নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নের খোঁজে দেখি তোমায় /বাঁধি সীমাহীন ভালোবাসায়/দাও কিছু সুখের বৃষ্টি / ভিজি আমি /উড়াই দিগন্তের নীলিমায় তোমার নামে / স্বপ্নের এক বিশাল ঘুড়ি।

স্প্যানকড

আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।

স্প্যানকড › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুদাই !

০৩ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০১

ছবি স্প্যানকড ।


বাস্তবতা যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন ততই মংগল।সবার ক্ষেত্রে একই নিয়ম নইলে হাতে হারিকেন পোন্দে বাঁশ ধরিয়ে দিবে যে কেউ নিশ্চিত থাকেন।

বাস্তবতা আর সিনেমা রাইত দিন ফারাক। কেউ কাউরে যেমন নাগাল পায় না অমন। সিনেমায় নায়িকাকে গুন্ডা দল মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। চলন্ত গাড়ি। এর মধ্যে বাঁচাও বললে উল্টো দিক থেকে মোটরসাইকেলে আশি মাইল বেগে ছুটে আসা নায়ক ঠিকই শুনতে পায়। বাঁচাতে আসে। বাস্তবে?? কি মাথা চুলকাচ্ছেন!

অথবা দূর্নীতিবাজ নেতারে ন্যাংটো করে দেশের গনতন্ত্র ঠিক করে দিবে অমন নয়।

আজ যা আলাপ করছি এসব ব্লগ না এ আমি জানি কিন্তু কথাগুলো ভেতরে জমেছিল মেলাদিন ধরে। সমাজ নিয়া কথা। সমাজের মানুষ নিয়ে কথা। দু একজনের চিন্তা নিয়া কথা। নিজের কথা।

আমরা যে সমাজ গড়ে তুলেছি তাতে নর থেকে নারী কেউ কি নিরাপদ? মোটেও না। ভাবতে পারেন মেয়ে হলে বেশী বিপদ! কারণ এ সমাজে মেয়ে মানুষ হলো সেক্স করার বস্তু এর বাইরের কিছু না।

নইলে একটা মেয়ে গ্রাম থেকে শহরে পড়তে এসে হোটেল রুমে শুতে যায় কোন হাউসে? দোষ কার? সমাজ? রাষ্ট্র? ব্যক্তিগত লোভ?

চাকরির ইন্টারভিউ হলো চাকরি হলো বসের নজর কিন্তু সেই শরীর ছোঁয়ার জন্য মরিয়া। কেন?
তারপর আসি বাসে, লেগুনায় কত পুরুষ নারী শরীরের চিপাচাপায় হাত দেয় কয়জন নারী তা প্রকাশ করে? কয়জন? আসলে এ সমাজের মরদ দের মগজে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে নারী মানে সেক্স! সুযোগ পেলে ঢলে দাও ঢেলে দাও।

এ তো গেল নারী প্রসংগ এবার আসি পুরুষ বা মরদ বিষয়ে। একটা উঠতি যুবক সে ঠিক আছে? কই ঠিক আছে? আজকাল প্রেম করা নরমাল। গার্লফ্রেন্ড ছাড়া খুব কম যুবক আছে। নসিব যাদের ভালো তারা ভালো আছে।

নইলে ঐ ছ্যাঁকা খাইয়া গাঞ্জা কলকি, ইয়াবা আর সম্প্রতি এল এস ডি ধরছে অথবা প্রতিশোধ নিতে আরও কয়েকটা প্রেম করে নারী শরীর নিয়ে খেয়ে চলছে। এই হচ্ছে।

এ সমাজ এত ধোঁয়া তুলসি পাতা না। এসব করতে খরচ লাগে সে সব মিটাতে রাজনীতি করা লাগে। রাজনীতি ঠিক মতন বুঝলে ছাত্র অবস্থায় বহু টাকার মালিক!

বি সি এস এর আশায় চুল বাল পাকাতে হয় না।

আবার আপনি বি সি এসে টিকলেও আপনি যদি ক্ষমতাসীন দলের অনুসারী না হোন তাহলে সদর দরজা খোলা থাকে সব সময়। কয়জন সত্যি কয় এখন!

যারা পড়াশোনায় সেই রকম মানে বোর্ড স্থান দখল করে আছেন। তাদের হিসেব আলাদা। আর যারা মফস্বলের। তারা কোন মতে পড়া শেষ করে চাকরি নামক বস্তুটির আশায় রাইত দিন খাইটা যায়।

যদিও শেষমেশ একটা চাকরি মিলে ঘুষ দিতে গিয়ে আত্মা বেরিয়ে যায়। এই ঘুষের টাকা উঠাতে সেই ঘুষের কাছেই যেতে হয়।

আমার এক বন্ধু বুয়েটে পড়ত তার ভাষ্য ছিল এমন,

" এ দেশ আমার নয়। এখানে সৎ ভাবে থাকা অসম্ভব!প্রবাস উত্তম।অন্তত ঘুষ দিতে হবে না খেতে হবে না। নইলে ঢাকা শহরে সৎ ভাবে ভালো একটা বাসা নিয়ে বউ, বাচ্চা সহ থাকা যে কত টানাটানির সে আর বলতে। অথবা হাজব্যান্ড ওয়াইফ দুই জনের জব করতে হবে। তাতেও হয় কি না সন্দেহ! "

আমি কইছিলাম তাহলে ঢাকা শহরে সবচেয়ে দূর্নীতিবাজ দের বসবাস? তার উত্তর ছিল জানা নাই।

এরকম আরেকটা ঘটনা বলছি, এলাকার এক ছোট ভাই যে কি না ক্ষমতাসীন রাজনীতি দলের সাথে আছে। তারে জিগাইছিলাম রাজনীতি কেন কর? " তার সাফ উত্তর মাল কামাইতে! তারপর বলল ভাই!এই শতকে আইসা বেহেশতে যাওয়ার চিন্তা মাথায় নাই! "

এত বকর বকর করছি ফায়দা কিছু নাই। আসলে টাইম পাস! সমাজ গোল্লায় গেছে যাক। আমি নিজেও সাধু গোত্রের কেউ না কিন্ত অনেকে সাধু আছে তাদের নিয়ে ভাবি। তারা কিভাবে এ করোনাকালীন সময় লকডাউন পার করছে আল্লাহ মালুম !

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১৩

হাবিব বলেছেন: আসলেই হুদাই :)

০৩ রা জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩৬

স্প্যানকড বলেছেন: পুরাই হুদাই আজাইরা *দাই.... হা হা হা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.