নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।
ছবি নেট । চিত্র শিল্পী নাজির আব নাহিম।
যাহা বর্ননা করতে যাচ্ছি। উহা একটি সত্য ঘটনা। আমার পাশের বাসায় মহল্লার মসজিদের ঈমাম সাহেব বাস করতেন। ঈমাম সাহেবের এক ছেলে এক মেয়ে। উনার স্ত্রী আবার অনেক ফর্সা এবং রূপবতী। জনশ্রুতি আছে ঈমাম সাহেব স্ত্রীর বাড়িতে জাইগীর হিসেবে ছিলেন মানে লজিং মাষ্টার ছিলেন।
স্ত্রীর পড়াশোনার দায়িত্ব কাঁদে তুলে নিয়েছিলেন আর স্ত্রীদের বাসায় বাস করতেন। ঈমাম সাহেব এমন সুন্দরী নারী হাত ছাড়া করতে চাননি তাই ছলেবলে কৌশলে সেই রূপবতী মেয়েকে বিয়ে করে ফেলে। তিনি নাকি তাবিজ করেছেন !
এ কথা উনার স্ত্রী স্বীকার করতেন বলতেন " তাবিজ না করলে এই লোককে কে বিয়ে করে ? "
হুজুর সব সময় ধমক এর উপরে থাকতেন। সে সময় টিভিতে কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের রুপনগর হিট নাটক চলতো। হুজুর এর বাসায় টিভি নাই উহা স্বাভাবিক। কিন্তু এই স্বাভাবিক ব্যাপার হুজুর পত্নী মেনে নিতে পারছেন না। আমাদের বাসায় এসে টিভি দেখতেন ছেলে-মেয়ে সহ হুজুর কখনো আসতেন না।
একদিন কি হলো এশার নামাজ শেষে হুজুর বাসায় এসছেন আর শুরু হয়ে গেছে হইচই! কি ব্যাপার ? কেন এত শোরগোল?পরে জানা গেলো হুজুর পত্নী রুপনগর নাটক দেখতে আসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে হজুর টের পেয়ে ঘরের বাইরে দিয়ে লক করে দাঁড়িয়ে আছেন। সে কি হইচই ! পুরা মহল্লায় বিষয়টি রটে গেল। এখনকার মতন মোবাইল ইন্টারনেট থাকলে লাইভ হয়ে যেতো !
হুজুর পত্নী গোসসা করে তার পরের দিন বাপের বাড়ি ! মাস খানেক থাকার পর হুজুর হাতে পায়ে ধরে নিয়ে আসে। হুজুর পত্নী আক্ষেপ করে বলতো " যদি পড়াশোনা ঠিক মতন করতাম আর মা বাপের কথায় এই ব্যাটারে বিয়ে না করতাম জীবন অনেক সুন্দর কেটে যেতো ! " কি বলেন আপনারা জীবন কি সত্যি সুন্দর কেটে যেতো ?
মসজিদের ঈমাম এর ইনকাম আর কত? যাও রোজার সময় তারাবি পড়াতেন এর বিনিময়ে কিছু ইনকাম হতো তাও বন্ধ হয়ে যায় মসজিদ কমিটির সভাপতির কথায়। কোন এক মাদ্রাসার ছাত্র এনে তারাবি পড়ানো শুরু হলো।
এতে করে হুজুর এর ইনকাম ছোট হয়ে গেলো। যার ফলে ঈদের সময় হুজুর এর ঘরে আগুন ! মানে উনার স্ত্রী পারলে খুন করে! স্ত্রীর চাই সোনার চেইন সাথে শাড়ী, মেয়ের ড্রেস, ছেলের জামা আরও কত দাবি দাওয়া !
হুজুর খালি কয় " আমি ফাইস্যা গেছি মাইনকার চিপায় ! " আসলে কি উনি ফেঁসে গেছেন? নাকি দুনিয়া মুমিনের জন্য জেলখানা সেই জেলে রিমান্ডে আছেন বা সাজা ভোগ করছেন? কি বলেন আপনারা?
তার কি করা উচিত ছিল ? সেই বউকে ডিভোর্স দেয়া ? ইনকাম যাতে বাড়ে সেদিকে আরও মনোনিবেশ করা? কি করা উচিত ছিল ? প্রশ্ন গুলি করলাম কেন জানেন এমন স্বল্প ইনকামের বহু হুজুর আছেন যারা না বলতে পারছে না সহ্য করতে পারেছে। জীবন মানেই কি কোন না কোন মাইনকার চিপায় ফাইস্যা যাওয়া ?
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২৮
স্প্যানকড বলেছেন: বাপ মা ভাবছে পরকালের কথা জীবন ক্ষণিকের। হুজুর এর সাথে থেকে মেয়ে দ্বীনদার হবে আর চ্যালচ্যালাইয়া তারা সকলে বেহেস্তে চলে যাবে । আমাদের সমাজ ব্যবস্থা থেকে রাষ্ট্রের সবখানে ফাক ফোকড় বলতে গেলে বিশাল গর্ত আছে। আর সেই জন্য সমাজে এত বৈষম্য। কারো কাছে এত টাকা কেউ একদম শুন্য ! ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন সব সময়।
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ওনার উপার্জনের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত ছিল। অন্য জায়গায় কাজ খুঁজতে পারতেন, বাচ্চাদের কোরান শেখাতে পারতেন। এত দৈন্যদশায় পড়ার কথা না।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩০
স্প্যানকড বলেছেন: চেষ্টা করছে কিন্তু বাজার এর চাহিদা স্ত্রীর চাহিদার কাছে উহা ছিল নগন্য ! ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪৭
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: এই ধরণের সমস্যায় আছেন অনেকেই। আমার এক কলিগ আমার প্রায় দ্বিগুন বেতন পান। উনার স্ত্রীর বড় বোনের জামাই আছেন সেই রকম মারদাঙ্গা চাকরীতে, টাকা আর টাকা। এই দেখে আমার কলিগের বউতো দুইদিন পরপর থালাবাটি ভাংচুর করে। প্রতি মাসে ভাবীকে বেতনের প্রায় তিনভাগের একভাগ (কমসেকম ১ লাখ টাকা সমপরিমান) দিয়ে দেওয়া হয়; কিন্তু তার তাতে পোষায় না।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৫
স্প্যানকড বলেছেন: কি কন ! কি চাকরি করে যার বেতন এর তিন ভাগ প্রায় ১ লাখ ! বেচারা লাই দিয়া মাথায় তুলছে এহন লাথি উস্টা খাচ্ছে আফসোস ! আমি হলে তো আস্তে করে দরজা খুলে সালাম দিতাম আর চিরদিনের জন্য বিদায় করে দিতাম। এত কষ্টের পয়সার কি দাম নাই ? ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৪
রিফাত হোসেন বলেছেন: জীবনসঙ্গী নির্বাচন করার ক্ষেত্রে শুধু সুন্দরকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত নয়। মেধা, বুদ্ধিমত্তাও জরুরী। এই ভুল আমরা ছেলে সমাজ ও স্বাভাবিকভাবেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত। আয় বুঝে ব্যয়ের প্রতি নজর দেওয়া উচিত ছিল। একজন বুদ্ধিমতী স্ত্রী নিশ্চয় স্বামীর অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নিবে। অবশ্যই সখ থাকতে পারে, শত হোক আমরা শেষ বিকেলে মানুষই। তার জন্য আমাদের জমাতে হবে এবং পরিক্ল্পনা অনুযায়ী অর্থকে বিনস্ত করতে হবে। তবেই না হবে সুখি পরিবার।
সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। মাসে কোটি টাকা আয় করেও অল্প মনে হবে, যদি নিয়ন্ত্রণ না থাকে ব্যয়ের উপর!
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০১
স্প্যানকড বলেছেন: ঘটনা সত্য ! আসলে সংসার একটা বাইসাইকেল এর মতন দুই চাকায় সমান বায়ু থাকতে হবে তাহলে প্যাডেল দিলে আগাবে নইলে কিছুই হবে না। আসলে যত সমস্যা করে মেয়ের চেহারা সুন্দর আর মার কাটকাট ফিগার ! ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩০
বিটপি বলেছেন: হুজুরের নজর খারাপ, আর মেয়ের বাবা মা হল বলদ কিসিমের। এরকম খারাপ নজরের হুজুরের কাছে তারা মেয়ে বিয়ে কিভাবে, সেটাই ভেবে পাইনা। আর হুজুরগিরি করে সংসার চালানো ইসলামে রীতি বিরুদ্ধ। রাসুল (স) এর সময়ে যারা নামাজ পড়াতেন, তারা ঈমামের বাইরেই রোজগারাপাতির জন্য ব্যবসা করতেন, অন্য কাজ করতেন। ঈমামগিরি কোন পেশা হতে হতে পারেনা। নামাজ যে কেউই পড়াতে পারে - এজন্য পয়সা দিয়ে লোক রাখা লাগেনা।
ইমাম তালাক দিতে পারলে তো বেচে যায়। সুন্দরী নারী পাত্রের অভাব হবেনা। কিন্তু ইমামের সামর্থই নাই তালাক দেয়া। সুন্দরী বিয়ে করার মজা এখন হাড়ে মজ্জায় টের পাবে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩২
স্প্যানকড বলেছেন: হুম, ঘটনা সত্য ! হুজুরের লালসা বেশী । এখনকার হুজুরগন আল্লাহ এবং রাসুল সাঃ কে বেঁচে সংসার পেট চালায়। সে ১৪০০ বছর আগের জীবন বা ধ্যান ধারণা নিয়ে নাই। ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভোগবাদী সমাজে আমাদের সবার চাহিদাই সীমাহীন। সীমাহীন চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের রোজগার বাড়েনা এবং দু - একটা ব্যতিক্রম ও অবৈধ উপার্জন ছাড়া বেশীরভাগ মানুষের পক্ষেই সেসব চাহিদা পূরণ সম্ভব হয়না। আর চাহিদা এবং প্রত্যাশা না পূরণের ফলে মানুষের মনে যে ক্ষোভের তৈরী হয় তার ফলে অনেক দুঃখজনক ঘটনাই ঘটতে দেখি আমাদের চারপাশে-সমাজে।
আমরা যে যেই পেশাতেই থাকিনা কেন (শিক্ষক-ঈমাম-কৃষক-শ্রমিক-চাকুরীজীবি) কোন পেশাতেই শতভাগ চাহিদা বৈধভাবে পূরণ সম্ভব না । আর তাই মানুষকে তার চাহিদা ও সামর্থ্যের মাঝে সমন্বয় করে এবং ত্যাগ-সমঝোতার মাঝেই জীবন অতিবাহিত করতে হয়। যারা তা করতে পারে তাদের পরিবার ও জীবন সুখের হয় । আর যারা তা পারেনা তাদের জীবনে হাজারো সমস্যায় হাবুডুবু খায়।
ঈমাম সাহেব যেভাবেই হোক বিয়ে করেছে। সংসারে অভাব আছে থাকবে ও আছে, এটা সত্যি। আর হুজুরের হুরের (বিবির) যে সমস্যা আরো অনেক মানুষের এর থেকেও বড় সমস্যা থেকে থাকে । এমন এক অনেক মানুষ এবং হুজুরের বিবি থেকে অনেক সুন্দরী রমনী আমাদের সমাজেই আছে যারা ২ বেলা পেট ভরে খেতে পারেনা । কাজেই , জীবনে যেটা সবচেয়ে সহজ সেটা হল অজুহাত (অভিযোগ) । জীবনের সকল অবস্থায় ধৈর্য্য ধরে চেষ্টা চালানোর সাথে সাথে মানিয়ে চলা-মানিয়ে নেয়াই সাহস ও বুদ্ধিমানের কাজ ।
আর তালাক কোন কিছুর সমাধান নয় উভয়ের জন্যই । তা কেবল এক সমস্যা থেকে আরেক সমস্যার মাঝে প্রবেশ করা।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৭
স্প্যানকড বলেছেন: হুম, সত্যি বলেছেন। আসলে চারপাশ গিলে খাচ্ছে এ চাহিদা নামক অজগর। হুজুর এর বউ সেই চাহিদার অজগরের কাছে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন এখন বের হতে পারছে না। তবু ভালো উনি যে পরকীয়ায় লিপ্ত হননি বা আরও খারাপ কিছুতে। এইটা সত্যি বর্তমানে নারীগন এত সংগ্রাম করতে রাজি নয়। এরা সব ছবির মতন চায়। ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৩
সাসুম বলেছেন: এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি দোষ মেয়ের বাবা মার। আর কোন দোষ না অপরাধ নেই। দুনিয়াতে যেহেতু ভাল ও স্টাব্লিশ পাত্রের অভাব পড়ছে সো হুজুর যখন সুন্দরী কে চাইছে তখন রাজি না হয়ে উপায় ছিল না।
আর তাবিজ কবল ভুয়া কথা , এসব করে যদি কাউকে বিয়া করা যাইত বাংলাদেশে হাজার লাখ কোটি ছেকা খাওয়া যুবক অনেক আগেই মনের মানুষ পেয়ে যেত।
এই গল্পে হুজুর বা হুজুরের বউ কেই দোষী না , একমাত্র দোষী মেয়ের বাপ মা।