![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আলহামদুলিল্লাহ্
হালাকু খান,ইসলামের ইতিহাসে এক তীব্র ঘৃণার নাম।
তার নেতৃত্বে মঙ্গোলরা বাগদাদের খালিফাকে হত্যা করে খেলাফতের বিশাল অংশ দখল করে নেয়।
বাগদাদ দখল করার পর টানা ৪০ দিন মুসলিমদের হত্যা করেছিল এ জালিম।
নারী, শিশু, বৃদ্ধ – কেউই রক্ষা পায়নি এ হত্যাযজ্ঞ থেকে।
ঐতিহাসিকদের মতে, হালাকু খানের নেতৃত্বে মঙ্গোলরা হত্যা করেছিল প্রায় ১০ লক্ষ মুসলিমকে।
ধ্বংস করেছিল লক্ষ লক্ষ বই। জ্বালিয়ে দেওয়া লক্ষ লক্ষ বইয়ের কালি আর নিহত মুসলিমদের রক্তে টাইগ্রিস
নদী ধারণ করেছিল কালচে লাল বর্ণ। পচন ধরা মৃতদেহের গন্ধে ভারী হয়ে উঠেছিল আকাশবাতাস।
এমনকি হালাকু বাধ্য হয়েছিল নিজের বাহিনীর ক্যাম্প বাতাসের পথ থেকে দূরে সরিয়ে নিতে।
মঙ্গোলদের আগ্রাসন ছিল সত্যিকার অর্থেই এক ধ্বংসযজ্ঞ।
হালাকু খানের মঙ্গোল বাহিনী বাগদাদের উপর একচ্ছত্র কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার পর,
একদিন বাগদাদ পরিদর্শনে বের হল হালাকুর মেয়ে। দেখতে পেল এক মুসলিম আলিমকে।
এগিয়ে গেল সকলের সামনে ইসলামকে অপমান করতে।
মেয়েটি সেই আলিমকে জিজ্ঞেস করল,
"আচ্ছা,তোমাদের কুরানে নাকি আছে, আল্লাহ তোমাদের বিজয়ী করবেন, সম্মানিত করবেন,
যমীনের উত্তরাধিকারী করবেন, এগুলো তো সবই ভুল। কারণ তোমরা আমাদের শাসনাধীন রয়েছ।
আমি নির্দেশ দিলে, আমার লোকেরা তোমাকে এখনি হত্যা করবে। তুমি তো কিছুই করতে পারবে না।"
আলিম লোকটি জবাব দিলেন,
"তুমি কি জানো, রাখালরা যখন ভেড়ার পাল চড়াতে যায় তখন তারা সাথে কয়েকটা কুকুর নিয়ে যায়?
কি মনে হয়,কুকুরগুলো সাথে নেবার উদ্দ্যেশ্য কি থাকে?"
মেয়েটি বললো,
"যখন ভেড়াগুলো পাল থেকে বের হয়ে যায়, তখন কুকুরগুলো কে ছেড়ে দেয়া হয়।
আর কুকুরগুলো, ভেড়াগুলোকে ধাওড়া করতে থাকে যতক্ষণ না সেগুলো পালে ফিরে আসে।"
আলিম ব্যক্তিটি এবার বললেন,
"তোমরা হলে সেই কুকুর। আল্লাহ আজ আমাদের উপর তোমাদের লেলিয়ে দিয়েছেন
যাতে করে আমরা কোরান আর সুন্নাহের পথে ফিরে আসি। যখন আমরা ফিরে আসব,
তখন তিনিই আবার তোমাদের আবদ্ধ করবেন। "
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা এ গল্প থেকে আমরা পাই, আমরা তখনই বিজয়ী হবো
যখন আমরা আল্লাহর দিকে ফিরে আসবো।
নির্যাতিত মুসলিম একদিন বিশ্ব শাসন করবেই ইনশা~আল্লাহ।
(শায়খ মুসা আহমেদ জিব্রিল এর লেকচার অনুসরণে লিখিত)
৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১২
সুলতানা সালমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই,ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য।ঠিক বলেছেন, ইসলাম আধিপত্য বিস্তার করে না, কারণ আধিপত্য মানে জোরজবরদস্তি বুঝায় যা হালাকু খান করেছিলো। মুসলমানদের সৃষ্টি ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা করা।
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
হালাকু খান যুদ্ধে নিজের মেয়েকে নেয়নি।
মেয়ে আরবের সাথে কোন ভাষায় কথা বলেছে? মিথ্যা লেখার আগে মগজ খাটাবেন।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১৮
সুলতানা সালমা বলেছেন: ভাই, দয়া করে আবার পড়েন।
..........।হালাকু খানের মঙ্গোল বাহিনী বাগদাদের উপর একচ্ছত্র কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার পর,
একদিন বাগদাদ পরিদর্শনে বের হল হালাকুর মেয়ে। দেখতে পেল এক মুসলিম আলিমকে.......।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৫০
শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: খিলাফার জায়গায় খেলাফত কথাটি ব্যবহার করা উচিৎ।
আর, এখানে 'আধিপত্য' কথাটি ব্যবহারে আমার আপত্তি আছে। ইসলাম আধিপত্য বিস্তার করে না, কারণ আধিপত্য মানে জোরজবরদস্তি বুঝায় যা হালাকু খান করেছিলো। মুসলমানদের সৃষ্টি ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা করা।
হালাকু খান পর্যন্ত যেতে হবে না, আমাদের সিলেটের গৌড় গোবিন্দের অত্যাচারের কথা মনে করলেই চলবে। কিভাবেই না সে একজন মুসলমানের হাত কেটে দিয়েছিলো গরু জবেহ করার কারণে।
অধুনা ভারতেও মুসলমানদের উপর অত্যাচার চলছে একই কারণে।