নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সংবর্ত

আমি এই ব্লগের নীতিমালা মেনে আমার সৃজনশীলতা বিকাশের চেষ্টা করব

সুব্রত মল্লিক

আমি একজন শিক্ষক...শিক্ষকতার পাশাপাশি পড়তে লিখতে ভালোবাসি..

সুব্রত মল্লিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সহকারী অধ্যাপককে পা ধরালেন ম্যাজিেস্ট্রট-ভূলুন্ঠিত শিক্ষকের মর্যাদা

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:২৫

[img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/Subrata_Mallick/04-2015/a3c745c1f1da69ec97a199ab89b80685_tiny.jpeg
কি বলে শুরু করব ভেবে পাচ্ছি না। পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া কলেজে ঘটে যাওয়া অবিশ্বাস্য এবং ন্যাক্যারজনক ঘটনার ছবিটা যতবার দেখি ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে ওঠে। প্রশাসন ক্যাডারের একজন নবীন কর্মকর্তা দ্বারা ২৪ তম বিসিএস এর একজন সহকারি অধ্যাপক অসহায় ভাবে তিল তিল করে গড়ে তোলা নিজের মর্যাদাকে ভূলুিন্ঠত করতে বাধ্য হলেন। বলা ভালো মোবাইল কোর্টের নামে প্রাপ্ত বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগের ভয় দেখিয়ে ম্যাজিস্ট্রেেটর চেয়ে সিনিয়র এক শিক্ষককে পা ধরাতে বাধ্য করলেন আর দেশের পুরো শিক্ষক সমাজকে অপমান অপদস্থ করে আত্মপ্রাসাদ লাভ করলেন। স্বাধীন দেশের স্বাধীন মাটিতে দাঁড়িয়ে দেখতে হলো সেই ঔপনিবেশিক আমলের দৃশ্য। গত ১৬ এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজে পরিদর্শনে যান ২৯ তম বিসিএসএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আশরাফুল ইসলাম। তিন কক্ষ প্রধানের বিনা অনুমতিতে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করে দেখতে পান দুটি মেয়ে অনেক কাছাকাছি বসে পরীক্ষা দিচ্ছে। তাই দেখে তিনি উক্ত কক্ষে কক্ষ প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালনরত ২৪ তম বিসিএস এর শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা সহকারি অধ্যাপক জনাব মন্তাজ উদ্দীন স্যারকে মেয়ে দুটিকে সরিয়ে বসাতে বলেন। মন্তাজ স্যার তখন খাতা স্বাক্ষর করছিলেন। ম্যাজিস্ট্রেট জানতে চান কখন দিবেন। স্যার বলেন খাতা স্বাক্ষর শেষ হলেই দিব। এরপর ম্যাজিস্টে্রট রেগে যান। মন্তাজ স্যার তখন ঐ ম্যাজিস্ট্রেটের পরিচয় জানতে চাইলে বাক বিতন্ডার সূত্রপাত হয়। ম্যাজিস্ট্রেট তখন মোবাইলে উচ্চস্বরে কথা বলতে থাকে। মন্তাজ স্যার তখন ম্যাজিস্ট্রেটকে রুমের বা্ইরে গিয়ে কথা বলতে বলেন। এর পর ভান্ডারিয়া উপজেলার ইউএনও পুলিশ এবং সাংবাদিক নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হন। এক পর্যায়ে উক্ত কলেজের প্রিন্সিপাল মহোদয়ের রুমে বসে ইউএনও এবং ম্যাজিস্ট্রেট মিলে মন্তাজ স্যারকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে গ্রেফতারের হুমিক দেয় এবং শেষমেষ মামলা এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মন্তাজ স্যারকে ঐ নবীন ম্যাজিস্ট্রেটের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে। এরপর সেই পা ধরার দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়া হয়। একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং ইউএনও হিসেবে তারা নিজেদেরকে এতই ক্ষমতাবান মনে করলেন যে একজন শিক্ষকের মর্যাদাকে ভূলুন্ঠিত করতে তাদের এতটুকু হৃদয় কাপল না। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে তারা বাংলাদেশের গোটা শিক্ষক সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করলেন। অথচ তারা কোনো না কোনো শিক্ষকের কাছে শিক্ষা নিয়ে মানুষ হয়েছেন। তরা দুইজন কি আদৌ মানুষ হয়েছেন??

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩৪

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: এই ধরনের মহামান্য ম্যাজিস্ট্রেেট নিশ্চয় ছা ত্র লি গ করতেন কাজেই সাতখুন মাফ।

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুবই খারাপ লাগলো।

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৬

ওবায়দুল বলেছেন: অমানুষ ....

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২২

সুমন কর বলেছেন: অথচ তারা কোনো না কোনো শিক্ষকের কাছে শিক্ষা নিয়ে মানুষ হয়েছেন। তারা দুইজন কি আদৌ মানুষ হয়েছেন??

না, পশু !! X(

৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩৬

নতুন বলেছেন: এই রকমের ঘটনা ঘটানোর মতন চিন্তা যেই সব অফিসারের মাথা থেকে আসে তাদের শাস্তির দাবি করছি..

এদের দুইজনকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করতে হবে এবং সাজার ব্যবস্হা করতে হবে...

ভান্ডারিয়া কলেজের ছাত্ররা কি করছে?????

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.