নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।
ছবি গুগল ।
আমরা এতদিন পরীমনি এবং আফগান নিয়া লাফালাফি করছি অথচ পাশের বাড়ির খোঁজ খবর রাখি না।
রবি ঠাকুর এর মতন বলতে হয়,
"দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে দুই পা ফেলিয়া একটি ধানের শিষের ওপরে একটি শিশিরবিন্দু।"
সত্যি!আমরা সেইরম লোক মশাই। ভাবতেই সিনা চওড়া হয়ে যায়।
এ দেশটা দিন কে দিন কেমন জানি হয়ে উঠছে। এদেশের মানুষগুলি খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে। কেউ খুব দ্রুত ধার্মিক হয়ে যাচ্ছে আবার কেউ ধার্মিক হয়ে ধান্ধা শুরু করছে।
কেউ কেউ ধর্ম কর্ম ছেড়ে দিচ্ছে। কেউ চুপচাপ কিছুতেই চার্ম খুঁজে পাচ্ছে না।কেউ আবার অল্পতেই মারতে আসে। মানে কেমন জানি খাপছাড়া সব। তবে একটা রোগ কমন। সবার টাকা দরকার যেভাবে হোক বৈধ কিংবা অবৈধ ব্যাপার না!
আর দেশপ্রেম ? কী জিনিস ? দেশপ্রেম থাকলে দেশের বাইরে এত অর্থ পাচার হতো না। অনেক কিছুই হতো না। এখন একটু পিছনে চলি একটা ঘটনা বলি। দেশপ্রেমের কথা আর কি !
স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন উনাকে আমরা কয়জন চিনি বা উনার নাম কয়জন শুনেছি? সত্যি বলছি আমি বহু পরে উনার নাম শুনেছি।এ আমার ব্যর্থতা বলব কিন্তু যাদের দরকার ছিল তাঁকে আমাদের সামনে উপস্থিত করা তারা তাঁকে পর্যাপ্ত সম্মান এমন কি প্রয়োজনীয় খোঁজ খবর টুকু কেউ নেন নি! এই সত্যি!
স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন হলেন এক অমর স্রষ্টা। যিনি সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধ তৈরী করেছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের শহীদের স্মৃতি ধরে রাখতে সরকার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পরিকল্পনা নিলে ১৯৭৮ সালে নকশা আহ্বান করা হয়। জমা পড়া ৫৭টি নকশার মধ্যে বাঙালির স্মৃতির মিনারের জন্য নির্বাচিত হয় ২৬ বছরের তরুণ মাইনুল হোসেনের পরিকল্পনা।
তাঁর নকশা অনুযায়ী স্মৃতিসৌধের বেদীমূল থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে সাতটি ত্রিকোণ কলাম, যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টি ১৫০ ফুট উঁচু। এই সাতটি কলামে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের সাতটি পর্যায় সূচিত হয়েছে। আকার আকৃতিতে ভিন্নতা থাকায় একেক দিক থেকে স্মৃতিসৌধকে দেখায় একেক রকম।
তিনি একবার বলেছিলেন,
" চারদিকে প্রচণ্ড চাপ। সেই চাপে কিছু একটা উঠে যাচ্ছে। বায়ান্ন থেকে একাত্তর পর্যন্ত সাতটা বড় বড় আন্দোলন হয়েছিল। সবচেয়ে নিচের খাঁজটা বায়ান্ন, সবচেয়ে উঁচুটা একাত্তর। "
১৯৮২ সালে তক্ষনকার সরকার মানে এরশাদ সাহেব এই অমর সৃষ্টি টি উদ্বোধন করেন। অবাক ব্যাপার হচ্ছে তাঁকে সে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পর্যন্ত জানানো হয়নি। ছিঃ! কি হারামি আমরা।
সকল ভিভিআইপি রা চলে যাবার পর তিনি সাধারণ মানুষের সাথে দাঁড়িয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা সেই সাতটি স্তম্ভ দেখতে থাকেন। এরপর আরও কাহানী আছে
" স্মৃতিসৌধের ডিজাইন করার সম্মানী পাবার কথা ছিল ২ লাখ টাকা, আয়কর চাওয়া হয়েছিল এর ৫০%, অর্থাৎ এক লাখ টাকা! " এই হলো ব্যাপার।
শেষজীবনে তিনি প্রায় একাকী নিভৃতে ছিলেন এমন কি তাঁর চিকিৎসা এবং সামান্য খোঁজ খবর কেউ নেননি।
আমাদের মুরব্বিরা চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়েছেন দেশপ্রেম কি?এই আমাদের শিখিয়েছেন।এরাই আবার দেশপ্রেমের বুলি আউরায় রাত দিন।সত্যি! সেলুকাস কি বিচিত্র এখানকার নেতাগন !
ক্ষমা করবেন হে গুনী !
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪২
স্প্যানকড বলেছেন: তাই নাকি ! ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন আগে একটা জায়গায় দেখেছিলাম, আমার বড়ভাই পিঁপড়ের ব্যথা অনুভব করেন কিন্তু আপন সহোদরের কোনো খোঁজ রাখেন না।" আপনার আজকের পোস্ট আমার সেরকম মনে হয়েছে।
কৃতি স্থপতিকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
শুভেচ্ছা আপনাকে।