নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।
ছবি নেট ।
আইন চলবে নিজস্ব গতিতে কিন্তু বাংলাদেশে মাঝেসাঝে এর গতি পরিবর্তন করা যায় যদি ক্ষমতা আর অর্থ থাকে। উন্নত বিশ্বে কতটা করা যায় এ বিষয়ে তেমন জানাশোনা নেই।
একটা সত্য ঘটনা বলি, ২০১০ এর সময় কার। আমার এক জুনিয়র ফ্রেন্ড এর ছোট ভাই এর গল্প। ছেলেটি খুব ভালো ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলতো। সংসার এর চাপ কমাতে অনার্সে পড়াকালীন সময়ে টিউশনি করা শুরু করে।
তখন ভারতীয় আই পি এল সবাই দেখে। তো এই আই পি এল নিয়া আলাপ চলছিল মহল্লার টং চা দোকানে। ও আর ওর বন্ধুদের সাথে। পাশের টেবিলে ছিল আরেক গ্রুপ।
ওরা আর ঐ গ্রুপ কথা প্রসংগে একে অপরকে কিছু উত্তপ্ত কথা বলে। আমার ঐ ছোট ভাইটি ওদের বলেছিল, " এই! তোমরা তো বেয়াদব কম না, দেখছ না আমরা বড়রা কথা বলছি "।
কথা এই পর্যন্ত শেষ। বিকেলের দিকে ছোট ভাইটি ঐ গ্রুপ দের এলাকায় টিউশনি করতে যাচ্ছিল। রাস্তায় ঐ গ্রুপের ছেলেরা আগে থেকেই জড়ো হয়েছিল। ওকে একা দেখেই আক্রমণ করতে এগিয়ে আসে। ও দৌড় দেয় প্রাণ বাঁচাতে কিন্তু বেশীদূর আর যেতে পারে নাই।ওরা ধরে ফেলে।ওদের হাতে ছিল ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প, ব্যাট যা দিয়ে আঘাত করে। ওর চিৎকারে আশেপাশের মানুষজন ছুটে আসলে ওরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। সেই ছোট ভাইটি হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।
পরবর্তীতে খুনের মামলা হয়। স্থানীয় পেপার জাতীয় পেপারে খবর আসে এমন কি একটা টিভি চ্যানেলে পর্যন্ত
প্রচার করে।খুনিরা বারবার মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয়। এই বলে " একজন মারলেও ফাঁসি।দশ জন মারলেও ফাঁসি।তোমাদের বাকি ভাইদেরকে মেরে ফেলা হবে "।
ওরা ভয়ে এলাকা ছেড়ে দেয় কারণ খুনিদের আশ্রয় দিয়েছিল ওদের মহল্লার এক বড় ভাই। সে আবার আমাদের এলাকার প্রভাবশালী এম, পির বন্ধু।
এক মাস পর ওরা এলাকায় আসে। পুলিশ খুনিদের এর মধ্যে এরেস্ট করে নাই। অথচ তারা এলাকায় ছিল। খুনিরা আগাম জামিন নিয়া বেড়িয়ে আবারও হুমকি দিতে থাকে।
অবস্থা খারাপ দেখে ওরা অন্য এলাকায় চলে যায়। মামলা মামলার মতন পড়ে থাকে।ওরা ভয়ে কোর্টে যাওয়া ছেড়ে দেয়। বর্তমানে আমার জুনিয়র ফ্রেন্ড আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় এর আবেদন করে আছে।
খুনিরা এখনো বহাল তবিয়তে আছে। সেই বড় ভাই আর এম পি র পা চাটা গোলাম হয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
এখন আসি বসুন্ধরার এম, ডির কথা। সে এত ক্ষমতাবান অর্থবিত্তের অভাব নেই। এদের সমাজ এর উঁচু স্তর এর সবার সাথে উঠাবসা। তা এদের কি শাস্তি হবে?
আপন জুয়েলার্সের আলাল দুলাল সবাই জামিনে আছে। রায় হচ্ছে হতে হতে বেলা শেষ।
সুতরাং এ কথা নিশ্চিত করে বলতে পারি এ দেশে ক্ষমতা আর অর্থ থাকলে আইন কানুন পকেটে। শেষ করছি এই বলে,
" বসুন্ধরার টিস্যু, মুছে দিবে সমস্ত ইস্যু! "
৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৫৯
স্প্যানকড বলেছেন: জ্বালা বেড়ে দ্বিগুণ
দেশে বেড়ে গেছে
শুয়োর, শকুন !
ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৫৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: দশ কথার এক কথা আইন চলবে নিজস্ব গতিতে । শুনলে মন জুড়ায় কিন্তু কাজে ঘৃণা ধরায়।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০১
স্প্যানকড বলেছেন: এই ঘৃণা থেকে বিস্ফোরণ হবে তৈরী হবে নতুন বাংলাদেশ ! ভালো থাকবেন।
৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এই বিচারহীনতাই দেশকে ধ্বংমের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০৪
স্প্যানকড বলেছেন: অলরেডি মুখের ভেতর ঢুকে আছে খালি গিলতে যতটুকু সময় ! ভালো থাকবেন।
৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে
বসতি গাড়তে হবে চাঁদে!
৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩৭
স্প্যানকড বলেছেন: চাঁদেও ভেজাল আছে। আপনি কোন চাঁদের কথা কন? ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০৫
কামাল১৮ বলেছেন: অন্যায় একটা সময় পর্যন্ত চলতে পারে সকল সময়ের জন্য পারে না।অন্যায়ের শেষ আছে।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩৯
স্প্যানকড বলেছেন: হুম, শেষ হয়। শুধু সময় এর জন্য অপেক্ষা করা। ভালো থাকবেন।
৬| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: মেয়েটা বিচার পাক আর না পাক, দেশের মানুষ অনেক সত্য জেনে গেছে। এই অন্যায়ের বোঝা যখন অনেক ভারী হবে তখন বহন করবার ক্ষমতা থাকবে না এই অন্যায় কারীদের।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৪৩
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: বন্ধুগো- বড় বিষ- জ্বালা এই বুকে,
দেখিতে দেখিতে খেপিয়া গিয়াছি, তাই যাহা আসে কই মুখে...
ভালো থাকবেন।