নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নের খোঁজে দেখি তোমায় /বাঁধি সীমাহীন ভালোবাসায়/দাও কিছু সুখের বৃষ্টি / ভিজি আমি /উড়াই দিগন্তের নীলিমায় তোমার নামে / স্বপ্নের এক বিশাল ঘুড়ি।

স্প্যানকড

আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।

স্প্যানকড › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেম ধীরে ধীরে ঘন হয় !

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ছবি নেট।

তানজিম বাথরুম গায়ক হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। ইহা বলতে বা স্বীকার করতে ওর একটু ও লজ্জা করে না।

কালকে কি হলো যথারীতি স্নান কর্ম সারছে আর গলা ছেড়ে জোরে জোরে গাইছে অঞ্জন দত্তের
" পারব না হতে আমি রোমিও।তাই দুপুর বেলায় ঘুমিও।আসতে হবে না বারান্দায়। রঞ্জনা, আমি আর আসব না । " 

স্নান ঘর থেকে বের হয়ে খেয়াল করল ওদের দীর্ঘদিন এর কাজের খালা হাসছে। তানজিম উনাকে জিজ্ঞেস করল,
" কি ভালো? "
উনি উত্তর না দিয়ে হাসছেন। বারান্দায় যেতেই মায়ের গলা
"এই যে এদিকে আসেন । "

তানজিম ভেজা কাপড় রোদে মেলে দিয়ে মায়ের কাছে গেল। মায়ের কথা ছিল এমন
" কি প্রেম-ট্রেম হচ্ছে নাকি? " আর এই রঞ্জনা কে?
তানজিমের উত্তর
" মা, অঞ্জন দত্ত সাহেব বলতে পারবেন রঞ্জনা কে বা কি হন। আর প্রেম-ট্রেম ওসব আমার এখন আর হচ্ছে না। তাছাড়া লকডাউন চলছে না! "

মায়ের হাসি। হাসি থামিয়ে আবার প্রশ্ন
"এক সময় তো এ মেয়ে সে মেয়ের চিঠি পকেটে পাওয়া যেতো!
এখন কি ফোন, ম্যাসেঞ্জারে চলছে?  তানজিম, আহা! কি যন্ত্রণা! না, ওসব কিচ্ছু না। টেনশন নিও না সে সময় গত।

এখন যদি কেউ আমার হাত পা ধইরা বলে " বাবু, আই লাভ ইউ "

তানজিম বলে আমার সোজা উত্তর এই

" বাবু, অন্য জায়গা দেখেন এখানে কবিতার চাষ হয় তারপর সেখানে চায়না গ্রেট ওয়াল দেয়া। রাস্তা মাপুন বা রাস্তা মেরামত চলছে ঝুলে থাকুন সময় হলে খুঁজে নিব। "

তারপর মায়ের চিরচেনা সেই হাসি তানজিমের ও। কি এক স্বর্গীয় দৃশ্য। উফফ!

মাঝেমধ্যে তানজিম চিন্তা করে মরার পর ঐ বেহেশত, হুর তার চাই না। ওর মা আর পরিবার পেলেই হলো ওখানে খেটেখুটে চলতে পারলেই হলো অত আরাম ও চায় না।বিনে পয়সায় খেতেও চায় না।পরক্ষণেই হাসে কি উদ্ভট চিন্তা সব! 

মা এবার বলতে শুরু করল আচ্ছা, কান্তার সাথে কথা হয়? তানজিম দুম করে বলে দেয় আরে দূর! ও ওর রাস্তা খুঁজে নিছে আমি আমার টা। দুজন দুজনার জগতে বিন্দাস!

ইস!মেয়েটা কি মাইর না খাইছিল! যখন তোর প্যান্টের পকেটে ওর দেয়া চিঠি নিয়া ওর মা, বাবারে কত কি বলছিলাম তখন।
হাত কেটে রক্ত দিয়া তোরে আই লাভ ইউ লিখছিল! তানজিম হাসে।

তানজিম বলে বসল, তোমরা কি আমারে ছেড়ে দিছ।মনে আছে এখনো আব্বা আমাকে স্কেল দিয়া পিটাইল আর তুমি দিছিলা কষে চড়!

মায়ের গলা ভারী হতে শুরু করল তানজিমের আব্বার কথা মনে পড়ে গেল। দুচোখ কেমন চিকচিক করছে।
অবস্থা সামলাতে তানজিম বলতে লাগলো জোরছে খিদে লাগছে চলো তো। মায়ের গলা জড়িয়ে মনে মনে বলতে লাগল 
ভুল জীবনানন্দ সাহেব। কিছু প্রেম এতটাই  ঘন হয় যে মুছে ফেলা অসম্ভব!
যদিও আপনি বলেছেন " প্রেম ধীরে ধীরে মুছে যায়! "

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি জীবনানন্দকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিলেন না।

১১ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৩৮

স্প্যানকড বলেছেন: কি করব বলেন? সামনে সুযোগ আসছে হয়তো ! ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.