![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
- কিরে কই তুই?
- দাঁড়া এইতো আসতাছি।
- আর কতক্ষণ দাঁড়াবো? দাড়িয়ে থাকতে থাকতে পা ব্যাথা করতাছে।
- প্লিস আর পাঁচটা মিনিট দাঁড়া।
- ওকে। তাড়াতাড়ি আয়।
ফোনটা রেখে দেয় বৃষ্টি। প্রচন্ড বিরক্তির ছাপ নিয়ে শ্রাবণের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে মেয়েটা। দুই বছর আগে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়েছিল। কিনতু ইদানিং মেয়েটা ছেলেটার প্রতি বেশ দুর্বল। শ্রাবণের আপন বলতে দুনিয়াতে তেমন কেউ নেই একমাত্র মামা ছাড়া। ছোটবেলাই গাড়ি অ্যাক্সিডেন্টে শ্রাবণের বাবা-মা দু জনেই মারা যান। সেই থেকে নিশ্চুপ ছেলেটা। সব সময় একা থাকে। মন মরা হয়ে থাকে। হয়তো মায়া থেকেই শ্রাবণের প্রতি ভালবাসা জন্মে বৃষ্টির।
বৃষ্টি চুপচাপ বসে আছে। শ্রাবণ কোনো শব্দ না করে বৃষ্টির পাশে এসে বসে। বৃষ্টি অভিমান করে দূরে সরে বসে। বৃষ্টির অভিমান দেখে শ্রাবণ কানে ধরে বলে-
- সরি সরি সরি। আর কোনোদিন এরকম হবে না। প্লিজ কথা বল।
- প্রতিটা দিন ঠিক এই একি কথা বলিস। ( অন্য দিকে চেয়ে উত্তর দেয় মেয়েটা)
- বল্লামত বাবা আর হবে না।
- ঠিক আছে তাহলে প্রমিজ কর?
- করলাম প্রমিজ। আর এরকম হবে না।
- একটা কথা বললে রাখবি? (আনমনা হয়ে কথাটা বলে বৃষ্টি)
- অবশ্যই রাখব। তুই বলবি আর আমি রাখবনা? বল কি কথা?
- তর সাথে হাত ধরে সারাটা জীবন হাটতে চাই। তর বুকে মাথা রেখে জ্যোস্না দেখতে চাই। চাই তর সুখে দুখে পাশে থাকতে।
চুপচাপ দাড়িয়ে আছে শ্রাবণ। মেয়েটার কথার কোনো উত্তর দেই না ছেলেটা। হয়তো হারানোর ভয়ে ভালবাসতে পারে না। কারণ যাকে বেশি ভালবাসে ছেই যে আগে হারিয়ে যায়।
উৎসর্গ: হয়তো শ্রাবণের মতো পৃথিবীতে অনেক ছেলে আছে। যারা সবসময় একা থাকতে ভালবাসে। হয়তো একা থাকাটা তাদের ভালো অভ্যেসে পরিনত হয়েছে। আর বেঁচে আছে পুরোনো কিছু স্রিতিকে আকড়ে ধরে। জীবনের মূল্য তাদের কাছে নেই। আছে শুধু একরাশ কষ্ট আর বুক ভরা যন্ত্রনা।
লিখা: বরকত উল্লাহ
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১১
কলমের কালি শেষ বলেছেন: আবেগ...আবেগ ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৪
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো !
বরকতউল্লাহ কে ? আপনি !
ভালো থাকবেন