![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন শিক্ষক...শিক্ষকতার পাশাপাশি পড়তে লিখতে ভালোবাসি..
ইতিহাস সক্রেটিস এবং যিশুর মধ্যে এক অদ্ভূত সাদৃশ্যের সাক্ষ্য দিচ্ছে। সক্রেটিস এবং যিশু দু'জেনই ছিলেন রহস্যময় চরিত্রের অধিকারী, এমনকী তাদের সমসাময়িক লোকজনের কাছেও রহস্যময় ছিলেন তাঁরা। এদের কেউই তাদের মতবাদ বা উপদেশ লিখে যাননি। কাজেই শিষ্যরা তাদের সম্পর্কে যে-চিত্র তুলে ধরেছেন তার উপরই নির্ভর করতে বাধ্য হয়েছি আমরা। তবে আমরা একটা কথা জানি যে, এরা দু'জনই ছিলেন কথোপকথনের কৌশলে ওস্তাদ। তাঁরা দু'জনেই এমন বিশেষ এক আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলতেন যে শ্রোতাদেরকে তা একই সঙ্গে বিমুগ্ধ এবং বিরক্ত করত। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তাঁরা দু'জনই বিশ্বাস করতেন যে তাঁরা তাদের চেয়ে বৃহত্তর কোনো কিছুর হয়ে কথা বলছেন। সমাজের শক্তিকে তাঁরা চ্যালেঞ্জ করতেন সব ধরণের অন্যায়-অবিচার আর দুর্নীতির সমালোচনা করার মধ্য দিয়ে। শেষ পর্যন্ত, তাদের কৃতকর্মের জন্যে তাদেরকে জীবন দিতে হয়েছিল।
সক্রেটিস এবং যীশুর বিচারের মধ্যেও প্রচুর মিল রয়েছে। তাঁরা দু'জনেই যে ক্ষমা ভিক্ষা করে প্রাণে বেঁচে যেতে পারতেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই, কিন্তু তাঁরা দু'জনেই এ-কথা উপলব্ধি করেছিলেন যে, তাদের একটি ব্রত আছে এবং সেই ব্রত ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি তাঁরা কষ্টকর শেষ মুহুর্তটিতে তাদের বিশ্বাসে স্থির থাকতে না পারেন। এবং এ-রকম সাহসিকতার সঙ্গে মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ার ফলে বিরাট একটি অনুগত গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয় তাদের এমনকি তাদের মৃত্যুর পরেও।
এটা সত্য যে তাঁরা দু'জনেই ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারতেন কিন্তু তা করলে তাঁরা সক্রেটিস এবং যীশু হতে পারতেন না। জীবনের চেয়ে তাদের বিবেক এবং সত্যকে বেশি মূল্য দিয়েছেন।
তথ্যসূত্র:
গার্ডার ইয়স্তেন, সোফির জগৎ
©somewhere in net ltd.