নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।
ছবি নেট ।
বন্ধু মকবুল একটা বাস কাউন্টারে চাকরি করে। তাও এ চাকরি পেতে কত ঘাম ঝরিয়ে পয়সা পাতি দিয়ে পাওয়া। ওর কপালটা আসলেই মন্দ। বাপটা বলা কওয়া নাই হঠাৎ করে ঠুস !
সেভিং বলতে কিচ্ছু নাই। দেশের জায়গা জমি তাও চাচারা দখল করে খাচ্ছে। সেখান থেকে কিছু যে আসবে না এ ও বুঝে গেছে। ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত পড়তে পেরেছে তাও টেনেটুনে। ও খুব স্বপ্ন দেখতো। খুব বড় কিছু হবে। বাপটা মরে যাওয়াতে সব স্বপন ভেসে গেছে। তখন ও একটা মেয়ের সাথে প্রেম করতো টিউশনি করাতে যেয়ে ছাত্রীর সনে প্রেম। মেয়েটার নাম ছিল সোনিয়া।
আমরা বন্ধুরা মিলে এ নিয়ে কতকথা বলতাম, আমি তো জিগাইতাম কিরে কি পড়াছ তোর সোনিয়ারে? রসময় গুপ্ত সাহেবের সাথে পরিচয় করায় দিছত। ও তখন কি যে রেগে যেতো বলতো সোনিয়া অমন মেয়ে না। আমি হাসতাম আর কইতাম, ঠিকই তো টেবিলের তলা দিয়া পা ঘষাঘষি চালাও হাত ধর। আচ্ছা সত্যি বলতো আর কই হাত দিছত? ও তখন একটা খিস্তি দিয়ে আড্ডা থেকে চলে যেতো।
বহুদিন বাদে শাহবাগের বাস কাউন্টারে ওর সাথে দেখা। এই টুকুন একটা খুপরির মধ্যে কেমনে ৮/১০ ঘন্টা থাকে। আমার তো মাথায় আসে না। তাও এই গরমে? ফ্যান আছে ওর মাথার উপর আমি তো উহা দেখিয়া কইলাম, এই বাল না চলিলেও হইবে! লেইখা বাসের মালিক বরাবর পাঠায় দে। সেই চির হাসি মুখ কিন্তু চিন্তার ছাপ যে চোখে মুখে তা স্পষ্ট।
ওরা আমাদের পাড়া ছেড়ে মিরপুর চলে যায়। সোনিয়ার সাথে দেখা করতে আমাদের মহল্লায় আসত। টানা সাত বছর প্রেম করছে মকবুল কিন্তু কোনদিন রুম ডেটিং করেনি ! যা আরেক বিস্ময় আমার কাছে। একবার ওকে কুড়ি হাজার টাকা দিয়েছিলাম সোনিয়াকে স্মার্ট ফোন কিনে দিছিল তখন। এই কয়েক বছর আগের কথা। আমি টাকা দেয়ার সময় কইছি ফেরত দেয়া লাগবে না। দোয়া করি তুই সোনিয়াকে নিয়া সুখে থাক। এ ও সত্যি সবার দোয়া আল্লাহ কবুল করে না। আমারটাও হয়নি। সোনিয়া কথা রাখেনি ওর খালাত ভাই এর সাথে বিয়ে করে ইটালি চলে গেছে। এখন জামাই এর লগে সেলফি তোলে ক্যাপশনে লিখে " লাভ ইউ জান ! "
মকবুল এর লগে ফেসবুকে আছে অন্য নামে। মকবুল এখনো সোনিয়া সোনিয়া করে। আমি বিস্ময়ে ভাবি, এখনকার ছেলেদের মতো মকবুল পাঁচ ছয়টা পিরীত করতে পারে না। মকবুল বলে সোনিয়া সুখে আছে এটাই ওর শান্তি। সোনিয়ার এক ছেলে দুই মেয়ে। মোটা হয়ে গেছে। মকবুল আসলেই মান্ধাতার সেকেলে !
১০ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫৬
স্প্যানকড বলেছেন: সব শেষে প্রতিষ্ঠিত বয়স্ক কাকা আর চলে পরকীয়া ! হা হা হা.... জীবন সত্যি বড্ড বৈচিত্রময় ! ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন খুব।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৪
দারাশিকো বলেছেন: ছাত্রাবস্থার প্রেম-পিরিতির দৌড় ঐ পর্যন্তই। ছেলেরা চায় রুম ডেট, যারা চায় না তারা বন্ধুদের বিদ্রুপের শিকার হয়। মেয়েরা চায় একটা ফ্যান্টাসি আর স্ট্যাটাস। শেষ পর্যন্ত আর্থিক নিরাপত্তা দিতে সক্ষম লোককেই ভালোবাসে, বিয়ে করে। মাঝের এই সময়টা ফান আর ফূর্তি।