নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।
ছবি নেট ।
সেদিন বহুদিন পর আড্ডা চলছিল টং চায়ের দোকানে । এলাকার এক সিনিয়র ভাই সহ আমরা ক'জন। তিনি আবার বিবাহিত। তার বন্ধুবান্ধব সব দেশের বাইরে সেটেল। তাই এখন আমাদের দলে ভীড়ে গেছে। এখন আমাদের বন্ধু বলা চলে।
এদের মধ্যে তর্ক চলছে আমি বিড়ি ফুঁকছি আর চায়ে চুমুক দিচ্ছি। তর্ক কিন্তু কোন রাজনৈতিক দল নিয়া না বা সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কুমিল্লার ঘটনা নয়। এমন কি ১০৬ কোটি টাকার বদ্দারহাট এর ফ্লাই ওভারের পিলারে যে ফাটল ধরছে উহা নিয়া ও না।
তর্কের বিষয় একজনের ক্রাশ দিপিকা পাডোকৌন আরেক জনের কিম কার্দিশান। কি বলছে কে কে চলেন শুনি।
একজন বলছে দূর মিয়া দিপিকা কোন মাল হইল ! মাল হইল কিম কার্দিশান! দিপিকা যার ক্রাশ সে বলল ঐ মিয়া দিপিকা কম কিসে?
হাসতে হাসতে সিনিয়র ভাই বলে বসল, হ কথা ঠিক। দিপিকা কি মাল হইল! মাল হইল কার্দিশান! দিপিকার তো ব্যাটা স্তন ই নাই! কার্দিশানের দেখছত কোনদিকে কমতি নাই! শালায় পুরা আগুন! একটা কথা হোন " হরিণ সুন্দর চোখে নারী সুন্দর বুকে ! " এ তর্ক চলছে তো চলছে থামার নাম নাই।
আমার বিরক্ত ধরে গেল। প্রায় চিৎকার দিয়া ই বললাম দূর বাল! এইবার থামবি !
সিনিয়র ভাইয়ের দিকে চেয়ে বললাম, ঐ মিয়া আপনে না বিবাহিত! ভাবীরে লইয়া কি হ্যাপি না? আসলে কথা ঠিক বিবাহিত লোক বেশীরভাগ লুইচ্চা হয়!
সবাই এখন আমারে কইতে লাগলো ইশ! সাধুবাবা কি বলছে? তা বাবা আর কি কহিবেন? আমি কইলাম আচ্ছা বুঝলাম নারীর শরীর পুরুষের সবচেয়ে দুর্বল এবং পেয়ারা জায়গা। আপনারা তো মিয়া ছুড়ি কাঁচির কদর করছেন! সিনিয়র ভাই কইল মানে?
আমি কইলাম এই যে দিপিকা হোক আর কার্দিশান সব ই তো ঐ ছুড়ি কাঁচির জোরে সুন্দরী ! টাকা খরচ করলে বস্তির মেয়ে সখিনা ও এদের মত হবে। সকলে কইল এইডা কি কইলা?
কইলাম হ আলবাত হাছা কথা! উদাহরণ দেই তাইলে হোনেন মাইকেল জ্যাকসন কালা থেকে ধলা হইছে আবার এই কিম কার্দিশান ছোট স্তন বড় করছে সার্জারি করেছে এমন কি নাক মুখ চোয়াল পুরা শরীর! যা দেখছেন সবই হলো আর্টিফিশিয়াল! এখন টাকা হলে যে কেউ সুন্দরী !
সবাই কইতে লাগলো হুম, বুঝলাম আর কিছু কহিবেন বাবা? মানে এরা চাচ্ছে আমি আরও রেগে যাই।
বলতে লাগলাম সারাদিন মগজে খালি নারীর শরীর! জগতে আর কিছু নাই? একজন টিটকারি মাইরা দিল " তোর কবিতায় তো খালি দেহি এইসবের ছড়াছড়ি! " আমি কইলাম হ তো! কয়টা কবিতা আমার পড়েছিস? যে টিটকারি মারল তারে কইলাম আর কি। ঐ তো যেগুলাতে আগুন আছে বেছে বেছে ঐ গুলা পড়ছ বৎস এই তো!
রাত দিন কি কাম আপনাদের এই সকাল নয় টা দশটায় এখানে এসে আড্ডা।আসল উদ্দেশ্য ঐ স্কুল কলেজের কচি মেয়ে দেখা! বুঝি তো !
মোবাইলে সারাদিন উনিশ বিশ ছবি দেখা। এই তোরা আবার ধর্ষণের বিরুদ্ধে কথা কছ। ফেসবুক ফাটায় ফালাছ । তোরা কম কিসে? চোখ দিয়া প্রতিটা নারীকে ধর্ষণ করে চলেছিস। শালা তোরা সকল হিপোক্রেসির চরমে বসে আসিছ!
একজন বলে বসল, " পাগলা ব্রেক দে! সামনে গর্ত! " এর অর্থ এলাকার এক মুরুব্বি আসছে আর কি ! যাই হোক মুরুব্বি একটা রিকশা নিয়া অন্য কোথাও চলে গেল। চোখাচোখি হতে সালাম দিলাম। উনি হেসে চলে গেলেন।
আবার বলতে শুরু করলাম, দেশ কোনদিকে যাচ্ছে ভাবিছ? আই এল ও মতে দেশে প্রায় ৩ কোটি বেকার। প্রতিষ্ঠানটি আভাস দিয়েছে, কয়েক বছরে তা দ্বিগুণ হয়ে ৬ কোটিতে দাঁড়াবে, যা মোট জনসংখ্যার ৩৯ দশমিক ৪০ শতাংশ হবে। আইএলওর হিসাবটিকেই পর্যবেক্ষকেরা বাংলাদেশের প্রকৃত বেকারের সংখ্যা বলে মনে করেন।
এখন এ নিয়ে কেন আমরা সচেতন নই? জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ এভাবে দিনের পর দিন হতাশায় শেষ হয়ে যাচ্ছে। কি হচ্ছে ভাবিছ তোরা? একজন কইল আমরা কি করমু ব্যাপারটা রাজনৈতিক নেতাদের হাতে। যারা ক্ষমতায় আছে সরকারে আছে যারা তারা দেখবে।
আমি কইলাম হ কথা ঠিক কিন্তু এ ও ঠিক যত বেকার তত রাজনীতিবিদ দের সুবিধা। এই বিশাল জনসংখ্যাকে ভুলভাল বুঝিয়ে চেতনার বড়ি খাইয়ে দিয়ে অনেক কিছু হাসিল করা সম্ভব!
প্রতিটা মানুষ আসলে গোলাম হতে চায় রাজা হতে চায় না আর আমাদের দেশের রাজনীতিবিদ গন উহা চেয়ে আসছে করে আসছে দিনের পর দিন কেউ কিচ্ছু বলে না। দুঃখ টা এখানে। সবাই অর্থ কড়ি চিনে কিন্তু সঠিক রাজনীতি কি উহা চিনে না।
এ শহর এর প্রতিটা মানুষ ব্যাটা অসুস্থ ! সবাই নেশাগ্রস্ত ! দেশ নিয়া ভাবে কম পেট নিয়া ভাবে আর পেট বাঁচাতে একটা মেয়ে কোটি টাকার নিয়ন জ্বলা রাতে যোনী ভাড়া দিয়ে এ শহরে বাঁচে টিকে আছে।
সিনিয়র ভাই বলে বসল, অনেক গভীরে চলে যাচ্ছ। এতটা গভীরে যাওয়া ঠিক না। যা দিনকাল কখন কে কাকে ভরে দেয় বিশ্বাস নাই। আমরা ও বুঝি কিন্তু করমু কি! হাত পা সব বাঁধা!
আমি কইলাম আর কত?স্বাধীন তো হইছে হেই কবে! এখনো হাত পা বাঁধা! ছিঃ! লজ্জা থাকা উচিত আমাদের এবং যারা উপরে বসে আছেন তাদের ও।
আড্ডার এ পর্যায়ে বিরতি নেমে আসল। আরও এক রাউন্ড চা আর সিংগাড়া চলল। এখন পরিবেশ কিছুটা হালকা তবে সবার চেহারায় এক অন্য ছাপ।
এর মধ্যে বাবলু দেখি একলাই হাসছে মোবাইলে কি যেন দেখে। সবাই দেখে জিগাইলাম কিরে কি হলো? পাগল টাগল হয়ে গেলি নাকি?
সে হাসতে হাসতে একটা মীম দেখালো যাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেয়া আর নীচে লেখা
নোয়াখালী বিভাগ হবে না কারণ নোয়াখালীর লোকজন রান্না ঘরকে " ফাকঘর " বলে ! হা হা হা.... এভাবেই আড্ডা আরও কিছুক্ষণ চলল হাসি তামাশার ভেতর।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪৮
স্প্যানকড বলেছেন: হুম, যায় দিন ভালো আসে দিন খারাপ ! মুরুব্বিরা কয়। ভালো থাকবেন।
২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:১৩
ইসিয়াক বলেছেন: সকালে কমেন্ট করবো।সারাদিন দৌড়ের উপর ছিলাম তাই এখন ভীষণ ঘুম পাচ্ছে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪৮
স্প্যানকড বলেছেন: ইন শা আল্লাহ । হুম রেস্ট নেন। ভালো থাকবেন।
৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: স্প্যানকড,
টং ঘরের গল্প হলেও তরুন সমাজ সহ দেশের বাস্তব ছবিটা রসিয়ে এঁকেছেন। হাতে কোনও কাজ না থাকলে বেকারদের অমন করে কারদেশিয়ান, দিপীকা, কারিনা, বিপাশা, পরিমনিদের নিয়ে হতাশা কাটানো ছাড়া আর কি পথ আছে বলুন ?
পথ যারা খোলা রাখেনি তারা নিজেদের পথ কিন্তু ঠিকই খোলা রেখেছে, আর বেকার পাবলিকের দল হা করে সেই পথকে দেখছে আর পাঁচ বছর পরপর তাকে পীচ ঢালাই করে যাচ্ছে।
মীম নিয়ে শেষের চুটকিটা দারুন। পুরো দেশটাই এখন একটি "ফাঁকঘর"...............
২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৩:০১
স্প্যানকড বলেছেন: " পুরো দেশটাই একটা ফাঁকঘর ! " একদম ফাটিয়ে দিছেন। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৪৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আজকালের আলাপ শুনলাম।আমাদের কালে আলাপের বিষয় ছিল ৬ দফা দেশের জন্য ভালো না খারাপ।রাশিয়া ঠিক না চীন ঠিক।চারু বাবু যা করছেন এতে কি যুব সমাজ পথ পাবে। ইত্যাদি
৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৬:০৬
স্প্যানকড বলেছেন: এখন এই চলে ! নষ্ট সময় চলছে সামনে আরও খারাপ অপেক্ষা করছে। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৩৬
উদারত১২৪ বলেছেন: অতিত খুবই সুন্দর
ফাঁসির আগ মূহুর্তে সায়্যিদ কুতুব রহঃ