয়াত স্বামী ও স্ত্রীর বৈবাহিক জীবনে যৌনাচারের ক্ষেত্রে তাদের কাম প্রকাশের পদ্ধতিকে সীমাবদ্ধ করেনি বরং কাম প্রকাশের পথকে করেছে উন্মুক্ত। একজন নারী চাইলে তার স্বামীর সাথে পেছন দিক হতে মিলিত হতে পারবে, চাইলে সামনের দিক হতে মিলিত হতে পারবে কিংবা বেছে নিতে পারবে এমন পদ্ধতি যা তার শারীরিক চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যশীল। ইসলাম আয়াতের মাধ্যমে নারীকে প্রদান করেছেন যৌন তৃপ্তির অধিকার। ইসলাম তাকে প্রদান করেছে অপার স্বাধীনতা, যেমন স্বাধীনতা প্রদান করেছে একজন পুরুষকে।

নারীর উপর একজন পুরুষ যাতে উগ্রতা প্রদর্শনপূর্বক তাকে কষ্ট প্রদান না করতে পারে সেজন্যে স্বামীর জন্যে নিষেধ করা হয়েছে তার স্ত্রীর মলদ্বারে (Anus) সঙ্গম করাকে। কেননা একজন নারীর কাছে মলদ্বারে সঙ্গম করাটা কখনোই আরামদায়ক কিংবা তৃপ্তিকর নয় বরং কষ্টদায়ক ও অসহনীয়ও বটে; সাথে সাথে তা বিভিন্ন ধরণের যৌনবাহিত রোগের (Sexually Transmitted Disease) কারণ।। মলদ্বার ব্যাতীত যে কোন পন্থায় স্ত্রীর যোনীতে (Vagina) মিলন করার ক্ষেত্রে ইসলামের কোন বাধা নেই বরং রয়েছে ব্যক্তির নিজস্ব স্বাধীনতা।

পাশাপাশি আমাদের এই আয়াতের শেষাংশও স্মরণ রাখা উচিত, যেখানে মহান আল্লাহ বলেছেনঃ
وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّكُم مُّلَاقُوهُ ۗ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ
“এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও”।

মহান আল্লাহ এই আয়াতাংশের মাধ্যমে এই বক্তব্যও সুস্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, মানুষ যেন তাদের কর্মে আল্লাহকে ভয় করে অর্থাৎ এমন কোন কাজ যেন তার দ্বারা সম্পাদিত না হয় যার অনুমতি ইসলাম প্রদান করে নি। যেমনঃ স্ত্রীর সাথে খারাপ আচরণ, তার সাথে অবৈধ পন্থায় যৌনমিলন, তাকে তার প্রাপ্য অধিকার হতে বঞ্চিত করা, তাকে কেবল যৌনদাসী হিসেবে বিবেচনা করা ইত্যাদি। পাশাপাশি ইসলাম একজন নারীর প্রত্যহ জীবনকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখেছে এবং তা নিয়ে কোন কটু মন্তব্য করে নি, যা অনেক সুশীল নাস্তিক করেছেন। যেমন ড. হুমায়ুন আজাদ, তিনি তার বইতে গর্ভবতী নারীকে তুলনা করেছেন গর্ভবতী পশুর সাথে। ড. আজাদ গর্ভবতী নারীদের সম্পর্কে বলেছেনঃ

“গর্ভবতী নারী অনেকটা দেখতে গর্ভবতী পশুর মতো, দৃশ্য হিসেবে গর্ভবতী নারী শোভন নয়, আর গর্ভধারণ নারীর জন্যে অত্যন্ত পীড়াদায়ক। এক দিন হয়তো গর্ভধারণ গণ্য হবে আদিম ব্যাপার বলে”।
[হুমায়ুন আজাদ, নারী, অধ্যায়ঃ ; পৃষ্ঠাঃ ৩৬৩; (আগামী প্রকাশনী, ৩৬ বাংলাবাজার ঢাকা-১১০০, ৩য় সংস্করণ, ষষ্ঠদশ মূদ্রণ, বৈশাখ ১৪১৯, মে ২০০৯)]।


ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মুনিব এবং দাসের মত নয়। বরং ইসলামে স্বামী এবং স্ত্রীর সম্পর্ক হল,
هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ
অর্থঃ “তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ”। (সূরা বাকারাহঃ ১৮৭ আয়াত)

স্বামী কেবল তার যৌনপ্তৃপ্তি লাভ করবে আর নারী তা থেকে বঞ্চিত হবে কিংবা পুরুষ তার স্ত্রীর উপর সহিংস হবে, ইসলামে স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্ক এমন নয় বরং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক হল সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও ভালোবাসার। মহান আল্লাহ স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক বর্ণনা করছেন এভাবে,

وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُم مَّوَدَّةً وَرَحْمَةً ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ [٣٠:٢١]
আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। (সূরা রুম : ২১ আয়াত)।

ইসলাম স্বামী ও স্ত্রীর পারস্পরিক ভালোবাসাকে এতটাই গুরুত্বের চোখে দেখেছে যে, স্বামীর জন্যে তার স্ত্রীকে ভালোবেসে মুখে খাবাড় তুলে দেয়াকেও সাদাকাহ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীর ভরণপোষণের জন্যেও টাকা ব্যয় করে তবুও তা সাদাকাহ রূপে পরিগণিত হয়। রাসূল (ﷺ) বলেনঃ


حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنِي عَامِرُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ "إِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً تَبْتَغِي بِهَا وَجْهَ اللَّهِ إِلَّا أُجِرْتَ عَلَيْهَا حَتَّى مَا تَجْعَلُ فِي فَمِ امْرَأَتِكَ
সা’দ ইব্ন আবূ ওয়াক্কাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ ‘তুমি আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি লাভের আশায় যা-ই খরচ কর না কেন, তোমাকে তার সওয়াব অবশ্যই দেওয়া হবে। এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যা তুলে দাও, তারও।
[বুখারী, মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল, আস-সহিহ, অধ্যায়ঃ (০১), কিতাবুল ঈমান, পরিচ্ছেদঃ (৪১), আমল নিয়ত ও সওয়াবের আশা অনুয়ায়ী ......... , ১/৫৪]।

সংগৃহিত :)

৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:১৬

স্প্যানকড বলেছেন: খাইছে আমারে ! কামের কথা ধর্ম খুব ভালো ভাবে বর্ননা করেছে দেখছি। আর কামের বেলায় পিছন দিক সামনের দিক পার্শ্ব দিক সব ঠিক আছে জায়গা একটা হওয়া চাই। বহু ইনফরমেশন পাইলাম। কাজে দিব। ফিলিং হট ! ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.