নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাম্প্রতিক সব ঘটনার সত্য তথ্যগুলোর বিচার- বিশ্লেষণধর্মী একটি ব্লগ . . . . . . .

নিঃসঙ্গ দ্বীপ

সত্য আবিষ্কারে সদা প্রস্তুত . . .

নিঃসঙ্গ দ্বীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন্দির ভাঙ্গন এই মুসলিম প্রধান দেশে নতুন নয় , কিন্তু এই সরকারের বেলায় এটি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা . . . . .

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৪২

ঘটনার শুরু হয় বৃহস্পতিবার। সকালে নন্দীর হাট এলাকায় লোকনাথ সেবাশ্রম মন্দিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল। এই উপলক্ষে হিন্দু স¤প্রদায়ের লোকজন ও মন্দিরের ভক্তরা একটি শোভাযাত্রা বের করে। এতে উৎসবের অংশ হিসেবে মাইকের পাশাপাশি ঢোলও বাজানো হচ্ছিল।



স্থানীয়রা জানায়, শোভাযাত্রা স্থানীয় একটি মসজিদ অতিক্রমের সময় মসজিদের মুসল্লিরা ঢোল বাজাতে নিষেধ করে। এক পর্যায়ে মিছিলের পেছন দিকে ঢিল ছোড়া হয়। তখন শোভাযাত্রা থেকে পাল্টা একটি ঢিল ছুড়লে তর্কাতর্কি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।



এরপর সমস্যা সমাধানে পুলিশ দুই স¤প্রদায়ের নেতৃস্থানীয়দের নিয়ে বৈঠক বসে। তবে ওই বৈঠক শুরু করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কালক্ষেপণ করা হয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। মুসলমান স¤প্রদায়ের এক দল বলে, বৈঠকের স্থান হবে মসজিদ। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এতে রাজি হলে সন্ধ্যায় এই বৈঠক শুরু হয়।



বৈঠকে অংশ নেওয়া কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৈঠক চলাকালেই একদল দুবৃর্ত্ত লোকনাথ মন্দিরে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। মন্দিরে আসা বিভিন্ন দর্শনার্থীর সাত-আটটি গাড়িও ভাংচুর করে তারা।





পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অশোক কুমার দেব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকালের ঘটনার পর কেউ গিয়ে মসজিদে কাচ ভেঙে দেয়। তারপর এলাকায় গুজব ছড়ানো হয়, হিন্দু স¤প্রদায় মুসলমানদের মসজিদ ভেঙে ফেলছে। (শুধুই গুজব এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি )



এরপর শুক্রবার সকালে হাটহাজারী এবং আশপাশের এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্রদের জড়ো করে মাইকে ঘোষণা দিয়ে কয়েকটি মন্দির ভাংচুর এবং হিন্দুদের দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়।



শুক্রবার নন্দীরহাট ঘুরে তিনটি মন্দিরে ভাংচুরের চিহ্ন দেখা গেছে । এগুলো হলো- শ্রী শ্রী মগদেশ্বরী মায়ের মন্দির, জগন্নাথ বিগ্রহ মন্দির ও লোকনাথ মন্দির। এর মধ্যে মগদেশ্বরী মন্দিরে আগুনও দেওয়া হয়।



এছাড়া হাটহাজারী উপজেলা সদরে কালীবাড়ি মন্দিরেও ভাংচুরের চিহ্ন দেখা গেছে।

হামলা থেকে হিন্দুদের বাঁচাতে গিয়ে আহত দক্ষিণ পাহাড়তলীর সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার জাফর আলম চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হামলাকারীরা কেউ এলাকার লোক নয়।”



প্রায় ২০ বছর ধরে কমিশনারের দায়িত্ব পালনকারী জাফরের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।



হাটহাজারী বাজারে হিন্দুদের সোনার দোকানে লুটপাটকারীরাও এলাকার নয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।



স্থানীয় অনেকেই বলছেন, সা¤প্রদায়িক একটি গোষ্ঠী এই ঘটনায় ইন্ধন দিচ্ছে। এলাকাটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় এখানে ইসলামী ছাত্রশিবিরের অনেক নেতাকর্মী মেস করে কিংবা বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে লজিং থাকে।



মন্দির ভাংচুরের মাধ্যমে পরিস্থিতিকে অস্থির করতে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এ সালামও।



আওয়ামী লীগের এই নেতা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার পর জামায়াত-শিবির পরিস্থিতি অস্থির করতে ইন্ধন যোগাচ্ছে।”







হাটহাজারীর নন্দীরহাট থেকে তিন কিলোমিটার দূরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষে দুই ছাত্র নিহত হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া দেশের সবচেয়ে বড় মাদ্রাসাটি এই হাটহাজারী এলাকাতেই, যেখানে শিবিরের শক্ত অবস্থান রয়েছে।



বৃহস্পতিবারের পর উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওই এলাকায় যথেষ্ট সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি বলে মনে করেন সালাম।



শুক্রবার সকাল থেকে হাটহাজারীতে সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় মুসল্লিরা। হাটহাজারী থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার আগে (চট্টগ্রামের দিকে) দুপুরে সড়কের ওপর জুমার নামাজও পড়া হয়।



সকালে পরিস্থিতি শান্ত করতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ নন্দীর হাট গিয়েছিলেন। কিন্তু বিফল হয়ে ফেরেন তিনি।



দুপুরের পর মন্ত্রী আফসারুল আমীন প্রথমে নন্দীরহাট যান। সেখান থেকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে হেঁটে হাটহাজারী উপজেলা সদরে যান তিনি। পথে তিনি আশেপাশের লোকজনকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান।



এরপর সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে অবরোধ উঠে গেলে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়।



হাটহাজারীতে ৫০০ পুলিশ, চার প্লাটুন বিজিবি সদস্য নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। র‌্যাব সদস্যরা টহলে রয়েছে।



হাটহাজারী থানা বিএনপির সভাপতি এস এম ফজলুল হক পরিস্থিতির অবনতির জন্য প্রশাসনিক ব্যর্থতাকে দায়ী করেন। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রশাসন শুরু থেকে তৎপরত থাকলে পরিস্থিতি এত দূর গড়াত না।”



এলাকায় স¤প্রীতি রক্ষায় বিএনপির সব নেতা-কর্মীদের কাজ করতে বলা হয়েছে জানিয়ে ফজলুল বলেন, এখন সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।



এদিকে মন্দিরে হামলার পর লোকনাথ আশ্রমের ওই উৎসব আর হচ্ছে না। মন্দির প্রাঙ্গণে বিপুল সংখ্যক র‌্যাব ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।



"এই সরকারের বেলায় এটি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা , আমি ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত । এই অসাম্প্রদায়িক সরকারের বেলায় এমন কাহিনী ঘটলে , বিএনপি সরকার যদি এরপর ক্ষমতায় আসলে তো আমাদের মাইরাই ফেবে । আমরা তখন কোথায় যাব ।ইতোমধ্যে একদল মৌলবাদী মুসলিম কাহিনী বানানো শুরু করে দিয়েছে যে হিন্দুরাই নাকি তাদের উপর প্রথম আঘাত করে । অবাক মৌলবাদী মুসলিম সমাজ , নিজ দোষ ঢাকতে নতুন গল্প ছড়িয়ে দিল । তাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কি তাদের এই শিক্ষা দেয় ! ! ! বাঃ দিতে হচ্ছে একটি গোষ্ঠীকে ! ! !অসাম্প্রদায়িক বাংলার অসাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ড দেখে আমরা অভিভূত । "

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৫

তিথির অনুভূতি বলেছেন: হানা হানি বন্ধ হোক

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ১১:১০

তাইয়িব বলেছেন: হুমম, কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে আসার যোগাড়।

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ১১:১১

তাইয়িব বলেছেন: হুমম, কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে আসার যোগাড়। View this link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.