নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"Be respectful to Women, for they are the Mother\'s of mankind.\" [Ali r.a.]

সুলতানা সালমা

আলহামদুলিল্লাহ্‌

সুলতানা সালমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্দানশীন হয়েছি, এলিয়েন নই!

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৭

যেসব নারীরা প্রোপারলি পর্দা করেন, সমাজের অনেক মানুষ তাদেরকে ওঁচা চোখে দেখতে ভালবাসেন!
প্রোপারলি হিজাব করলে খ্যাত লাগে, ঢিলেঢালা বোরকা পড়লে আন্টি- আন্টি লাগে, গোপনে ডাকা হয় "আলখাইল্যা খালা"!
আর নিকাব করলে তো শ্যাষ! গেল রে গেল, মেয়েটা জঙ্গি হইয়া গেল রে!
জামাই তো এবার ISIS থেকে ধইরা আনতে হবে!
নাহ, এ সমস্ত বাঙালি নারীকুল এর জন্য নারীমুক্তি অসম্ভব!
সমাজটা আবার বর্বর যুগে ফেরত যাইতেছে!
ধিকঃ, ধিকঃ! /:)

আপনারা/আপনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা হতে দুরে থেকে নিজের কিছু কথা লিখছি:

"আমিও একজন সাধারণ মানুষ;এলিয়েন নই।
আমারো অনুভূতি আছে।
আমিও একজন আবেগপ্রবণ বাঙালি।
পুরোনো আড্ডাতে, সরপড়া কড়ড়া দুধ-চা কখনো কফি খেতে ভালবাসি।
বান্ধুবিদের সাথে বসে ফুচকা, চটপটি নয়ত মামার দোকানের সিঙারা খেতে ভালবাসি।
এক প্যাকেট চিপস কিনি।এরপর হই হই করে ৫/৬ জন মিলে গ্যাসভর্তি চিপস এর প্যাকেট টা খালি করে ফেলতে ভালবাসি।
অই যে আংকেল টা ঝালমুড়ি বিক্রি করেন, সেটা দিয়ে ছোটখাটো "ঝালমুড়ি পার্টি" করতে ভালবাসি।
প্রচন্ড গরমে ঝাল ঝাল কাচা আমের ভর্তা খেতে ভালবাসি।

আম্মু যাতে না দেখে, তাই লুকিয়ে লুকিয়ে বই পড়তে ভালবাসি।
"জোছনা ও জননীর গল্প", "মা", "একাত্তর এর ডায়েরী " সহ বিভিন্ন মুক্তিযুদ্ধের বই পড়ে কতবার যে চোখের নোনা-জল বইকে ঝাপসা করে দিয়েছে তার ইয়ত্তা নেই।
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দোয়া করতে ভালবাসি: "হে আল্লাহ, তুমি সব মুক্তিযোদ্ধাদের জান্নাতবাসী করো।আমিন।"

ভাই-বোনদের সাথে খুনসুটি করতে ভালবাসি।
গলে যাওয়া আইসক্রিম নিয়ে কাড়াকাড়ি করতে ভালবাসি।

আম্মুর সাথে দুষ্টুমি করতে ভালবাসি।মাকে মিষ্টি করে জ্বালা তে ভালবাসি। :P
বাবার কাছে ছোট্ট খুকিটি থাকতে,বায়না ধরতে ভালবাসি। =p~

আপনজনদের উপর অভিমান করতে,মুখ ফুলিয়ে রাখতে ভালবাসি।
প্রচন্ড দুঃখে বুক ভাসিয়ে কান্না করতে ভালবাসি।

গোধূলিলগ্নে আনমনা হয়ে বসে থাকতে ভালবাসি।
ঝুম বর্ষণে আকাশের দুঃখ ছুঁয়ে দিতে ভালবাসি।
যে রাতে শুভ্র জোছনা গলে গলে পড়ে, সে রাতে অবাক আমি ভাবুক হয়ে কবিতা লিখতে ভালবাসি:
"যে প্রভুর সৃষ্টি এত সুন্দর,না জানি তিনি কত সুন্দর! "

পুনশ্চ: আমরা আল্লাহকে ভালবেসে পর্দা করেছি,
কাপড় দিয়ে আমাদের
মাথা ঢেকেছি,
মেধা নয়।

মন্তব্য ১২৯ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (১২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১০

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লেখা। পর্দাশীন থাকুন। মার্জিত থাকুন।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

সুলতানা সালমা বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩২

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: " আল্লাহকে ভালবেসে পর্দা করেছি,
কাপড় দিয়ে আমাদের
মাথা ঢেকেছি,
মেধা নয়।"

দারুন বলেছেন আপু!! +

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

সুলতানা সালমা বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫১

ডা: শরীফুল ইসলাম বলেছেন: আল্লাহ আপনার সহায় হোন। লেখায় ++++++

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

সুলতানা সালমা বলেছেন: আমিন।
ধন্যবাদ। :)

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:২০

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আমরা আল্লাহকে ভালবেসে পর্দা করেছি,
কাপড় দিয়ে আমাদের
মাথা ঢেকেছি,
মেধা নয়।


অপুর্ব...................ধন্য হে মা ফাতিমা(রা.),মা আয়শা(রা.) এর উত্তরসুরি
হৃদয় থেকে সালাম এবং দোয়া।

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

সুলতানা সালমা বলেছেন: এত দারুন কমেনটের জন্য ধন্যবাদ।ধন্যবাদ। :)

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৯

বিপরীত বাক বলেছেন: সাম্প্রদায়িক ও সংকীর্ণ কথাবার্তা।
বাস্তব সত্য হলো ৯০% হিজাব বা বুরখা আলি সাধারণতঃ কয়েকটি কারণে এটা করে।

১) অসুন্দর মাইয়া জামাই জোটানোর ধান্দায়।
২) ফ্যাশন করার জন্যে।
৩) ভাল জামার ল্যাক ফিলআপ করতে বাইরে আচ্ছাদন দেয়া।
৪) আকাম কুকাম করার ধান্দায়।

etc.

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২০

সুলতানা সালমা বলেছেন: ১)"অসুন্দর মাইয়া জামাই জোটানোর ধান্দায়"??? এটা দিয়ে কি বুঝাতে চাইলেন? :/
আমাদের দেশে কালো মেয়েদের সাধারনত অসুন্দর ধরা হয়।আপনার কমেন্ট রেসিজমকে উস্কে দিচ্ছে।
আর জানেন ত, সুন্দর জিনিস দেখতে হলে, দেখার চোখ থাক তে হয়।
২)যেসব নারীরা প্রোপারলি পর্দা করেন,তাদের কথা বলেছি, ফ্যাশনিস্ট দের কথা এখানে বলিনি
৩)আরেক জনের জামা ভাল না খারাপ তা দিয়ে আমাদের কি? সংকীর্ণ কথা বার্তা।
৪)যারা আকাম কুকাম করার ধান্দায় বোর কা পড়ে তারা প্রোপারলি পর্দানশীন দের কাতারে নন। এখানে তাদের ব্যাপারে বলি নি।যারা আকাম কুকাম করে তারা ভাত খায়। আসেন আম রাও ভাত খাওয়া ছেড়ে দেই

৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

নতুন বলেছেন: স্বালীন পোষাক পরা মাজি`ত রুচির পরিচয় দেয়। অবশ্যই স্বালীন পোষাক পরা উচিত...

কিন্তু আফগানী স্টাইলে হিজাব,নেকাব, পড়া কি কোরানে কোথাও উল্লেখ করা আছে?

আল্লাহ মাজিত` পোষাক পরতে বলেছেন এবং এমন ভাবে যাতে নারীকে চেনা যায়... কিন্তু আফগানী স্টাইলটা কি পুরাই কট্টরপন্হি নয় কি?


উপরের ছবির মতন নারীদের দেখে আমার খুবই কস্ট লাগে.... একটা মানুষ তার স্বাভাবিক বিষয় খাওয়া বা পানি পানও সে দুনিয়াতে স্বাভাবিক ভাবে করতে পারবে না?

এটা বাড়াবাড়ী... এই বাড়াবাড়ীর জন্যই মানুষ বোরকা/হিজাবের সমালোচনা করে.... এটা যদি সুধুই স্বালীন পোষাক পরার জন্য থাকতো তবে সবাই অনুসরন করতো।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৯

সুলতানা সালমা বলেছেন: আমি নারী। আমি কি পড়ব,কি খাবো,কি করব না করব তা আমার স্বাধীনতা।
আফসোস,৮ মার্চ এর জন্য! :'(

৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

আহলান বলেছেন: ভালোই তো ... আমরা চাই আমাদের ঘরের মা বোনরা পর্দা করুক, আর ঘরের বাইরের মেয়েরা খোলামেলা চলাফেরা করুক ... বিয়ের সময় দেখি মেয়ে কতটা পর্দানশীল, ধর্মিয় আদব লেহাজ জানে কিনা, নামাজ কালাম পড়ে কিনা, আর অন্য সময় দেখি কতটা আধুনিক পোশাকে আচরণে .... জয়া আহসানের অভিনয় দেখে বাহবা দেই, আর এই কাজ যদি ঘরের কেউ করে তো তখন লা হাওলা ওয়ালা ক্যুয়াতা ...

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮

সুলতানা সালমা বলেছেন: হাহাহা। :)
মন্তব্য নয় যেন, সুশীলদের মাথায় ফেলা হাইড্রোজেন বোমা!!!

৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:১২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি নারী। আমি কি পড়ব,কি খাবো,কি করব না করব তা আমার স্বাধীনতা।
আফসোস,৮ মার্চ এর জন্য! :'(


একজন মানুষ বাইরে বসে পানি পান করবে....

কিন্তু সেটা তাকে লুকিয়ে করতে হবে? এটা কতটা যৌক্তিক এবং মানবিক?

একজন নারী পানি পান করছে সেটা দেখলে এমন কি সমস্যা হয়?

আর আপনি যে এই নেকাবের সমথ`ন করবেন সেটা কি আপনার স্বাধীনতায় না কি ধম`গুরুর কট্টর ভুল ব্যক্ষার শিকার হয়ে?

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

সুলতানা সালমা বলেছেন: ১)হাহাহহাহাহাহাহাহাহাহাহহাহাহাহাহাহাহহাহাহাহাহাহহাহহহা......... :) :) :)
১)আচ্ছা,একজন নারী হা করে পানি পান করছে সেটা কি দেখার মত কোন বিষয়???
জানেন,এইগুলা খুব বিরক্তিকর ব্যাপার!
আপনাদের মত কিছু পুরুষদের কারনে, নারীরা আজ পন্য হয়ে গেছে। শেভিং কীটসের বিজ্ঞাপনেও আজ নারী! এটা বুঝি খুব যৌক্তিক, মানবিক আর শালীন???
আমি নারী,আমিও মানুষ।আমি পন্য নই। নই কোন পন্যের দুত যে আমার ঢকঢক করে পানি পান করার মত ব্যাপার টাও
দেখতে হবে। :/
নারী মডেল সব খুলে রাখলে বড়ই মানবিক! ঢেকে রাখলেই খালি সমস্যা???দেখা যায় না! :/
২)নেকাবের সমর্থন করছি সেটা আমার নারী স্বাধীনতায় আলহামদুলিললাহ! আল্লাহ আমাকেও বিবেক-বুদ্ধি দিয়েছেন আলহামদুলিললাহ!

৯| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৫

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: ''নতুন'' এর সাথে একমত।

হিজাব বা বরখা পরা মানে এই নয় যে , আপনি দুনিয়ার যাবতীয় কাজকর্ম থেকেও নিজেকে বাঁচিয়ে চলবেন। যদি হিজাব পরে স্বাভাবিক কাজকর্ম গুলো না করতে পারলেন , তবে হিজাবেও প্রশ্ন থেকে যায়। কোরানেই বলা হয়েছে , তোমরা নিজদের মাথা ও বক্ষ আচ্ছাদিত কর [ আয়াতের সারমর্ম , বিস্তারিত কোরানে ] । এ ক্ষেত্রে বরখা অনেকটাই নারী দের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রাখার মত কাজ করে। নারীজাতির অগ্রদূত বেগম রোকেয়া এ ক্ষেত্রে , আপনাদের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারেন।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

সুলতানা সালমা বলেছেন: ১)হিজাব বা বোরখা পরেছি মানে এই যে , আমি দুনিয়ার যাবতীয় কাজকর্ম থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলব! একথা কৈ বললাম?
২)হিজাব, বোরখা,নেকাব পরে স্বাভাবিক কাজকর্ম গুলো করতে পারি আলহামদুলিললাহ!
৩) 'হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিনদের নারীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।' (সূরা আহযাব : ৫৯)
"(হে নবী!) মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। তারা যেন সাধারণত যা প্রকাশ থাকে তা ছাড়া নিজেদের আভরণ প্রদর্শন না করে।' (সূরা নূর : ৩১)
"তারা যেন গ্রীবা ও বক্ষদেশ মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে। "... (সূরা নূর : ৩১)
"তারা যেন তাদের গোপন আভরণ প্রকাশের উদ্দেশ্যে সজোরে পদক্ষেপ না করে। হে মুমিনগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।" (সূরা নূর : ৩১)
"ইহরাম গ্রহণকারী নারী যেন নেকাব ও হাতমোজা পরিধান না করে।" (সহীহ বুখারী ৪/৬৩, হাদীস : ১৮৩৮)
৪)বোরখা নারী দের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রাখার মত যদি কাজ করত তবে জেলের কয়েদিরা বোরখা পড়ে ঘুরে বেড়াত!
৫) ফাতিমা(রা.),মা আয়শা(রা.) আমাদের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত !
আর বেগম রোকেয়ার লেখা পড়তেও ভাল লাগে।

১০| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: উপরে ''নতুন'' এর কমেন্ট এর উত্তরে আপনার বক্তব্য স্পষ্ট যে , বোরখা পরা অবস্থায় নারীদের যারপরনাই জনসম্মুখে কোনো কাজে বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়তে হয় । কিন্তু আমি বোরখা অথবা হিজাবের বিপক্ষেও নই , সমস্যা হচ্ছে বোরখা কে ফরজ মনে করে তা পালন করা। আফগানিস্তান অথবা সৌদিতে অতি গরমেও আপনি বোরখা নামক খাঁচাতে বন্দী , ভাবুন একবার সেই জায়গায় নিজেকে। বোরখা অথবা হিজাব ছাড়াও নারীরা কোরানে দেয়া নির্দেশ মেনেই পর্দানশীল হতে পারে। অনেক হ্বজ করা নারীকেও দেখেছি বোরখা ছাড়াই খুব শালীনভাবে পর্দা রক্ষা করে চলছেন। কোরানের আয়াত উদ্ধৃত করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৫

সুলতানা সালমা বলেছেন: অগ্নিঝরা আগন্তুক,আপনিও ভালো থাকবেন।

১১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

আরজু পনি বলেছেন:

আমরা আল্লাহকে ভালবেসে পর্দা করেছি,
কাপড় দিয়ে আমাদের
মাথা ঢেকেছি,
মেধা নয়। ...কথাগুলো ভালো লেগেছে...তাই কোট করলাম।
শুভেচ্ছা রইল, সুলতানা সালমা।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৩

সুলতানা সালমা বলেছেন: পড়ে মতামত জানানোর জন্যে অনেক ধন্যবাদ, আরজু পনি আপু।
অনেক দোয়া আর ভালবাসা রইল আপু আপনার জন্যে । :) :) :)

১২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ১)হাহাহহাহাহাহাহাহাহাহাহহাহাহাহাহাহাহহাহাহাহাহাহহাহহহা......... :) :) :)
১)আচ্ছা,একজন নারী হা করে পানি পান করছে সেটা কি দেখার মত কোন বিষয়???
জানেন,এইগুলা খুব বিরক্তিকর ব্যাপার!


এটা দেখার বিষয় না। কিন্তু একজন মানুষ সাভাবিক ভাবে তার মানবিক কাজ গুলি করতে পারছেনা সেটা দেখতে খারাপ লাগে।

আপনাদের মত কিছু পুরুষদের কারনে, নারীরা আজ পন্য হয়ে গেছে। শেভিং কীটসের বিজ্ঞাপনেও আজ নারী! এটা বুঝি খুব যৌক্তিক, মানবিক আর শালীন???


এটা অবশ্যই নারীর চরম অবমাননা যে তাকে শেভিং কীটসের বিজ্ঞাপনে দাড়াতে হচ্ছে.... :(

আমি নারী,আমিও মানুষ।আমি পন্য নই। নই কোন পন্যের দুত যে আমার ঢকঢক করে পানি পান করার মত ব্যাপার টাও
দেখতে হবে। :/
নারী মডেল সব খুলে রাখলে বড়ই মানবিক! ঢেকে রাখলেই খালি সমস্যা???দেখা যায় না! :/


আপনাদের খুলে দেখার জন্য আমি বলিনি... বলেছি ঢেকে রাখার নামে যে চরম কট্টরপন্হা অবলম্বন করে থাকেন আপনারা।

আমাদের দেশের নারীরা শাড়ী, ত্রীপিস এগুলি যথেস্থ স্বালীন পোষাক... সেটাতে কি ক্ষতি?


২)নেকাবের সমর্থন করছি সেটা আমার নারী স্বাধীনতায় আলহামদুলিললাহ! আল্লাহ আমাকেও বিবেক-বুদ্ধি দিয়েছেন আলহামদুলিললাহ!

আপনি অবশ্যই স্বাধীন না... যে নারী পানি পানের মতন কাজটিও কাপড়ের আড়ালে করে তাকে স্বাধীন বলছেন আপনি??

=p~ হাসি পেলো আমার... চিন্তা করুন...বাক্সের বাইরে গিয়ে..বাইরের দুনিয়াতে কোটি নারী আছে..যারা নেকাব পড়েনা...তারাও স্বালীন পোষাক পরে...তারাও ভাল আছে..

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৮

সুলতানা সালমা বলেছেন: আমারো হাসি পেলো। ধন্যবাদ নতুন। ভাল থাকবেন।

১৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

নতুন বলেছেন: ৩) 'হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিনদের নারীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।' (সূরা আহযাব : ৫৯)

এই আয়াতে নারীদের এমন ভাবে পদা` করতে বলা হয়েছে যাতে তাদের চেনা যায় তাই না??

তাহলে আফগানী বোরকাতে আপনি কিভাবে চিনতে পারবেন?

আর উপরের ছবিটা কি আল্লাহের নিদেশ` অমান্য করেছে কিনা? এখানে কিভাবে আপনাকে কেউ চিনতে পারবে??

নারীর স্বালীন পোষাক পড়লেই চলে। এলিয়েন হবার দরকার নেই।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩২

সুলতানা সালমা বলেছেন: 'হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিনদের নারীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।' (সূরা আহযাব : ৫৯)
"(হে নবী!) মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। তারা যেন সাধারণত যা প্রকাশ থাকে তা ছাড়া নিজেদের আভরণ প্রদর্শন না করে।' (সূরা নূর : ৩১)
"তারা যেন গ্রীবা ও বক্ষদেশ মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে। "... (সূরা নূর : ৩১)
"তারা যেন তাদের গোপন আভরণ প্রকাশের উদ্দেশ্যে সজোরে পদক্ষেপ না করে। হে মুমিনগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।" (সূরা নূর : ৩১)
"ইহরাম গ্রহণকারী নারী যেন নেকাব ও হাতমোজা পরিধান না করে।" (সহীহ বুখারী ৪/৬৩, হাদীস : ১৮৩৮)

আমি আফগানী বোরকার মাঝে অশালীন কিছু দেখছি না।সেটা তাদের ব্যাক্তি স্বাধীনতা।
রোগের ঔষধ দেন ডাক্তার।আর দ্বীন শিক্ষা দেন আলেম/শায়েখ/তাদের সমর্থিত ব্যাক্তি বিশেষ ।
এনশিয়েন্ট স্কলাররা কোরান আর সহি হাদিস ঘেটে পর্দার ব্যাপারে ফতোয়া দিয়ে গেছেন।
ধন্যবাদ নতুন। ভাল থাকবেন। :)

১৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩১

শেয়াল বলেছেন: ইসলাম নিয়া বাড়াবাড়ি করে এরা এলিয়েন বানাচ্ছে মহিলাদের।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

সুলতানা সালমা বলেছেন: আচ্ছা শেয়ালপন্ডিত ভাই, কারা এলিয়েন বানাচ্ছে মহিলাদের??? আর কারা মানুষ বানাচ্ছে?

১৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০৬

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: 'হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিনদের নারীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।' (সূরা আহযাব : ৫৯)
"(হে নবী!) মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। তারা যেন সাধারণত যা প্রকাশ থাকে তা ছাড়া নিজেদের আভরণ প্রদর্শন না করে।' (সূরা নূর : ৩১)
"তারা যেন গ্রীবা ও বক্ষদেশ মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে। "... (সূরা নূর : ৩১)
"তারা যেন তাদের গোপন আভরণ প্রকাশের উদ্দেশ্যে সজোরে পদক্ষেপ না করে। হে মুমিনগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।" (সূরা নূর : ৩১)
"ইহরাম গ্রহণকারী নারী যেন নেকাব ও হাতমোজা পরিধান না করে।" (সহীহ বুখারী ৪/৬৩, হাদীস : ১৮৩৮)

আমি আফগানী বোরকার মাঝে অশালীন কিছু দেখছি না।সেটা তাদের ব্যাক্তি স্বাধীনতা।
রোগের ঔষধ দেন ডাক্তার।আর দ্বীন শিক্ষা দেন আলেম/শায়েখ/তাদের সমর্থিত ব্যাক্তি বিশেষ ।
এনশিয়েন্ট স্কলাররা কোরান আর সহি হাদিস ঘেটে পর্দার ব্যাপারে ফতোয়া দিয়ে গেছেন।
ধন্যবাদ নতুন। ভাল থাকবেন। :)


কোরানের আয়াতগুলি পড়ে আপনার কি মনে হয় যে আল্লাহ আফগানী তরিকার কথা বলেছেন?

রোগের ঔষধ দেন ডাক্তার।আর দ্বীন শিক্ষা দেন আলেম/শায়েখ/তাদের সমর্থিত ব্যাক্তি বিশেষ ।
এনশিয়েন্ট স্কলাররা কোরান আর সহি হাদিস ঘেটে পর্দার ব্যাপারে ফতোয়া দিয়ে গেছেন।


হুম এইবার বলেছেন আসল কথা<<< বত`মানের পদা`র বিধান এনশিয়েন্ট স্কলারের ফতোয়া ;) মজাটা এইখানেই...

উপরের কোরানের আয়াতগুলি পড়ে আপনিও বুঝতে পারবেন যে আল্লাহ আফগানীদের মতন পুরা কাপড়ের বস্তা হইতে বলেনাই। কারন ইসলামে কখনোই বাড়াবাড়ি করা হয়নাই।

১৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৭

সুলতানা সালমা বলেছেন: ১)এখানে "চেনা" বলতে মুসলিম আইডেন্টিটি কে নির্দেশ করছে।কোন নারী হিজাব,নিকাব,বোরকা পড়লে সহজেই বোঝা যায়,সে একজন মুসলিম নারী।
২)আইন্সটাইন, স্টিফেন হকিং ম্যাথ আর এস্ট্রোফিজিক্স এ যেমন গভীর জ্ঞান রাখেন,তেমনি হকপন্থী আলেমরা /শায়েখ/তাদের সমর্থিত স্কলাররা গভীর দ্বীনি জ্ঞান রাখেন। একটা ফতোয়া দেয়া এত সহজ কাজ না!তারা কোরান-হাদীস পড়ে+লজিক দিয়েই ফতোয়া দেন।
৩) 'হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিনদের নারীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।' (সূরা আহযাব : ৫৯)
"(হে নবী!) মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। তারা যেন সাধারণত যা প্রকাশ থাকে তা ছাড়া নিজেদের আভরণ প্রদর্শন না করে।' (সূরা নূর : ৩১)
"তারা যেন গ্রীবা ও বক্ষদেশ মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে। "... (সূরা নূর : ৩১)
"তারা যেন তাদের গোপন আভরণ প্রকাশের উদ্দেশ্যে সজোরে পদক্ষেপ না করে। হে মুমিনগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।" (সূরা নূর : ৩১)
নিচের ছবিতে কোন নারীর প্রতি অধিকাংশ মানুষ এর বেশী দৃ ষ্টি পড়বে বলে আপনি মনে করেন?দেরী করে প্রতিউত্ত র করার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
১)এখানে "চেনা" বলতে মুসলিম আইডেন্টিটি কে নির্দেশ করছে।কোন নারী হিজাব,নিকাব,বোরকা পড়লে সহজেই বোঝা যায়,সে একজন মুসলিম নারী।
২)আইন্সটাইন, স্টিফেন হকিং ম্যাথ আর এস্ট্রোফিজিক্স এ যেমন গভীর জ্ঞান রাখেন,তেমনি হকপন্থী আলেমরা /শায়েখ/তাদের সমর্থিত স্কলাররা গভীর দ্বীনি জ্ঞান রাখেন। একটা ফতোয়া দেয়া এত সহজ কাজ না!তারা কোরান-হাদীস পড়ে+লজিক দিয়েই ফতোয়া দেন।
৩) 'হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিনদের নারীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।' (সূরা আহযাব : ৫৯)
"(হে নবী!) মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। তারা যেন সাধারণত যা প্রকাশ থাকে তা ছাড়া নিজেদের আভরণ প্রদর্শন না করে।' (সূরা নূর : ৩১)
"তারা যেন গ্রীবা ও বক্ষদেশ মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে। "... (সূরা নূর : ৩১)
"তারা যেন তাদের গোপন আভরণ প্রকাশের উদ্দেশ্যে সজোরে পদক্ষেপ না করে। হে মুমিনগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।" (সূরা নূর : ৩১)
নিচের ছবিতে কোন নারীর প্রতি অধিকাংশ মানুষ এর বেশী দৃ ষ্টি পড়বে বলে আপনি মনে করেন?

১৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০০

নতুন বলেছেন: নিচের ছবিতে কোন নারীর প্রতি অধিকাংশ মানুষ এর বেশী দৃ ষ্টি পড়বে বলে আপনি মনে করেন?

দৃস্টি আকষ`ন হলে সমস্যা কি? কোথাও মানা করা আছে?

"(হে নবী!) মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। তারা যেন সাধারণত যা প্রকাশ থাকে তা ছাড়া নিজেদের আভরণ প্রদর্শন না করে।' (সূরা নূর : ৩১)

এখানে নিজেদের আভরন প্রদশ`নে নিষেধ কেরেছেন... মুখ ঢেকে রাখতে বলেছেন এমন কিছু দেখান??

২)আইন্সটাইন, স্টিফেন হকিং ম্যাথ আর এস্ট্রোফিজিক্স এ যেমন গভীর জ্ঞান রাখেন,তেমনি হকপন্থী আলেমরা /শায়েখ/তাদের সমর্থিত স্কলাররা গভীর দ্বীনি জ্ঞান রাখেন। একটা ফতোয়া দেয়া এত সহজ কাজ না!তারা কোরান-হাদীস পড়ে+লজিক দিয়েই ফতোয়া দেন।

আপনার ফতোয়াবাজ আইনেস্টাইনেরা অনেক সময় হাস্যকর ফতোয়া দেয়... এটাও তার মতন একটা...

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৪

সুলতানা সালমা বলেছেন: ১)ভাই আপনি জিজ্ঞেস করলেন, " দৃস্টি আকষ`ন হলে সমস্যা কি? কোথাও মানা করা আছে?" -সবচে ভাল হয় এ প্রশ্নটা আপনার স্ত্রী কে জিজ্ঞেস করলে।তাকে একদিন বলবেন,"জানো গো,পাশের বাসার ভাবী না বেশ আকর্ষণীয়! "
তবে এ কথা বলার আগে সাবধান! খেয়াল করবেন,তিনি যাতে তখন রান্নাঘরের ভেতর না থাকেন।নয়ত আপনার জীবন বিপন্ন হতে পারে!
আল্লাহ তায়ালা কোরানে প্রথমে পুরুষদের পর্দা রক্ষা করতে বলেছেন। "মুমিনদেরকে বলুন, এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।"
এরপর তিনি নারীদের পর্দার বিধান দিয়ে আয়াত নাযিল করেন:
"ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে।
তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে।
মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।"
২) মুখ ঢেকে রাখা নিয়ে আলেম আর স্কলার্ দের মাঝে মত বিরোধ আছে।তবে মুখ ঢেকে রাখা উত্ত ম।

১৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

এ আর ১৫ বলেছেন: কোরানে মেয়েদের মাথার হিজাব পরার কোন নির্দেশ নেই . আপনি এই অনুবাদ কোথায় পেলেন ....। তারা যেন গ্রীবা ও বক্ষদেশ মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে। "... (সূরা নূর : ৩১)-------- গ্রীবা এবং মাথার কাপড় আপনি কোথায় পেয়েছেন ? এই আয়াতে আরবি শব্দ খিমার ব্যবহার করা হয়েছে ----- খিমার শব্দের অর্থতো শুধু মাথার কাপড় নয় তবে মাথার কাপড় এক ধরনের খিমার । এই বাক্যের মুল কমান্ডমেন্ট হোল বক্ষ আবৃত করা কি দিয়ে আবৃত করতে বোলেছে খিমার দিয়ে , এখন দেখুন খিমারের অর্থ কি এবং সেই সাথে বুঝতে পারবেন মাথা ঢাকা বা চুল ঢাকার কোন নির্দেশ কোরানে নেই -----
Khimar" is an Arabic word that means, cover, any cover, a curtain is a Khimar, a dress is a Khimar, a table cloth that covers the top of a table is a Khimar, a blanket can be used as a Khimar..etc. The word KHAMRA used for intoxicant in Arabic has the same root with Khimar, because both covers, the Khimar covers (a window, a body, a table . . . etc.) while KHAMRA covers the state of mind. Most of ...the translators, obviously influenced by Hadith (fabrications) translate the word as VEIL and thus mislead most people to believe that this verse is advocating the covering of the head.
In 24:31 God is asking the women to use their cover (khimar)( being a dress, a coat, a shawl, a shirt, a blouse, a tie, a scarf . . . etc.) to cover their bosoms, not their heads or their hairs. If God so willed to order the women to cover their heads or their hair, nothing would have prevented Him from doing so. God does not run out of words. God does not forget. God did not order the women to cover their heads or their hair.
God does not wait for a Scholar to put the correct words for Him!
The Arabic word for CHEST, GAYB is in the verse (24:31), but the Arabic words for HEAD, (RAAS) or HAIR, (SHAAR) are NOT in the verse. The commandment in the verse is clear - COVER YOUR CHEST OR BOSOMS, but also the fabrication of the scholars and most of the translators is clear by claiming- cover your head or hair.
The last part of the verse (24:31) translates as, "They shall not strike their feet when they walk in order to shake and reveal certain details of their bodies." The details of the body can be revealed or not revealed by the dress you wear, not by your head cover.
Notice also the expression in 24:31,
[Quran 24:31] They shall not reveal any parts of their bodies, except that which is necessary.
This expression may sound vague to many because they have not understood the mercy of God. Again God here used this very general term to give us the freedom to decide according to our own circumstances the definition of "What is necessary".
It is not up to a scholar or to any particular person to define this term. God wants to leave it personal for every woman and no one can take it away from her. Women who follow the basic rule number one i.e. righteousness, will have no problem making the right decision to reveal only which is necessary.

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৮

সুলতানা সালমা বলেছেন: আপনি বিতর্ক করছেন যে,"আল্লাহ হিজাব করার কথা কোথায় বলেছেন?কোন আয়াতে চুল ঢাকার কথা আছে?"
উত্তর: জীবনানন্দ বনলতাকে নিয়ে লিখেছেন,
"চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা"-
জানি না,নজরুল কাকে উদ্দ্যেশ্য করে বলে ছিলেন, "আলগা করগো খোঁপার বাধন "
-চুল নারীর সৌন্দর্য এর একটা অংশ। আবহমান কাল থেকেই নারী তার দৈহিক লাবণ্য আর চুলের ঘ্রাণ দিয়ে পুরুষদের বশ করে রাখতে চায়।
আল্লাহ তায়ালা কোরানে প্রথমে পুরুষদের পর্দা রক্ষা করতে বলেছেন। "মুমিনদেরকে বলুন, এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।"
এরপর তিনি নারীদের পর্দার বিধান দিয়ে আয়াত নাযিল করেন:
"ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে।
তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে।
মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।"

১৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

এ আর ১৫ বলেছেন: এখানে "চেনা" বলতে মুসলিম আইডেন্টিটি কে নির্দেশ করছে।কোন নারী হিজাব,নিকাব,বোরকা পড়লে সহজেই বোঝা যায়,সে একজন মুসলিম নারী-------- কোথায় পেলেন এই আযগুবি তথ্য .। মরুভুমির তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৫৫তে ভ্যারি করে সেটা বোধ হয় আপনার জানা নেই । ঐ তাপদাহ থেকে বাচার জন্য মুসলিম অমুসলিম সবাই মাথা সহ গোটা দেহ ঢেকে রাখে । ঘাস নাই সামান্য বাতাসে বালু উড়ে এই বালু যদি শরির বা মাথার চুলে প্রবেশ করে সেটা খুবই যতনা দায়ক তাই নারি পুরুষ মুসলিম অমুসলিম মাথা সহ শরির ঢেকে রাখে কারন পানি খুব দু:প্রাপ্য তাই পরিষ্কার করা বা গোসল করা সহজ নয় । মেয়েদের মুখের চামড়া নরম তাই অনেক মহিলা নিকাব পরে মুখকে তাপ হতে রক্ষা করার জন্য । তাই হিজাব বোরকা পরলেই বোঝা যায় না সে মুসলমান না খৃষ্টান না ইহুদি বা ইউজিদি ( মুর্ত পুজা করে ) । এই মুর্তি পুজা কারি ইউজিদি মহিলাদের দেখে বলুন তো আমার কথা ঠিক কিনা ?? যাদের উপরে আই এস আই চরম নিপিড়ন করেছে . এখানে "চেনা" বলতে মুসলিম আইডেন্টিটি কে নির্দেশ করছে।কোন নারী হিজাব,নিকাব,বোরকা পড়লে সহজেই বোঝা যায়,সে একজন মুসলিম নারী-------- কোথায় পেলেন এই আযগুবি তথ্য .। মরুভুমির তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৫৫তে ভ্যারি করে সেটা বোধ হয় আপনার জানা নেই । ঐ তাপদাহ থেকে বাচার জন্য মুসলিম অমুসলিম সবাই মাথা সহ গোটা দেহ ঢেকে রাখে । ঘাস নাই সামান্য বাতাসে বালু উড়ে এই বালু যদি শরির বা মাথার চুলে প্রবেশ করে সেটা খুবই যতনা দায়ক তাই নারি পুরুষ মুসলিম অমুসলিম মাথা সহ শরির ঢেকে রাখে কারন পানি খুব দু:প্রাপ্য তাই পরিষ্কার করা বা গোসল করা সহজ নয় । মেয়েদের মুখের চামড়া নরম তাই অনেক মহিলা নিকাব পরে মুখকে তাপ হতে রক্ষা করার জন্য । তাই হিজাব বোরকা পরলেই বোঝা যায় না সে মুসলমান না খৃষ্টান না ইহুদি বা ইউজিদি ( মুর্ত পুজা করে ) । এই মুর্তি পুজা কারি ইউজিদি মহিলাদের দেখে বলুন তো আমার কথা ঠিক কিনা ?? যাদের উপরে আই এস আই চরম নিপিড়ন করেছে .
এখানে "চেনা" বলতে মুসলিম আইডেন্টিটি কে নির্দেশ করছে।কোন নারী হিজাব,নিকাব,বোরকা পড়লে সহজেই বোঝা যায়,সে একজন মুসলিম নারী-------- কোথায় পেলেন এই আযগুবি তথ্য .। মরুভুমির তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৫৫তে ভ্যারি করে সেটা বোধ হয় আপনার জানা নেই । ঐ তাপদাহ থেকে বাচার জন্য মুসলিম অমুসলিম সবাই মাথা সহ গোটা দেহ ঢেকে রাখে । ঘাস নাই সামান্য বাতাসে বালু উড়ে এই বালু যদি শরির বা মাথার চুলে প্রবেশ করে সেটা খুবই যতনা দায়ক তাই নারি পুরুষ মুসলিম অমুসলিম মাথা সহ শরির ঢেকে রাখে কারন পানি খুব দু:প্রাপ্য তাই পরিষ্কার করা বা গোসল করা সহজ নয় । মেয়েদের মুখের চামড়া নরম তাই অনেক মহিলা নিকাব পরে মুখকে তাপ হতে রক্ষা করার জন্য । তাই হিজাব বোরকা পরলেই বোঝা যায় না সে মুসলমান না খৃষ্টান না ইহুদি বা ইউজিদি ( মুর্ত পুজা করে ) । এই মুর্তি পুজা কারি ইউজিদি মহিলাদের দেখে বলুন তো আমার কথা ঠিক কিনা ?? যাদের উপরে আই এস আই চরম নিপিড়ন করেছে . এখানে "চেনা" বলতে মুসলিম আইডেন্টিটি কে নির্দেশ করছে।কোন নারী হিজাব,নিকাব,বোরকা পড়লে সহজেই বোঝা যায়,সে একজন মুসলিম নারী-------- কোথায় পেলেন এই আযগুবি তথ্য .। মরুভুমির তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৫৫তে ভ্যারি করে সেটা বোধ হয় আপনার জানা নেই । ঐ তাপদাহ থেকে বাচার জন্য মুসলিম অমুসলিম সবাই মাথা সহ গোটা দেহ ঢেকে রাখে । ঘাস নাই সামান্য বাতাসে বালু উড়ে এই বালু যদি শরির বা মাথার চুলে প্রবেশ করে সেটা খুবই যতনা দায়ক তাই নারি পুরুষ মুসলিম অমুসলিম মাথা সহ শরির ঢেকে রাখে কারন পানি খুব দু:প্রাপ্য তাই পরিষ্কার করা বা গোসল করা সহজ নয় । মেয়েদের মুখের চামড়া নরম তাই অনেক মহিলা নিকাব পরে মুখকে তাপ হতে রক্ষা করার জন্য । তাই হিজাব বোরকা পরলেই বোঝা যায় না সে মুসলমান না খৃষ্টান না ইহুদি বা ইউজিদি ( মুর্ত পুজা করে ) । এই মুর্তি পুজা কারি ইউজিদি মহিলাদের দেখে বলুন তো আমার কথা ঠিক কিনা ?? যাদের উপরে আই এস আই চরম নিপিড়ন করেছে .

২০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

এ আর ১৫ বলেছেন:

এখানে "চেনা" বলতে মুসলিম আইডেন্টিটি কে নির্দেশ করছে।কোন নারী হিজাব,নিকাব,বোরকা পড়লে সহজেই বোঝা যায়,সে একজন মুসলিম নারী-------- কোথায় পেলেন এই আযগুবি তথ্য .। মরুভুমির তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৫৫তে ভ্যারি করে সেটা বোধ হয় আপনার জানা নেই । ঐ তাপদাহ থেকে বাচার জন্য মুসলিম অমুসলিম সবাই মাথা সহ গোটা দেহ ঢেকে রাখে । ঘাস নাই সামান্য বাতাসে বালু উড়ে এই বালু যদি শরির বা মাথার চুলে প্রবেশ করে সেটা খুবই যতনা দায়ক তাই নারি পুরুষ মুসলিম অমুসলিম মাথা সহ শরির ঢেকে রাখে কারন পানি খুব দু:প্রাপ্য তাই পরিষ্কার করা বা গোসল করা সহজ নয় । মেয়েদের মুখের চামড়া নরম তাই অনেক মহিলা নিকাব পরে মুখকে তাপ হতে রক্ষা করার জন্য । তাই হিজাব বোরকা পরলেই বোঝা যায় না সে মুসলমান না খৃষ্টান না ইহুদি বা ইউজিদি ( মুর্ত পুজা করে ) । এই মুর্তি পুজা কারি ইউজিদি মহিলাদের দেখে বলুন তো আমার কথা ঠিক কিনা ??

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

সুলতানা সালমা বলেছেন: ১)হিজাব,নিকাব, বোরখা দেখলে অধিকাংশ মানুষ ই ধরে নিবে,সে একজন মুসলিম। আর এ পোশাক নারী দের উত্ত্যক্ত কারীদের হাত থেকে অনেক খানি সেইভ করে।
পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করি:আমার এক ফ্রেন্ড আছে।সে ছিল হিন্দু।অথচ সে বোরকা পড়ে কোচিং করতে আসত।প্রায় ১বছর পর,আমরা জানতে পারি,ও হিন্দু ছিল।ও নিজের মুখেই বলেছে,ওদের এলাকায় কিছু বখাটে ছেলে আছে তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ও বোরখা পড়ত। গান্ধী জি টুপি পড়ত।রবীন্দ্রনাথ এর দাড়ি ছিল।they have different purpose. মুসলিমদের কোন একটা ধর্মীয় আইডেন্টিটি নন-মুসলিমদের সাথে মিলে যেতেই পারে।এটা নিয়ে বিস্তারিত পরে লিখব ইনশা~আল্লাহ।
আপনি যে ইউজিডি মেয়েদের ছবি দিলেন তারা মরুভুমির বাসিন্দা।তারা তাপদাহ আর ধুলিঝড় থেকে বাঁচতে হিজাব,বোরখা পড়ছেন। আমাদের এই নাতিশীতোষ্ণ দেশেও কিন্তু ইউজিডি নারী আছেন।তারা হিজাব,বোরখা পড়েন না। কিন্তু মুসলিম সে যে দেশেই বাস করুক না কেন,যদি সে বিশ্বাসী হয়ে থাকে তবে তাকে অবশ্যই ইসলামিক ড্রেসকোড ফলো করতে হবে।মুমিন নারী রা প্রোপারলি পর্দা করলে আল্লাহ তাদের শুধু দুনিয়াতে নয়,আখিরাতে ও পুরষ্কার প্রদান করবেন;এটাই অন্য ধর্মের নারীদের সাথে মুমিনাদের পার্থক্য!

২)আই এস আই কোন ইসলামিক সংগঠন নয়!এদের বিরুদ্ধে প্রচুর ফতোয়া আছে।ইউটিউব এ গেলে পাবেন।আর ইসলামে ব্যভিচার এর বিচার হচ্ছে , মৃত্যুদণ্ড!
” এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যা হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত
তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে।
কেয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুন হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে।
সূরা ফুরকান (৬৭-৭০

২১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খালাম্মা =p~
হিজাব পরচেন ভালৈচে। ব্লগে একটা খালাম্মা পাইছি

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০১

সুলতানা সালমা বলেছেন: আমাদের দেশে,নব্বই দশক থেকে আজ অবধি খালাম্মাদের জয় জয়কার!
বহু রাখালবালকদের তারা সদর্পে শাসন করে যাচ্ছেন!
সামুতে,সর্ব কনিষ্ঠা খালাম্মা হিসেবে গর্বিত বোধ করছি! :)

২২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২০

জনতার রায় বলেছেন: অসাধারণ জবাব দিয়ে হিপোক্রেটদের মুখ কালো করে দেয়ার জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে অভিনন্দন!

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

সুলতানা সালমা বলেছেন: পড়াশোনা আর ব্যস্ততা সামলে যাতে আরো বেশী বেশী করে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে লিখতে পারি সেজন্য দোয়া করবেন ভাই আমার।দোয়া করি,আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন সর্বদা।আমিন

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৩

সুলতানা সালমা বলেছেন: জনতার রায়,
লা হাওলা ওলা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।একমাত্র আল্লাহ্‌ র সাহায্য ছাড়া কোন কাজ করাই সম্ভব নয়।
যুগে যুগে এভাবেই হিপোক্রিটদের মুখ কালো করে দেয়া হবে ইনশা~আল্লাহ।

২৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:০০

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি বিতর্ক করছেন যে,"আল্লাহ হিজাব করার কথা কোথায় বলেছেন?কোন আয়াতে চুল ঢাকার কথা আছে?"
উত্তর: জীবনানন্দ বনলতাকে .........---------------------------------- তাহোলে তো আপনি জীবনান্দের সুন্নাহ পালন করতেছেন আল্লাহ রসুলের নয় !!!!!!! হ্যা চুল বের হয়ে থাকলে মরুদেশে সবার দৃষ্টিতে পরে কারন সবার চুল ঢাকা থাকে তাপ ও বালির ঝড়ের হাত থেকে বাচার জন্য তাই একটা ব্যতিক্রম হোলে সবার দৃষ্টি সে দিকে যায় । পস্চিমা বিশ্বে মেয়েরা খোলামেলা অথবা বিকিনি পরে বের হোলেও পুরুষরা তদের দিকে তাকায় না কিন্তু ওদের মাঝে বোরকা হিজাব পরে কেউ বের হোলে তার দিকে সবার দৃস্টি যায় ।
আপনিতো বোরকা পরার উপকারিতার কথা বোল্লেন -- এখন তো বহু ঘটনা ঘটছে নিকাব বোরকা হিজাব পরে । এই পোষাক পরে নিজেকে লুকিয়ে ছিনতাই বোমা বাজি হচ্ছে ,পতিতারা খদ্দর জোগার করছে । আফ্রিকার দেশ চাদে বোরকা নিকাব হিজাব নিশিদ্ধ করেছে এই পোষাকে ক্রাইম বেড়ে যাওয়ার জন্য ।
হিজাব,নিকাব, বোরখা দেখলে অধিকাংশ মানুষ ই ধরে নিবে,সে একজন মুসলিম। আর এ পোশাক নারী দের উত্ত্যক্ত কারীদের হাত থেকে অনেক খানি সেইভ করে।--------------- শুনুন কোরানে সুস্পস্ঠ করে বোলেছে সুরা আযাব --৫৯ --- এতে তাদের চেনা সহজ হবে তার মানি তার আইডেনটিটি অবশ্যই প্রকাশ থাকতে হবে সে কোন ভাবে মুখ আড়াল করতে পারবে না । সুতরাং যা কোরানে নাই সেই জিনিস ইসলামের নামে চালিয়ে দিচ্ছেন ঐ আই এস আই দের মত । বোরকা লম্পট পুরুষের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে কিনা তার উদাহরন নিচের লিংকে দেওয়া হোল
পর্দা কি নারীকে লম্পট পুরুষ থেকে রক্ষা করতে
পারে?

বোরকা পরা মহিলারা ও হামলার শিকার

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০

সুলতানা সালমা বলেছেন: অবাক করা ব্যাপার
হলেও সত্যি যে বিশ্বের তথাকথিত
উন্নত কিছু দেশ যেমন যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন,
ফ্রান্স, কানাডা, যুক্তরাজ্য
এবং জার্মানি নিমজ্জিত ধর্ষণের
মতো ঘৃণ্য অপরাধে।
১. ইথিওপিয়া
এ তালিকার দশম
অবস্থানে আছে ইথিওপিয়া। নারীর
প্রতি সহিংসতায় অন্যতম এই দেশটি।
জাতিসংঘের
একটি জরিপে উঠে এসেছে যে এ
দেশের প্রায় ৬০ ভাগ নারী যৌন
সহিংসতার শিকার। ধর্ষণ খুবই গুরুতর
একটি সমস্যার আকার
নিয়েছে সেখানে। অপহরণ
করে বিয়ে করার
কারণে ইথিওপিয়া কুখ্যাত এবং এই
ব্যাপারটি সেদেশেই
সবচাইতে বেশি হয়। সেখানে অনেক
জায়গায়ই পুরুষরা বন্ধুবান্ধব
নিয়ে কোনো মেয়ে বা মহিলাকে
উঠিয়ে নিয়ে যায়
এবং তারা ঘোড়া ব্যবহার
করাতে পালাতে সুবিধা হয়।
ইথিওপিয়ায় এটা খুব সাধারণ ঘটনা।
অপহরণকারী এরপর তার কনেকে ধর্ষণ
করে চলে যতদিন
না সে অন্তঃসত্ত্বা হয়। ১১ বছরের
কন্যাশিশুও ছাড়া পায় না তাদের হাত
থেকে। এছাড়া ইথিওপিয়ার
মিলিটারিরাও এই অপরাধে অভিযুক্ত।
২. শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা বাহিনী এখন
পর্যন্ত সন্দেহভাজনদের ধর্ষণ ও
নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি অভিযোগ এসেছে যে সিভিল
ওয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার ৪ বছর পরেও
শ্রীলঙ্কার
নিরাপত্তা বাহিনী অত্যাচার ও ধর্ষণ
চালিয়ে যাচ্ছে। পুরুষ ও
সহিংসতা বিষয়ে জাতিসংঘের
একটি মাল্টি কান্ট্রি গবেষণায়
পাওয়া গেছে যে শ্রীলঙ্কার ১৪.৫
শতাংশ পুরুষ জীবনের
কোনো না কোনো সময়ে ধর্ষণ
করেছে। ৪.৯ শতাংশ পুরুষ গতবছর ধর্ষণ
করেছে। ২.৭ শতাংশ পুরুষ অন্য
পুরুষকে ধর্ষণ করেছে। ১.৬ শতাংশ পুরুষ
কোনো গণধর্ষণে অংশ নিয়েছে।
ধর্ষণকারীদের মধ্যে ৯৬.৫ শতাংশ পুরুষ
কোনো আইনি প্রশ্নের মুখোমুখি হয়নি।
৬৫.৮ শতাংশ ধর্ষক কোনোরকম উদ্বেগ
বোধ
করেনি বা অপরাধবোধে ভোগেনি।
৬৪.৯ শতাংশ একবারের বেশি ধর্ষণ
করেছে এবং ১১.১ শতাংশ ধর্ষক ৪
বা তার অধিক শিশু ও নারী ধর্ষণ
করেছে।
৩. কানাডা
অষ্টম অবস্থানে আছে কানাডা।
এটি এমন একটি দেশ
যেখানে শাস্তি প্রদান করা হয়। এ
দেশে রিপোর্টেড কেসের
সংখ্যা ২৫ লাখ ১৬ হাজার ৯শ ১৮
এবং মোট রেপ কেসের তা মাত্র ৬
ভাগ। প্রতি ৩ জন নারীর মধ্যে ১ জন
নারী যৌন হয়রানির শিকার হয় কিন্তু
মাত্র ৬ শতাংশ পুলিশে রিপোর্ট
করা হয়। জাস্টিস ইন্সটিটিউট অব
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার মতে প্রতি ১৭ জন
নারীর ১ জন ধর্ষিত হয়েছে, ৬২ শতাংশ
ধর্ষিতা শারীরিকভাবে আহত
হয়েছে এবং ৯ শতাংশ ধর্ষিতা মার
খেয়েছে ও তাদেরকে বিকৃত
করে দেয়া হয়েছে।
৪. ফ্রান্স
১৯৮০ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সে ধর্ষণ
কোনো অপরাধ হিসেবে বিবেচিত
হতো না। নারীর অধিকার ও
নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইন
প্রণয়ন খুব সাম্প্রতিক ঘটনা। মাত্র ১৯৮০
সালে ধর্ষণকে অপরাধ
হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে আইন পাশ
হয়। এর আগে ঊনবিংশ শতাব্দীর
মোরাল কোড
অনুযায়ী ডিক্রী জারি করা হতো।
যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে একটি আইন
অনুমোদন পায় ১৯৯২
সালে এবং নৈতিক হয়রানির
বিরুদ্ধে আরেকটি পায় ২০০২ সালে।
নারীর ওপর
সহিংসতা প্রতিরোধে শেষ
বিলটি পাশ হয় গতবছর।
সরকারি হিসাবে প্রতি বছর
দেশটিতে ৭৫,০০০ ধর্ষণ সংঘটিত হয়।
মাত্র ১০ ভাগ নির্যাতিতা অভিযোগ
দাখিল করেছে। ৩৭ লাখ ৭১ হাজার ৮শ
৫০টি দাখিলকৃত ধর্ষণের হিসাব
নিয়ে ফ্রান্স এ তালিকায় সপ্তম।
৫. জার্মানি
এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার
নারী ও শিশু ধর্ষণের
ফলে মৃত্যুমুখে পতিত
হয়েছে জার্মানিতে। এ বছর
জার্মানিতে রিপোর্ট
করা হয়েছে ৬৫ লাখ ৭ হাজার ৩শ
৯৪টি রেপ কেস যা একটা বিরাট
সংখ্যা। জার্মান ক্যাথলিক সরকার
ধর্ষিতাদেরকে মর্নিং আফটার পিল
খাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
প্রযুক্তিতে ক্রমবর্ধমান এই
দেশটি আসলে মানবিকতায়
পিছিয়ে যাচ্ছে।
৬. যুক্তরাজ্য
অনেকেই একটি উন্নত দেশ
হিসেবে যুক্তরাজ্যে থাকতে চায়,
অন্তত বেড়ানোর জন্য হলেও
যেতে চায়। কিন্তু তারা হয়ত অবগত
না যে ধর্ষণের
মতো অপরাধে সাংঘাতিকভাবে ডুবে
আছে এই দেশ। ২০১৩ সালের
জানুয়ারিতে দেশটির মিনিস্ট্রি অব
জাস্টিস, অফিস ফর ন্যাশনাল
স্ট্যাটিস্টিক্স এবং হোম অফিস
যুক্তরাজ্য ও ওয়েলসে সংঘটিত যৌন
সহিংসতার ওপর একটি বুলেটিন
একসঙ্গে প্রকাশ করে।
রিপোর্টে বলা হয়- প্রতি বছর
গড়ে ৮৫,০০০ নারী ধর্ষিত হয়। ৪ লাখের
ওপরে নারী শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত
হয়। প্রতি ৫ জন (১৬-৬৫ বছর বয়সী) নারীর
মধ্যে একজন কোনো না কোনো যৌন
হয়রানির শিকার হয়েছেন জীবনে।
৭. ভারত
ভারতে যৌন হয়রানি ক্রমশ বাড়ছে।
নারীর প্রতি সংঘটিত অপরাধের
মধ্যে ধর্ষণ সেখানে অন্যতম। ন্যাশনাল
ক্রাইম রিপোর্টস ব্যুরোর তথ্য
অনুযায়ী ২০১২ সালে ২৪,৯২৩টি রেপ
কেস রিপোর্ট করা হয়, কিন্তু
বিশেষজ্ঞদের মতে অলিখিত
কেসগুলো মিলিয়ে হিসাব করলে এই
সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। এর
মধ্যে ২৪,৮৭০টি ধর্ষণ সংঘটিত
হয়েছে অভিভাবক/পরিবার, আত্মীয়,
প্রতিবেশী ও পরিচিত মানুষ দ্বারা,
৯৮ ভাগ ধর্ষকই ছিল ধর্ষিতার পরিচিত।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রতি ২২
মিনিটে ভারতে একটি করে নতুন রেপ
কেস রিপোর্ট করা হয়।
৮. সুইডেন
ইওরোপে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ
রিপোর্ট করা হয় সুইডেনে।
এখানে প্রতি ৪ জন নারীর ১ জন ধর
ধর্ষণের শিকার হয়। ২০১০ সালের
মধ্যে সুইডিশ পুলিশের তথ্য
অনুযায়ী প্রতি ১ লাখ অধিবাসীর
মধ্যে ৬৩ ভাগ এর শিকার হয়। ২০০৯
সালে ১৫,৭০০ রেপ কেস রিপোর্ট
করা হয় যা ২০০৮ সালের চেয়ে ৮
শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ৫,৯৪০টি ছিল
ধর্ষণ এবং ৭,৫৯০টি যৌন হয়রানির যার
ভেতরে গোপন চিত্র প্রকাশ
করে দেয়া অন্তর্ভুক্ত। ২০০৯
সালে দেখা যায় যৌন অপরাধ এর
আগের ১০ বছরের চাইতে ৫৮ শতাংশ
বেড়ে গেছে। ইওরোপিয় ইউনিয়নের
তথ্য অনুযায়ী রিপোর্ট করা হয়েছে এমন
রেপ কেস পুরো ইওরোপের
মধ্যে সুইডেনে সবচাইতে বেশি।
৯. সাউথ আফ্রিকা
২০১২ সালে ৬৫,০০০ ধর্ষণ
এবং আরো অনেক যৌন হয়রানির
অভিযোগ দাখিল করা হয়।
দেশটিকে পৃথিবীর ‘ধর্ষণের
রাজধানী’ নামে আখ্যায়িত
করা হয়েছে। কমিউনিটি অব
ইনফরমেশন, এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড
ট্রান্সপারেন্সি থেকে ৪০০০
নারীকে প্রশ্ন করা হয়। প্রতি ৩ জনের
মধ্যে ১ জন উত্তর দেয় যে এর আগের বছর
সে ধর্ষিত হয়েছে। মেডিকেল
রিসার্চ কাউন্সিলের এক
জরিপে দেখা গেছে যে ২৫ ভাগের
বেশি সাউথ আফ্রিকান পুরুষ ধর্ষণ
করেছে, এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই
বলেছে যে তারা একের অধিক
নারীকে ধর্ষণ করেছে।
যারা স্বীকার করেছে তাদের
প্রতি ৪ জনের মধ্যে ৩ জনই
বলেছে যে তাদের টিনএজ
বয়সে তারা এই আক্রমণ করেছে। শিশু
ধর্ষণে অন্যতম সাউথ আফ্রিকা। ধর্ষণের
অপরাধে সাজা হয় মাত্র ২ বছর।
১০. যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বের সুপার পাওয়ার যুক্তরাষ্ট্র
ধর্ষণের দিক দিয়েও প্রথম। ৯৯ ভাগ
ধর্ষকই পুরুষ। যারা শিকার তাদের
মধ্যে ৯১ ভাগ নারী এবং ৯ ভাগ পুরুষ।
ব্যুরো অব জাস্টিস স্ট্যাটিস্টিক্স এর
তথ্য এগুলো। ন্যাশনাল ভায়োলেন্স
এগেইন্সট উইমেন সার্ভের তথ্য
অনুযায়ী প্রতি ৬ জনের মধ্যে ১ জন
আমেরিকান নারী এবং প্রতি ৩৩
জনের মধ্যে ১ জন পুরুষ
সারাজীবনে একবার অন্তত ধর্ষণের
প্রচেষ্টা বা সম্পূর্ণ ধর্ষণের শিকার
হয়েছে। কলেজে যাওয়ার
বয়সী মেয়েদের এক চতুর্থাংশের
বেশি তাদের ১৪ বছর বয়সের পর
থেকে এই প্রচেষ্টা বা ধর্ষণের
শিকার হয়েছে। মাত্র ১৬ শতাংশ কেস
দাখিল হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ঘরের
বাইরের তুলনায় ঘরের ভেতরে ধর্ষণের
ঘটনা বেশি হয়।

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সুলতানা সালমা বলেছেন: 1.যারা নিজেকে লুকিয়ে ছিনতাই বোমা বাজি হচ্ছে ,পতিতারা খদ্দর জোগার করছে ( বোর কা পড়ে) তারা প্রোপারলি পর্দানশীন দের কাতারে নন। এখানে তাদের ব্যাপারে বলি নি।যারা আকাম কুকাম করে তারা ভাত খায়। আসেন আম রাও ভাত খাওয়া ছেড়ে দেই

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩০

সুলতানা সালমা বলেছেন: আচ্ছা,কোন টাইপের মেয়েদের দিকে মানুষ এর খারাপ দৃ ষ্টি বেশী যায় বলে আপনি মনে করেন?বিকিনি পড়ুয়া মেয়েদের দিকে (যদি কোন পুরুষ "গে" হয় বা তার হরমোনাল ডিসঅর্ডার থাকে তবে ভিন্ন কথা!) নাকি প্রোপারলি পর্দা করা মেয়েদের দিক!
Say to the believing men that they should lower their gaze and protect their private parts (from sins). That is purer for them. And Allah is well acquainted with all that they do.(Quran 24:30)

২৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:০৬

এ আর ১৫ বলেছেন: বিশ্বে যৌন-উশৃঙ্খলতা বিস্ফোরিত হয়েছে। অনেকেই মনে করেন এটা ঠেকানোর উপায় হলো মেয়েদের আপাদমস্তক বোরখা ও নারী-পুরুষকে আলাদা রাখা। কিন্তু এসবের কেন্দ্রভূমি সৌদি আরবে ড: ইনাম আল রুবাই, প্রেসিডেন্ট, চিলড্রেন স্টাডিজ আর্মড ফোর্সেস হাসপাতাল, জেদ্দা-র "স্টাডি অফ অফিস অফ সোসিয়েটাল সুপারভিশন"- গবেষণায় তত্ত্বটা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আজ সৌদি আরবে ২৩% শিশুরা আত্মীয় দ্বারা ধর্ষণের শিকার, রিয়াদ-এ ৪৬% ও জেদ্দায় ২৫% তরুণ-তরুণীরা সমকামী। ওদের চেয়ে আমরা অনেক, অনেক ভালো আছি।
এর ওপরে সৌদি টেলিভিশনে টক-শো হয়েছিল যা পুরো সৌদি সমাজকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল।

এ ছাড়াও, যৌন-উশৃঙ্খলতা ঠেকানোর ব্যাপারে মেয়েদের আপাদমস্তক ঢাকা বোরখা ও নারী-পুরুষকে আলাদা রাখার তত্ত্ব আজকের ইন্টারেনেট মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। আজ ছেলে-মেয়ের একজন ঢাকায় অন্যজন আফ্রিকার ডাকার-এ, দুজনে বেডরুমে ঢুকে দরজা লোক করে স্কাইপ-এর ক্যামেরা চালিয়ে দিলেই হলো - কে ঠেকাবে? কিভাবে ঠেকাবে? একমাত্র উপায় হেদায়েত যার দায়িত্ব আমাদের ইমামদের।


Saudi Study: 23% of Arab Children Raped; 46% of Arab Students Homosexual
Saudi Study: 23% of Arab Children Raped; 46% of Arab Students Homosexual

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সুলতানা সালমা বলেছেন: আসলে এসবের পিছনে দায়ী সুন্নাহ এর প্রায়োগিক ব্যর্থতা।
যদি কেউ নারীদের ধর্ষণ করে তবে সে ব্যভিচার করল।ইসলামে ব্যভিচার এর বিচার হচ্ছে , মৃত্যুদণ্ড!
” এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যা হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত
তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে।
কেয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুন হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে।
সূরা ফুরকান (৬৭-৭০

২৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৫৪

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি যে ইউজিডি মেয়েদের ছবি দিলেন তারা মরুভুমির বাসিন্দা।তারা তাপদাহ আর ধুলিঝড় থেকে বাঁচতে হিজাব,বোরখা পড়ছেন। আমাদের এই নাতিশীতোষ্ণ দেশেও কিন্তু ইউজিডি নারী আছেন।তারা হিজাব,বোরখা পড়েন না। কিন্তু মুসলিম সে যে দেশেই বাস করুক না কেন,যদি সে বিশ্বাসী হয়ে থাকে তবে তাকে অবশ্যই ইসলামিক ড্রেসকোড ফলো করতে হবে।......... Does Islam say Borka Niqab Head scraf ( Hijab ) is Islamic dress code ?? You people like to implement desert heat and sand dust protection dress code is Islamic dress code and this is totally misinterpretation of Islam. Decent dress can be any design which can comply with guide line and that not suppose to be borka hijab . Shari shalowar kamij etc are decent dress. So kindly stop thinking whole world is desert so everyone has to follow desert dress code

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সুলতানা সালমা বলেছেন: Women’s Hijab

The purpose of hijab is to cover the awrah and awrah varies in different situations and amongst different groups of people.

We begin with the conditions of hijab for a woman in public and amongst non-mahram men. As long as these conditions are fulfilled a woman may wear whatever she pleases.

1. The hijab (covering) must conceal the entire body except the face and the hands.

2. It should not be translucent or tight. Tight clothes, even if they conceal the colour of the skin, still describe the size and shape of the body or part of it, and create vivid images.

3. It should not attract the attention of the opposite gender; thus it should not be extravagant or excessively opulent. Nor should jewellery and makeup be on display.

4. It should not be a garment worn because of vanity or to gain popularity or fame. The female companions were known to wear black and other dark colours but other colours are permissible; a woman must not however wear colourful clothes because of vanity.

5. It should not be perfumed. This prohibition applies to both the body and the clothes.

6. It should not resemble the clothing worn by men.

7. It should not resemble the clothing that is specific to the non-Muslims.

Men’s Dress code

Say to the believing men that they should lower their gaze and protect their private parts (from sins). That is purer for them. And Allah is well acquainted with all that they do.(Quran 24:30)

Although they are sometimes overlooked or not well understood there are conditions of dress code for men as well. Some of the conditions are the same as the conditions for woman but others relate particularly to men.

1. The part of the body from the naval to the knees should be covered.

2. It should not resemble the clothing that is specific to the non-Muslims. Western clothing that does not represent a certain group or sect is normally permitted.

3. It should not resemble the clothing worn by women.

4. It should not be tight or see-through.

5. A man is not permitted to wear garments made of silk, or jewellery made of gold.

6. Two types of adornment are forbidden to men but permitted for women. These are, gold and clothing made of pure silk.

২৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৫:১০

আকদেনিজ বলেছেন: আশ্চর্য! ধর্ম পালন করা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। সেটাও আমি পালন করতে পারবো না! সত্যিই সেকুলাস!


সুন্দর লেখা বিশেষ করে যুক্তিপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বোন।

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০১

সুলতানা সালমা বলেছেন: পড়াশোনা আর ব্যস্ততা সামলে যাতে আরো বেশী বেশী করে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে লিখতে পারি সেজন্য দোয়া করবেন ভাই আমার।দোয়া করি,আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন সর্বদা।আমিন

২৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ১)ভাই আপনি জিজ্ঞেস করলেন, " দৃস্টি আকষ`ন হলে সমস্যা কি? কোথাও মানা করা আছে?" -সবচে ভাল হয় এ প্রশ্নটা আপনার স্ত্রী কে জিজ্ঞেস করলে।তাকে একদিন বলবেন,"জানো গো,পাশের বাসার ভাবী না বেশ আকর্ষণীয়! "
তবে এ কথা বলার আগে সাবধান! খেয়াল করবেন,তিনি যাতে তখন রান্নাঘরের ভেতর না থাকেন।নয়ত আপনার জীবন বিপন্ন হতে পারে!


দৃস্টি আকষ`ন <<< ভাবী না বেশ আকর্ষণীয় দুইটা কি এক জিনিস?

নারী অবশ্যই স্বালীন পোষাক পরবে সেটা আমি চাই... কিন্তু আপনারা কোরানের ভুল ব্যক্ষা করে ... আল্লাহের নিদেশ` অমান্য করে নারীদের চোখ, মুখ ঢেকে এলিয়েন বানিয়েছেন... :)

২) মুখ ঢেকে রাখা নিয়ে আলেম আর স্কলার্ দের মাঝে মত বিরোধ আছে।তবে মুখ ঢেকে রাখা উত্ত ম।

ধন্যবাদ এটা মেনে নেবার জন্য.... কারন অনেক আরেম আর স্কলাররাই মনে করে আ্ল্লাহ যেহেতু নারীদের চেনা যায় এমন পদা` করতে বলেছেন তার মানে চেহারা খোলা রাখা যাবে...

আর এটাও প্রমান হয় যে কোরানে কোথাও আফগানী নেকাবের বাড়াবাড়ীর সমথ`ন নেই।

নারীরা স্বালীন পোষাক পরবে এবং অবশ্যই চেহারা খোলা রাখতে পারবে...

আপনারা নিজেরা এলিয়েন হয়েছেন এবং কোরানের ভুল ব্যক্ষা করে নারীদের উপরে হাতমোজা, পায়ে মোজা, নেকাব, চাপিয়েছেন.... কোরানের ভুল ব্যক্ষার জন্য আপনাদের আল্লাহের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

সুলতানা সালমা বলেছেন: Women’s Hijab

The purpose of hijab is to cover the awrah and awrah varies in different situations and amongst different groups of people.

We begin with the conditions of hijab for a woman in public and amongst non-mahram men. As long as these conditions are fulfilled a woman may wear whatever she pleases.

1. The hijab (covering) must conceal the entire body except the face and the hands.

2. It should not be translucent or tight. Tight clothes, even if they conceal the colour of the skin, still describe the size and shape of the body or part of it, and create vivid images.

3. It should not attract the attention of the opposite gender; thus it should not be extravagant or excessively opulent. Nor should jewellery and makeup be on display.

4. It should not be a garment worn because of vanity or to gain popularity or fame. The female companions were known to wear black and other dark colours but other colours are permissible; a woman must not however wear colourful clothes because of vanity.

5. It should not be perfumed. This prohibition applies to both the body and the clothes.

6. It should not resemble the clothing worn by men.

7. It should not resemble the clothing that is specific to the non-Muslims.

Men’s Dress code

Say to the believing men that they should lower their gaze and protect their private parts (from sins). That is purer for them. And Allah is well acquainted with all that they do.(Quran 24:30)

Although they are sometimes overlooked or not well understood there are conditions of dress code for men as well. Some of the conditions are the same as the conditions for woman but others relate particularly to men.

1. The part of the body from the naval to the knees should be covered.

2. It should not resemble the clothing that is specific to the non-Muslims. Western clothing that does not represent a certain group or sect is normally permitted.

3. It should not resemble the clothing worn by women.

4. It should not be tight or see-through.

5. A man is not permitted to wear garments made of silk, or jewellery made of gold.

6. Two types of adornment are forbidden to men but permitted for women. These are, gold and clothing made of pure silk.

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

সুলতানা সালমা বলেছেন: আপনাকে উপরে একটি ছবি দিয়ে বলেছিলাম, কোন নারী আকর্ষণীয়া বলে আপনি মনে করেন,রিপ্লাই পাই নি!
হাতমোজা, পায়ে মোজা, নেকাব পড়তে কি আল্লাহ নিষেধ করেছেন? নারি এগুলা পড়তে পারবে ।উমমুল মুমিনরা পরেছেন।
হাতমোজা, নেকাব হজের সময় পড়তে নিষেধ আছে।
"ইহরাম গ্রহণকারী নারী যেন নেকাব ও হাতমোজা পরিধান না করে।" (সহীহ বুখারী ৪/৬৩, হাদীস : ১৮৩৮

২৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০৯

নতুন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আপনাকে উপরে একটি ছবি দিয়ে বলেছিলাম, কোন নারী আকর্ষণীয়া বলে আপনি মনে করেন,রিপ্লাই পাই নি!

এই ছবিতে যদি সমস্যা থাকে তবে আপনাদের চিন্তায় অনেক বড় রকমের সমস্যা আছে।

এখানে একজন নারী দেখা যাচ্ছে তার চেহারা দেখা যাচ্ছে। চেহারা দেখেই যদি কারো সমস্যা অনুভুত হয় তবে তাদের ডাক্তারের নিকট পাঠিয়ে দিন।

হাতমোজা, পায়ে মোজা, নেকাব পড়তে কি আল্লাহ নিষেধ করেছেন? নারি এগুলা পড়তে পারবে ।উমমুল মুমিনরা পরেছেন।

আল্লাহ বলেছেন স্বালীন পোষাক পড়তে যাতে তাদের চেনা যায়... সেটা কিভাবে নিকাব সমথ`ন করে?

হজ্জের সময় কেন নেকাব এবং হাতমোজা পরিধান করা যাবে না??????????????????

উপরের হাদিসও কোরানের আয়াতের সমথ`ন করে... যেন নারীদের চেনা যায়।

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১১

সুলতানা সালমা বলেছেন: হাতমোজা, পায়ে মোজা, নেকাব পড়তে কি আল্লাহ নিষেধ করেছেন?

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১২

সুলতানা সালমা বলেছেন: এখানে "চেনা" বলতে মুসলিম আইডেন্টিটি কে নির্দেশ করছে।

২৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৮

এ আর ১৫ বলেছেন: In the Country like Saudi Arab... women scare to report rape . Sharia আইন অ্যাপ্লাই করুন, ফলাফল নগদে দেখুন। তাহোলে ধর্ষকের কোন দিন শাস্তি হবে না কারন ৪ জন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম পুরুষের চক্ষুস স্বাক্ষী ছাড়া প্রমান করা যাবে না -- এইটাই সেই শরিয়া আইন বলে। সুতরাং কোন ধর্ষনের কেস আদালত পর্যন্ত যাবে না । ধর্ষিতা মহিলাকে ও চাবুকের বাড়ী ক্ষেতে হবে। চার জন পুরুষের চক্ষুস স্বাক্ষী চাই ধর্ষন প্রমানের জন্য !!!!!
When a rape-case is caught or reported, “illegal sex” is proved either by testimony of the victim or physical evidences of bodily scars/bruises, torn cloths or pregnancy. Then the Sharia laws shown bellow come into force.
1. From Pakistan Hudud Law - Ordinance 1979. (Ordinance VII of 1979 amended by
Ordinance XX of 1980). Quote- "Proof of Zina (adultery) or Zina Bil-Jabr (rape)
liable to Hadd shall be one of the following:-
(a) The accused makes confession, or
(b) At least four Muslim adult male witnesses”. - Unquote.
2. From Codified Islami Law (“BidhiBoddho Islami Ain” - Islamic foundation
Bangladesh) Volume 1:-
(A) "Proof of adultery or rape liable to Hadd shall be one of the following:-
(a) The accused makes confession, or
(b) At least four Muslim adult male witnesses – Law#133.
1
(B) If force is proved, the rapist will be punished – Law#134.
(C) “Punishment will take place when zena or rape will be proved by witness” –
Law#135.
Sharia needs only one thing to punish the rapist, - eyewitness of four adult Muslim men.
Unbelievable it may seem, women’s witness is rejected, as in the references bellow:-
1. Hanafi Law-Page 353.
2. Shafi’i Law- page 638 Law#o.24.9
3. Criminal Law in Islam and the Muslim World –page 251
4. Tafsir of Translation of the Qura’an by Muhiuddin Khan pages 239 and 928.
5. Penal Law of Islam – Kazi Publications Lahore- page 44 – 45 – Quote - “The
evidence required in a case of adultery is that of four men (adult Muslims) and the testimony of a woman is such a case is not permitted………the evidence of women is originally inadmissible on account of their weakness of understanding, want of memory and incapacity of governing” – Unquote. Effort of addressing this embarrassment is in Codified Islamic Law (Bidhiboddho Islami Ain - Islamic foundation Bangladesh) Volume 1 page 311 with reference to Ata Ibn Yasar (RA), Hammad (RA) and Imam Hazm, a Spanish Palace-c of 15th century, - by allowing women-witness as half of ma

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৭

সুলতানা সালমা বলেছেন: যিনা প্রমাণের জন্য ইসলামে দুটোর যে কোনোটি জরুরী। ১. ৪ জন স্বাক্ষ্য ২. ধর্ষকের স্বীকারোক্তি।

তবে স্বাক্ষ্য না পাওয়া গেলে আধুনিক ডিএনএ টেস্ট, সিসি ক্যামেরা, মোবাইল ভিডিও, ধর্ষিতার বক্তব্য ইত্যাদি অনুযায়ী ধর্ষককে দ্রুত গ্রেফতার করে স্বীকার করার জন্য চাপ দেয়া হবে। স্বীকারোক্তি পেলে তার ওপর শাস্তি কার্যকর করা হবে।

৩০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১২

এ আর ১৫ বলেছেন: এখানে "চেনা" বলতে মুসলিম আইডেন্টিটি কে নির্দেশ করছে।.... this is totally wrong statement and I already answer this by posting Euzidi women pictures. In the desert men women of every religion wear similar dress . So chena mean their identity .

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২০

সুলতানা সালমা বলেছেন: গান্ধী জি টুপি পড়ত।রবীন্দ্রনাথ এর দাড়ি ছিল।they have different purpose. মুসলিমদের কোন একটা ধর্মীয় আইডেন্টিটি নন-মুসলিমদের সাথে মিলে যেতেই পারে।এটা নিয়ে বিস্তারিত পরে লিখব ইনশা~আল্লাহ।
আপনি যে ইউজিডি মেয়েদের ছবি দিলেন তারা মরুভুমির বাসিন্দা।তারা তাপদাহ আর ধুলিঝড় থেকে বাঁচতে হিজাব,বোরখা পড়ছেন। আমাদের এই নাতিশীতোষ্ণ দেশেও কিন্তু ইউজিডি নারী আছেন।তারা হিজাব,বোরখা পড়েন না। কিন্তু মুসলিম সে যে দেশেই বাস করুক না কেন,যদি সে বিশ্বাসী হয়ে থাকে তবে তাকে অবশ্যই ইসলামিক ড্রেসকোড ফলো করতে হবে।মুমিন নারী রা প্রোপারলি পর্দা করলে আল্লাহ তাদের শুধু দুনিয়াতে নয়,আখিরাতে ও পুরষ্কার প্রদান করবেন;এটাই অন্য ধর্মের নারীদের সাথে মুমিনাদের পার্থক্য!

৩১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১৮

এ আর ১৫ বলেছেন: ; মুসলিম দেশের নারীরা ধর্ষিতা হলেও বিভিন্ন কারণে প্রকাশ করেনা । আরব দেশে ধর্ষিতাকেও শাস্তি দেয়া হয় । আমাদের দেশেও তাদের খারাপ চোখে দেখা হয় । যে তালিকা করা হয়েছে, সেটা অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয়েছে । মুসলিম দেশগুলোতে অভিযোগ করা হয়না, তালিকায় আসবে কীভাবে

৩২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২১

এ আর ১৫ বলেছেন: মুসলিম দেশের নারীরা ধর্ষিতা হলেও বিভিন্ন কারণে প্রকাশ করেনা । আরব দেশে ধর্ষিতাকেও শাস্তি দেয়া হয় । আমাদের দেশেও তাদের খারাপ চোখে দেখা হয় । যে তালিকা করা হয়েছে, সেটা অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয়েছে । মুসলিম দেশগুলোতে অভিযোগ করা হয়না, তালিকায় আসবে কীভাবে?

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২১

সুলতানা সালমা বলেছেন: দেশগুলা নামের মুসলিম।যেমন: আমার নিজের দেশও

৩৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৫

এ আর ১৫ বলেছেন: মুসলিম দেশে সাধারনত ধর্ষিত হয় বাড়ির কাজের মেয়েরা বা দরিদ্ররা তাই এগুলার কোন বিচার হয় না। তারপরেও ধর্ষনের বিচার পাওয়া এই সব মেয়েদের পক্ষে খুবই কঠিন কারন ৪ জন পুরুষ স্বাক্ষী দরকার হয়। অন্যদিকে কাজের মেয়েদের সাথে যৌনতা আরব দেশ গুলতে একটা জনপ্রিয় সামাজিক রীতি। এগুলো কে ধর্ষন হিসাবে সেখানে দেখা হয় না।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৩

সুলতানা সালমা বলেছেন: আরব দেশ গুলা ১০০ভাগ শরিয়া আিইন মানে না।

৩৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৫

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: হাতমোজা, পায়ে মোজা, নেকাব পড়তে কি আল্লাহ নিষেধ করেছেন?

এটা যদি নারীর বাধ্যতামুলক বা মূল পদা` হিসেবে থাকতো তবে তা পরতে হজের সময় নিষেধ কেন?

পুরুষের জন্য যেই পদা` নাভি/টাকনু সেটা হজ্জেও ঠিক আছে... নারীর জন্য হজ্জে নেকাব পরা নিষেধ কেন?

লেখক বলেছেন: এখানে "চেনা" বলতে মুসলিম আইডেন্টিটি কে নির্দেশ করছে।

খৃস্টিয়ান নান রাও কিন্তু হিজাবের মতনই পোষাক পরে...


আর চেনা বলতে মুসলিম আইডেন্টিটি বলেছে সেটা কই পাইলেন?

বাড়াবাড়ী কখনোই ভাল না... ইসলামে সব খানেই উত্তম পন্হা অবলম্বন করেছে... কট্টরপন্হা না..।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৬

সুলতানা সালমা বলেছেন: "তারা যেন গ্রীবা ও বক্ষদেশ মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে। "... (সূরা নূর : ৩১)

৩৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৪২

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি একটার পর একটা ভুল এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন ,,, চেনা শব্দের অপব্যাখা কোরছেন মাথা ঢাকার হিজাবের ভুল ব্যাখা দিচ্ছেন যা কোরান পরিপন্থি । আপনি যে আল্লাহ মানি , কোরান মানি না কিন্তু হাদিস মানি --- সম্প্রদায়ের মানুষ সেটা আপনার জ্ঞানের বহরই প্রমাণ করে যেমন ----- যদি কেউ নারীদের ধর্ষণ করে তবে সে ব্যভিচার করল।ইসলামে ব্যভিচার এর বিচার হচ্ছে , মৃত্যুদণ্ড! .....। ধর্ষণ আর ব্যভিচারের পার্থক্য কি ??? ধর্ষণ হোল জোড় পুর্বক ভাবে কারো সাথে যৌন মিলন করা আর ব্যভিচার হোল নারী পুরুষের সম্মতিতে বিবাহ বহিরভুত মিলন । এই দুটোকি এক জিনিস হোল .... আপনি সুরা ফোরকানের ৬৮ তম আয়াতের যে উদ্ধৃতি দিলেন ঠিক মত পড়ুনতো ওখানে হত্যার নির্দেশ না শাস্তির নির্দেশ আছে .। হাদিসে আছে ব্যভিচারিকে হত্যা করার জন্য এবং শরিয়া আইনে আছে কিন্তু কোরানে নাই ... ব্যভিচার ও ধর্ষন প্রমাণ করতে শরিয়া আইন অনুযায়ি চার জন সাক্ষী লাগে শুধু পুরুষ সাক্ষী .। আপনি যে আল্লাহ মানেন কোরান মানেন না কিন্তু হাদিস মানেন সেটা বোঝার জন্য পড়ুন .......
ব্যভিচার কি ? ব্যভিচার বা পরকীয়া হলো যার সাথে বিয়ে হয়নি তার সাথে অবৈধ দৈহিক সম্পর্ক। পশ্চিমের আইনে নর-নারী রাজি থাকলে পরকীয়া অপরাধ নয়, তাই সেখানে আজকাল পরকীয়া খুব বেড়ে গেছে। এর ফলে পশ্চিমে পারিবারিক বন্ধন নষ্ট হবার পথে। কোরাণে ব্যভিচারকে বর্জন করার সুস্পষ্ট নির্দেশ আছে (সুরা বনি ইসরাইল ৩২, মুমতাহানা ১২, ইত্যাদি)।- ব্যভিচারিণীদের শাস্তি হিসেবে বলা আছে আজীবন ঘরে বন্দি রাখতে অথবা আলাহ অন্য কোন পথ নির্দেশ না করা পর্যন্ত − সুরা নিসা, আয়াত ১৫।- আর আছে ব্যভিচারী নারী-পুরুষকে একশ’ করে চাবুক মারতে − সুরা নূর, আয়াত ২।- অথচ শারিয়া আইনে আছে বিবাহিত বা বিবাহিতা অপরাধীর শাস্তি জনগণের সামনে পাথরের আঘাতে মৃত্যুদণ্ড, যাকে রজম বলা হয়। আর যার বিয়ে হয়নি তাকে একশ’ চাবুক − (সূত্র : হানাফি আইন হেদায়া পৃষ্ঠা ১৭৮, বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন ১ম খণ্ড, ধারা ১২৯, পাকিস্তানের হুদুদ আইন ৭-১৯৭৯, অর্ডিন্যান্স ২০-১৯৮০ দ্বারা পরিবর্তিত, আইন নম্বর ৫ (২)-এর “অ” ইত্যাদি). অর্থাৎ এ-আইন কোরাণকে লঙ্ঘন করেছে।

অনেকে এ-আইনের সমর্থনে হাদিস পেশ করেন মিশকাত (২৬ অধ্যায়ের ১ম পরিচ্ছেদ) আর সহি বোখারী থেকে (হাফেজ মহাম্মদ আবদুল জলিল সম্পাদিত বাংলায় বোখারি শরীফের মোটামুটি হাদিস নম্বর ১২৩৪ থেকে ১২৪৯ পর্যন্ত, মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসিন খানের অনুবাদ ও মওলানা আজিজুল হক সাহেবের অনুবাদ ২৬৮ নম্বর হাদিস)। –সব হাদিসে বলা আছে, নবীজী বিবাহিত/তা-দের মৃত্যুদণ্ড, আর অবিবাহিত/তা-দের একশ’ চাবুক ও এক বছরের নির্বাসন দিয়েছিলেন।

তাহলে আমরা দেখছি, কোরাণের আয়াতের সাথে হাদিসগুলো মিলছে না। কেন এমন হচ্ছে ? তাহলে নবীজী কি সুরা নূর নাজিল হবার আগে পরকীয়ায় বিবাহিত/তা-দের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন ? এ-প্রশেড়বর জবাব আছে ১২৪২ নম্বর হাদিসে, সাহাবী বলেছেন তিনি তা জানেন না। আমরা ধরে নিতে পারি যে নবীজী রজম করে থাকলে এ-সব আয়াত নাজিল হবার আগেই করেছিলেন, পরে নয়। কেননা পরে করলে তা কোরাণের বিপক্ষে যেত, সেটা সম্ভব নয়।

এবারে একটা বিখ্যাত হাদিস দেখা যাক। সহি বোখারি হাদিস ১২৩৭, ১২৩৮, ১২৩৯, এবং মিশকাত ২৬-এর ১ (“মুসলিম জুরিসপ্র“ডেন্স অ্যাণ্ড দ্য কোরাণিক ল’ অফ μμাইম্স্” থেকে) হাদিস থেকে আমরা দেখি :

মায়াজ নামের সাহাবি নবীজীকে বলল তাকে পবিত্র করতে।
নবীজী তাকে হাঁকিয়ে দিলেন এই বলে − দূর হও, অনুতাপ কর ও ক্ষমা চাও।
মায়াজ ফিরে গিয়ে আবার ফিরে এসে একই কথা বলল। নবীজী একই কথা বললেন।
তিনবার এটা ঘটার পর নবীজী জিজ্ঞেস করলেন − ব্যাপার কি। মায়াজ বলল সে
ব্যভিচার করেছে।
তারপর নবীজী জিজ্ঞাসা করলেন, মায়াজ কি পাগল ? নেশা করেছে ? লোকেরা বলল, না।
নবীজী জিজ্ঞাসা করলেন − মায়াজ কি বিবাহিত ? লোকেরা বলল, হ্যাঁ।
তখন নবীজী তাকে পাথর মেরে হত্যা করতে নির্দেশ দিলেন।
এ-হাদিস সত্যি হলে নবীজী অন্তত তিনবার তাকে অনুতাপ-ক্ষমার দিকে ঠেলেছেন, শাস্তি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেছেন, শেষে একান্ত বাধ্য হয়েই রজম ঘোষণা করেছেন। শারিয়ার আইনে এই সুনড়বত মেনে কোন ‘অপরাধী’-কে তিনবার ফিরিয়ে দেয়ার নিয়ম নেই। পাগলামি বা নেশার কথা জিজ্ঞেস করাও নেই। আমরা জানি মানুষ ভ্রান্তিময়, অপরাধ এক হলেও সব অপরাধী এক হয় না। একই অপরাধ কেউ করে অভাবে, কেউ করে স্বভাবে, খাসলতে। একই অপরাধ কেউ করে উত্তেজনার গরম মাথায়, কেউ করে পরিকল্পনা করে ঠাণ্ডা মাথায়। সে-জন্যই একই অপরাধের সর্বদা একই শাস্তি হতে পারে না। অথচ শারিয়ার হুদুদে ঠিক তাই’ই হয়, হঠাৎ-অপরাধ ও খাসলতের অপরাধে বিচারককে একই শাস্তি দিতে হয়, তাঁর হাত-পা বাঁধা থাকে।

লোকেরা মায়াজকে পাথর মারা শুরু করতেই ব্যথার চোটে হতভাগার মনে হল যে পবিত্র হয়ে এখনই পটল তোলার চেয়ে তওবা টওবা করে আরও কিছুদিন বেঁচে থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। লেজ তুলে সে দিল দৌড়। কিন্তু লোকেরা ওকে ধরে মেরে ফেলল। এঘটনা শুনে নবীজী কি বললেন ? কি করলেন ? মৃদুকণ্ঠে উচ্চারিত হল তাঁর লিখিত আইন ভাঙ্গা অলিখিত আইন − “লোকটাকে তোমরা যেতে দিলে না কেন ?” − মিশকাত ২৬-এর ১, সহি ইবনে মাজাহ ৪র্থ খণ্ড হাদিস ২৫৫৪ ও সহি সুনান আবু দাউদ হাদিস ৪৪০৫ ও ৪৪০৬ . এই হলেন রহমতুলিল আল্ আমিন, এই হল ভ্রান্তিময় অনুতপ্ত মানুষের প্রতি তাঁর অগাধ দরদ, অসীম ক্ষমা। তাঁ র গভীর অন্তদৃর্ িষ্ট শুধ ু শাস্তির দিকেই নয়, ক্ষমার দিকেও। স্বভাব-অপরাধীর খাসলত আর ভালো মানুষের হঠাৎ পা পিছলে যাবার মধ্যেকার বিরাট ফারাকটা জানেন বিশ্বনবী।

আবার কোরাণে ফিরে আসি। সুরা নিসা, আয়াত ১৬ : “তোমাদের মধ্য হইতে যেই দুইজন সেই কুকর্মে লিপ্ত হয়, তাহাদিগকে শাস্তি প্রদান কর। অতঃপর যদি উভয়ে তওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন করে, তবে তাহাদের হইতে হাত গুটাইয়া নাও।”

কোথায় পাথর, কোথায় মৃত্যুদণ্ড ? মেরে ফেলার পর তার লাশ কি তওবা করবে নাকি, নিজেকে সংশোধন করবে নাকি ? এর চেয়েও কঠিন প্রমাণ আছে কোরাণে : সুরা নিসা, আয়াত ২৫ − দাসী-স্ত্রী পরকীয়া করলে তাকে “স্বাধীন-নারীদের অর্ধেক শাস্তি” দিতে হবে। এ-আয়াতের ব্যাখ্যায় শারিয়াপন্থীরা বলেন স্বাধীন নারী মানে স্ত্রী নয়, অন্য অবিবাহিতা নারী যাকে একশ’ চাবুক মারার বিধান আছে। কিন্তু চাবুক মারার আয়াত আছে তো সব ব্যভিচারীর বেলায়। আয়াতটা পড়ে দেখুন, স্পষ্ট বোঝা যায় দাসী নয় এমন নারীকে বিয়ে করা স্ত্রীর কথাই বলা হচ্ছে। তাকে মৃত্যুদণ্ড দিলে দাসী-স্ত্রীর কি শাস্তি হবে ? মৃত্যুদণ্ডের তো অর্ধেক হয় না।

আসলে পরকীয়ার মৃত্যুদণ্ডের বিধান এসেছে ইহুদী-কেতাব ডিউটেরোনমি থেকে। “যদি কাহাকে অন্য লোকের স্ত্রীর সহিত বিছানায় দেখা যায় তবে তাহাদিগকে মরিতে হইবে … তখন তোমরা উহাদিগকে নগরের ফটকে লইয়া আসিবে এবং পাথর দ্বারা আঘাত করিবে যাহাতে তাহারা মরিয়া যায় …।”

শারিয়ার পক্ষে হজরত ওমরের নামে বিখ্যাত এক হাদিস আছে, সহি মুসলিম ২য় খণ্ডের ৬৫ পৃষ্ঠাতে (মুহিউদ্দীন খানের বাংলা-কোরাণ, পৃষ্ঠা ৯২৬) আর সহি বোখারী ১২৪৩ ও ১২৪৯ (হাফেজ আবদুল জলিল), বোখারী ৮ম খণ্ড হাদিস ৮১৭ (ডঃ মুহসিন খান, মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়) এবং ইবনে হিশাম/ইশাক -৬৮৪ পৃষ্ঠায় : “আলাহতালা যাহা নাজেল করিয়াছেন তাহার মধ্যে রজমের আয়াতও রহিয়াছে … রসুলুলাহ (দঃ) রজম করিয়াছেন তাই আমরাও তাঁহার পরে রজম করিয়াছি … রজমের আয়াত পাঠ মনসুখ (বাতিল) হইয়া গিয়াছে কিন্তু হুকুম ও বিধান চালু রহিয়াছে।” কিন্তু সেই বাতিল আয়াতটা কি ? কোথায় সেটা উধাও হল ? আয়াতটা হল -“কোন বয়স্ক নর ও নারী ব্যভিচার করিলে তাহাদিগকে পাথর মারিয়া হত্যা কর” − সহি ইবনে মাজাহ্ ৪র্থ খণ্ড হাদিস নং ২৫৫৩। কিন্তু এর মধ্যে ফাঁক আছে। কারণ আইন বাতিল হলে তার শাস্তি চালু থাকতে পারে না। আয়াতটা কোথায় উধাও হল তা লেখা আছে ইমাম হাম্বলের দলিলে আর সহি ইবনে মাজাহ ৩য় খণ্ড হাদিস নং ১৯৪৪-এ। এ-এক মারাত্মক হাদিস, দেখুন − “বর্ণিত আছে যে বিবি আয়েশা (রাঃ) বলিয়াছেন, “রজমের আয়াত নাজিল হইয়াছিল। অবশ্যই ইহা একটি কাগজের উপরে লিখা হইয়াছিল যাহা আমার কুশনের নীচে রাখা ছিল। রসুল (দঃ)-এর ইন্তেকালের পর আমরা যখন তাঁহার সৎকার করিতে ব্যস্ত ছিলাম তখন একটি গৃহপালিত ছাগল ঘরে ঢুকিয়া উহা খাইয়া ফেলে।”
বিশ্ব-মুসলিমের জন্য এ-এক মারাত্মক হাদিস। কারণ সুরা হিজ্র্, আয়াত ৯-এ আলাহ সুস্পষ্ট বলেছেন − “আমিই এই উপদেশগ্রন্থ নাজিল করিয়াছি এবং আমিই উহা সংরক্ষণ করিব।” আলাহ পাক-এর কালাম ছাগলে খাওয়া ছাড়াও এ হাদিস আরও এক ভয়াবহ সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তা হলো, নাজিল হওয়া আয়াত কোরাণে নেই। অন্যান্য আয়াত বাতিলের হাদিসও আছে, বুখারী ৪র্থ খণ্ড ৬৯. কিন্তু কে কবে কোথায় আলাহর কালাম বাতিল করল কেন ও কোন্ অধিকারে করল তার দলিল পাওয়া যায়নি।

এবারে কোরাণ থেকে শেষ প্রমাণ। সুরা আন-নূর, আয়াত ২৬ ও ৩ : “দুশ্চরিত্রা নারীরা দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য ও দুশ্চরিত্র পুরুষরা দুশ্চরিত্রা নারীদের জন্য … ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী বা মুশরিকা নারীকেই বিবাহ করে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী বা মুশরিক পুরুষই বিবাহ করে।”

অর্থাৎ ব্যভিচারী পুরুষ-নারীকে মৃত্যুদণ্ড দিলে তাদের লাশের সাথে লাশের বিয়ে দিতে হয়। সেটা সম্ভব নয়। কোরাণ একেবারে নীরব হলেও নাহয় কথা ছিল, যে কোন আইন বানাবার সুযোগ ছিল। কিন্তু কোরাণে তো ব্যভিচারীদের বিয়ের কথা বলা আছে। আরও একটা অকাট্য প্রমাণ দেখুন। সারা জীবন এত কষ্ট করে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার পর মুসলমানের প্রতি স্বয়ং নবীজীর সর্বশেষ নির্দেশ কত গুরুত্বপূর্ণ ! সেই বিদায় হজ্ব-এর ভাষণে তিনি বলেছেন, “স্ত্রী অশীল কর্মে অর্থাৎ জ্বেনায় লিপ্ত হইলেই কেবল তাহাকে হালকা মারধর করা যাইবে, মারাত্মকভাবে নয়” − বিধিবদ্ধ ইসলামি আইনের ৩য় খণ্ড ৮৫২ পৃষ্ঠা। না, ব্যাভিচারিণীর মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেননি আলার রসুল। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর নির্দেশ উপেক্ষা করে, কোরাণের নির্দেশ উপেক্ষা করে শারিয়ায় অনেক আইনের মত এ আইনও ঢোকানো হয়েছে।

পরকীয়া একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু শারিয়া আইনে যে মৃত্যুদণ্ড আছে তা কোরাণের খেলাফ ॥Link Sharia Rosm

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

সুলতানা সালমা বলেছেন: উইকিপিডিয়া অনুযায়ী ধর্ষণ হলো:

Rape is a type of sexual assault usually involving sexual intercourse, which is initiated by one or more persons against another person without that person’s consent
বাংলাদেশের আইনে ধর্ষণের সংজ্ঞা ও শাস্তির যেসব বিবরণ এসেছে:

দন্ডবিধি ১৮৬০ – The Penal Code 1860: ধারা ৩৭৫-৩৭৬
A man is said to commit “rape” who except in the case hereinafter excepted, has sexual intercourse with a woman under circumstances falling under any of the five following descriptions:

Firstly. Against her will.

Secondly. Without her consent.

Thirdly. With her consent, when her consent has been obtained by putting her in fear of death, or of hurt.

Fourthly. With her consent, when the man knows that he is not her husband, and that her consent is given because she believes that he is another man to whom she is or believes herself to be lawfully married.

Fifthly. With or without her consent, when she is under fourteen years of age.

Explanation. Penetration is sufficient to constitute the sexual intercourse necessary to the offence of rape.

Exception. Sexual intercourse by a man with his own wife, the wife not being under thirteen years of age, is not rape.

376. Whoever commits rape shall be punished with 131[ imprisonment] for life or with imprisonment of either description for a term which may extend to ten years, and shall also be liable to fine, unless the woman raped is his own wife and is not under twelve years of age, in which case he shall be punished with imprisonment of either description for a term which may extend to two years, or with fine, or with both.

ইসলাম ধর্ষণকে ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেনি। কারণ ইসলামে ধর্ষণ ভিন্ন কোনো অপরাধ নয়। বরং বিবাহবহির্ভূত যে কোনো যৌন সঙ্গমই ইসলামে অপরাধ। যাকে “যিনা” শব্দে উল্লেখ করা হয়েছে।

যিনা সুস্পষ্ট হারাম এবং শিরক ও হত্যার পর বৃহত্তম অপরাধ। আল-কুরআনে আছে:
وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَٰهًا آخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُونَ ۚ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ يَلْقَ أَثَامًا ﴿٦٨﴾ يُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَخْلُدْ فِيهِ مُهَانًا ﴿٦٩﴾ إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَٰئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا ﴿٧٠﴾

এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে। কেয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুন হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে। কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (ফুরকান, ৬৮-৭০)

অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَا إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلًا ﴿الإسراء: ٣٢﴾

আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ। (ইসরা, ৩২)

ইমাম কুরতুবী বলেন, “উলামায়ে কিরাম বলেন, ‘যিনা করো না’ –এর চেয়ে ‘যিনার কাছেও যেয়ো না’ অনেক বেশি কঠোর বাক্য।”

এর অর্থ যিনার ভূমিকা যেসব বিষয়, সেগুলোও হারাম।



যিনার শাস্তি

ইসলামে যিনার শাস্তি ব্যক্তিভেদে একটু ভিন্ন। যিনাকারী যদি বিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে। আর যদি অবিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে একশত ছড়ি মারা হবে। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য একই শাস্তি।
الزَّانِيَةُ وَالزَّانِي فَاجْلِدُوا كُلَّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا مِائَةَ جَلْدَةٍ وَلَا تَأْخُذْكُم بِهِمَا رَأْفَةٌ فِي دِينِ اللَّهِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلْيَشْهَدْ عَذَابَهُمَا طَائِفَةٌ مِّنَ الْمُؤْمِنِينَ ﴿النور: ٢﴾

ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। (নূর: ২)

হাদীসে আছে,
البكر بالبكر جلد مائة، ونفي سنة، والثيب بالثيب جلد مائة والرجم

অবিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে শাস্তি এক শত বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর। আর বিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে একশত বেত্রাঘাত ও রজম (পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড)। (সহীহ মুসলিম)

এই হাদীস থেকে অন্য ফিক্বহের ফকীহগণ বলেন, যিনাকারী অবিবাহিত হলে তার শাস্তি দুটো। ১. একশত বেত্রাঘাত। ২. এক বছরের জন্য দেশান্তর।
আর হানাফী ফকীহগণ বলেন, এক্ষেত্রে হদ (শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত শাস্তি) হলো একশত বেত্রাঘাত। আর দেশান্তরের বিষয়টি ক্বাযী বা বিচারকের বিবেচনাধীন। তিনি ব্যক্তি বিশেষে তা প্রয়োগ করতে পারেন।



ধর্ষণের শাস্তি

ধর্ষণের ক্ষেত্রে একপক্ষে যিনা সংঘটিত হয়। আর অন্যপক্ষ হয় মজলুম বা নির্যাতিত। তাই মজলুমের কোনো শাস্তি নেই। কেবল জালিম বা ধর্ষকের শাস্তি হবে।
ধর্ষণের ক্ষেত্রে দুটো বিষয় সংঘটিত হয়। ১. যিনা ২. বলপ্রয়োগ/ ভীতি প্রদর্শন।

প্রথমটির জন্য পূর্বোক্ত যিনার শাস্তি পাবে। পরেরটির জন্য ফকীহদের একটি অংশ বলেন, মুহারাবার শাস্তি হবে।

মুহারাবা (محاربة) হলো, পথে কিংবা অন্যত্র অস্ত্র দেখিয়ে বা অস্ত্র ছাড়াই ভীতি প্রদর্শন করে ডাকাতি করা। এতে কেবল সম্পদ ছিনিয়ে নেয়া হতে পারে, আবার কেবল হত্যা করা হতে পারে। আবার দুটোই হতে পারে।

মালেকী ফকীহগণ মুহারাবার সংজ্ঞায় সম্ভ্রম লুট করার বিষয়টিও যোগ করেছেন।

তবে সকল ফকীহই মুহারাবাকে পৃথিবীতে অনাচার সৃষ্টি, নিরাপত্তা বিঘ্নিত করণ, ত্রাস সৃষ্টি ইত্যাদি অর্থে উল্লেখ করেছেন।

মুহারাবার শাস্তি আল্লাহ এভাবে উল্লেখ করেছেন,
إِنَّمَا جَزَاءُ الَّذِينَ يُحَارِبُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَسْعَوْنَ فِي الْأَرْضِ فَسَادًا أَن يُقَتَّلُوا أَوْ يُصَلَّبُوا أَوْ تُقَطَّعَ أَيْدِيهِمْ وَأَرْجُلُهُم مِّنْ خِلَافٍ أَوْ يُنفَوْا مِنَ الْأَرْضِ ذَٰلِكَ لَهُمْ خِزْيٌ فِي الدُّنْيَا وَلَهُمْ فِي الْآخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ ﴿المائدة: ٣٣﴾

যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। (মায়িদা: ৩৩)

এখানে হত্যা করলে হত্যার শাস্তি, সম্পদ ছিনিয়ে নিলে বিপরীত দিক থেকে হাত-পা কেটে দেয়া, সম্পদ ছিনিয়ে হত্যা করলে শূলীতে চড়িয়ে হত্যা করা – এরূপ ব্যখ্যা ফকীহগণ দিয়েছেন। আবার এর চেয়ে লঘু অপরাধ হলে দেশান্তরের শাস্তি দেয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।

মোটকথা, হাঙ্গামা ও ত্রাস সৃষ্টি করে করা অপরাধের শাস্তি ত্রাস ও হাঙ্গামাহীন অপরাধের শাস্তি থেকে গুরুতর।

এ আয়াত থেকে বিখ্যাত মালেকী ফকীহ ইবনুল আরাবী ধর্ষণের শাস্তিতে মুহারাবার শাস্তি প্রয়োগের মত ব্যক্ত করেছেন।

উল্লেখ্য, ধর্ষক যদি বিবাহিত হয়, তাহলে এমনিতেই তাকে পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে। কিন্তু সে বিবাহিত না হলে তাকে বেত্রাঘাতের পাশাপাশি বিচারক চাইলে দেশান্তর করতে পারেন। কিংবা অপরাধ গুরুতর হলে বা পুনরায় হলে অবস্থা বুঝে মুহারাবার শাস্তিও প্রদান করতে পারেন।



ইসলামের বিধানের আলোকে বাংলাদেশের ধর্ষণ আইনের পর্যালোচনা:

১. বাংলাদেশের আইনে ধর্ষণের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে,

যদি কোন পুরুষ বিবাহ বন্ধন ব্যতীত ষোল বত্সরের অধিক বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতি ব্যতিরেকে বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তাহার সম্মতি আদায় করিয়া,অথবা ষোল বত্সরের কম বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত নারীকে ধর্ষণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন৷

ইসলামের সাথে এই সংজ্ঞার তেমন কোনো বিরোধ নেই। তবে এতে কিছু অসামঞ্জস্যতা আছে।

ইসলাম সম্মতি-অসম্মতি উভয় ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বিবাহ বহির্ভূত দৈহিক মিলনকে দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু এই আইনে কেবল অসম্মতির ক্ষেত্রে তাকে অপরাধ বলা হয়েছে।

সম্মতি ছাড়া বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ইসলাম ও দেশীয় আইন উভয়ের চোখে অপরাধ। আর সম্মতিসহ সম্পর্ক ইসলামে অপরাধ, দেশীয় আইনে নয়।

এটি নৈতিকভাবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককে সম্মতি সাপেক্ষে অনুমতি দেয়া হলে মানুষ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে উৎসাহী হয়; তার চাহিদা বিস্তৃত হয়। পরে এক পর্যায়ে সে জোরপূর্বক তার চাহিদা মেটাতে সচেষ্ট হয়। আবার কোনো ক্ষেত্রে শুরুতে সম্মতি থাকলেও পরে ভিন্ন কোনো কারণে সম্মতি ছিল না বলে বলা হয়।

সম্মতি আর অসম্মতির বিভাজনরেখা খুব ঠুনকো। এর দ্বারা ধর্ষণ কখনোই রোধ করা সম্ভব নয়।

একই ব্যক্তি তার স্ত্রীভিন্ন অন্য নারীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক করে যখন পার পেয়ে যাবে, তখন সে এক পর্যায়ে জোরপূর্বকও তা করবে। চাহিদাকে সীমিত না করে ধর্ষণ রোধ করার চিন্তা অমূলক।

পক্ষান্তরে ইসলাম মানুষের চাহিদাকে সীমিত করে দেয়। বিবাহ ছাড়া কোনো নারী-পুরুষ দৈহিক সম্পর্কে জড়িতে হলেই তাকে অপরাধ বলে গণ্য করে। কাজেই জোরপূর্বক করাকে অনুমোদন দেয়ার তো প্রশ্নই আসে না।



২. আইনে সম্মতির বিষয়টি অপরাধের সীমা হওয়ায় ষোল বছরের বয়সের কথা বলা হয়েছে, যা পূর্বে চৌদ্দ বছর ছিল এবং পরে তা সংশোধন করা হয়েছে। অর্থাৎ ষোল বছরের কম কেউ সম্মতিক্রমে দৈহিক মিলন করলেও তা দন্ডনীয় অপরাধ হবে। এবং পুরুষ শাস্তি পাবে। তবে এক্ষেত্রে নারীর কোনো শাস্তি হবে না। (অবশ্য আইনে নারীর কোনো অবস্থায়ই শাস্তি হওয়ার কথা না। ধর্ষণ হলে তো নয়ই। ধর্ষণ না হলেও নয়। কারণ ধর্ষণ না হয়ে সম্মতিক্রমে হলে কারোরই শাস্তি হবে না।)

পক্ষান্তরে ইসলাম কোনো নির্দিষ্ট বয়স উল্লেখ করেনি। বরং বিবাহ বহির্ভূত দৈহিক সম্পর্ককেই যিনা বলেছে, যা দন্ডনীয় অপরাধ। এক্ষেত্রে নারীর সম্মতি থাকলে সেও শাস্তি পাবে। নতুবা পাবে না।

তবে ইসলামে যে কোনো বিধান প্রযোজ্য হওয়ার জন্য বালেগ বা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া জরুরী। আর বালেগ হওয়ার বয়স ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হতে পারে। স্বেচ্ছায় সম্মতিতে কেউ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক করলে তাকে বালেগই ধরা হবে। কাজেই তার ওপরও শাস্তি প্রযোজ্য হবে।



৩. আইনে ধর্ষণের কারণে মৃত্যু না হলে তার মৃত্যুদন্ড নেই। কেবল যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড। পক্ষান্তরে ইসলামে বিবাহিত কেউ ধর্ষণ বা যিনা করলে তার শাস্তি রজম বা পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড।

আইনে ধর্ষণের কারণে মৃত্যু হলে তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার কথা বলা হয়েছে। আর ইসলামে ধর্ষণের কারণে মৃত্যু হলে সে প্রথমে যিনার শাস্তি পাবে। পরে হত্যার শাস্তি পাবে। হত্যা যদি অস্ত্র দিয়ে হয় তাহলে ক্বিসাস বা মৃত্যুদন্ড। আর যদি অস্ত্র দিয়ে না হয়, এমন কিছু দিয়ে হয় যা দিয়ে সাধারণত হত্যা করা যায় না, তাহলে দিয়ত বা অর্থদন্ড, যার পরিমাণ একশত উটের মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ (প্রায় কোটি টাকা)।

ধর্ষণের সাথে যদি আরো কিছু সংশ্লিষ্ট হয়, যেমন ভিডিও ধারণ, তা প্রচার ও প্রসার ইত্যাদি, তাহলে আরো শাস্তি যুক্ত হবে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

সুলতানা সালমা বলেছেন: আপনি বললেন,“বর্ণিত আছে যে বিবি আয়েশা (রাঃ) বলিয়াছেন, “রজমের আয়াত নাজিল হইয়াছিল। অবশ্যই ইহা একটি কাগজের উপরে লিখা হইয়াছিল যাহা আমার কুশনের নীচে রাখা ছিল। রসুল (দঃ)-এর ইন্তেকালের পর আমরা যখন তাঁহার সৎকার করিতে ব্যস্ত ছিলাম তখন একটি গৃহপালিত ছাগল ঘরে ঢুকিয়া উহা খাইয়া ফেলে।”

জবাব:
১)ছাগল টা বেশ জ্ঞানী ছিল।যেখানে অন্য ছাগলে ঘাস-পাতা খায়,সে খেল কাগজ!!! তবে,ছাগলে কাগজ খেয়েছে,মগজ ত খায় নি।কোরানে হাফেয রা ত বেচে ছিলেন!এখনো আছেন!আল্লাহর কালাম অবিকৃত আছে।

আপনি আবার বললেন:এবারে কোরাণ থেকে শেষ প্রমাণ। সুরা আন-নূর, আয়াত ২৬ ও ৩ : “দুশ্চরিত্রা নারীরা দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য ও দুশ্চরিত্র পুরুষরা দুশ্চরিত্রা নারীদের জন্য … ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী বা মুশরিকা নারীকেই বিবাহ করে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী বা মুশরিক পুরুষই বিবাহ করে।”

অর্থাৎ ব্যভিচারী পুরুষ-নারীকে মৃত্যুদণ্ড দিলে তাদের লাশের সাথে লাশের বিয়ে দিতে হয়। সেটা সম্ভব নয়

জবাব:
২)এটাই প্রমান করে, কোরান সবার জন্য নাযিল হয়েছে।আমেরিকা আর ইউরোপ এর দিক তাকালে প্রমান পাওয়া যায়!ওদের ও নাকি বিয়ে হয়!

৩৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২৩

নতুন বলেছেন: এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি একটার পর একটা ভুল এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন ,,, চেনা শব্দের অপব্যাখা কোরছেন মাথা ঢাকার হিজাবের ভুল ব্যাখা দিচ্ছেন যা কোরান পরিপন্থি । আপনি যে আল্লাহ মানি , কোরান মানি না কিন্তু হাদিস মানি --- সম্প্রদায়ের মানুষ সেটা আপনার জ্ঞানের বহরই প্রমাণ করে যেমন -----

আমি উনাকে কোরানের আয়াতের কথা মনে করিয়ে দিলে উনি হাদিসের কথা নিয়ে আসছেন । :)

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪০

সুলতানা সালমা বলেছেন:
Alif Lam Ra – Q. 10, 11, 12, 14, 15.
Alif Lam Mim – Q. 2, 3, 29, 30, 31, 32.
Alif Lam Mim Ra – Q. 13.
Alif Lam Mim Sad – Q. 7.
Ha Mim – Q. 40, 41, 43, 44, 45, 46.
Ha Mim ‘Ain Sin Qaf – Q. 42.
Sad – Q. 38.
Ta Sin – Q. 27.
Ta Sin Mim – Q. 26, 28.
Ta Ha – Q. 20.
Qaf – Q. 50.
Ka Ha Ya 'Ain Sad – Q. 19.
Nun – Q. 68.
Ya Sin – Q. 36.

মনে হচ্ছে,আপনি ভাল কোরান বিশারদ। মুগ্ধ হয়ে গেলাম!উপরের আয়াত গুলার অর্থ তরজমা করে দেন না প্লিজ!

৩৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৩

কালীদাস বলেছেন: আপনে হিজাব নিজ থেকে পড়তে চাইলে পড়েন, আপনার ভাল লাগে বলে পড়েন; আপনি অবশ্যই পড়বেন, এইটা কারও মাথা ব্যাথা হওয়া উচিত না। কিন্তু যদি বখাটের কুদৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য পড়েন, তাহলে সেটা আপনার ফেইলুরকে ইমপ্লাই করবে সোসাইটির ফেইলুরের কনসিকোয়েন্স হিসাবে, কারণ কোরআনে ছেলেদেরকেও তাদের দৃষ্টি সংযত করতে বলা হয়েছে কঠোরভাবে।

৩৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৬

সুলতানা সালমা বলেছেন: আপনে হিজাব নিজ থেকে পড়তে চাইলে পড়েন, আপনার ভাল লাগে বলে পড়েন; আপনি অবশ্যই পড়বেন, এইটা কারও মাথা ব্যাথা হওয়া উচিত না।কোরআনে ছেলেদেরকেও তাদের দৃষ্টি সংযত করতে বলা হয়েছে কঠোরভাবে
exactly! ধন্যবাদ কালীদাস। :) :)
কেন আমি পর্দা করছি তা শেষে বলেছি:
"আমরা আল্লাহকে ভালবেসে পর্দা করেছি,
কাপড় দিয়ে আমাদের
মাথা ঢেকেছি,
মেধা নয়। "

৩৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৫:২৮

এ আর ১৫ বলেছেন: তারা যেন গ্রীবা ও বক্ষদেশ মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে। "... (সূরা নূর : ৩১)-------- গ্রীবা এবং মাথার কাপড় আপনি কোথায় পেয়েছেন ? এই আয়াতে আরবি শব্দ খিমার ব্যবহার করা হয়েছে ----- খিমার শব্দের অর্থতো শুধু মাথার কাপড় নয় তবে মাথার কাপড় এক ধরনের খিমার । এই বাক্যের মুল কমান্ডমেন্ট হোল বক্ষ আবৃত করা কি দিয়ে আবৃত করতে বোলেছে খিমার দিয়ে , এখন দেখুন খিমারের অর্থ কি এবং সেই সাথে বুঝতে পারবেন মাথা ঢাকা বা চুল ঢাকার কোন নির্দেশ কোরানে নেই -----
Khimar" is an Arabic word that means, cover, any cover, a curtain is a Khimar, a dress is a Khimar, a table cloth that covers the top of a table is a Khimar, a blanket can be used as a Khimar..etc. The word KHAMRA used for intoxicant in Arabic has the same root with Khimar, because both covers, the Khimar covers (a window, a body, a table . . . etc.) while KHAMRA covers the state of mind. Most of ...the translators, obviously influenced by Hadith (fabrications) translate the word as VEIL and thus mislead most people to believe that this verse is advocating the covering of the head.
In 24:31 God is asking the women to use their cover (khimar)( being a dress, a coat, a shawl, a shirt, a blouse, a tie, a scarf . . . etc.) to cover their bosoms, not their heads or their hairs. If God so willed to order the women to cover their heads or their hair, nothing would have prevented Him from doing so. God does not run out of words. God does not forget. God did not order the women to cover their heads or their hair.
God does not wait for a Scholar to put the correct words for Him! 
The Arabic word for CHEST, GAYB is in the verse (24:31), but the Arabic words for HEAD, (RAAS) or HAIR, (SHAAR) are NOT in the verse. The commandment in the verse is clear - COVER YOUR CHEST OR BOSOMS, but also the fabrication of the scholars and most of the translators is clear by claiming- cover your head or hair.
The last part of the verse (24:31) translates as, "They shall not strike their feet when they walk in order to shake and reveal certain details of their bodies." The details of the body can be revealed or not revealed by the dress you wear, not by your head cover.
Notice also the expression in 24:31, 
[Quran 24:31] They shall not reveal any parts of their bodies, except that which is necessary.
This expression may sound vague to many because they have not understood the mercy of God. Again God here used this very general term to give us the freedom to decide according to our own circumstances the definition of "What is necessary".
It is not up to a scholar or to any particular person to define this term. God wants to leave it personal for every woman and no one can take it away from her. Women who follow the basic rule number one i.e. righteousness, will have no problem making the right decision to reveal only which is necessary.

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১১

সুলতানা সালমা বলেছেন: আপনি বিতর্ক করছেন যে,"আল্লাহ হিজাব করার কথা কোথায় বলেছেন?কোন আয়াতে চুল ঢাকার কথা আছে?"
উত্তর: জীবনানন্দ বনলতাকে নিয়ে লিখেছেন,
"চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা"-
জানি না,নজরুল কাকে উদ্দ্যেশ্য করে বলে ছিলেন, "আলগা করগো খোঁপার বাধন "
-চুল নারীর সৌন্দর্য এর একটা অংশ। আবহমান কাল থেকেই নারী তার দৈহিক লাবণ্য আর চুলের ঘ্রাণ দিয়ে পুরুষদের বশ করে রাখতে চায়।
আল্লাহ তায়ালা কোরানে প্রথমে পুরুষদের পর্দা রক্ষা করতে বলেছেন। "মুমিনদেরকে বলুন, এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।"
এরপর তিনি নারীদের পর্দার বিধান দিয়ে আয়াত নাযিল করেন:
"ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে।
তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে।
মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।"

৪০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:১৭

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি এখানে জিনা বোলতে ব্যভিচার বুঝিয়েছেন --তাইতো --- বলুন তো এটা কোরানের কত তম আয়াত ---- যিনার শাস্তি

ইসলামে যিনার শাস্তি ব্যক্তিভেদে একটু ভিন্ন। যিনাকারী যদি বিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে। আর যদি অবিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে একশত ছড়ি মারা হবে। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য একই শাস্তি।-------- আমি এই কথাটা বলেছি আমার মন্তব্যে --- শারিয়া আইনে আছে বিবাহিত বা বিবাহিতা অপরাধীর শাস্তি জনগণের সামনে পাথরের আঘাতে মৃত্যুদণ্ড, যাকে রজম বলা হয়। আর যার বিয়ে হয়নি তাকে একশ’ চাবুক − (সূত্র : হানাফি আইন হেদায়া পৃষ্ঠা ১৭৮, বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন ১ম খণ্ড, ধারা ১২৯, পাকিস্তানের হুদুদ আইন ৭-১৯৭৯, অর্ডিন্যান্স ২০-১৯৮০ দ্বারা পরিবর্তিত, আইন নম্বর ৫ (২)-এর “অ” ইত্যাদি). অর্থাৎ এ-আইন কোরাণকে লঙ্ঘন করেছে।
------- আপনি যদি আমার মন্তব্যটা ঠিক মত পড়তেন তাহোলে এই মন্তব্য করতে পারতেন না । কোরানে কোথাও ব্যভিচারের জন্য মৃর্তু দন্ড দেয় নি কিন্তু হাদিসে বা শরিয়া আইনে আছে য সম্পুর্ন কোরান লঙ্ঘন ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩

সুলতানা সালমা বলেছেন: যিনার শাস্তি

ইসলামে যিনার শাস্তি ব্যক্তিভেদে একটু ভিন্ন। যিনাকারী যদি বিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে। আর যদি অবিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে একশত ছড়ি মারা হবে। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য একই শাস্তি।
الزَّانِيَةُ وَالزَّانِي فَاجْلِدُوا كُلَّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا مِائَةَ جَلْدَةٍ وَلَا تَأْخُذْكُم بِهِمَا رَأْفَةٌ فِي دِينِ اللَّهِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلْيَشْهَدْ عَذَابَهُمَا طَائِفَةٌ مِّنَ الْمُؤْمِنِينَ ﴿النور: ٢﴾

ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। (নূর: ২)

হাদীসে আছে,
البكر بالبكر جلد مائة، ونفي سنة، والثيب بالثيب جلد مائة والرجم

অবিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে শাস্তি এক শত বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর। আর বিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে একশত বেত্রাঘাত ও রজম (পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড)। (সহীহ মুসলিম)

এই হাদীস থেকে অন্য ফিক্বহের ফকীহগণ বলেন, যিনাকারী অবিবাহিত হলে তার শাস্তি দুটো। ১. একশত বেত্রাঘাত। ২. এক বছরের জন্য দেশান্তর।
আর হানাফী ফকীহগণ বলেন, এক্ষেত্রে হদ (শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত শাস্তি) হলো একশত বেত্রাঘাত। আর দেশান্তরের বিষয়টি ক্বাযী বা বিচারকের বিবেচনাধীন। তিনি ব্যক্তি বিশেষে তা প্রয়োগ করতে পারেন।



ধর্ষণের শাস্তি

ধর্ষণের ক্ষেত্রে একপক্ষে যিনা সংঘটিত হয়। আর অন্যপক্ষ হয় মজলুম বা নির্যাতিত। তাই মজলুমের কোনো শাস্তি নেই। কেবল জালিম বা ধর্ষকের শাস্তি হবে।
ধর্ষণের ক্ষেত্রে দুটো বিষয় সংঘটিত হয়। ১. যিনা ২. বলপ্রয়োগ/ ভীতি প্রদর্শন।

৪১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:২৯

এ আর ১৫ বলেছেন: জবাব:
১)ছাগল টা বেশ জ্ঞানী ছিল।যেখানে অন্য ছাগলে ঘাস-পাতা খায়,সে খেল কাগজ!!! তবে,ছাগলে কাগজ খেয়েছে,মগজ ত খায় নি।কোরানে হাফেয রা ত বেচে ছিলেন!এখনো আছেন!আল্লাহর কালাম অবিকৃত আছে----------- তাহোলে সেই আয়াত টার রেফারেন্স দেন তো দেখি ----- দলিলে বলা হচ্ছে ঐ আয়াতটি বাতিল করা হয়েছে
কিন্তু সেই বাতিল আয়াতটা কি ? কোথায় সেটা উধাও হল ? আয়াতটা হল -“কোন বয়স্ক নর ও নারী ব্যভিচার করিলে তাহাদিগকে পাথর মারিয়া হত্যা কর” − সহি ইবনে মাজাহ্ ৪র্থ খণ্ড হাদিস নং ২৫৫৩। কিন্তু এর মধ্যে ফাঁক আছে। কারণ আইন বাতিল হলে তার শাস্তি চালু থাকতে পারে না।--শারিয়ার পক্ষে হজরত ওমরের নামে বিখ্যাত এক হাদিস আছে, সহি মুসলিম ২য় খণ্ডের ৬৫ পৃষ্ঠাতে (মুহিউদ্দীন খানের বাংলা-কোরাণ, পৃষ্ঠা ৯২৬) আর সহি বোখারী ১২৪৩ ও ১২৪৯ (হাফেজ আবদুল জলিল), বোখারী ৮ম খণ্ড হাদিস ৮১৭ (ডঃ মুহসিন খান, মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়) এবং ইবনে হিশাম/ইশাক -৬৮৪ পৃষ্ঠায় : “আলাহতালা যাহা নাজেল করিয়াছেন তাহার মধ্যে রজমের আয়াতও রহিয়াছে … রসুলুলাহ (দঃ) রজম করিয়াছেন তাই আমরাও তাঁহার পরে রজম করিয়াছি … রজমের আয়াত পাঠ মনসুখ (বাতিল) হইয়া গিয়াছে কিন্তু হুকুম ও বিধান চালু রহিয়াছে।----
আলাহ পাক-এর কালাম ছাগলে খাওয়া ছাড়াও এ হাদিস আরও এক ভয়াবহ সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তা হলো, নাজিল হওয়া আয়াত কোরাণে নেই। অন্যান্য আয়াত বাতিলের হাদিসও আছে, বুখারী ৪র্থ খণ্ড ৬৯. কিন্তু কে কবে কোথায় আলাহর কালাম বাতিল করল কেন ও কোন্ অধিকারে করল তার দলিল পাওয়া যায়নি।-------
এখন আপনার দাবি -- তবে,ছাগলে কাগজ খেয়েছে,মগজ ত খায় নি।কোরানে হাফেয রা ত বেচে ছিলেন!এখনো আছেন!আল্লাহর কালাম অবিকৃত আছে -------- তাহোলে দেখান কোরানের কথায় এই আয়াত ? যদি এই আয়াত বাতিল হয় তাহোলে এই আয়াতের ভিত্তি করে শাস্তির বিধান থাকে কি করে ।
তাহলে আমরা দেখছি, কোরাণের আয়াতের সাথে হাদিসগুলো মিলছে না। কেন এমন হচ্ছে ? তাহলে নবীজী কি সুরা নূর নাজিল হবার আগে পরকীয়ায় বিবাহিত/তা-দের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন ? এ-প্রশেড়বর জবাব আছে ১২৪২ নম্বর হাদিসে, সাহাবী বলেছেন তিনি তা জানেন না। আমরা ধরে নিতে পারি যে নবীজী রজম করে থাকলে এ-সব আয়াত নাজিল হবার আগেই করেছিলেন, পরে নয়। কেননা পরে করলে তা কোরাণের বিপক্ষে যেত, সেটা সম্ভব নয়।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

সুলতানা সালমা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। রজমের আয়াত বা সেটা আল্লাহর ইচ্ছায় তুলে ফেলা হয়েছে কিনা সে ব্যাপার নিয়ে আমার ভাল ধারনা নেই।
তাই আপাতত এ নিয়ে কিছু বলতে চাইছি না।ইনশাল্লাহ পরে হয়ত এ নিয়ে ভালোভাবে জেনে শুনে বলব।

৪২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৪৪

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনার জবাবের আগা মাথা কিছুই বুঝলাম না -
সুরা আন-নূর, আয়াত ২৬ ও ৩ : “দুশ্চরিত্রা নারীরা দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য ও দুশ্চরিত্র পুরুষরা দুশ্চরিত্রা নারীদের জন্য … ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী বা মুশরিকা নারীকেই বিবাহ করে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী বা মুশরিক পুরুষই বিবাহ করে।”
অর্থাৎ ব্যভিচারী পুরুষ-নারীকে মৃত্যুদণ্ড দিলে তাদের লাশের সাথে লাশের বিয়ে দিতে হয়। সেটা সম্ভব নয়

জবাব:
২)এটাই প্রমান করে, কোরান সবার জন্য নাযিল হয়েছে।আমেরিকা আর ইউরোপ এর দিক তাকালে প্রমান পাওয়া যায়!ওদের ও নাকি বিয়ে হয়!-------
------- এটা কি ধরনের জবাব যার কোন আগা মাথা নাই । ব্যভিচারিদের হত্যা করার পক্ষে লেখা দিয়েছেন --- এখন এই আয়াত যে আপনার দাবি হত্যা করার বিপক্ষে যায় সেটা দিয়ে কি প্রমাণ হয় না কোরানে ব্যভিচারির হত্যার নির্দেশ নেই ?? ---- এই আয়াত প্রমান করে ব্যভিচারীকে হত্যা করা যায় না কিন্তু আপনি বলেছেন --- এটাই প্রমান করে, কোরান সবার জন্য নাজিল হয়েছে .!!!!!!!!! :) B-) =p~

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

সুলতানা সালমা বলেছেন: আল্লাহ মহা জ্ঞানী। তিনি ভাল করেই জানতেন সবাই ইসলাম গ্রহন করবে না।সব ইসলামিক রাষ্টে শরিয়া আইন ফলো করা হবে না।
আমাদের দেশের বেশীর ভাগ মানুষ নামের মুসলিম। এই যুগে প্রেম এর সম্পর্ক বিছানা পর্যন্ত গড়াতে সময় লাগে না।আর চারিদিক এ যখন এত পাপ দেখি,তখন ভয় হয় আমার মত হাজার হাজার দ্বীনের পথে থাকা ভাই-বোনদের। ভাবি, "চারিদিকে এত ব্যভিচারের ছড়াছড়ি! আমি কোনদিন এগুলোর কাছে যাই নি।আমার ভাগ্যে কি ব্যভিচারী কেউ আসতে পারে?কারন সমাজের অবস্থা খুব খারাপ!"আর ঠিক তখনি কোরানের এই আয়াত গুলা আমার মনে পড়ে।আল্লাহ্‌ র ওয়াদা চিরসত্য!
“দুশ্চরিত্রা নারীরা দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য ও দুশ্চরিত্র পুরুষরা দুশ্চরিত্রা নারীদের জন্য … ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী বা মুশরিকা নারীকেই বিবাহ করে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী বা মুশরিক পুরুষই বিবাহ করে।”
এটা আমার অনেক প্রিয় আর হ্রিদয় শীতল করা একটা আয়াত!

৪৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:০৬

এ আর ১৫ বলেছেন: যিনা প্রমাণের জন্য ইসলামে দুটোর যে কোনোটি জরুরী। ১. ৪ জন স্বাক্ষ্য ২. ধর্ষকের স্বীকারোক্তি।

তবে স্বাক্ষ্য না পাওয়া গেলে আধুনিক ডিএনএ টেস্ট, সিসি ক্যামেরা, মোবাইল ভিডিও, ধর্ষিতার বক্তব্য ইত্যাদি অনুযায়ী ধর্ষককে দ্রুত গ্রেফতার করে স্বীকার করার জন্য চাপ দেয়া হবে। স্বীকারোক্তি পেলে তার ওপর শাস্তি কার্যকর করা হবে ।

এখানে শুধু ৪ জন মুসলিম এডাল্ট পুরুষের সাক্ষীর কথা বলা হয়েছে । অন্য কোন প্রমান গ্রহন যোগ্য নয় যদি আসামি স্বীকার উক্তি না করে । আসামীর কাছ থেকে স্বীকার উক্তি যদি ওতো সোজা হোত তা হোলে তো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত । এত প্রমান থাকা সত্তেও কোন যুদ্ধ অপরাধি স্বীকার উক্তি দেয় নি এবং ১০০ জন চক্ষুস প্রমান থাকা সত্তেও আসামী দোষ স্বীকার করে না । ধর্ষক মনে হয় সি সি ক্যামেরার সামনে ধর্ষন করে বা অন্য মানুষের সামনে যিনি বাধা না দিয়ে মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলবে । সোহাগি জাহান তনুর ধর্ষনের দৃশ্যের কোন সি সি ক্যামেরা বা মোবাইল ভিডিও দেখাতে পারবেন <<<< ধর্ষিতার সাক্ষীর কথা বোলছেন --- কিন্তু শরিয়া আইনে ধর্ষিতার সাক্ষী গ্রহন যোগ্য নহে --- - “The
evidence required in a case of adultery is that of four men (adult Muslims) and the testimony of a woman is such a case is not permitted………the evidence of women is originally in admissible on account of their weakness of understanding, want of memory and incapacity of governing” – Unquote. Effort of addressing this embarrassment is in Codified Islamic Law (Bidhiboddho Islami Ain - Islamic foundation Bangladesh) Volume 1 page 311 with reference to Ata Ibn Yasar (RA), Hammad (RA) and Imam Hazm, a Spanish Palace-clergy of 15th century.

ডি এন এ টেস্টের কথা বোলছেন --
Sharia books constantly maintain what Mawdudi claimed - slightest change or modification in Hudud Laws is notpermitted even if world’s all Muslims uni vocally want it (Islamic Law and Constitution -page 140). ( সুতরাং সি সি ক্যামেরা, মোবাইল ক্যামেরা গ্রহোন যোগ্য নহে )
On this ground in May 2005 the Lahore High Court had to reject the lawyer’s plea to do DNA-test of a baby and the accused adulterer in adultery case. Quote: - “The judge observed that DNA tests might be an important piece of evidence for a husband to establish an allegation of Zina against his wife….The DNA test may further help establish the legitimacy of a child for several other purposes. Therefore, its utility and value is acceptable, but not in a case falling under the penal provisions of Zina punishable under the Hadood Ordinance with its own standard of proof” – Unquote (Ref- The News International– 15 March 2005).

আপনার মুল দাবি মুসলিম মেয়ে রা বোকা হিজাব পরে তাই ঐ সমস্ত দেশে ধর্ষন কম হয় বা হয় না । এটা যে কত বড় মিথ্যাচার যার প্রমাণ স্বরুপ ঐ সমস্ত দেশের ধর্ষকের পক্ষে আইনের উদাহরন দিলাম।

৪৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:১৭

এ আর ১৫ বলেছেন:

বলুন তো এই মেয়েটি কেন ধর্ষিতা হোল সে তো হিজাব পরা ছিল !!!! ওখানে কোন সি সি ক্যামেরা ছিল না , মোবাইল ভিডিও হয় নি । চার জন পুরুষের সাক্ষি নাই । চার জন পুরুষের সামনে যখন ধর্ষন হয় তখন ঐ চার জন বাধা না দিয়ে কেন দেখছিল ??? বাংলাদেশের আইনে ৪ জন সাক্ষী লাগে না শুধু মেয়ের টেস্টিমনি তেই কাজ হয় কিন্তু শরিয়া আইন অনুযায়ি ধর্ষকের কোন বিচার হয় না । ধর্ষিতা যদি প্রমান করতে না পারে ধর্ষনের ৪ জন সাক্ষি বা আসামীর স্বীকরোক্তির তখন তাকে ব্যভিচারের দায়ে শাস্তি পেতে হয় কারন তার ধর্ষিতা হওয়ার স্বীকারোক্তি তার অবৈধ যৌন মিলনের স্বীকারোক্তি হিসাবে দেখা হয় এবং ব্যভিচারের দায়ে ১০০ চাবুক খেতে হয় । সুতরাং কোন মেয়ে ধর্ষিতা হওয়ার পর মামলা করে না . ধর্ষকের কাছে থেকে স্বীকারোক্তি প্রত্যাশা করা তামাশার ব্যপার ছাড়া আর কিছু না । কোন ধর্ষক স্বীকারোক্তি দিয়ে নিজের মৃর্তু দন্ড মাথা পেতে নিবে এমন চিন্তা করা আহাম্মকের রাজ্যে বসবাস করার মত !!!!!

৪৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:২৫

তার ছিড়া আমি বলেছেন: "ইহরাম গ্রহণকারী নারী যেন নেকাব ও হাতমোজা পরিধান না করে।" (সহীহ বুখারী ৪/৬৩, হাদীস : ১৮৩৮
বুদ্ধিমানেরা বুঝে নিক, শাহবাগের গান্জাখোররা চিল্লাতে থাকুক।

........... কিচ্ছু করার নাই।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

সুলতানা সালমা বলেছেন: হাহহাহা।ধন্যবাদ

৪৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি যে --- আল্লাহ মানি কোরান মানি না কিন্তু হাদিস মানি সম্প্রদায়ের লোক তা আবার প্রমাণ করলেন ---
-----ইসলামে যিনার শাস্তি ব্যক্তিভেদে একটু ভিন্ন। যিনাকারী যদি বিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে। আর যদি অবিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে একশত ছড়ি মারা হবে। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য একই শাস্তি। (এটাতো কোরানের কোন আয়াত নয় )
এবং হাদীসে আছে,
البكر بالبكر جلد مائة، ونفي سنة، والثيب بالثيب جلد مائة والرجم

অবিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে শাস্তি এক শত বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর। আর বিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে একশত বেত্রাঘাত ও রজম (পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড)। (সহীহ মুসলিম)

এই হাদীস থেকে অন্য ফিক্বহের ফকীহগণ বলেন, যিনাকারী অবিবাহিত হলে তার শাস্তি দুটো। ১. একশত বেত্রাঘাত। ২. এক বছরের জন্য দেশান্তর।
আর হানাফী ফকীহগণ বলেন, এক্ষেত্রে হদ (শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত শাস্তি) হলো একশত বেত্রাঘাত। আর দেশান্তরের বিষয়টি ক্বাযী বা বিচারকের বিবেচনাধীন। তিনি ব্যক্তি বিশেষে তা প্রয়োগ করতে পারেন।-------------
এবার দেখুন কোরানে কি আছে ----
সুরা নিসা, আয়াত ১৬ : “তোমাদের মধ্য হইতে যেই দুইজন সেই কুকর্মে লিপ্ত হয়, তাহাদিগকে শাস্তি প্রদান কর। অতঃপর যদি উভয়ে তওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন করে, তবে তাহাদের হইতে হাত গুটাইয়া নাও।”

কোথায় পাথর, কোথায় মৃত্যুদণ্ড ? মেরে ফেলার পর তার লাশ কি তওবা করবে নাকি, নিজেকে সংশোধন করবে নাকি ? এর চেয়েও কঠিন প্রমাণ আছে কোরাণে : সুরা নিসা, আয়াত ২৫ − দাসী-স্ত্রী পরকীয়া করলে তাকে “স্বাধীন-নারীদের অর্ধেক শাস্তি” দিতে হবে। এ-আয়াতের ব্যাখ্যায় শারিয়াপন্থীরা বলেন স্বাধীন নারী মানে স্ত্রী নয়, অন্য অবিবাহিতা নারী যাকে একশ’ চাবুক মারার বিধান আছে। কিন্তু চাবুক মারার আয়াত আছে তো সব ব্যভিচারীর বেলায়। আয়াতটা পড়ে দেখুন, স্পষ্ট বোঝা যায় দাসী নয় এমন নারীকে বিয়ে করা স্ত্রীর কথাই বলা হচ্ছে। তাকে মৃত্যুদণ্ড দিলে দাসী-স্ত্রীর কি শাস্তি হবে ? মৃত্যুদণ্ডের তো অর্ধেক হয় না।
এবারে কোরাণ থেকে শেষ প্রমাণ। সুরা আন-নূর, আয়াত ২৬ ও ৩ : “দুশ্চরিত্রা নারীরা দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য ও দুশ্চরিত্র পুরুষরা দুশ্চরিত্রা নারীদের জন্য … ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী বা মুশরিকা নারীকেই বিবাহ করে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী বা মুশরিক পুরুষই বিবাহ করে।”

অর্থাৎ ব্যভিচারী পুরুষ-নারীকে মৃত্যুদণ্ড দিলে তাদের লাশের সাথে লাশের বিয়ে দিতে হয়। সেটা সম্ভব নয়। কোরাণ একেবারে নীরব হলেও নাহয় কথা ছিল, যে কোন আইন বানাবার সুযোগ ছিল। কিন্তু কোরাণে তো ব্যভিচারীদের বিয়ের কথা বলা আছে।
-----------
তার মানে আপনি প্রমাণ করলেন- আপনি কোরানের আয়াত মানেন না মানেন হাদিস !!!!! এই মানুষিকতা নিয়ে আপনি ইসলামের খেদমত করতে আসছেন ??????

৪৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

এ আর ১৫ বলেছেন: একবার লিখলেন ----
তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে
আরেক বার লিখলেন ------ তারা যেন গ্রীবা ও বক্ষদেশ মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে। "... (সূরা নূর : ৩১)

আমি যেটা জবাব দিলাম সেটা কেন মাথায় ঢুকেনি ---গ্রীবা এবং মাথার কাপড় আপনি কোথায় পেয়েছেন ? এই আয়াতে আরবি শব্দ খিমার ব্যবহার করা হয়েছে ----- খিমার শব্দের অর্থতো শুধু মাথার কাপড় নয় তবে মাথার কাপড় এক ধরনের খিমার । এই বাক্যের মুল কমান্ডমেন্ট হোল বক্ষ আবৃত করা কি দিয়ে আবৃত করতে বোলেছে খিমার দিয়ে , এখন দেখুন খিমারের অর্থ কি এবং সেই সাথে বুঝতে পারবেন মাথা ঢাকা বা চুল ঢাকার কোন নির্দেশ কোরানে নেই -------
হিজাব একটা ট্রেডিশন এবং এটা মোটেও ধর্মীয় বাদ্ধকতা নয়
হিজাবের পক্ষে সুরা আল নুরের ৩১ তম (২৪--৩১) আয়াতের এই অংশটুকে হিজাব পরার আল্লাহর নির্দেশ হিসাবে দবি করা হয় --- ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে ---এখানে বলা হয়েছে -- তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে - মাথার ওড়না বক্ষে ফেলে রাখলে তা হবে হিজাব ।। অনেক বাংলা বা ইংলিশ অনুবাদে মাথার ওড়না বা ভেইল হিসাবে উল্লেখ আছে। কিন্তু এটা যে কত বড় মিথ্যাচার তার নমুনা দেখুন। এই আয়াতে আরবিতে খিমার শব্দটি ব্যবহার হয়েছে যার অর্থ আচ্ছাদন বা কভার যেমন পর্দা একটা কভার বা টেবিল ক্লথ যা টেবিলকে ডেকে আরাখে , জামা পরিধেয় বস্ত্র যা শরীর ডেকে রাখে তাই খিমার । শাল মাথার ওড়না শাড়ীর আচল ব্লাঊজ এই সবই খিমারের আওতায় পরে কারন এগুলো কভার বা আচ্ছাদন করতে পারে । সুতরাং খিমার শব্দের অর্থ শুধু মাথার ওড়না বা ভেইলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় কিন্তু কিছু হাদিসের বিকৃত ব্যাখার মাধ্যমে খিমারের অর্থ মাথার ওড়না হিসাবে বহু কোরানের অনুবাদে উল্লেখ করা হয়েছে ।

খিমার মানে মাথার ওড়না এর পিছনের যুক্তি কি ??? নবীর স্ত্রী বা কণ্যারা বা মুসলিম মহিলারা হিজাব পরতো তাই খিমার শব্দের অর্থ মাথার ওড়না -- এই ভাবে খিমার শব্দের অর্থকে মাথার ওড়নার মধ্যে সিমিত করে ফেলা হোল। ইসলাম আসার আগে আরবের মানুষ হিজাব পরতো এবং শরীর সম্পূর্ন ডেকে রাখতো বা এখনো রাখে যার মূল কারন মাত্রারিক্ত গরম হতে শরীরকে রক্ষা করা । মরুভূমির সাভাবিক তাপ মাত্রা যেখানে ৪৫ ডিগ্রী হতে ৫৫ ডিগ্রী পর্যন্ত ভেরি করে সেখানে মানুষ বাধ্য হয়ে মাথা সহ দেহ ডেকে রাখে জীবন রখা করার জন্য। ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষ যেমন শীত বস্ত্র পরে তেমনি মরুভূমির অত্যাধিক গরম হতে রক্ষা পেতে মানুষকে ডোলা কাপড় পরতে হয় এবং মাথা ডেকে রাখতে হয়। ডোলা কাপড় শরীর থেকে নির্গত ঘাম হতে সৃষ্ঠ ময়েসচারকে ধরে রাখে যা শরীরের ত্বককে বার্ন হতে রক্ষা করে । হিজাব মরুভূমির আবহাওয়ার প্রটেকশন ক্লদিং হিসাবে ইসলাম আগমনের বহু আগে থেকেই ব্যবহার হচ্ছে এবং অমুসলিমরা তা ব্যবহার করে ।
হিজাব একটা ট্রেডিশন এবং এটা মোটেও ধর্মীয় বাদ্ধকতা নয়.

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১

সুলতানা সালমা বলেছেন: আপনি আপনার জীবনদর্শন নিয়ে থাকুন।আমি আমার জীবনদর্শন বেছে নিয়েছি।আপনাকে ধন্যবাদ। দোয়া রইলো।ভাল থাকবেন।

৪৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি আপনার জীবনদর্শন নিয়ে থাকুন।আমি আমার জীবনদর্শন বেছে নিয়েছি।আপনাকে ধন্যবাদ। দোয়া রইলো।ভাল থাকবেন===================== আপনার জীবনের দর্শন ইসলামের নামে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করেন না -- আপনার জীবন দর্শন আল্লাহ মানি কোরান মানি না কিন্তু হাদিস মানি .। এমন ই মানুষ আপনারা কোরানের আয়াত এনে প্রমাণ দিলে ও মিথ্যা হাদিস মানেন কোরানের আয়াত মানেন না । যে হাদিস কোরানের বিরুদ্ধে যায় সেই হাদিস মিথ্যা হাদিস বা বাতিল যোগ্য হাদিস । আপনার জীবন দর্শন কোরান মানি না হাদিস মানি এবং ইসলাম ধর্মকে ভুল ব্যাখা দিয়ে মানুষের মধ্য বিভ্রান্তি করাই আপনার জীবন দর্শন !!!

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২০

সুলতানা সালমা বলেছেন: Alif Lam Ra – Q. 10, 11, 12, 14, 15.
Alif Lam Mim – Q. 2, 3, 29, 30, 31, 32.
Alif Lam Mim Ra – Q. 13.
Alif Lam Mim Sad – Q. 7.
Ha Mim – Q. 40, 41, 43, 44, 45, 46.
Ha Mim ‘Ain Sin Qaf – Q. 42.
Sad – Q. 38.
Ta Sin – Q. 27.
Ta Sin Mim – Q. 26, 28.
Ta Ha – Q. 20.
Qaf – Q. 50.
Ka Ha Ya 'Ain Sad – Q. 19.
Nun – Q. 68.
Ya Sin – Q. 36.

মনে হচ্ছে,আপনি ভাল কোরান বিশারদ। মুগ্ধ হয়ে গেলাম!উপরের আয়াত গুলার অর্থ তরজমা করে দেন না প্লিজ!

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২০

সুলতানা সালমা বলেছেন: জ্বি না, আমি আল্লাহর কাছে প্রতিদিন দোয়া করি,তিনি যাতে আমাদের সকল কে কোরান আর সহি হাদিস অনুসারে জীবন পরিচালনা করার আর ইমান নিয়ে মরার তাওফিক দেন।আমিন। আমি অত ধার্মিক পরিবার থেকে আসি নি।কোনদিন ধর্ম আমাকে এত টানবে ভাবি নি!আলহামদুলিল্লাহ্‌, এখন আমি আল্লাহ মানি, কোরান মানি, সহি হাদিস ও মানি। আমি নিজেকে কোরান বিশারদ, হাদিস বিশারদ ভাবি না। বিভিন্ন আলেম, শায়েখ,ইসলামিক স্কলার এর লেকচার শুনি।আল্লাহ তাদের সাধারণ মানুষের চেয়ে এ ব্যাপারে বেশী হিকমাহ দান করেছেন।দোয়া করবেন, কোরান যাতে বেশী বেশী করে মানতে পারি।আপনার ধৈর্য্য আছে মা~শাল্লাহ।অনেক কষ্ট করে এতগুলো মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।ভাল থাকবেন।

৪৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

নাভিলা বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন, চালিয়ে যান.......

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪

সুলতানা সালমা বলেছেন: পড়ে মতামত জানানোর জন্যে অনেক ধন্যবাদ, আপু।
অনেক দোয়া আর ভালবাসা রইল আপু আপনার জন্যে ।

৫০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

এরশাদ বাদশা বলেছেন: এ আর ১৫ যেন হিজাব কিংবা পর্দার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলেন??? পর্দার সাথে আপনাদের শত্রুতা কেনো? ইসলামে স্পষ্ট করেই নারীদের পর্দা করতে বলা হয়েছে।
কিন্তু সেই সাথে নারীদের পর্দার মধ্যে থেকেই পরিবার, সমাজ তথা দেশের উন্নয়নে কাজ করতে বলা হয়েছে। একমাত্র ইসলাম ধর্মই পরিপূর্ণভাবে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করেছে। তবে এও অনেকাংশে সত্য, ধর্ষকামী পুরুষ নারী দেখামাত্রই তার চর্মচক্ষু দিয়েই নারীকে প্রতিনিয়ত ধর্ষন করে চলেছে।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩২

সুলতানা সালমা বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন। ধন্যবাদ। :)

৫১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০

শ্রাবণধারা বলেছেন: পর্দাশীল বা ধার্মের পথে চলা আর মুখে কালো আন্ডারওয়ার পরে "আমি আল্লাহকে ভালবেসে মুখে কালো আন্ডারওয়ার পরেছি" এটা বলা দুটো দুই বিষয় ।

সৃষ্টিকর্তা যেমন কোন বিশেষ ধর্মমতের জন্য শুধু নয় - তার ব্যাপ্তি সার্বজনীন, তেমনি মুখে কালো আন্ডারওয়ার পরে আমি আন্ডারওয়ারপন্থী বললেই সেই বিশাল বিরাট জগৎস্রষ্ঠার কিছুই আসে যায় না । যে পর্দাশীলতা ধর্মের অনুসঙ্গ তাতে সব ধর্মের নারীরাই অংশগ্রহন করে ।

তবে কোন আকাট মূর্খ যদি মুখে কালো আন্ডারওয়ার পরতে চায়, তাতে আমার আপত্তি নেই , যদিও ব্যক্তি স্বাধীনতার দোহাই এখানে প্রাসঙ্গিক নয় - মূর্খের আবার স্বাধীনতা কি, তার জন্য শিকল ......।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

সুলতানা সালমা বলেছেন: আপনার মমতাময়ী মায়ের কথা ভেবে দুঃখ বোধ করছি :(
আপনি এখনও জানেন না যে ,কিভাবে একজন নারীকে সম্মান দিয়ে কথা বলতে হয়? শেইমলেস!

৫২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৫

লা-তাহ্‌যান বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খয়রান।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

সুলতানা সালমা বলেছেন: ওয়া ইয়া কুম।

৫৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

যোগী বলেছেন:
বিভিন্ন ব্লগারের কমেন্টের রিপ্লাই দেখে বিশেষ ভাবে নতুন কে দেয়া রিপ্লাই দেখে বুঝতে পারছি আপনি কি টাইপ।

আমি শুধু বলবো আপনার যা খুশি পরেন যেমন ভাবে খুশি পর্দা করেন কোন অসুবিধা নাই। তবে মুখে নেকাব লাগিয়ে আইডেনটিটি হাইড করে আপনাকে এই সমাজে চলাচল করতে দিয়ে ভয়াবহ জংগী হামলার রিস্ক আমরা নিতে পারি না।

আপনি যখন মুখে নেকাব লাগিয়ে চলাচল করবেন তখন মানুষ কী ভাবে বুঝবে যে আপনি একজন ভালো মেয়ে, অন কল পতিতা বা পুরুষ ছিনতাইকারি বা আত্বঘাতি জংগী না?
এমন কী কোথাও ক্রাইম ঘটার পরেও সিসি টিভি ফুটেজ দেখে আপনাকে আইডেনটিফাই করা তখন সম্ভব হবে না।

মুখে নেকাব একটা মেয়ে কে বখাটেদের উতক্ত করা থেকে রক্ষার চেয়ে বখাটেপোলাদের সাথেই রুম ডেটিং বা পার্ক ডেটিং এ বেশি সাহায্য করে।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪২

সুলতানা সালমা বলেছেন: আপনার মমতাময়ী মায়ের কথা ভেবে দুঃখ বোধ করছি :(
আপনি এখনও জানেন না যে ,কিভাবে একজন নারীকে সম্মান দিয়ে কথা বলতে হয়? শেইমলেস!
আমি ভালভাবে ই জানি,আমি যদি খারাপ কিছু করি তবে আল্লাহ আমাকে অনেক কঠিন সাজা দিবেন এ দুনিয়াতে আর আখিরাতে।
আমি আল্লাহকে ভয় করি। আর আমাকে জাজ করার আপনি কে?

৫৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

এ আর ১৫ বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্‌, এখন আমি আল্লাহ মানি, কোরান মানি, সহি হাদিস ও মানি।------ তাই আপনি কোরান মানেন তাহোলে শরিয়া রজম সমর্থনে যে হাদিস গুলো দিলেন সেগুলো তো কোরানের আয়াতের সাথে কনফিল্ট করে এবং বিশ্বাষ করেন ব্যভিচারিদের হ্ত্যা করা জায়েজ ---- তার মানে আপনি তো কোরান মানলেন না মানলেন কোরান বিরুধি জাল বা মিথ্যা হাদিস (কারন এগুলো কোরান বিরুধী) । ফেব্রিকেটেড হাদিস দিয়ে সুরা নুরে ৩১ তম আয়াতের ভুল অনুবাদ বিশ্বাষ করে মাথার চুল ঢেকে হিজাব পরা ইসলামের নির্দেশ মনে করেন --- যেমন ---তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে
আরেক বার লিখলেন ------ তারা যেন গ্রীবা ও বক্ষদেশ মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে। "... (সূরা নূর : ৩১)----- খিমার শব্দের ভুল অনুবাদ করেছেন ফেব্রিকেটেড হাদিস গুলোরে চালিয়ে দেওয়ার জন্য এবং খিমারের সঠিক ব্যাখা দেওয়ার পর ও কোরান না মেনে ফেব্রিকেট হাদিসের কথাই ফলো কোরলেন --- তাহোলে কোরান না মেনে তো হাদিস মানলেন যা কোরান বিরুধি । সুরা আযাবের ৫৯ তম আয়াতের চেনা শব্দটার আযগুবি ব্যাখা দিলেন যার পিছনে ফেব্রিকেটেড হাদিসের ছায়া আছে । তাহোলে আপনিতো কখনো কোরান মানেন নাই মানছেন হাদিস । আপনার কাজ এবং লেখা বিশ্বাষ প্রমাণ করে আপনি আল্লাহ মানেন, কোরান মানেন না কিন্তু হাদিস মানেন ।
আপনি বোলেছেন ------- আমি নিজেকে কোরান বিশারদ, হাদিস বিশারদ ভাবি না। বিভিন্ন আলেম, শায়েখ,ইসলামিক স্কলার এর লেকচার শুনি।--------- আপনি যাদের লেকচার শুনেন তারা সবাই আল্লাহ মানে, কোরান মানে না কিন্তু হাদিস মানে । ধন্যবাদ

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

সুলতানা সালমা বলেছেন: Alif Lam Ra – Q. 10, 11, 12, 14, 15.
Alif Lam Mim – Q. 2, 3, 29, 30, 31, 32.
Alif Lam Mim Ra – Q. 13.
Alif Lam Mim Sad – Q. 7.
Ha Mim – Q. 40, 41, 43, 44, 45, 46.
Ha Mim ‘Ain Sin Qaf – Q. 42.
Sad – Q. 38.
Ta Sin – Q. 27.
Ta Sin Mim – Q. 26, 28.
Ta Ha – Q. 20.
Qaf – Q. 50.
Ka Ha Ya 'Ain Sad – Q. 19.
Nun – Q. 68.
Ya Sin – Q. 36.

মনে হচ্ছে,আপনি ভাল কোরান বিশারদ। মুগ্ধ হয়ে গেলাম!উপরের আয়াত গুলার অর্থ তরজমা করে দেন না প্লিজ!আগেও রিকোয়েস্ট করেছিলাম,এড়িয়ে গেলেন কেন?

৫৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৩

যোগী বলেছেন: আপনার মমতাময়ী মায়ের কথা ভেবে দুঃখ বোধ করছি :(
আপনি এখনও জানেন না যে ,কিভাবে একজন নারীকে সম্মান দিয়ে কথা বলতে হয়? শেইমলেস!
আমি ভালভাবে ই জানি,আমি যদি খারাপ কিছু করি তবে আল্লাহ আমাকে অনেক কঠিন সাজা দিবেন এ দুনিয়াতে আর আখিরাতে। আমি আল্লাহকে ভয় করি। আর আমাকে জাজ করার আপনি কে?



আপনাকেতো অসন্মান করে কিছু বলিনি আমি শুধু বলেছি মুখে নেকাব পরলে সমাজের কি ক্ষতি হতে পারে। নেকাব পরে পুরুষ বা মহিলা যে কেও রাষ্ট্র বা সমাজে অনেক বড় রকম ক্ষতি করতে পারে। তাকে আর কোন ভাবেই পরে আইডেন্টিফাই করা সম্ভব হবে না। আপনি সত্যিই আল্লাহকে ভয় করে নেকাব পরছেন না অন্য কোন উদ্দেশ্যে নেকাব পরছেন সেটা কারো পক্ষে জানা সম্ভব না।


০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৮

সুলতানা সালমা বলেছেন: আপনার কমেন্ট আমাকে মারাত্মক ভাবে অসম্মানিত আর আহত করেছে!

৫৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৬

যোগী বলেছেন:
আপনি আল্লাহ কে ভয় করেন বা ভালোবাসেন এই কথা বলে কী লাভ বলেন যেটা কখনোই প্রমান করা সম্ভব না?
আপনার মত আমি আল্লহকে ভয় করি ভালোবাসি এই কথা কুখ্যাত মুজাহিদ বা নিজামিরা হাজার লক্ষ বার বলছে। তার পরেও একের পর এক তাদের ফাঁসি হচ্ছে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৩

সুলতানা সালমা বলেছেন: হুজুর আর চোরের গল্পও টা কি জানেন?
হুজুর ভোরবেলা পুকুরে যায় ওজু করতে আর চোর পুকুরে যায় সারা রাত চুরি শেষে হাত মুখ ধুতে।
জানেন, না কি গল্পটা শুনাবো?

৫৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৩৫

মাসূদ রানা বলেছেন: খুব ভালো লেখা বোন :)

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৪

সুলতানা সালমা বলেছেন: জাযাকাললাহ খাইর ভাই। :)

৫৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪০

এ আর ১৫ বলেছেন: মনে হচ্ছে,আপনি ভাল কোরান বিশারদ। মুগ্ধ হয়ে গেলাম!উপরের আয়াত গুলার অর্থ তরজমা করে দেন না প্লিজ!আগেও রিকোয়েস্ট করেছিলাম,এড়িয়ে গেলেন কেন ? ------ তাই নাকি জানতাম নাতো আমি কোরান বিশারদ .!!!! আপনি টপিকসের বাহিরের জিনিস নিয়ে এসেছেন কেন এবং ঐ গুলোর সাথে বোরকা হিজাব নিকাব ব্যভিচার ধর্ষণের সম্পর্ক কি । আর ও গুলোর ব্যাখা নিয়ে আপনি কি কোরবেন -- আপনি তো কোরান মানেনা হাদিস মানেন সুতরাং আপনার তরজমা ব্যাখা জানার দরকার কি আপনি খালি জাল হাদিস পড়েন আর তা পালোন করতে থাকেন আর মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য জাল মিথ্যা হাদিস দিয়ে অপব্যাখা করতে থাকেন ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২০

সুলতানা সালমা বলেছেন: আরেহ,আপনার কাছ থেকেই ত কোরানের তরজমা শিখতে চাচ্ছি স্যার, পাশ কাটাচ্ছেন কেন?
যদি আমার প্রশ্নের ঠিক জবাব দিতে পারেন তবে আপনার কাছ থেকেই আমি কোরান শিখব ।
আমি মেনে নেব যে, আপনি আমার কোরান শিক্ষার গুরু! :)

৫৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

যোগী বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার কমেন্ট আমাকে মারাত্মক ভাবে অসম্মানিত আর আহত করেছে!


হা হা হা এখানে দেখেন এরাও কিন্তু ঠিক আপনার মতই কথা বলে। কাকে বিশ্বাষ করবো?

https://www.youtube.com/watch?v=l9e_ZThP5kw

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

সুলতানা সালমা বলেছেন: ইদুরে কাটা লিংক দিয়েছেন যে?

৬০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৮

এ আর ১৫ বলেছেন: যদি আমার প্রশ্নের ঠিক জবাব দিতে পারেন তবে আপনার কাছ থেকেই আমি কোরান শিখব ।
আমি মেনে নেব যে, আপনি আমার কোরান শিক্ষার গুরু ----- তার মানে আপনি সঠিক জবাব জানেন, যদি জানেন তবে জিঙ্গাসা করেন কি জন্য । আমি কোরানের যে আয়াত গুলি দিয়েছি সেই গুলো তো আপনে মানেন না আর কোরানে বিষয়ে জানতে যদি চান তবে এই লিংকে গিয়ে পড়ুন এবং আরো সাব লিংক দেওয়া আছে সেগুলি পড়লে বুঝবেন কোরান বুঝতে হোলে হাদিসের প্রয়োজনিতা কত টুকু ..... Quran Alone (Last Part)

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

সুলতানা সালমা বলেছেন: উহু, আপনি আমার প্রশ্নের জবাব আগে দিন! কোরানের সেসব আয়াতের তরজমা করে দিন ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

সুলতানা সালমা বলেছেন: Alif Lam Ra – Q. 10, 11, 12, 14, 15.
Alif Lam Mim – Q. 2, 3, 29, 30, 31, 32.
Alif Lam Mim Ra – Q. 13.
Alif Lam Mim Sad – Q. 7.
Ha Mim – Q. 40, 41, 43, 44, 45, 46.
Ha Mim ‘Ain Sin Qaf – Q. 42.
Sad – Q. 38.
Ta Sin – Q. 27.
Ta Sin Mim – Q. 26, 28.
Ta Ha – Q. 20.
Qaf – Q. 50.
Ka Ha Ya 'Ain Sad – Q. 19.
Nun – Q. 68.
Ya Sin – Q. 36.

৬১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪০

যোগী বলেছেন:
আপনি মনে হয় মাদ্রাসায় পড়েন। প্লিজ সেইফ থাকার জন্য শুধু হিজাব নেকাবের উপরেই ভরষা করবেন না। সেখানকার শিক্ষককেরা আবার ধর্ষনের জন্য ছাত্র ছাত্রী বা শিশুদের মধ্যে বিভেদ করে না।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

সুলতানা সালমা বলেছেন: আপনার কল্পনা শক্তির অবস্থা খুব খারাপ।আপনাকে ১০০ তে ০ দেয়া হল।
আপনি বিনা কারনে যে ভাবে সন্দেহ করছেন ,তাঁতে মনে
হচ্ছে আপনাকে ইসলামের ব্যাপারে ইনভেস্টিগেশনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পুলিশ বা সি আই ডি তে গেলে আপনার FUTURE উজ্জ্বল !

৬২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

হাসান নাঈম বলেছেন: "আমরা আল্লাহকে ভালবেসে পর্দা করেছি,
কাপড় দিয়ে আমাদের
মাথা ঢেকেছি,
মেধা নয়।"

চমৎকার সাহসী লেখার জন্য ধন্যবাদ।

হেজাব-নেকাবের ব্যাপারে আপনার অবস্থানের প্রতি পুর্ণ সমর্থন রেখেই একটা বিষয়ে আপনার দৃস্টি আকর্ষণ করতে চাই।

আমাদের একটা প্রচলিত ধারনা হল মেয়েদের সৌন্দর্যে পুরুষ আকৃস্ট হয় বলেই মেয়েদের পর্দা করতে হবে। এখানে এই আকৃস্ট হওয়াকে নেতিবাচক দৃস্টিতে দেখা হয়। অথচ প্রাকৃতিক নিয়মেই নারী ও পুরুষ পরস্পরের প্রতি আকৃস্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। এবং আকৃস্ট হলে কী করতে হবে সেটাও ধর্মী ও সামাজিক ভাবে নির্দিস্ট আছে - বিধিবদ্ধ(যার যার ধর্মীও/রাস্ট্রীয়/সামাজিক) উপায়ে বিয়ে করে সংসার করা। এটাকে নেতিবাচক দৃস্টিতে দেখার কিছু নাই - নেতিবাচক হল সাজসজ্জা বা শারিরিক সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বিপরিত লিঙ্গকে আকৃস্ট/মোহিত করার অপচেস্টা। এটা নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই নিশিদ্ধ - যেমন পুরুষের জন্যও পাতলা বা টাইট পোষাক বা পেশীবহুল উরু বা বাহু প্রদর্শন বা খুব জাকজমকপুর্ণ/রেশমের পোষাক, স্বর্ণালঙ্কার পরা ইত্যাদী।

কিন্তু স্বাভাবিক প্রসাধনহীন চেহারায় হিজাব ও শালিন পোষাকে চলার পরও শুধুমাত্র পুরুষ আকৃস্ট হবে এই যুক্তিতে অতিরিক্ত কাপড়ে মুখ ঢেকে রাখা কতটা যৌক্তিক সে ব্যাপারে যথেস্ট সংশয় আছে। প্রচলিত যে ধারনা 'পুরুষ নারীর সৌন্দর্যে আকৃস্ট হয়' এটাও এতরফা ভাবে ঠিক নয়। যদি একটা জরিপ করা হয় - নারীর সৌন্দর্যে আকৃস্ট পুরুষ কত জন আর পুরুষের সৌন্দর্যে আকৃস্ট নারী কত - তাহলে আমার ধারনা নারীরাই জিতে যাবে। একটা সুপুরুষ যুবকের প্রতি আকৃস্ট নারীর সংখ্যা একটা সুন্দর মেয়ের প্রতি আকৃস্ট ছেলেদের তুলনায় কম হওয়ার কথা নয়। পার্থক্য হলে ছেলেরা আগ্রাসী, প্রত্যাখ্যাত হলে এসিড মারে বা প্রতিপক্ষ থাকলে আক্রমন করে - তাই সেটা বেশি চোখে পরে। আর মেয়েরা কেবল চোখের পানিতে বালিশ ভিজিয়েই খান্ত দেয়।

আর কোরআনেও দেখুন - নারীর সৌন্দর্যে আকৃস্ট পুরুষের কোন ঘটনা এতে নাই। কিন্তু পুরুষ ইসুফ(আ.) এর সৌন্দর্যে আকৃস্ট নারীদের ঘটনা বিস্তারিত আছে। যদি স্বাভাবিক সৌন্দর্যের আকর্ষণ ঠেকানোর জন্যই পর্দার বিধান হত তাহলে ইসুফ(আ.)কে অবশ্বই মুখ ঢেকে চলার নির্দেশ দেয়া হত। সেটা কিন্তু হয় নি।

আমার ধারনা ইসলামের পরাধীনতার সময়ে গত ৪-৫শ বছরে এই বিষয়ের বাড়াবাড়ি শুরু হয়েছে। আমার নানীদের সময়ের গল্প শুনেছি, দিনের বেলা কখন ঘরের বাইরে যেতে হলে চারজন চার পাশ দিয়ে মশারিরমতকরে কাপড় ধরে হাটত আর তার মধ্যে থাকত বোরকা পড়া মেয়েরা। যাতে মেয়েরা কতটুকু লম্বা বা মোটা সেটাও কেউ দেখতে না পারে। এটা তারা হয়ত করেছিল তখনকার জালিম প্রশাষণ ও পারিপার্ষিকতার ভিত্তিতে। অথচ বর্তমানে আমরা সেই অবস্থা থেকে অনেকটাই মুক্ত হয়েছি।

আপনি নিজের অভিজ্ঞতায় এক হিন্দু মেয়ের কথা বলেছেন যে বখাটেদের উৎপাত থেকে বাঁচতে নেকাব দিয়ে বোরকা পরত। এটাই ঠিক - পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী কোন মেয়ে যদি মনে করে নেকাবে মুখ ঢেকে রাখা তার জন্য নিরাপদ - তাহলে সেটা করার পুর্ণ স্বাধীনতা তার অবশ্বই আছে। কিন্তু এটাকে ইসলামের পর্দার বিধান হিসেবে কার উপর চাপিয়ে দেয়ার চেস্টা করা উচিত নয়।

সবকিছুতেই ভারসাম্য জরুরী - কোনকিছু কম যেমন খারাপ বেশিও খারাপ। পর্দা না করা যেমন খারাপ তেমনি অতিরিক্তও ভাল নয়। ভারসাম্যপুর্ণ অবস্থা হচ্ছে সবধরনের সাজসজ্জা (মেকআপ, কাজল, লিপস্টিক সহ সৌন্দর্যবর্ধক সবকিছু), অলংকার পরিহার করে আল্লাহর দেয়া স্বাভাবিক চেহারায় মাথায় হিজাব দিয়ে শালিন পোষাকে স্বাভাবিক মানুষেরমত চলা। ইসলামের পর্দার কথা বলার সময় আমাদের এই ভারসাম্যপুর্ণ অবস্থাকেই গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা উচিত - এর কমও ভাল নয়, বেশিটাও ব্যাক্তিগত স্বাধীনতা মাত্র।

আশা করি আমার বক্তব্য পরিষ্কার করতে পেরেছি।
আরো সুন্দর যৌক্তিক গঠনমুল লেখা নিয়মিত লিখবেন আশা করি।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৪

সুলতানা সালমা বলেছেন: জাযাকাললাহ খায়ের ভাই। :)
আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনি বলেছেন,"ভারসাম্যপুর্ণ অবস্থা হচ্ছে সবধরনের সাজসজ্জা (মেকআপ, কাজল, লিপস্টিক সহ সৌন্দর্যবর্ধক সবকিছু), অলংকার পরিহার করে আল্লাহর দেয়া স্বাভাবিক চেহারায় মাথায় হিজাব দিয়ে শালিন পোষাকে স্বাভাবিক মানুষেরমত চলা। ইসলামের পর্দার কথা বলার সময় আমাদের এই ভারসাম্যপুর্ণ অবস্থাকেই গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা উচিত - এর কমও ভাল নয়, বেশিটাও ব্যাক্তিগত স্বাধীনতা মাত্র।"
হিজাব, বোরখা ,আবায়া নিয়ে অবশ্য ই প্রোপারলি দেহকে ঢেকে রাখে তা নিয়ে আলেম,স্কলারদের মাঝে কোনো বিভেদ নেই।
তবে নেকাবের ব্যাপারে অনেকেই বলেন, ফরয আবার অনেকেই ফরয না বলে মত দিয়েছেন।
আল্লাহু আলাম।
তবে ভালবেসে নেকাব পড়া আমার কাছে মনে হ্য়, তাকোয়ার লেভেল এক ধাপ উপরে যাওয়া।
এনিউয়ে, আল্লাহ্‌ ই ভাল জানেন।
তবে সত্যি করে বলতে কি,চেহারা ঢেকে রাখা সত্যি ভালো।
আমি ফিল করি ,অনেক ফেতনা থেকে বাঁচা যায়।

৬৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৩

মানবী বলেছেন: পোস্টের শুরুতে যে মন্তব্যগুলো লেখা তা শুধু হীনমন্যতাবোধে ভুগলেই করা সম্ভব। অ্ররের পোষাক নিয়ে যারা এমন মন্তব্য করে তারা আধুনিকতার আলোর দেখা পায়নি, এখনও অসভ্য হয়েই আছে তাই এভাবে বলে।

পাশ্চাত্যের কোন সভ্য দেশে মানুষের পোষাক নিয়ে ভদ্রপরিবারের লোকজন এধরনের মন্তব্য করেনা। কে স্বল্পবসনা হবে, কে আগাগোড়া নিজেকে ঢেকে রাখবে তা নিতান্তই যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

যুক্তরাষ্ট্রে যেকজন পরিচিত বাংলাদেশি নারী আছেন (যাঁদের মাঝে ডাক্তার, ইন্জিনীয়রের সংখ্যা বেশি) তাঁদের ৭৫%কেই হিজাব বা পর্দা করে চলতে দেখি। কখনও হিজাব করা না করা নিয়ে কাউকে কটাক্ষ করতে দেখিনি।

আমাদের মূল সমস্যা হলো আমরা শৈশব থেকে অপমান আর অবজ্ঞার মাঝে বেড়ে উঠি বলেই অপরকে সন্মান করতে জানিনা। বিশেষ করে যেসব মা বাবা পরশ্রীকাতর, যারা পরচর্চা করতে বেশি পছন্দ করে তাদের সন্তানরা স্বাভাবিক ভাবে অন্যদের সন্মান করতে শিখেনা।

আপনাকে কেউ পর্দা নিয়ে কটু কথা বললে তার জন্য করুণাবোধ করুন, নিজের মন খারাপ করার কোন কারন নেই।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩২

সুলতানা সালমা বলেছেন: মানবী আপু,ভাবতে পারি না, এত খারাপ কথা মানুষ কিভাবে বলতে পারে! :(
প্রথমে কষ্ট পেলেও, পরে আর পাত্তা দেই নিই।

৬৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

যোগী বলেছেন:

আমার দেয়া ইউটিউবের লিংক ইদুরে কাটা??????
আপনি কী সত্যিই ইসলামিক পর্দা করেন না পর্দার ব্যাবহার করে কোন অবৈধ ব্যাবসা করেন এখন আমার যথেষ্ট সন্দেহ হচ্ছে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৫

সুলতানা সালমা বলেছেন: যারা খারাপ কথা বলে, মানুষের নামে মিথ্যাচার করে আল্লাহ তাদের ভাল কথা বলার, ভাল আচরন করার তাওফিক দিন। আমিন

৬৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: আমার চেনা পরিচিত সমস্ত ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বোনেরা হিজাব পরে ।

ব্লগের প্রগতিশীল নারী ব্লগার মানবীর সাথে একমত ।

কৃষিজীবী মহিলারা যদিও হিজাব করিতে পারেন না ।অবশ্য তারা তো অশিক্ষিত ।

আপনার ইসলামী চেতনা আমাদেরও আলোকিত করুক ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৭

সুলতানা সালমা বলেছেন: ব্লগের প্রগতিশীল নারী ব্লগার মানবী আপুর সাথে একমত হবার জন্য ধন্যবাদ। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.