নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।
ছবি নেট ।
"জিয়াউর রহমানের পাঁচ বছরের শাসনে প্রতি মাঘের শেষে বর্ষন হয়েছিল কিনা তা কেউ হিসাব রাখেনি, তবে এই পাঁচ বছরে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি । অতি বর্ষনের বন্যা না, খরা না, জলোচ্ছাস না। দেশে কাপড়ের অভাব কিছুটা দূর হলো। দ্রব্যমূল্য লাগামছাড়া হলো না। বাংলাদেশের নদীতে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়তে লাগলো।
বাংলাদেশের মানুষ মনে করতে লাগলো অনেক দিন পর তারা এমন এক রাষ্ট্রপ্রধান পেয়েছে যিনি সত্। নিজের জন্য বা নিজের আত্নীয়স্বজনের জন্য টাকা পয়সা লুটপাটের চিন্তা তার মাথায় নেই। বরং তার মাথায় আছে দেশের জন্য চিন্তা। তিনি খাল কেটে দেশ বদলাতে চান। জিয়া মানুষটা সত্ ছিলেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। লোক দেখানো সত্ না, আসলেই সত্। তার মৃত্যুর পর দেখা গেল জিয়া পরিবারের কোনো সঞ্চয় নেই।"
হুমায়ূন আহমদ।
(দেয়াল, পৃষ্ঠা-১৯৩)
হুমায়ুন আহমেদ সাহেব কি সুন্দর বয়ান করে গেলেন ! আমার সাথে হুমায়ুন আহমেদ সাহেব এর দেখা হলে পঁচাত্তর পরবর্তী জিয়ার ভুমিকা নিয়ে কথা জিজ্ঞেস করতাম। আফসোস হয়নি কখনো।
রাত ১২ টা থেকে শুরু ভোর চারটা পর্যন্ত যত আর্মি অফিসারদের ফাঁসি দেয়া হয়েছিল তাঁদের কোন আইনে দেয়া হয়েছিল হুমায়ুন আহমেদ সাহেব কে জিজ্ঞেস করতাম !
ইতর গোলাম আজম কে দেশে এনে নাগরিকত্ব দিয়ে জিয়া যে মহান থুক্কু যে চুতমারানির মতন কাজ করল সে সম্পর্কে জিগ্যেস করতাম।
আরও অনেক বিষয়ে। যে মানুষ এত সৎ অথচ তার বউ জেলে! ছেলে বিদেশে! কারণ উনারা চত! এখন চিকিৎসা নিয়া চলছে একতা কাপুর এর সিরিয়াল " ইকবার নজদিক আও ! "
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:২৮
স্প্যানকড বলেছেন: সময়ের মতন হারামি কিছু নেই ! এখন যারা আছেন তারা কি ইহা ভাবেন ? আমরা যেই জাতি তাতে অবাক হব না যদি দেখি তারেক প্রধানমন্ত্রী আর অপারেজেয় বাংলার সামনে পতাকা হাতে অনেকে যাদের বক্তব্য গনতন্ত্র আজ মুক্তি পেলো ইত্যাদি মুখস্ত বুলি। এ জাতি বড় একটা সংঘাতের দিকে এগুচ্ছে খুব ধীরে ধীরে। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
হুমায়ুন সাহেবের বাবাকে পাকীরা হত্যা করলো, ২ ভাই থেকে একজন জনও যুদ্ধেও গেলো না।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৩
স্প্যানকড বলেছেন: উনারা হয়তো এ ব্যাপারে সিরিয়াস ছিলেন না ! অবশ্য উনারা ভালো বলতে পারবেন। বলবেন কি ?
৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: 'দেয়ালে' ভুল ইতিহাস লেখার জন্য আদালত তাকে ডেকে সংশোধন করতে বলেছিল।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৬
স্প্যানকড বলেছেন: হুম, সংশোধন কি করেছিলেন ? ভালো থাকবেন।
৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
স্বাধীনতার মুল্য উনি বুঝেননি, মানুষের আশা ও স্বপ্ন সম্পর্কে উনার কোন ধারণা ছিলো না।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৭
স্প্যানকড বলেছেন: উনি ছিলেন গল্প নিয়া। ভালো থাকবেন।
৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৮
নীল আকাশ বলেছেন: ক্ষমতা থেকে নামুক, ১৯৭২ থেকে ৭৫ এর আসল ইতিহাসও সব বের হবে।
ইতিহাস কাউকেই ক্ষমা করে না।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৯
স্প্যানকড বলেছেন: এখন করেন দূর মিয়া এসব আজাইরা বুলি ছাড়েন ! যে ব্যাডা পারে সে সব অবস্থায় পারে। ক্ষমতা যাইব তারপর মানে কলা ছিলে দাও গিলে খাবে ।
৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: জীবনের শেষ দিকে এসে দেওয়ালের মত একটা ফালতু গল্প বই লিখে গিয়েছেন হুমায়ুন আহমেদ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১০
স্প্যানকড বলেছেন: উনি আর লিখতে পারছিলেন না ব্যবসায়ী হয়ে গিয়েছিলেন।
৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৭
অপু তানভীর বলেছেন: দেওয়ালের বেশির ভাগ লেখা সে নিজে শেষ করে যেতে পারেন নি । তার মৃত্যুর পরে প্রকাশক অন্য কাউকে দিয়ে সেটা লিখিয়েছেন । দেওয়ালের অনেক অংশ দ্য লিগ্যেসী অব ব্লাড বই থেকে নেওয়া ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৩
স্প্যানকড বলেছেন: এইজন্য এমন হইছে বুঝতাছি। দুঃখ একটা দেশের ইতিহাস কেউ ঠিক করলো না। লজ্জা ! লজ্জা ! লজ্জা !
৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সময় কথা বলে । আজকের মাফিয়াদের যারা ধোয়া তুলসী পাতা মনে করে তাদের মধ্যে একজন হুমায়ুনের ভাই জাফর ইকবালও ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৩
স্প্যানকড বলেছেন: হুম, ঘটনা সত্য ! ভালো থাকবেন।
১০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৪
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
হুমায়ন সাহিত্য বিশ্বের মাপকাঠিতে কেমন?
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫৮
স্প্যানকড বলেছেন: জানা নাই ! তবে দেশে খুব জনপ্রিয় ! ভালো থাকবেন।
১১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নিরপরাধ লোকদের হত্যা করা হলো, এর কোন বিচার হলো না। এটা জঘণ্য ঘটনা।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩২
স্প্যানকড বলেছেন: জঘন্য রাজনীতি তাই জঘন্য ঘটনা ঘটে। ভালো থাকবেন।
১২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪১
রানার ব্লগ বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ একজন সাধারন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গীর কথা বলেছেন ।
জিয়া অজস্র লোক কে মেরেছেন আর্মি এ্যক্টের আওতায় ।
জিয়া এই দেশে ছাত্রদের হাতে অশ্র তুলে দিয়েছেন ।
জিয়া এই দেশের একজন রাষ্ট্রনায়কের খুনের সাথে পরক্ষভাবে জড়িত ছিলেন ।
রাষ্ট্রীয় ব্যাবস্থাকে জটিল করে রেখেছেন যার ফল আমরা এখনো ভোগ করছি ।
জিয়া রাজাকার আলবদর দের স্থায়ী করেছেন । গু আজম কে এই দেশে আসার পার্মিশান দিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদ আত্মার সাথে বেইমানী করেছেন ।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪
স্প্যানকড বলেছেন: বেইমানি ভুলে যায় এ দেশের মানুষ ! এদের দুঃখ থাকবে চিরকাল। ভালো থাকবেন রানার ব্লগ।
১৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১২
বিটপি বলেছেন: জিয়াকে কেবল সৎ বলা হয়েছে - তাতেই এত রিএ্যাকশন? জিয়া যে অসৎ ছিল, তার প্রমাণ কি?
তার কি সুইস ব্যাঙ্কে একাউন্ট ছিল? সেই যুগের সমস্ত রাজনীতিকের আছে।
তার কি নিজস্ব মালিকানাধীন কোন বিজনেস ছিল? ব্যাঙ্ক ছিল?
তিনি কি কোন গ্রুপকে কমিশনের বিনিময় কাজ দিয়েছিলেন?
কোন গ্রুপকে খুশি করতে বিশেষ কোন আইন করেছিলেন?
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭
স্প্যানকড বলেছেন: তার ছেলেরা এবং স্ত্রী করেছে এর তো প্রমাণ আছে। জিয়া তো বিশাল কামেল ! সুযোগ পেলে সব করে ছাড়তো । যে লোক গু আজম কে ছাড় দেয় সে কিসের কি ! সত্যি ! আপনারা পারেন ও ! ভালো থাকবেন।
১৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট বংগবন্ধুকে হত্যা করা হয়,
খুনিদের চিফ ছিল জিয়া, আমার সেটাই মনে হয়।
সে ছিল ডেপুটি চিফ। খুনের পর ভোর সকালে ইউনিফর্ম পরে সেজেগুজে রেডি হয়ে ছিল। মোস্তাক ও খুনিদের সাথে অনুষ্টানে যাবে চিফ অব স্টাফ হবে। প্রতিবেশী সেনা অফিসাররা বাসায় যেয়ে বললো "সার প্রেসিডেন্ট নিহত হয়েছে"।
জিয়া নির্বিকার ভাবে দাড়ী কামানো শেষে ফিনিশিং দিচ্ছিল, বললো "সো হোয়াট, ভাইস প্রেসিডেন্ট তো আছে, সমস্যা কি"
আর আসল চিফ অব স্টাফ সফিউল্ল বঙ্গবন্ধু্র বিপদে সাহায্যর জন্য ফোনে কাউকে পাচ্ছে না, কেউ ফোন ধরছে না, নিজে যাবে কিন্তু ড্রাইভারটাকে পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না।
১৫ই আগষ্ট শুধু বংগবন্ধুকে হত্যা করা হয় নি।
কামাল জামাল সহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করলো।
১০ বছরের শিশু রাসেল কোন ভাবে বেচে গেছিল, তাই শেষ রাতে খুজে রাসেলকেও ঠান্ডা মাথায় হত্যা করলো।
এরপরও খুনিরা নিরাপদ বোধ করেনি তাই সেই রাতে আরো ৪ সিনিয়র নেতার বাসায় হামলা চালিয়ে পরিবার সহ ৬২ জনকে মারা হয়েছিল।
তারপরও তাদের সন্তুষ্টি হয় নাই, তাই দু মাস পরেই জেলে থাকা ৪ প্রধান নেতাকে খতম করলো।
পদে পদে নৃসংসতা।
এরপরও কাহিনী শেষ না। রক্ত পিপাসা তখনো মিটেনি,
নিজ বাহিনীর ভিতর শুরু করলো খুনো-খুনি, মুক্তিযোদ্ধা অফিসার খুজে খুজে মারা শুরু হল নিরিহ বিমান বাহিনীকেও ছাড় দেয় নাই। শতশত মেরে ফেলে রেখেছিল, বাকিগুলারে জেলে আটকে একে একে ফাঁসিতে ঝুলাইছে। খুনিদের নেতা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হত্যাকান্ড ফাসি চালিয়ে গেছে। মোট দুই হাজার ৪ শত সেনা অফিসার মারা হয়েছিল মারা হইছিল। পরে নিজেও বাঁচেনাই।
এরপর খুনিদের সেকেন্ড জেনারেশন শুরু করলো গুপ্ত হত্যা জঙ্গি হামলা, গ্রেনেড হামলা। শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যা প্রচেষ্টা হয়েছে।
শহিদুল আলম তো স্পষ্ট ভাবে বলেছে আল জাজিরাকে, "এবার আর ভুল করবেনা অপজিশন। হাসিনাকে টুকরো টুকরো করা হবে!
অতচ মুক্তিযুদ্ধ পক্ষ দু বার ক্ষমতায় এসেও কোন প্রতিশোধ নেন নি, কারো বাসায় অগ্নিসংযোগ হামলা চালায় নি।
প্রথম টার্মে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ২য় টার্মে গণহত্যার বিচার।
বিপরিতে গুপ্ত হত্যা জঙ্গি হামলা, গ্রেনেড হামলা। আর নির্বাচন ফলাফল আসা মাত্র বগুড়া ফরিদপুর রাজশাহি দিনাজপুরে বাসায় অগ্নিসংযোগ হামলা।
৭৫ এর ৩ ডিসেম্বরেও মুক্তিযুদ্ধ পক্ষ কথিত কু এর মাধ্যমে সেনাবাহিনির ভেতর চেইনঅব কমান্ড ফিরিয়ে আনা,
কাউকে মারেনি। একজনকেও গুলি করা হয় নি। জিয়াকেও না, গৃহবন্দি অতচ টেলিফোন ওপেন, ফোনেই তো জেল হত্যার নির্দেশ।
আর মুক্ত হয়েই রক্তগংগা বইয়ে দিল জিয়া গং।
আর এক বার সুযোগ পেলে আগের চেয়ে ভয়াবহ রক্তগংগা বইয়ে দিবে, নিশ্চিত থাকেন।
১৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮
জ্যাকেল বলেছেন: ৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট বংগবন্ধুকে হত্যা করা হয়,
প্রেক্ষাপটঃ বাক্শাল! যা ভয়ানক উপায়ে বাংলাদেশকে গলা চিপে ধরেছিল। এমনকি হাইকোর্টে রিট করার অধিকার পর্যন্ত রদ করা হয়েছিল। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লাটিয়াল বাহিনী চরম নির্যাতন করছিল এমনকি আর্মির বিরুদ্ধেও তারা নো কেয়ার অন্যায় করে যাচ্ছিল।
খুনিদের চিফ ছিল জিয়া, আমার সেটাই মনে হয়।
মনে হয় মানে এইটা মিথ্যাচার।
সে ছিল ডেপুটি চিফ। খুনের পর ভোর সকালে ইউনিফর্ম পরে সেজেগুজে রেডি হয়ে ছিল। মোস্তাক ও খুনিদের সাথে অনুষ্টানে যাবে চিফ অব স্টাফ হবে। প্রতিবেশী সেনা অফিসাররা বাসায় যেয়ে বললো "সার প্রেসিডেন্ট নিহত হয়েছে"।
জিয়া নির্বিকার ভাবে দাড়ী কামানো শেষে ফিনিশিং দিচ্ছিল, বললো "সো হোয়াট, ভাইস প্রেসিডেন্ট তো আছে, সমস্যা কি"
একজন চিফ অফ আর্মি স্টাফ কি তখন আরো জটিল পরিস্তিতি তৈরি করবে? নাকি সে তার দ্বায়িত্ব পালন করবে? (এছাড়া সে তো আর বধির না যে বাকশাল, লাটিয়াল রক্ষীবাহিনীর জঘন্য অনাচার এর ফলাফল তো জানাই ছিল। )
আর আসল চিফ অব স্টাফ সফিউল্ল বঙ্গবন্ধু্র বিপদে সাহায্যর জন্য ফোনে কাউকে পাচ্ছে না, কেউ ফোন ধরছে না, নিজে যাবে কিন্তু ড্রাইভারটাকে পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না।
হুম। উনি কিছুই জানেন না, জানতেন না তাই উনি তুলসি পাতা। ড্রাইভারও সেই সময় খারাপ কিন্তু উনি ভাল লোক।
১৫ই আগষ্ট শুধু বংগবন্ধুকে হত্যা করা হয় নি।
কামাল জামাল সহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করলো।
১০ বছরের শিশু রাসেল কোন ভাবে বেচে গেছিল, তাই শেষ রাতে খুজে রাসেলকেও ঠান্ডা মাথায় হত্যা করলো।
এরপরও খুনিরা নিরাপদ বোধ করেনি তাই সেই রাতে আরো ৪ সিনিয়র নেতার বাসায় হামলা চালিয়ে পরিবার সহ ৬২ জনকে মারা হয়েছিল।
তারপরও তাদের সন্তুষ্টি হয় নাই, তাই দু মাস পরেই জেলে থাকা ৪ প্রধান নেতাকে খতম করলো।
পদে পদে নৃসংসতা।
এই ব্যাপারটা বাড়াবাড়ি ছিল, ইন ফ্যাক্ট বংগবন্ধুর বাংলাদেশ সৃষ্টি থেকেই যে গ্রহনযোগ্যতা ছিল উনাকে হত্যা কোনভাবেই মানা যায় না। নিরপরাধ পরিবার/সদস্যদেরকে এইভাবে হত্যা খুব ভয়ানক কাজ। এই বিষয়ে আমি নিজেও মন থেকে কষ্ট পাই।
এরপরও কাহিনী শেষ না। রক্ত পিপাসা তখনো মিটেনি,
নিজ বাহিনীর ভিতর শুরু করলো খুনো-খুনি, মুক্তিযোদ্ধা অফিসার খুজে খুজে মারা শুরু হল নিরিহ বিমান বাহিনীকেও ছাড় দেয় নাই। শতশত মেরে ফেলে রেখেছিল, বাকিগুলারে জেলে আটকে একে একে ফাঁসিতে ঝুলাইছে। খুনিদের নেতা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হত্যাকান্ড ফাসি চালিয়ে গেছে। মোট দুই হাজার ৪ শত সেনা অফিসার মারা হয়েছিল মারা হইছিল। পরে নিজেও বাঁচেনাই।
বাংলার লোকেদের মইধ্যে এই এক সমস্যা। নিজের দেশের কেউ ঊপরে ওঠে গেলে কিভাবে ইহাকে দমান যায় সেই চেষ্টা থাকে। জিয়াউর রহমান বিশ্বের নামকরা একজন লোক হয়ে ওঠেছিলেন আর দেশে অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন শুরু করেছিলেন। এমনকি আর্মির লোকেরা উনার বিরুদ্ধে ঝামেলা শুরু করে। একজন দক্ষ রাষ্ট্রপ্রধান/নেতা হিসাবে এই সময় কঠোর হওয়া আবশ্যক। তাই তিনি আর্মির বিশৃংখল লোকদের আর্মির আইনেই দমন করেছিলেন।
এরপর খুনিদের সেকেন্ড জেনারেশন শুরু করলো গুপ্ত হত্যা জঙ্গি হামলা, গ্রেনেড হামলা। শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যা প্রচেষ্টা হয়েছে।
জিয়া হত্যার পরে ভারতীয় র এর তৎপরতা বেড়ে যায়। এরই ফল হিসাবে এইসব।
শহিদুল আলম তো স্পষ্ট ভাবে বলেছে আল জাজিরাকে, "এবার আর ভুল করবেনা অপজিশন। হাসিনাকে টুকরো টুকরো করা হবে!
শহিদুল আলম আবার কে?
অতচ মুক্তিযুদ্ধ পক্ষ দু বার ক্ষমতায় এসেও কোন প্রতিশোধ নেন নি, কারো বাসায় অগ্নিসংযোগ হামলা চালায় নি।
প্রথম টার্মে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ২য় টার্মে গণহত্যার বিচার।
বিপরিতে গুপ্ত হত্যা জঙ্গি হামলা, গ্রেনেড হামলা। আর নির্বাচন ফলাফল আসা মাত্র বগুড়া ফরিদপুর রাজশাহি দিনাজপুরে বাসায় অগ্নিসংযোগ হামলা।
খোদ ভারতীয় সাংবাদিক কিছুদিন আগে লিখেছেন, বাংলাদেশে র এর কার্যক্রম খুবই ভয়ংকর। স্বয়ং শেইখ হাসিনাকে ওরা ব্লাকমেইল করে রেখেছে। আর কি বেশি বলা লাগে?
৭৫ এর ৩ ডিসেম্বরেও মুক্তিযুদ্ধ পক্ষ কথিত কু এর মাধ্যমে সেনাবাহিনির ভেতর চেইনঅব কমান্ড ফিরিয়ে আনা,
কাউকে মারেনি। একজনকেও গুলি করা হয় নি। জিয়াকেও না, গৃহবন্দি অতচ টেলিফোন ওপেন, ফোনেই তো জেল হত্যার নির্দেশ।
আর মুক্ত হয়েই রক্তগংগা বইয়ে দিল জিয়া গং।
আর এক বার সুযোগ পেলে আগের চেয়ে ভয়াবহ রক্তগংগা বইয়ে দিবে, নিশ্চিত থাকেন।
আর একবার সুযোগ পাইলে ওরা আওয়ামীলীগকে রক্ত দেখাতে পারে এরপর কুত্তার কামড়াকামড়ি করে নিজেরা মরবে। কারন সেই জিয়া নেই, সেই জিয়ার আদর্শও নাই। আর নিশ্চিত থাকেন, এই বিএনপি আর ক্ষমতার স্বাদ পাইবে না।
১৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪০
স্প্যানকড বলেছেন: তা নিশ্চিত আছি । এ দেশের মানুষ ! কি আর কমু ভাষা নাই কোন। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৪
সাসুম বলেছেন: হুমায়ুন গল্প লেখক। গল্প মানে বানিয়ে বানিয়ে নিজের মনের মত করে ঘটনা লেখা। তো যেই লোক বানিয়ে বানিয়ে গল্প লিখে তার ইতিহাস ভিত্তিক কথাকে কেন আমরা দেবতূল্য ধরে নেব? জিয়া কি ছিল আর ছিল না তা এই যুগে এসে আমি বিচার করার পক্ষপাতী না। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনা। তারেক এর মাঝা ভাংল কে? যাদের রক্তের উপর হোলিখেলা করে তার বাপ ক্ষমতায় এসেছিল।
ইতরে গোয়াজ্জম কে আদর করে ভালোবাসা দিয়ে নিজামী কসাই দের হাতে দেশের পতাকা তুলে দিতে যাদের বাধেনি তারা দেশ প্রেমিক হবে এমন আশা করি কিভাবে?
তারেক এর মা- বিনা চিকিতসায় মারা যাচ্ছে কেন? কারনঃ যুগ ধরে ক্ষমতায় থাকার সময় দেশকে জ্ঞান বিজ্ঞান শিক্ষায় চিকিতসায় উন্নত বানানোর চেয়ে খাম্বা বিজনেস এর হাওয়া বিজনেস এর ধান্দা বেশি ছিল। এত বছর উনি ক্ষমতায় ছিল- যদি দেশকে উন্নত করতে না পারলেন, একটা উন্নত হাস্পাতাল বানাতে না পারলেন, একদল ডেডিকেটেড সার্ভিস হোল্ডার বানাতে না পারলেন, একদল দেশ প্রেমিক বানাতে না পারলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় প্যারা মজিদীয় সিস্টেম বাদ দিয়ে এক্টা এথিকাল ও জ্ঞান ভিত্তিক ব্যবস্থা করতে না পারলেন- তো তার জণ্য শেষ বয়সে এসে দেশে বসে চিকিতসাহীন ( তাদের ভাষায় ) মরতে পারা কি এক জীবনের জন্য যথেষ্ট বিচার নয় ? যেমন কর্ম তেমন ফল।
এবার আসি বর্তমান জমানায়। ঠিক যেই ভাবে তারেক আর তার মা'রা দেশ চালিয়ে গেছেন, এখন তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি ভাল ভাবে দেশ চালানো হচ্ছে। মাফিয়া রাস্ট্রে এখন মাফিয়াগিরী ছাড়া আর কিছুই চলছেনা।
কিন্তু দিন বদল হবেই একদিন। আজ হোক, কাল হোক, ৫ বছর পর হোক, ২০ বছর পর হোক, ৫০ বছর পর হোক। পাপের ফল প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তারে ভোগ করতে হবে আজকের মাফিয়া সরকার পরিচালক দের- ঠিক যে ভাবে তারেক আর তারেক এর মা ভোগ করছে। এবং সন্দেহ ছাড়াই বলে দেয়া যায়- সেই নিয়তির বিচার আরো ভয়াবহ বই কম হবেনা।
দরকার হলে কবরের নীচ থেকে তুলে এনে বিচার করা হবে আজকের মাফিয়া দের। কারন- সময় কাউরে ছাড়েনা। অন্যায় আর অপরাধ করলে একদিন না একদিন সাম্রাজ্য পতিত হবেই হবে। যেদিন গদিতে আগুন লাগবে সেদিন ছাই ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাবেনা। খালি সময়ের অপেক্ষা।