![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসসালামু আলাইকুম।
বর্তমান তাবলীগ জামাত প্রসঙ্গে কিছু মানুষের ভুল ধারনা এবং সমালোচনার জন্য আল্লাহর দ্বীনের দাওয়াত প্রচারের এরকম এক জামাত বিদআতি দল হিসাবে আখ্যায়িত হয়েছে।কিন্তু এটি আল্লাহ তা আলার মেহেরবানী যে এর দ্বারা এই দাওয়াতি কর্মসূচীতে কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়নি।
তাবলীগ জামাত প্রসঙ্গে মানুষের একটি অন্যতম ভুল ধারনা যেটি সেটি হল মানুষ তাবলীগ জামাতকে মুরজিয়া,শিয়া ইত্যাদি ফিরকার মত একটি ফিরকা মনে করে, এই তাবলীগ জামাতকে হাদিসে বর্ণিত ৭৩ ফিরকার একটি হিসেবেও মনে করে। এটি একটি ভুল ধারনা। কিন্তু হ্যাঁ,দাওয়াতি কর্মসূচীকে খুব গুরুত্ব প্রদানের সাপেক্ষে দলীয় ভাবে এই কর্মসূচীকে চালানো হয়। যাতে করে কাজটি সুষ্ঠু ভাবে হতে পারে। সুতরাং তাবলীগ জামাত দাওয়াত প্রচার করার জন্য একটি ফরম্যাট মাত্র, আকিদা গত পার্থক্য মুলক কোন দল নয়। আহলে সুন্নাহ অয়াল জামাত এর আকিদাই তাবলীগ জামাতের লোকদের আকিদা।
আবার আল্লাহ তা আলা নিজেই বলেছেনঃ وَلْتَكُن مِّنكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ ۚ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
অর্থঃ আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা আহবান জানাবে সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দেবে ভাল কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে, আর তারাই হলো সফলকাম।[ আল ইমরান-১০৪]
এখানে আল্লাহ তা আলাই বলছেন যে দলটি, আমাদের মধ্য থেকেই হওয়া উচিত অর্থাৎ দলটি মুসলমানদের মধ্য থেকেই একটি বিশেষ দল যা শুধুমাত্র সৎকর্মের দিকে নির্দেশ দেবে অসৎ করম থেকে নিষেধ করবে।
ইবনে কাসির (র) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন,'এটা অবশ্যই স্মরণ রাখার বিষয় যে প্রত্যেকের উপরেই স্বীয় ক্ষমতা অনুযায়ী দ্বীনের প্রচার ফরয। কিন্তু তথাপিও একটি বিশেষ দল এ কাজে লিপ্ত থাকা প্রয়োজন’।(তাফসিরে ইবনে কাসির)
আমার জানামতে প্রচলিত তাবলীগ জামাত ছাড়া এই বিশেষ কাজের জন্য তৈরি আর কোন বিশেষ দল চোখে পরে না। সুতরাং তাবলীগ নামক দাওয়াতি কর্মসূচী যা সারাবিসসে দলীয় ভাবে পরিচালিত হচ্ছে,তা কোন ফেরকাবাজি নয়,বরং আল্লাহ তা আলার ইচ্ছা। কিন্তু তাবলীগ জামাত এরকম কোন দল নয় যা আলাদা কোন বা নতুন কোন মতবাদ বা আকিদা প্রচার করছে।
তাবলীগ জামাতের বেশির ভাগ সমালোচনা হয় দাওয়াতদাতাদের জন্য। সাধারন মানুষ যারা আল্লাহর রাস্তায় সময় দিয়ে দাওয়াতের কাজ করে আসে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ নিজেদেরকে অনেক জ্ঞানী গুণী মনে করতে থাকে,এমনকি কেউ কেউ সুযোগ পেলে আলেমদের ভুল ধরে বসে। তাই যারা দাওয়াতের কাজ করবে তাদেরকে অবশ্যই তাবলীগের আদব শিক্ষা করা জরুরী।এবং যেকোনো দাওয়াতের কাজের ব্যাপারে আলেমদের সাথে পরামর্শ অর্থাৎ মাসোয়ারা করে কাজ করা উচিত। আলেমদের সহবতও একান্ত জরুরী।
কিন্তু আফসোস বরতমানে লোকেরা আলেমদের অনুসরন করতে লজ্জাবোধ করেন কেউ কেউ তো ইমামদের আনুজ্ঞত্ত করাকেও লজ্জাজনক মনে করেন।(ইত্তিবায়ে উলামা ৩৪৮)।
এছারাও কিছু দাওয়াতদাতা অর্থাৎ তাব্লিগয়ালা কিছু আমলের ব্যাপারে অজ্ঞতাবশত বাড়াবাড়ি করে,এর ফলে জনসাধারনের মনে তাবলীগ জামাতের ব্যাপারে বিরুপ ধারনা সৃষ্টি হয়।
মনে রাখতে হবে, উপদেশ দেওয়ার সময় অবশ্যই কোমলতা অবলম্বন করতে হবে,কখনও কঠোরতার আশ্রয় নেওয়া যাবেনা।(আল ইতমাম লি নিয়মাতিল ইসলাম ১১১)
আসসালামু আলাইকুম।
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৫
সোনালী প্রান্তর বলেছেন: View this link
৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৩২
শার্ক বলেছেন: you are escaping the main points.
also u never follow sunnah and dont follow anything beyond your fazael amal. i declare i will go with you if you read bhukhari in your talim.
৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১০
আবদুস সবুর খান বলেছেন: সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ। এটা পড়ার আমন্ত্রন . . .
Click This Link
৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৮
আলতামাশ বলেছেন: জাযাকাল্লাহ
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৪
সোনালী প্রান্তর বলেছেন: View this link