নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেম তবু প্রেম নয় (৬ষ্ঠ পর্ব)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪৬




দাদুর বাড়ির দিনগুলি কোথা দিয়ে যে কেটে যায় প্রিয়তি টেরই পায়না।চলে যাবার দিন নৌকায় উঠার পর প্রিয়তি পারের দিকে চায়।আম গাছ তলায় নিলয় দাঁড়িয়েআছে।

সজল রেল লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছিল।কলেজ হতে ফেরার সময় হয়ে গিয়েছে,এখনই এ পথ দিয়ে আসবে।
-সজল অনেক দিন ঘুরলি,এবার ক্ষান্ত দে।
ধ্রুব সজলকে বলে।
সজল কোন উত্তর করেনা।সিগারেটে কষে দুই টান দিয়ে ফেলে দেয়।ধ্রুব খেয়াল করে সজলের চোখ-মুখ উজ্জল হয়ে উঠছে।
প্রিয়তি তার দুই বান্ধবীসহ রেল লাইন ধরে বাড়ি ফিরছে।দূর হতে সজলকে দেখেই প্রিয়তি তার হাঁটার গতি বাড়িয়ে দেয়।সজলের সামনে আসা মাত্র সজল ওদের পথ রোধ করে।পকেট হতে চিঠি বের করে প্রিয়তির হাতে ধরিয়ে দেয়।

ওইদিন রাতে সজলকে তার বেধড়ক পিটায়।সজলের মাকে ওর বাবা বলে দেয় আগামীকাল হতে সজল যেন দোকানে বসে,তা না হলে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ।
প্রিয়তি রেল লাইন ধরে যাওয়া আসার সময় আর সজলকে পায়না।ওর মনের মধ্যে অদ্ভুদ এক অনুভূতি খেলা করতে থাকে।প্রায়ই আশা করে সজলকে দেখবে,কিন্তু সজল আর আসেনা।সজল চিঠিতে কি লিখেছিল প্রিয়তির আর কোনদিন জানা হলোনা।সেদিন চিঠিটা সে মায়ের হাতে দিয়ে দিয়েছিল।

নিলয়ের জীবনে আচমকাই দুর্যোগ নেমে আসে।নিলয়ের বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়।আর প্রথম যখন নিলয়ের বাবার ক্যান্সার ধরা পড়ে,নিলয়কে বিষয়টা কেউ জানায় না।
হলের গেটে নিলয়ের সাথে নিলয়ের রুমমেটের দেখা হয়।
-নিলয় তোমার বাড়ি হতে তোমার খালাত ভাই এসেছে।
ময়না ভাইয়ের কথায় নিলয় খুব অবাক হয়।
রুমে ফিরে দেখে বাড়ি হতে রবিদা এসেছে।
-কিরে রবিদা হঠাৎ?বাড়ির সবাই ভালো?
-হ্যাঁ,সবাই ভালো আছে।তোর পরীক্ষা কেমন হচ্ছে?
-ভালো।আর দুইটি হলেই শেষ।
নিলয় লুঙ্গি পড়ে বাথরুমে যায়।ফিরে এসে কিছুক্ষণ রবিদার সাথে গল্প করে।তারপর একটু ঘুমিয়ে নেয়।বিকেলে রবিদাকে নিয়ে হলের পিছে যায়।সেখানে পার্থ আর জাকিরের সাথে দেখা।
-ক্রপ বোটানীর প্রশ্ন আউট হয়েছে।
জাকির জানায়।
-কার কাছে পাওয়া যাবে?
নিলয় জানতে চায়।
-মুনির ভাইয়ের কাছে আছে।তুই ছাড়া কেউ আনতে পারবে না।
পার্থ নিলয়কে বলে।মুনির ভাই একজন ক্যাডার।সারাদিন রাজনীতি করে বেড়ায়।নিলয়দের চেয়ে পাঁচ বছরের সিনিয়র।ফেল করে করে ওদের ধরে ফেলেছে।মুনির ভাইয়ের সব বন্ধুই টিচার।তাই সবাই চেষ্টা করে মুনির ভাইকে পাশ করানোর।তো গতবার প্যাথলজির ভাইভা বোর্ডে জব্বর কান্ড ঘটেছে।একজন টিচার জানতে চেয়েছিল,মুনির বলতো,ফাঙ্গাস কি খায়?মুনির ভাই স্মার্টলি বলেছিল,কি আবার?ছোট ছোট পোকা-মাকড় খায়।ততোধিক স্মার্টলি প্রফেসর বলেছিল,ফাঙ্গাস আমার বাল খায়না?

সন্ধ্যার দিকে নিলয় মুনির ভাইয়ের নিকট হতে প্রশ্ন নিয়ে আসে।আর রাত দশটার মধ্যে ওর হাতে মোট সাত সেট তথাকথিত ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র চলে আসে।

বাড়ি ফিরে বাবাকে দেখে নিলয় আকাশ থেকে পড়ে।বাবা প্রচন্ড রকম শুকিয়ে গিয়েছে।মাথায় চুল নেই।মা কান্না জড়ানো কন্ঠে জানায়,ক্যান্সারের কথা।নিলয় বাবাকে প্রণাম করে।
-কে আমার পায়ে হাত দেয়?
-বাবা আমি নিলয়।
-কে নিলয়?
-তোমার ছেলে।
-আমার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে।ও শীঘ্রই আমাকে দেখতে আসবে।
বাবার কথা শুনে নিলয় মায়ের মুখের দিকে তাকায়।মা আঁচল চেপে ধরে মুখে।কান্না চাপার প্রানান্ত চেষ্টায় শুধু গোঁ গোঁ শব্দ হয়।নিলয় ধপ করে মেঝেতে বসে পড়ে।নিলয় সব কিছুই দেখতে থাকে আবার কিছুই দেখছেনা।কিছুক্ষণ সময় লাগে ওর,ধাতস্থ হতে।
-কতদিন আগে ধরা পড়লো?


১ম পর্ব (Click This Link)
২য় পর্ব (Click This Link)
৩য় পর্ব (Click This Link)
৪র্থ পর্ব (Click This Link)
৫ ম পর্ব (Click This Link)
চলবে……….

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: শিরোনামটা সুনীলের বইয়ের মতোণ হয়েছে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৮

সুদীপ কুমার বলেছেন: কলেজ জীবনের প্রিয় লেখক।কালবেলা পড়ে সুনীলের প্রেমে পড়ি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.