নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।
ছবি নেট ।
আমার অতি কাছের খুব প্রিয় একজন স্যার আছেন। যিনি খুব রসিক মানুষ। সিরিয়াস অনেক বিষয় হাসি তামাশার সহিত বলে ফেলে। আজ তার ই কিছু চুম্বক অংশ তুলে ধরছি।
আমি ঃআসসালামু অলাইকুম, স্যার। কেমন আছেন?
স্যার ঃ দিব্যি আছি।খাচ্ছি দাচ্ছি ঘুমাচ্ছি হেগে যাচ্ছি ( হা হা হা ) জী না ইছি কা নাম হ্যায় !
আমি ঃ স্যার, আপনি অনেক রসিক মানুষ। কথা বললেই হাসতে শুরু করি।
স্যার ঃ এ বয়সে আর কি চাই। সমস্ত চাওয়া পাওয়া শেষের দিকে তবে কিছু ইচ্ছে পূরণ করার বড্ড খায়েস জমে আছে ভেতরে। খালি রাইত দিন খচখচ করে। তা বলো কি জন্যে আসা?
আমি ঃ অনেক দিন আপনার সাথে আড্ডা দেয়া হয় না তাই আসা।তাছাড়া আপনিও ভীষণ ব্যস্ত মানুষ।আজ একটু সময় দিচ্ছেন। এই তো বেশী।
স্যার ঃ হুম, তুমি এসেছ ভালোই লাগছে নইলে এই পড়ন্ত বিকেল টা সহজে এগুতে চায় না। কেমন জানি খা খা করে।
আমি ঃ স্যার, দেশ জাতি কি সঠিক পথে এগুচ্ছে?
স্যার ঃ দেখ, রাজনীতি নিয়ে বেশী কথা আজকাল বলি না। বললেও তো লাভ নাই।কেউ শুনবে? কেউ না।
আমি ঃ তবু বলুন, শুনি আপনার চিন্তা ভাবনা। দেশের জনতা জানতে চায়।
স্যার ঃ এত জোরাজোরি করছ তাই বলছি, দেখ এ দেশটা অনেক কষ্টের ফসল। বংগবন্ধু এবং তাঁর সহকর্মী গন এ জাতি বা দেশের জন্য যা করেছেন তা আজ পর্যন্ত কেউ করতে পারে নাই।
তাঁর মেয়ে হাসিনা চেষ্টা করছেন দেশটাকে গর্ত থেকে টেনে বের করার কিন্তু সহজ হচ্ছে না কারণ কি জানো?চাটার দল চারপাশে ভরপুর। চোর বেশী সাধুর সংখ্যা নেহাতই কম। হাতে গোনা দুই চার।
এ চাটার দল আগেও ছিল তবে বর্তমানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই হইছে পরিবর্তন!
অবশ্য এই ধবংসের শুরুটা জিয়া করেছে খুব চালাক এর সহিত। বংগবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় থেকে।
একটা জিনিস ভেবেছ শেখ কামাল, শেখ জামাল অমন ধরনের কাজ করতে পারে? কি ভাবছ? পারে?না, সম্ভব না। কিন্তু দেখ, আজও পর্যন্ত দেশের জনতা ঐ গুজব টা গিলে খাচ্ছে হজম করে বসে আছে।
অথচ দেশের জনতা একবার ভাবে না, কয়েক জন খুনি যাদের ফাঁসি হওয়ার কথা তারা কিভাবে রাষ্ট্রদূত হয়? তারা কিভাবে অন্যদেশে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়? কারা তাদের মদদ দিয়েছিল? সব গুলির উত্তর একটাই।
আলবাত! সে সময়কার নেতা গন বা রাষ্ট্র পরিচালনায় যারা ছিল তারা জড়িত। সেই বিষ এখনো রয়ে গেছে। হাসিনা চেষ্টা করছে।সফল হবে কি না আল্লাহ মালুম!
স্যার ঃ আইচ্ছা, আমার এ সময় একটু পান করতে হয়। তুমি কি নিবে?
আমি ঃ না। ধন্যবাদ।
স্যার ঃ ও বুঝেছি, শোন, বিয়ে করেছ? গার্লফ্রেন্ড আছে?
আমি ঃ লজ্জা পেলাম, জ্বী না। এখনো শুভক্ষণ আসে নি।
স্যার ঃ ( হাসি দিয়া ) মিয়া তুমি কি মরদ! পান কর না, বিয়ে কর নাই, গার্লফ্রেন্ড নাই। নাকি আবার মেয়েছেলের ঘরে যাওয়ার অভ্যাস আছে? হুম... ( হা হা হা )
আমি ঃ না, না, ওসব নেই।
স্যার ঃ একদম খাঁটি দেখছি। তা কোক নাও একটা।
(এই বলে উঠে গেলেন। ফিরলেন কিছুক্ষণ পর হাতে একটা কোকের বোতল আর চিভাস রিগাল পঁচিশ বছর অরিজিনাল স্কচ হুইস্কি।
ফিরে এসে কোকটা আমাকে দিয়ে নিজের গ্লাসে দুই টুকরা বরফ আর র চিভাস ঢেলে এক ঢোক পান করে বললেন আহ! মাল একখান।
তারপর আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বলল জাস্ট ওয়েট এই বলে স্মার্ট ফোনে ইউটিউবে যেয়ে গজল ছেড়ে দিলেন মনোহর উদাস এর
" দিল তোর কে হাসতে হো
দিল তোর কে হাসতে হো
ইয়ে আচ্ছা তো নেহি হে
দেখ তো যারা মুরকে
ইয়ে রোতা তো নেহি হে
দিল তোর কে হাসতে হো .... "
আমি যেন কিছুক্ষণ একটা ঘোর এর ভেতর ছিলাম। কি হচ্ছে এসব। লোকটার এত জীবনী শক্তি আসে কোথা থেকে। এসব যখন ভাবছি তখন স্যার ডাক দিলেন।)
স্যার ঃ কি মিয়া! মাল টানি আমি আর তুমি নেশাগ্রস্থ ( হা হা হা ) শোন, পান করার সময় গান ছাড়া জমে না। খালি প্রেম আর রমন এই দুই সময়ে গানের জরুরত নাই। কারণ কি জানো?
আমি ঃ বোকার মতন বললাম, না।
স্যার ঃ মিয়া কোন দুনিয়ায় বাস কর। প্রেম আর রমন দুইটা সংগীত সৃষ্টি করে তাই লাগে না ( হা হা হা )
স্যার ঃ আইচ্ছা, কই জানি ছিলাম?
আমি ঃ দেশ, জাতি, রাজনীতি ইত্যাদি।
স্যার ঃ ও হে! মনে পড়ছে। আসল কথা কি জানো বর্তমান জেনারেশন অত ভাবে না যা পায় তাই খায়। ছাগলের মতন দশা! এর পিছনে কারণ ও আছে। জানো কি সেইটা?
আমি ঃ না।
স্যার ঃ এরা হংস মিথুন আর হস্ত মৈথুন একই ভাবে ( হা হা হা )
বুঝলাম স্যার এর চড়ে গেছে। তাই জলদি ইতি টেনে চলে আসলাম। এত এত গুরুত্বপূর্ণ কথার ভেতর মাথায় ঢুকে আছে " হংস মিথুন আর হস্ত মৈথুন! " ছিঃ!
১৭ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:১০
স্প্যানকড বলেছেন: রাতের আলো নরম গরম না। উহাই উত্তম ! জটিলবাদ !
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৮
জটিল ভাই বলেছেন:
না, দিনের আলোয় আপনার পোস্ট আর পড়ার উপযুক্ত থাকছে না ভালো থাকুন।