নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।
( দি স্ট্রর্ম ) আর্টিস্ট পিয়েররে অগুস্তে । গুগল।
নীল,
ছুটির দিনে একটু বেলা করে ঘুম থেকে উঠে
কম্পিউটারে বাছাই করা ওর প্রিয় গান গুলি শুনতে শুনতে
সত্তুর টা পুশ আপ
অতঃপর
কিছুক্ষণ বিশ্রাম
সকালের নাস্তা হিসেবে
যদিও তখন বেলা সোয়া বারো
ডিম সিদ্ধ, ব্লাক কফি আর চারটে রুটি টোস্ট সাথে জ্যাম জেলি।
নাস্তা শেষে
মোবাইল ঘাটা শুরু হয়
কি নোটিফিকেশন আসল বা ম্যাসেজ অথবা কারো ফোন
রাতে ফোন সাইলেন্ট মুডে থাকে
তাই এখন দেখছে,
লিলি ম্যাসেজ দিয়ে রেখেছে
আজ সন্ধ্যে ৭ টায় রবীন্দ্র সরোবর!
নীল,
কল করে লিলিকে
-হ্যালো, লিলি।
-হুম, শুনছি
-আচ্ছা, আজ কি বিশেষ কোন দিন?
-না, কেন?
-এই রবীন্দ্র সরোবর!
-কেন? আসতে মন চাচ্ছে না?
-তাহলে বাদ দাও।
-না, না ছিঃ! আমি কি তাই বলেছি।
-এখন রাখছি
-আরে, আরে ধ্যাৎ !
নীল ভাবে লিলি কেন এমন
ওকে সামলাতে কষ্ট হবে
তবুও ভালোবাসে
স্বপ্ন বুনে
এক ছাদ চার দেয়াল
এর ভেতরে ওরা দুজন প্রেমে মত্ত
দুনিয়া ভুলে গেছে।
নীল এতসব ভাবতে ভাবতে আবার ঘুমিয়ে পড়লো
ঘুম থেকে উঠে চিৎকার
ও মাই লিলি!
হাতে সময় কম
তড়িঘড়ি দাড়ি গোফ কামিয়ে
শাওয়ার সেরে রেডি হতে থাকে
পাঞ্জাবি, দুই ফিতার কোলা পুরী চটি পড়ে
রাস্তায় নামে
এখনও দিনের গরম ভাবটা বিদ্যমান!
নীল কিছুটা ঘেমে যাচ্ছে
রিক্সা মিলছে না সহজে
ছয়টা পঞ্চাশের দিকে নীল রবীন্দ্র সরোবরে উপস্থিত।
লিলিকে দূর থেকে দেখেই নীলের শ্বাস
ভারী হতে শুরু করল
একটি বার চোখের পলক পড়ল না
উপর দিয়ে মেঘ ছুটাছুটি করছে
একটা বিমান গেল
জোনাকির দল ঘাসে ঘাসে ঘুরছে
সকল কোলাহল কিছুই শুনছে না
নীলের হার্টবিট বেড়েই চলেছে
ধক ধক ধক!
লিলি আজ মেরুন রঙের শাড়ী পড়া
চুল খুব গোছানো পরিপাটি
কানের উপরে সাদা গন্ধরাজ গোঁজা
শরীর থেকে যে খুশবু আসছে
তাতে এই সন্ধ্যা অমরত্ব পেয়ে গেছে।
লিলির স্বভাব সুলভ হাসি
হাত ধরে দুজন কিছুক্ষণ এদিক সেদিক ঘুরে
ক্লান্ত হয়ে সবুজ ঘাসের উপর বসে পড়ে।
নীল এতক্ষণ একটা যন্ত্রের মতন
শুধু লিলিকে দেখছে
ওর কথার জবাব
হু হা এতেই সীমাবদ্ধ
নীল কে ধাক্কা দিল লিলি
কি হু হা ?
কি হয়েছে তোমার?
নীলের উত্তর আমি আজ পাগল
এতটা সুন্দরী তুমি!
যেন অপ্সরা
আলো ভরা বাতি!
লিলির খিলখিল হাসি
আটটা পর্যন্ত কাটিয়ে
ওরা একটা রেস্তোরাঁয় বসল
রাতের খাবার খেয়ে নিল
এর মাঝে গুরুত্বপূর্ণ কথা যার কিছু অংশ
এমন ছিল
আজকাল সাহিত্য কেন উল্টো দিকে বইছে
কেন সব দ্রুত কর্পূরের মতো উড়ে যাচ্ছে
কেন ক্ষনস্থায়ী হচ্ছে এসব।
লিলি বলল আজ আর নয়
উঠি
তাছাড়া তোমার কাল তো অফিস?
নীল মাথা তুলে
হে ঈশ্বর!
অফিসটা গুড়িয়ে দাও না!
লিলির সে কি হাসি!
ঘড়িতে তখন দশ বাজে
নীল একটা ট্যাক্সি ডেকে নিল
দুজন একসাথে চলছে
যেন রোমান্টিক ছবির দৃশ্য
লিলির ছিল এ কথা
নীলের " ফুরিয়ে যাইনি
প্রেমের বয়স এখুনি "!
ট্যাক্সি চলছে
নীল একটা প্যাকেট দিল লিলিকে
উপরে ছোট করে কিছু লিখা
যেই মোবাইলের আলো দিয়ে পড়তে যাবে
তখন,
ঠিক তখন
উল্টো দিক থেকে আসা বালুর ট্রাক
ট্যাক্সির মাথা দিল থেঁতলে
নীল লিলি দুজন ছিটকে মাঝরাস্তায়
আধ ঘন্টা পর এম্বুলেন্স এলো
নীল স্পট ডেথ
লিলির অবস্থা যায় যায়
কেউ একজন প্যাকেট টা হাতে নিল
তাতে লিখা
" তোমাকে চুমু খেতে চাই
যতক্ষণ না হাঁপিয়ে যাই
তোমাকে ভালোবেসে যাব
ভোরের মোরগ ডাক শোনা পর্যন্ত! "
---- নীল ।
৯ আগস্ট ২১। ( সোমবার )
০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০৮
স্প্যানকড বলেছেন: দুঃখিত ! না, সত্যি নয়। মগজের ভেতরকার কিছু চিন্তা ভাবনা আর কি। কারো সাথে মিলে গেলে কাকতালীয়। লিলির কপাল খারাপ দুঃখিত কিছু করার নেই। ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৪২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এত পঁচা ছবি দেন কেনো।
ছবির কি অভাব পড়ছে?
লেখাটা বাস্তব নাকি। সুন্দর হইছে
০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২৯
স্প্যানকড বলেছেন: দুঃখিত ! না, সত্যি নয়। সত্যি হলে সম্পুর্ন কাকতালীয় । আপু, এটা একটি বিখ্যাত পেইন্টিং। দি স্টর্ম নাম শিল্পি পিয়েররা অগুস্তে । আপু আমি শিল্প ফেখছি অন্য কিছু না। কি সুন্দর এক্সপ্রেসন তুলে ধরেছেন শিল্পী একটু চিন্তা করেন এ কিন্তু সহজ কোন ব্যাপার না। সে যাই হোক, ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন । ধন্যবাদ।
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৫৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এসব এক্সপ্রেসন দুনিয়া পর্যন্তই সীমিত। আখেরাতে জবাব দিতে হবে
০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:১৪
স্প্যানকড বলেছেন: তা তো অবশ্যই । আপু, আমি অন্য কোন কিছু দেখেনি। সত্যি আমি শিল্পকর্ম দেখেছি।ধরেন একটা ফুলের ছবি দিলাম কিন্তু ভেতরে শয়তানি রয়ে গেল কেউ জানল না শুধু সৃষ্টিকর্তা ছাড়া তখন কি বলবেন? আমি দুই নম্বরি তে নাই ভেতর বাহির এক রাখার চেষ্টা করি। ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন। ধন্যবাদ ফিরে আসার জন্য।
৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬
কুশন বলেছেন: এইসব বালছাল লেখা বন্ধ করুন। বিরক্ত লাগে। পারলে ভালো কিছু লিখুন।
০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:২৫
স্প্যানকড বলেছেন: আপনারে পড়তে কয় ক্যাডা? ল্যাওড়া শোনেন, আমার এক আত্মীয়ের একটা ছেলে আছে রোজ একবার করে এমন কুশনের উপর খাড়াইয়া মুতে দেয়। আর ওর বড় ভাই পাশ বালিশ হিসেবে কুশন রাখে মাঝেমধ্যে স্বপ্ন দোষে ভাসায়। ওর মা ডেইলি রোদে শুকায়।আমি খোলা নয়নে দেখি। আপনারে কে ভাসায় আপনার বউ? গার্লফ্রেন্ড? এলাকার কুত্তা? না বাসার কাজের বুয়ার ছেলে? না নিজের পোলা? কেন বললাম জানেন কারণ আপনি ডিপ্রেশন এ আছেন ফ্রাস্ট্রেটেড পারসন আমি বলব মরা ব্যক্তি। আমি ইচ্ছে করলে আপনাকে কমেন্ট ব্যান করতে পারি কিন্তু করি না কেন জানেন রোজ আপনার মতন কারো উপরে না মুততে পারলে দিনটা মাটি যায় তাই আপনারে ব্যান করি না। আনন্দে দিন কেটে যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:২৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সত্য ঘটনা অবলম্বনে লিখলেন মনে হয়। দুইজনেই মারা গেলে ভালো হত। লিলি বেচে থাকলে এই কষ্টের সৃতি নিয়ে বাঁচতে হবে।