নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।
ছবি নেট।
আমি আমার জীবনের প্রথম ভোট টি দিতে পারে নি। অথচ আগের দিন রাতে ঠিক মতো ঘুম হচ্ছিল না জীবনের প্রথম ভোট!
কি হয়েছিল বলছি, খুব সকালে উঠে রেডি হলাম। বাসার অন্যান্য বড়রা যেমন, মা-বাবা, আমার নানু, নানা, বোন সবাই মিলে রেডি হচ্ছি। যেন ঈদের দিন।সবার মুখে হাসি।
যাই হোক যথারীতি কেন্দ্রে গেলাম। লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পর ভোট দিতে নির্দিষ্ট কক্ষে প্রবেশ করলাম। তারা নাম ঠিকানা চেক করে ব্যালট পেপার হাতে দিল।
আমি চাপা উত্তেজনা নিয়ে পর্দা টেনে যথারীতি সিল দিয়ে যেই ভোটটি বাক্সের ভেতরে ফেলতে যাব অমনি শিকারী কুকুর এর মতন একজন আসল। তাকে চিনি এলাকার পাতি নেতা।
এসেই জিজ্ঞেস করল কিসে বা কোন মার্কায় ভোট দিচ্ছি?আমি ত্যাড়ামি করলাম বলে বসলাম,কেন আপনাকে বলব? সে কোন কথা না শুনে আমার ভোটটি ছিনিয়ে নিয়ে গেল। আমি পুরা টাসকি!
পরে ব্যালট পেপার খুলে দেখে তাদের বিপক্ষে ভোট দিছি। সাথে সাথে ব্যালট পেপারটি ছিঁড়ে কুটিকুটি করে শাসিয়ে বলল, অনেক হয়েছে ভোট দেওয়া।যাও সোজা বাড়ি চলে যাও। কোন কথা বললে খারাপ কিছু হতে পারে। আমার কান্না চলে আসার উপক্রম।
বাইরে এসে যখন মা-বাবা কে বললাম। তারা বলল চল আমরা কেউ ভোট দিব না। দেখছ না কেন্দ্র ওদের দখলে! আমার নানা, নানু ব্যথিত মনে বলতে লাগল আমার নাতির জীবনের প্রথম ভোট !
অথচ দূরেই মিডিয়া সাংবাদিক দাঁড়িয়ে আছে। আডডা দিচ্ছে চা খাচ্ছে সে সকল নেতা, পাতি নেতাদের সাথে। আজব!
রাতে খবরে শুনি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে এছাড়া সবাই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিতে পেরেছেন! এর পরে আর ভোট দিতে যাইনি কখনো।
এখন তো আরও সুবিধা হয়েছে কেন্দ্রে না গেলেও আপনার, আমার ভোট দেয়া হয়ে যায়।
এজন্য সরকার কে ধন্যবাদ এমন ঠাডা পড়া রোদে দাঁড়িয়ে কে ভোট দিতে যায়? অথবা বৃষ্টি জলে ভিজে বা শীতের কুয়াসা ভাংগা সকালে? এই ভালো চিল কর বাসায় থাকো। ধন্যবাদ আবারও তাদের।
এ তো গেল ভোটের অভিজ্ঞতা। এখন এই যে গণহারে টিকা দেয়া চলছে কয়জন পাচ্ছে? সেই কোন না কোন নেতা, পাতি নেতা তাদের আত্মীয় স্বজন পাচ্ছে আগে তারপর কিছু অবশিষ্ট থাকলে গরীব এর মিলে!
টিকা দেখে তবু কিছু মিলছে ভোট হলে আর মুখ খারাপ করলাম না। কারণ টিকা তো আর ইচ্ছেমতো শরীরে নেয়া যায় না বা শরীর তো ব্যালট পেপার না!
বিডি নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর খবর অনুযায়ী দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লালবাগ, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীর চর ও শহিদনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় রাতভর লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা মিলেনি! অথচ কয়দিন আগে একজন তিনবার টিকা নিয়ে ফেলেছেন। ভাবা যায়!
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২টি ওয়ার্ডের টিকাকেন্দ্রে সুপারভাইজারের দায়িত্ব পালনরত মো. আমিনুর রহমান জানান, 'মানুষের চাপ সামলানো কষ্ট। কিছু বললে অনেকে মারমুখী হয়ে ওঠেন।'
ঠিক হোন নইলে মাইর খাইবেন দিন আইতাছে....
১১ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:০১
স্প্যানকড বলেছেন: হুম, মানে রোগ তাড়াতে যেয়ে রোগী হয়ে মারা পড়া আর কি ! ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:২১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গণ টিকার বদলে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা দেয়া উচিত। নইলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে এবং টিকা কেন্দ্র থেকে করোনা ছড়াবে।