![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
★ ভ্যালেন্টাইনস ডে (বিশ্ব ভালবাসা দিবস) কি?
- ২৭০ খ্রিষ্টাব্দের কথা। তখন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস নারী-পুরুষের বিবাহ বাধনে আবদ্ধ হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। তার ধারণা ছিল, বিবাহ বাধনে আবদ্ধ হলে যুদ্ধের প্রতি পুরুষদের অনীহা সৃষ্টি হয়। সে সময় রোমের খ্রিষ্টান গির্জার পুরোহিত ‘ভ্যালেন্টাইন’ রাজার নির্দেশ অগ্রাহ্য করে গোপনে নারী-পুরুষের বিবাহ বাধনের কাজ সম্পন্ন করতেন। এ ঘটনা উদ্ঘাটিত হওয়ার পর তাকে রাজার কাছে ধরে নিয়ে আসা হয়। ভ্যালেন্টাইন রাজাকে জানালেন, খিষ্টধর্মে বিশ্বাসের কারণে তিনি কাউকে বিবাহ বাধনে আবদ্ধ হতে বারণ করতে পারেন না। রাজা তখন তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করেন। কারাগারে থাকা অবস্খায় রাজা তাকে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে প্রাচীন রোমান পৌত্তলিক ধর্মে ফিরে আসার প্রস্তাব দেন এবং বিনিময়ে তাকে ক্ষমা করে দেয়ার কথা বলেন। উল্লেখ্য, রাজা দ্বিতীয় ক্লডিয়াস প্রাচীন রোমান পৌত্তলিক ধর্মে বিশ্বাস করতেন এবং তৎকালীন রোমান সাম্রাজ্যে এ ধর্মের প্রাধান্য ছিল। যা হোক, ভ্যালেন্টাইন রাজার প্রস্তাব মানতে অস্বীকৃতি জানালেন এবং খ্রিষ্ট ধর্মের প্রতি অনুগত থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন। তখন রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন। অত:পর রাজার নির্দেশে ২৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। পরে রোমান সাম্রাজ্যে খ্রিষ্ট ধর্মের প্রাধান্য সৃষ্টি হলে গির্জা ভ্যালেন্টাইনকে ` `Saint' হিসেবে ঘোষণা করে। ৩৫০ সালে রোমের যে স্খানে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল সেখানে তার স্মরণে একটি গির্জা নির্মাণ করা হয়। অবশেষে ৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু পোপ গ্লসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারিকে `Saint Valentine Day' হিসেবে ঘোষণা করেন। ভ্যালেন্টাইন কারারক্ষীর যুবতী মেয়েকে ভালোবাসার কারণে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু পোপ গ্লসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ ঘোষণা করেননি। কারণ, খ্রিষ্ট ধর্মে পুরোহিতদের জন্য বিয়ে করা বৈধ নয়। তাই পুরোহিত হয়ে মেয়ের প্রেমে আসক্তি খ্রিষ্ট ধর্মমতে অনৈতিক কাজ। তা ছাড়া, ভালোবাসার কারণে ভ্যালেন্টাইনকে কারাগারে যেতে হয়নি। কারণ, তিনি কারারক্ষীর মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন কারাগারে যাওয়ার পর। সুতরাং, ভ্যালেন্টাইনকে কারাগারে নিক্ষেপ ও মৃত্যুদণ্ডদানের সাথে ভালোবাসার কোনো সম্পর্ক ছিল না। তাই ভ্যালেন্টাইনের কথিত ভালোবাসা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে’র মূল বিষয় ছিল না। বরং ধর্মের প্রতি গভীর ভালোবাসাই তার মৃত্যুদণ্ডের কারণ ছিল।
★ ভালবাসা/প্রেম কি?
-ভালবাসা হচ্ছে এক কথায় অদৃশ্য অথচ সচ্ছতায় তৈরি এক বস্তু, যা শ্রদ্ধা, আবেগ, সহানুভুতি, স্নেহ, বিশ্বাস এর সমন্বয়ে তৈরি। তবে এই পাচটি ভিত্তির ভেতরে একটি অন্যটির চেয়ে বেশি সত্যরুপে প্রকাশিত হতে পারে সময়, ব্যক্তি ও অবস্থানের ভিন্নতায়।প্রেম হচ্ছে দুটি মনের এক পবিত্র বন্ধন। যার কারণে স্বামি স্ত্রী এক সাথে সারা জীবন থাকতে পারে।
★ বর্তমান সময়ের প্রেম.
"প্রেমের চিরন্তন শিখা চিরদিন জ্বলে এবং জ্বলবে" এই প্রবাদটি আগের দিনের প্রেমিক-প্রেমিকারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করলেও বর্তমান সময়ের প্রেমিক-প্রেমিকার এটা বিশ্বাস করেনা বললেই চলে। মোবাইল, ফেসবুক, হটমেইল, জিমেইল, ইয়াহু, স্কাইপের এ যুগে প্রেম মোবাইলের ব্যালেন্সের মত। মোবাইলের ব্যালেন্স যেমন এই আছে এই নেই তেমনি আজকাল ভালোবাসা ও তমেন হয়ে গেছে। আজকাল প্রায়ই শোনা যায় একজন একই সময় কয়েক জনের সাথে ভালোবাসার অভিনয় করে যাচ্ছেন। বর্তমান যুগে একজন সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে টাইম পাস করা বা সময় কাটানোই যেন এখন কারও কারও কাছে মুখ্য বিষয়। অবশ্যই সেটা ভালোবাসার মূলভিক্তির মধ্যে পড়ে না। একজনকে ক্ষণিকের জন্য ভালো লাগার কিছুদিন পরই আরেকজনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলাটা আর যাই হোক, ভালোবাসা নয়। এ সময়ের নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ের কারণেই আজ এ বিষয়গুলো যেন সাধারণ হয়ে উঠেছে।
সামনে ১৪ ফেব্রুয়ারী তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা:
★ অনেক মেয়ে সতীত্ব হারাবে। পর সেই প্রেমিকই বলবে পতিতা
★ একদিনের এই উন্মাদনায় যখন পাগল হবেন মা বাবা জানবে আপনি অমুক বান্ধবীর বাড়ি অথচ দেরী করে যখন বাড়ি ফিরবেন।
জেনে রাখুন : আপনার মা একটুও চিন্তা করেনি ??
আপনাকে বিশ্বাস করা বড্ড অপরাধ ?? তাই না ?
আপনারও তো ছেলে মেয়ে হবে। যুগ হবে আরো আধুনিক
★ কথিত বয়ফ্রেন্ডের সাথে চুমাচুমি করে ছবি উঠাবেন। ছবি আসবে ফেসবুকে যাবে নোংরা পেজে। মানুষ খারাপ বলবে ।
তাতে কি ??
আপনার চামড়া সাদা। বাপের আছে অঢেল টাকা
ধরুন , বিরাট কোটিপতির সাথে বিয়ে হলো, সব পাপ গোপন।
অথচ হঠ্যাত্ একদিন ছবিগুলো ............ আরে আপি ব্যাপার না
আপনার স্বামী রাতে আপনাকে বুকে জড়িয়েই ঘুমোবে । ভালোবাসবে ।
কিন্তু পাশাপাশি যাতায়াত থাকবে টানবাজারে অথবা মডেলদের সাথে একান্ত মুহুর্ত। এটাও কঠিন কিছু না
মেনে নিন। না মানলে তো খ্যাত হবেন
আপনার স্বামীর কাজের প্রতিবাদ করবেন ?? কি লাভ ??
সে তো আপনাকে পতিতাই বলবে। আপনিই বলুনঃ সে কি অন্যায় করছে ??
যদি হ্যা বলেন !!
তবে , আপনি কি তাকে আগেই ধোঁকা দেন নাই ??
ভালোবেসে বিশ্বাস করা অবশ্যই ভালো, তবে অন্ধ বিশ্বাস চোখ খুলে দেয়।
আর , ভুল মানুষকে বিশ্বাস করলে পাবেন শিক্ষা।
©somewhere in net ltd.