নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নের খোঁজে দেখি তোমায় /বাঁধি সীমাহীন ভালোবাসায়/দাও কিছু সুখের বৃষ্টি / ভিজি আমি /উড়াই দিগন্তের নীলিমায় তোমার নামে / স্বপ্নের এক বিশাল ঘুড়ি।

স্প্যানকড

আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।

স্প্যানকড › বিস্তারিত পোস্টঃ

জবানামা !

০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৫৮

ছবি নেট।

ক্যাসেট প্লেয়ারে ফুল ভলিউমে হিন্দি গান বাজছে কাঁটা লাগা! হায় লাগা! এ সময়ের চাহিদা বলা চলে। এখন খুব কম ঘরেই রবীন্দ্র, নজরুল, হাসন, লালন বাজে। একটা বিশেষ উপলক্ষ ছাড়া বাজে না। এত কম যে, হাতে গোনার মতন সংখ্যা!হিন্দি গানের জোয়ার বইছে দেশে।এর জন্য দায়ী কে? এ নিয়ে বহু কথা বাতাসে ভাসে।

সে যাই হোক ঐ দিকে যাচ্ছি না। জবা শুনছে এ গান। আর সাথে সাথে শরীর ফিট রাখতে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করছে।এক্সারসাইজ এর সাথে অবশ্য রবীন্দ্র, নজরুল, হাসন এবং লালন যায় না।

একে তো তিন তলা বাসা। আশপাশের আরও বিল্ডিং দিনের বেলায় ও আন্ধাইর কবর! বাতি জ্বালিয়ে রাখতে হয় সর্বক্ষণ। তারউপর প্রচন্ড গরম! জবা ঘেমে অস্থির। ঘামলে যে ও একটা জ্বলে উঠা তান্দুর হয়ে উঠে তা জবা আয়নায় নিজেকে দেখলেই বুঝতে পারে।

প্রতিদিন গোসলের আগে নিয়মিত এগুলা করে। তারপর গোসল সেরে এক কাপ ভাত, ডিম সিদ্ধ আর এক বাটি ফুল মসুর ডাল খেয়ে নেয়। এর পর একটা ভারতীয় বাঙাল লেখক দের উপন্যাস নিয়ে পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ে। এতেও ভারতীয় বাঙাল লেখকরা ঢুকে পড়েছে। নীলক্ষেত গেলে ইহা আরো স্পষ্ট এবং ঘনীভূত হয়। জবার এ কার্যক্রম চলছে মাস কয়েক ধরে।

এমন আইন্ধার বাসা দেখে জবার বাবাকে প্রায়ই রোজ কথা শোনতে হয় জবার মার কাছ থেকে। জবার বাবার এক জবাব আলো বাতাস এতো চাইলে মিরপুর স্টেডিয়ামে যাও অথবা কমলাপুর!

এমনিতেই যা বেতন পাই তাতেই রুহ বাইর হওয়ার যোগাড় তার উপর উনার আলো বাতাস চাই। যত্তসব! ফয়িন্নির চাই পোলাও!

জবার মা এ কথা শুনে গোখরো সাপের মতন ফোঁস করে উঠে। এই! এই!খবরদার! ফকিন্নি কইবা না। তোমার গোষ্ঠীর সাত কপালের ভাগ্য আমার মতন মেয়ে পাইছে।

তোমার মতন আকাইম্মা মাইনষের লগে বিয়ে হইয়া জীবন আমার পুড়ছে। বাপ, মা যে কি দেখছিল?আল্লাহ জানে! লগের বন্ধু বান্ধব বাড়ি ফ্লাট কিনে অস্থির। উনি সেই একই কাম একই সেলারী! ফকিন্নি তুমি।তোমার চৌদ্দ খানদান !

আশ্চর্যের বিষয় এরা এত ঝগড়া করে কিন্তু কেউ কোনদিন আলাদা বিছানায় শুয়ে দেখেনি রাতে ঠিকই এক বিছানায় গা ঘেঁষাঘেঁষি করে শুয়ে থাকে।

এগুলা শুনে দেখে জবা অভ্যস্ত বড় হইছে। তাই জবার অত গায়ে লাগে না টেনশন ও হয় না। ওর চোখে এদের রাগ কচু পাতার পানির মতন হালকা বাতাস এলেই ঝরে পড়ে। অত কাঁপ ঝাঁপ নাই।

জবার গায়ের রঙ একটু চাঁপা কিন্তু একটা আবেদন ধরে রেখেছে। যৌবন পুরা শরীর জুড়ে যেন ফুল লোডেড ক্লাসনিকভ! সব ছারখার করে ছাড়বে এ নিশ্চিত! অথবা বলা চলে লীলাবালির মতন যুবতী!

জবা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করছে। যতদুর পারা যায় বাড়তি মেদ কমানোর চেষ্টায় আছে। রাতে দুইটা শুকনো রুটি একটু তরকারির ঝোল আর শশা এবং দুইটা গাজর, এক গেলাস পানি এই ম্যানু চলছে কয়েক মাস ধরে।

কলেজের বান্ধবীরা ওর শরীর নিয়ে নানান কথা বলে। রিমি নামের ওর ফাজিল বান্ধবী বলে, জবা তোরে দেখলে আমার শরীর ই কেমন কেমন জানি করে আর ছেলেদের কি হয় বুঝ তুই! হা হা হা করে সব বান্ধবীরা হাসে।

একবার কমন রুমে ফাঁকা পেয়ে ওর সেই বন্ধু ওরে ঠেসে ধরছিল দেয়ালের সাথে। জবা অবশ্য নিজেকে ছাড়িয়ে নেবার চেষ্টা করেছিল কিন্ত লাভ হয়নি। রিমি ওকে চুমু খেয়েই তবে ছাড়ছে। পরে বলেছিল ইহা ছিল ওদের ধরা একটা বাজি। এমন অনেক ইতরামি ফাইজলামি ওরা করছে। তবে জবা হরহামেশাই বলত তোরা সব গুলি হইলি খচ্চর!আমার চাই ঘোড়া!এই বলে নীচের ঠোঁটটা দাঁত দিয়ে কামড়ে একটা চোখ মারে। রিমি পাশ থেকে বলে পেডরোলো পাম্প চাই তোর অশ্বশক্তির!এতে আরও হাসি ফুটতে থাকে সবার মুখে। 

( চলবে )

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৩:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঘুরেফিরে পর্ণ

০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৪:১৭

স্প্যানকড বলেছেন: এত পর্ণ পর্ণ করেন কেন? এখানে কোথায় পর্ণ পাইলেন ? মনে হয় আপনি বড় হইছেন মাদ্রাসা মসজিদ অথবা আশ্রমের ভেতর সমাজের আর কিছু চোখে দেখেন নাই। এখন দেখলেই পর্ণ পর্ণ করে চিল্লান মারেন। আপনি যে দেশে থাকেন উহা পর্ণের স্বর্গ ! এত খারাপ লাগলে দেশে এসে ওয়াজ মাহফিল করেন। বেহুদা ঘ্যানঘ্যান করবেন না। ভালো থাকবেন। সাধুবাবা জগন্নাথ !

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:১৩

রাফখাতা- অপু তানভীর বলেছেন: জবা কাহিনী শুরু হয়ে গেছে । চলুক জবানামা .....

ঘর সংসার গুলোর কাহিনী বুঝি সব একই রকম ! সংসারের সব স্ত্রীরাই কি স্বামীদের এই একই কথা বলে? তার আরও ভাল সুযোগ ছিল, চাইলে আরও ভাল জায়গাতে বিয়ে হতে পারতো, রাজরানী হয়ে থাকতো !



বিশেষ কথা হচ্ছে যাদের চোখ খারাপ তারা সব কিছুতেই খারাপই খোজে ! দূর্গন্ধের ভেতরে যাদের বসবাস তাদের নামে সব সময় দুর্গন্ধই লেগে থাকে । চোর আর সাধুর সেই গল্প শোনেন নাই? পুকুর পাড়ে ভোরবেলা চোর আর সাধু দুজন একে অন্যকে দেখে চোর ভাবছে ঐ বেটা বুঝি সারারাত চুরি করেছে আর সাধু ভাবছে ঐ বেটা বুঝি সারারাত ইবাদত করেছে ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৩

স্প্যানকড বলেছেন: একদম সত্যি বলেছেন। এসব ঘাপটি মারা মুখোশ পড়া লোক আমার একদম সহ্য হয় না। চামড়া বা কর্ণ মানুষের না গন্ডার এর বুঝি না। সে যাই হোক ভালো থাকবেন অপু। ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৫০

জ্যাকেল বলেছেন: আপনার লেখাটা একসাথে দিলেই পারতেন। ভালই তো লাগছিল পড়তে।

ওফটপিক: কিছু মানুষ ভাল হওয়ার আশা করাই বোকামি।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪

স্প্যানকড বলেছেন: একদম সত্যি ! এদের নিয়ে আর ভাবি না। সময় এর অপচয়। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন জ্যাকেল।

৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:২৬

অধীতি বলেছেন: কাট্টা বাস্তব লেখা। নিরেট বাস্তবতা। অনেকের জেনেও গায়ে বিঁধবে। আমরা এমন একটা পরিবেশে বেড়ে উঠেছি, যেখানে কিছু কাজ বাস্তবে ঘটলেও সবার সামনে ঘটলেও তা মুখে বা লিখে প্রকাশ করলে রৈ রৈ পড়ে যায়। অধচ এরাই সাধুতার মুখোশে সর্বনাশী।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:১৫

স্প্যানকড বলেছেন: একদম সত্যি ! ভালো থাকবেন অধীতি। ধন্যবাদ।

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: জবা কাহিনী বেশ ভালই এগুচ্ছে।


* কবি সাহেব কি লেখাটা রিভাইস করেননি? আমার অবস্থা!

০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:২৩

স্প্যানকড বলেছেন: ধন্যবাদ তপন ভাই। রিভাইস দেয়ার সময় হয় না ভীষণ ব্যস্ত ফাঁকে ফুকে লিখি আর কি ! তারপরও জানতে ইচ্ছে করছে ভুল কিছু হয়েছে কি? ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.