![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আলহামদুলিল্লাহ্
রেড কার্ডধারী হয়ে চিটাগং আসার পর, কয়েকদিন বিধ্বস্ত হয়ে বাসায় পড়ে ছিলাম।তখন শীত আসি আসি করছে।ঘাসের ডগায় শিশিরবিন্দু জমতে শুরু করেছে কেবল।তখনও প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য অনুভব করতে খুব একটা শিখি নি।
সেই কোন এক হালকা কুয়াশা পড়া শীতের রাতে হাঁটছিলাম আমরা।সেই পরিচিত রাস্তাটা ধরে।
আমরা সেদিন দুই জনই ছিলাম।
তবে আরেক জনের অনুপস্থিতিটা আমাদের কে পোড়াচ্ছিল।সে হয়ত তখন কর্নফুলীর ওপারে কটমটে কোন পড়া মুখস্থ করছে নয়ত খুব পানিশমেন্ট খাচ্ছে কোন সিনিয়র এর হাতে অথবা খুব লুকিয়ে হয়ত পুরনো ডায়েরীটা লিখে চলেছে।
আমি আর সে শুধু হাটঁছিলাম।সদ্য স্বপ্ন ভাঙার বেদনায় আমি চুপ ছিলাম নাকি তাকে শোককথন শোনাচ্ছিলাম,আজ আর মনে নেই।শুধু মনে আছে,সেই মাঠটায় সেদিন কুয়াশারা মিলে একটা সাদা চাদর বুনেছিল।সেই চাদরটা খুব ধরতে ইচ্ছে হয়েছিল আমাদের।
তখন রাত।রহস্যেঘেরা কালো রাত।
আমরা দু'জন ভাবলাম,আজ কুয়াশাস্নান করব।সাদা সুতো কাটা বুড়িমার মত.....কি শুভ্র সেই কুয়াশা!সবুজ ঘাসগুলোকে পরম মমতায় স্নান করিয়ে দিচ্ছে সে।
শিশিরস্নাত সবুজ গালিচা মারিয়ে আদুল পায়ে চলতে লাগলাম আমরা।আহহহ.....এত্ত ঠান্ডা!!!বিগত ৪দিনের পরিশ্রমে টিবিয়া-ফিবুলাতে তখন অসম্ভব যন্ত্রনা!কোন এক অসতর্ক মূহূর্তে তক্তাটা বেকায়দা হয়ে, আমিও মুখ থুবড়ে পড়ে যাওয়াতে এ করুন অবস্থা!
সেদিন শিশিেরসিক্ত সবুজ রঙের শিশুগুলো, তাদের হিম হিম তুলতুলে হাত দিয়ে আমাদের খুব আদর করেছিল!তাদের এই পবিত্র স্পর্শে ব্যাথাটা মূহূর্তে হাওয়া হয়ে গিয়েছিল।
অথচ আমি ভেবেছিলাম, কেউ একজন আমাকে বলবে,
"তোর মুখটা এত নীল-নীল লাগছে কেন?"
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৯
সুলতানা সালমা বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪০
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: Very nice
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭
সুলতানা সালমা বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৯
কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারন।
শুভ কামনা জানবেন।