নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেসবুকে_\n https://web.facebook.com/suman.roy02

এস বি সুমন

এস বি সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

"গরুর মাংস নিয়ে ভারতের ইস্যু এবং ইতিহাস ও আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থে‌কে, এ নিয়ে আমার ভাবনা"

৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৪৮

গতকালের খবর বিবিসি বাংলায় দেখলাম ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে দুই মুসলিম ব্যাক্তিকে গরুর চালান বহন করার অপরাধে ঐ দুই ব্যাক্তিকে দুধ ও দইয়ের সাথে গরুর মুত্র মিশিয়ে খাওয়ান সেখানকার কিছু উগ্র হিন্দু । প্রথমত জোর করে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে মহৎ কিছু তো ঐ হিন্দুরা করেই নি বরং হিন্দুদের জন্য এটা লজ্জাজনক ব্যাপার । ধর্ম রক্ষা করতে গিয়ে আরেকটা অধর্ম করা মোটেও সমীচীন নয় । দ্বিতীয়ত ঐ দুই মুসলিম ব্যাক্তি, গরুর চালান বহন করে তারাও আইন অমান্য করে তারাও একটা অপরাধ করেছে কেননা আইনগতভাবে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে গো হত্যা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল । গো হত্যা নিয়ে এসব খবর নতুন কিছু নয় । আখলাকের খবর হয়ত আপনারা সবাই শুনেছেন । এই নিয়ে ভারতের রাজনীতিতে যে তুমুল ঝড় হয়েছিল সেই ঝড়ের কিছুটা হাওয়া বাংলার বাতাসয়েও বয়েছিল । বাংলাদেশের প্রথম সারির পত্রিকা গুলো যতটা গুরুত্বের সাথে এই খবর তুলে ধরেছিল তার তুলনায় বাংলাদেশের মালোয়ন ঘড়ের গনিমতের মাল তুলসি রানী দাসের পেটে লাথি মেরে গর্ভপাত করার ঘটনা পত্রিকার পাতায় তেমন একটা গুরুত্ব পায় নি । আবার আমাদের ষড়রাষ্ট্র মন্ত্রি বলেছেন এটা নাকি বিচ্ছিন্ন ঘটনা । অছাম্পদায়িক দেশ বলে কথা(!) গরু নিয়ে যেমন ভারতে মুসলিমরা নির্যাতন হয় তেমনি বাংলাদেশেও গরু নিয়ে মানসিক টর্চার এর শিকার হয় এদেশের হিন্দুরা ।


আমি যখন প্রথম শহরে আসি লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে তখন আমি কোন এক মুসলিম ম্যাসে ছিলাম । ওখানে যিনি রান্না করেন মানে কাজের বুয়া উনিও আমরা তিন জন অমুসলিম ছিলাম বলে গরু না খাওয়ায় খোটকা দিতেন ।মাঝে মাঝে তো অামাদের জন্য কিছু অালাদাভাবে রান্না করতে হয় বলে সেই রাগান্বিত হয়ে কথা বলতেন । অনেক মুসলিম ফ্রেন্ড তো গরুর মাংস না খাওয়ায় পুরুষত্ব শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলতো । গরুর মাংস খেলে নাকি শরীরের হিট বাড়ে, যৌনসম্পর্ক নাকি দীর্ঘস্থায়ী হয় এরকম হাজারো উপকারিতা দেখাত ।আবার বলত আমার গ্রামে ওমুক হিন্দু লোকটা গরুর মাংস খায়,সেদিনও এক হিন্দু ছেলের সাথে হোটেল এ গরুর মাংস দিয়ে ভাত খেলাম ব্লা ব্লা ব্লা...। আমার গরুর মাংস নিয়ে তেমন চুলকানি নেই, কিন্তু খাদ্যাভ্যাস বলে তো একটা কথা আছে তাই না ? যেই কোরিয়ানদের কাছে কুকুরের মাংস অধিক প্রিয় সেই কুকুরের মাংস বাঙ্গালিরা খাবে কখনও সেটা কল্পনা করা যায় (!)


অনেক মুসলিমই বলে থাকে বাংলাদেশে নাকি হিন্দুরা শূকরের মাংস খায় এ নিয়ে তো মুসলিমরা কাউকে মারতে যায় নি , তারা তো শূকর খাওয়ায় বাধা দেয় না এভাবে হাজারো কথা বলে নিজেকে প্রমান করে হ্যা; আমরা বাংলাদেশি মুসলিমরা অনেক উদার(!) তাদের এই অসাম্প্রদায়িক মনভাবাপুর্ণ কথাগুলো কেউ কোন দিন গভীরভাবে ভেবে দেখেছেন ? সত্যি তাই তো বাংলাদেসে এ পর্যন্ত কোন হিন্দুকে শূকর খাওয়ার জন্য তো কোন মুসলিম কোন হিন্দুকে মেরে ফেলে নি । তাহলে কি মুসলিমরা সত্যি অসাম্প্রদায়িক ??



আমি আমার নিজের কথাই বলছি এ পর্যন্ত শুধু একবারই শূকরের মাংস খেয়েছি । বাড়িতে মা রান্না করলেও মা খায় নি । বাড়ির মধ্যে শুধু বাবা আর আমি খেয়েছিলাম । খেয়ে এমন অবস্থা হয়েছিল যে বমি বমি ভাব ভিতর থেকে উকি দিচ্ছিল । সেইদিনই কান ধরছি আর কখনও শূকরের মাংস খাব না । শূকরের মাংস খাওয়ার ঘটনাটা গত সাত বছর আগের হবে । বেশ ছোট ছিলাম, অত কিছু বুঝতাম না । বাবা মা দুজনেই বলেছিল শূকরের মাংস খাওয়ার কথা যেন বাহিরে কাউকে না বলি । এখন বুঝতেছি কেন আমার বাবা মা আমাকে এসব কথা বাহিরে বলতে মানা করেছিল । বললেও হয়ত কোন মুসলিম আমাক আক্রমন করত না , কিন্তু নীতিগতভাবেই কেন জানি কোন মুসলিম বন্ধুর কাছে শূকরের মাংস খাওয়ার কথা বলতে খুব খারাব লাগে । নিজের ভিতর থেকেই খারাব লাগা অনুভূতিটা কাজ করে যখন ভাবি যে এই শূকরের মাংস তো আমার মুসলিম বন্ধুটি খায় না । আবার শুনেছি এই শূকরের কথা বললেই ওদের নাকি ৪০ দিন মুখ নাপাক হয়ে যায় । আমি খুব ভালভাবেই খেয়াল করেছি পাশের বাড়ির মুসলিম চাচী টা যখন আমার মা কিংবা কোন হিন্দু মহিলার সাথে গল্প প্রসঙ্গে কি দিয়ে খাওয়া দাওয়া হইল প্রশ্ন টা চলে আসে তখন মুসলিম চাচী টার গলার আওয়াজ একটু উচু স্বরেই বলতে শুনা যায়, গরুর মাংস রান্না করেছে আজ ।


আপনারা যারা শূকরের মাংস খাওয়ায় বাংলাদেশে হিন্দু হত্যা হচ্ছে না বলে বড় বড় ফাকা বুলি ছেড়ে নিজেকে খুবই মানবিক প্রমান করতে চাইছেন । থামেন, অত মানবিক সাইজেন না । প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে শূকরের মাংস খুব কম সংখ্যক হিন্দুরাই খায় । আমি এ পর্যন্ত অনেক হিন্দুকেই বলেছি শূকরের মাংস খেয়েছে কিনা । কেউ কেউ তো উত্তর দিয়েছে শূকরের মাংস মানুষ খায় নাকি ? আমি কি শূকরের মাংস খাওয়ার অভ্যাস করতে পারতাম না ? যেমন ব্রয়লারের মাংস প্রথম দিন যখন খেয়েছিলাম বমি করে ফেলছি , আর সেই ব্রয়লারের মাংস দিয়েই প্রতিদিন প্রায় মেসে খাই ।এখন আপনারা যারা ভাবতেছেন শূকরের মাংস বাংলাদেশে হিন্দুরা খেলেও তাদের উপর হামলা করবে না মুসলিমরা । আমি বলব আপনাদের ভাবনা একদম ভুল । যেই মূর্তিপূজা ইসলামে হারাম বলে শরতের মৌসুম আসতে না আসতেই মূর্তি ভাঙ্গার মৌসুম শুরু হয় সেই মুসলিমরা যাদের শূকর কথাটা মুখে আনলেই নাকি ৪০ দিন মুখ নাপাক থাকবে আর শূকরের মাংস হিন্দুরা খাবে আর তারা হারাম জিনিসটাকে পথে চলতে গিয়ে দেখতে পেলে তারা চুপ করে বসে থাকবে এই ভাবনাটা কি বোকামি নয় ?


হিন্দুদের যেমন গরুর মাংস নিয়ে চুলকানি আছে ঠিক তেমনি মুসলিমদের শূকরের মাংস নিয়েও চুলকানি আছে । ভারতবর্ষে ইংরেজদের শাসনামলের ইতিহাস পড়লেই কিন্তু আমরা সেটা বুঝতে পাই । গরু, শূকরের মাংসের মধ্যে যে হিন্দু,মুসলিমদের চুলকানি রয়েছে সেই চুলকানিকে কাজে লাগায় ইংরেজরা কার্তুজ আইন করে কিন্তু আরও ১০০ বছর তাদের শাসন কায়েম করতে পেরেছিল । এই দুই প্রকার চুলকানির মধ্যে গরু ভিত্তিক চুলকানি হিন্দুদের মাঝে শোনা গেলেও শূকর ভিত্তিক চুলকানি মুসলিমদের মাঝে শোনা যায় না কারন হিন্দুরা মানবিকতার খাতিরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের আদর্শের প্রতি একটু সহানুভূতিশীল বলে ।গরু ভিত্তিক এই চুলকানির শিকড় সর্বপ্রথম কোথায়,কিভাবে ভিত্তি স্থাপন হয়েছিল সেটা যদি আমরা জানতে চাই তবে আমরা আরও একটু পিছনের ইতিহাস তাকালে দেখতে পাই, যখন বখতিয়ার খলজি এই ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের সুত্রপাত ঘটান তখন তিনি এদেশের হিন্দুদের গরুর প্রতি কোন এক কারণবসত হিন্দুদের যে শ্রদ্ধাবোধ সেটাতে আঘাত হানেন । তিনি অনেক মন্দিরেই গরুর রক্ত ছিটিয়ে মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট করেছেন । জিহাদের নামে তিতুমির ইতিহাস সম্পকির্ত পাঠ্য বইগুলোতে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই বললেও তিনি প্রকৃতপক্ষে হিন্দু জমিদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন এবং তিতুমির ও গরুর রক্ত মন্দিরে ছিটিয়েছেন । তুই ব্যাটা বিরোধিতা করবি ভাল কথা, গরুর রক্ত মন্দিরে ছিটিয়ে এটা কেমন বিরোধিতা । তাহলে বোঝাই যাচ্ছে রাজনীতিতে গরু ভিত্তিক ইস্যু টাকে মুসলিমরাই কিন্তু প্রথম সৃষ্টি করে ।


যদি মুসলিমরা আরবের মরুভুমি থেকে আসার পূর্বেই গরু খেতো সেটাও একটা কথা ছিল যে খাদ্যাভাস জনিত কারনে তাদের গরুর মাংস অতি প্রিয়, হিন্দুরা এতে বিরোধিতা করার কে ? কিন্তু সেটা তো না । হযরত মুহম্মদ(সাঃ) জীবনে আরবের মরুভূমিতে হাম্বা ডাক শুনেছিল কিনা সন্দেহ । না শুনারই কথা ,কেননা গরু তো মরুভুমির প্রানি নয় । মুলত গরুর মাংস প্রথমদিকে যতটা না সুস্বাদুর জন্য মুসলিমদের প্রিয় ছিল তার চেয়ে বেশি প্রিয় ছিল হিন্দুদের খোটকা মেরে গরুর মাংস খেতে ।আজকের দিনে যেমন গরুর মাংস খাই না বলে প্রায়ই মুসলিম বন্ধুদের খোটকা খেতে হয় । ভারতে খ্রিস্টান রাও তো গরুর মাংস খায় কিন্তু কেন তাদের পিটানো হয় না সেটাও ভাববার বিষয় ।যাইহোক ঐদিকে আর বেশি এগুচ্ছি না । আমি সবারই ব্যাক্তি স্বাধীনতার পক্ষে । কে কি খাবে সেটা একান্তই ব্যাক্তির ব্যাপার । কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটু সীমাবদ্ধতা থেকেই যায় । আমরা যে যত বেশি ছাড় দিতে পারব ততো সবারই জন্য মঙ্গল । এক্ষেত্রে বাংলাদেশের হিন্দুদের মত সংখ্যা গরিষ্ঠের কথা ভেবে ভারতের মুসলিমরা গরুর মাংসের ব্যাপারে একটু মানবিক,সহানুভুতিশীল হলেই পারে এতে তাদের জন্যই ভাল হবে । অন্তত কোরানের অনেক আয়াতেই অনেক বিধি নিয়ম থাকলেও মুসলিম হতে গেলে গরুর মাংস খেতেই হবে এমন কোন আয়াত আমার জানা মতে নেই ।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:১৪

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: ভাই কুরআনে খাওয়ার ব্যাপারে শুধু হারাম খাবারের উল্লেখ করা আছে। বাকি সব হালাল।
সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিচ্ছেন কেন? আপনি একটা খবর দেখান তো যে শূকর খাওয়ার জন্য কোন মুসলিম কোন হিন্দু কে আঘাত করেছে। আমি নিজেও সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করি, মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি, এইসব শুনি নি। জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।
আর একটা কথা আসুন এক সাথে কাজ করি। মানবতার জন্য। Click This Link

৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৩৪

এস বি সুমন বলেছেন: আমার এই লেখাটির মাঝে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেওয়া কোথায় খুজে পেলেন সেটা আমার বোধগম্য নয় । আর আমি এই লেখাটির মাঝে শূকর খাওয়ার জন্য হিন্দুদের উপর হামলা করা হয়েছে সেটা কখনও বলেছি বলতে পারবেন ? ইসলামে মূর্তি পুজা হারাম বলে শরত আসতে না আসতেই মূর্তি ভাঙ্গার মৌসুম শুরু হয় সেখানে শুধুমাত্র শূকর বলায় ৪০ দিন যাদের নাকি মুখ নাপাক হয় সেই কট্টরপন্থীরা বাংলাদেশে, ভারতের গরু জবাইয়ের মত শূকর জবাই হলে তারা শূকর খাওয়া নিয়ে যে ইস্যু না করবে সেটা আপনি কি করে বুঝলেন ? প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে শূকর জবাই তেমন হয়েই না । আর যদিও হয়ে থাকে সেটা চুপিসারে । আমি শুধু এটাই বুঝাতে চেয়েছি সংখ্যা গরিষ্ঠের মতামতের প্রতি একটু সহানুভূতিশীল হলেই এসব সমস্যা বলে আর কোন সমস্যাই থাকবে না ।

২| ৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:৪৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: গরুর মাংস প্রথমদিকে যতটা না সুস্বাদুর জন্য মুসলিমদের প্রিয় ছিল তার চেয়ে বেশি প্রিয় ছিল হিন্দুদের খোটকা মেরে গরুর মাংস খেতে
এটা কি বললেন? তাহলে ইহুদিরা গরুর মাংস খায় কাদেরকে খোটা মারার জন্য? আপনার এই ধরনের মন্তব্যের কোন ভিত্তি নেই।

ইসলামের জন্ম ১৪০০ বছর আগে আরবে হয়নি, বরং সৃষ্টির আদি থেকেই ছিলো। আদম (আঃ) থেকে শুরু করে মূসা (আঃ), ঈসা (আঃ), মুহাম্মদ (সাঃ) সবাই মুসলিম ছিলেন। মূসা (আঃ) বলেন নি তিনি ইহুদি ছিলেন, তেমনি ঈসা (আঃ) বলেন নি তিনি খ্রিষ্টান ছিলেন। এগুলো মানুষের দেয়া নাম। ঠিক যেমন, "হিন্দু" কোন ধর্ম নয় (ওটা সনাতান / বৈদিক ধর্ম)। বার্তা-বাহক(মেসেঞ্জার বা প্রফেট) বা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব এবং নাজিল কৃত সকল গ্রন্থ এক ইশ্বর তথা আল্লাহর কথা বলেছে। মুুসলিম তাকেই বলা যায় যে এক আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা মেনে তার দেয়া বিধান অনুযায়ী জীবন-যাপন করেন। হ্যাঁ, জীবন-যাপনের নিয়ম-নীতি সময়ের সাথে সাথে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে বৈকি, তবে আমূল বদলে যায়নি। ইসলাম/মুসলিম সম্পর্কে আপনার ধারনা পুরোপুরি সঠিক নয়।

ভারতে খ্রিস্টান রাও তো গরুর মাংস খায় কিন্তু কেন তাদের পিটানো হয় না সেটাও ভাববার বিষয়
ভাবার কিছু নেই, খ্রিস্টানদের পেটানো হলে উন্নত বিশ্বের পুরো দুনিয়া যে ভারতের ১৩টা বাজায়ে ফেলবে সেটা আপনিও ভালো করেই জানেন। মুসলিমদের পেটানো সহজ কারণ তাতে কেউতো আর ভারতকে শাসাতে আসছেনা, তাইনা?

...কোরানের অনেক আয়াতেই অনেক বিধি নিয়ম থাকলেও মুসলিম হতে গেলে গরুর মাংস খেতেই হবে এমন কোন আয়াত আমার জানা মতে নেই।
কিন্তু বারণওতো করা হয়নি। যেটা বারণ করার সেটাতো উল্লেখ করাই আছে কোরঅান-হাদিসে।

বাংলাদেশের হিন্দুদের মত সংখ্যা গরিষ্ঠের কথা ভেবে ভারতের মুসলিমরা গরুর মাংসের ব্যাপারে একটু মানবিক,সহানুভুতিশীল হলেই পারে এতে তাদের জন্যই ভাল হবে
ঠিক কিভাবে মানবিক আর সহানুভূতিশীল হতে পারে এটকু ব্যাখ্যা করে বললে ভালো হতো। ব্যাপারটা আমার কাছে পরিষ্কার হয়নি।

আমি সবারই ব্যাক্তি স্বাধীনতার পক্ষে ।
সেটাই যদি হয় তাহলে, মুসলিমদেরকে কেন গরুর মাংসের ব্যাপারে মানবিক হতে বলছেন? ঠিক বুঝলাম না। তারা অমানবিক কিছু করছে বলেতো আমার মনে হয়নি। আমেরিকায়তো প্রতিদিন হাজার হাজার শুকর বিক্রি হচ্ছে, রেস্টুরেন্টে খেতে দেখছি। কোন মুসলিমকে তো বারণ করতে শুনিনি।

ভাই, সোজা কথা বুঝুন এভাবে। আপনি আপনার যা খেতে ইচ্ছে করে খান আর আমাকে যা আমার ইচ্ছে খেতে দিন। ল্যাটা চুকে গেল। আপনি গরুর মাংস না খেতে চাইলে কেউ আপনাকে জোর করবেনা, আর খেতে চাইলেও কারো বাধা দেয়ার নেই। যাদের দেশ তারা তাদের সংবিধান মেনে চললেই হয়ে গেল। ধর্ম নিয়ে কপচা-কপচি করার প্রয়োজনতো দেখছিনা।

৩| ৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:৩৮

এস বি সুমন বলেছেন: গরুর মাংস প্রথমদিকে যতটা না সুস্বাদুর জন্য মুসলিমদের প্রিয় ছিল তার চেয়ে বেশি প্রিয় ছিল হিন্দুদের খোটকা মেরে গরুর মাংস খেতে এই কথার উত্তরে আপনি বলেছেন এটা কি বললেন? তাহলে ইহুদিরা গরুর মাংস খায় কাদেরকে খোটা মারার জন্য? আপনার এই ধরনের মন্তব্যের কোন ভিত্তি নেই। এখানে ইহুদিদের প্রসঙ্গ কিভাবে আসলো আমি ঠিক বুঝলাম না । কথা তো হয়েছিল ভারতীয় মুসলিমদের গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে । উল্লেখ্য যে ভারতে কিন্তু খ্রিস্টান রাও গরুর মাংস খায় । ভারতীয় উপমহাদেশে যখন মুসলিম শাসনের সূত্রপাত হয় বখতিয়ার খলজির মাধ্যমে, তখন উনি গরুর মাংস মন্দিরে ছিটিয়ে মন্দিরকে অপবিত্র করেন । কাজেই গরুর মাংস মুসলিমদের খাওয়ার ব্যাপারে হিন্দুদের ক্ষোভ থাকবে এটাই স্বাভাবিক । ইংরেজরা ভারতবর্ষ ২০০ বছর শাসন করলেও এই রকম ছাগলামি শাসনব্যাবস্থা তারা করে নি । আপনাদের বীরদের এই ছাগ্লামির সুযোগটাকে তারা কাজে লাগিয়েছে শুধু ।



ইসলামের জন্ম ১৪০০ বছর আগে আরবে হয়নি, বরং সৃষ্টির আদি থেকেই ছিলো। আদম (আঃ) থেকে শুরু করে মূসা (আঃ), ঈসা (আঃ), মুহাম্মদ (সাঃ) সবাই মুসলিম ছিলেন। মূসা (আঃ) বলেন নি তিনি ইহুদি ছিলেন, তেমনি ঈসা (আঃ) বলেন নি তিনি খ্রিষ্টান ছিলেন। এগুলো মানুষের দেয়া নাম। ঠিক যেমন, "হিন্দু" কোন ধর্ম নয় (ওটা সনাতান / বৈদিক ধর্ম)। বার্তা-বাহক(মেসেঞ্জার বা প্রফেট) বা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব এবং নাজিল কৃত সকল গ্রন্থ এক ইশ্বর তথা আল্লাহর কথা বলেছে। মুুসলিম তাকেই বলা যায় যে এক আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা মেনে তার দেয়া বিধান অনুযায়ী জীবন-যাপন করেন। হ্যাঁ, জীবন-যাপনের নিয়ম-নীতি সময়ের সাথে সাথে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে বৈকি, তবে আমূল বদলে যায়নি। ইসলাম/মুসলিম সম্পর্কে আপনার ধারনা পুরোপুরি সঠিক নয়। বড়ই হাস্যকর বিষয় । ১৪০০ বছরের আগে ইসলাম বলে কোন শব্দই ছিল না । আপনার ধর্মগ্রন্থে যেমন এসব ঠাসা ঠাসা কল্পকাহিনী আছে , ঠিক তেমনি পৃথিবীর সব যত ধর্মগ্রন্থ আছে সেখানেও আছে । যেমন হিন্দুদের ধর্মে পৃথিবীর প্রথম পুরুষ মনু নামে কাউকে বলা হয় ।

ভাবার কিছু নেই, খ্রিস্টানদের পেটানো হলে উন্নত বিশ্বের পুরো দুনিয়া যে ভারতের ১৩টা বাজায়ে ফেলবে সেটা আপনিও ভালো করেই জানেন। মুসলিমদের পেটানো সহজ কারণ তাতে কেউতো আর ভারতকে শাসাতে আসছেনা, তাইনা? মুসলিমরা কেন এসব সাধারন বিষয়ের জন্য পিটানি খায় সেটা আমার মূল পোস্টে আমার গরু না খাওয়ায় মুসলিম বন্ধুদের অবস্থান সম্পর্কে তুলে ধরেছি । খ্রিস্টান বন্ধুও আছে আমার । তারা আমাকে কখনও বলে নি যে গরুর দুধ খাইতে সমস্যা নেই গরুর মাংস খাইতে সমস্যা কোথায় ?

..কোরানের অনেক আয়াতেই অনেক বিধি নিয়ম থাকলেও মুসলিম হতে গেলে গরুর মাংস খেতেই হবে এমন কোন আয়াত আমার জানা মতে নেই। এর উত্তরে বলেছেন
কিন্তু বারণওতো করা হয়নি। যেটা বারণ করার সেটাতো উল্লেখ করাই আছে কোরঅান-হাদিসে। হুম আমি একমত ।



বাংলাদেশের হিন্দুদের মত সংখ্যা গরিষ্ঠের কথা ভেবে ভারতের মুসলিমরা গরুর মাংসের ব্যাপারে একটু মানবিক,সহানুভুতিশীল হলেই পারে এতে তাদের জন্যই ভাল হবে ।
ঠিক কিভাবে মানবিক আর সহানুভূতিশীল হতে পারে এটকু ব্যাখ্যা করে বললে ভালো হতো। ব্যাপারটা আমার কাছে পরিষ্কার হয়নি।
দেখুন অ্যামেরিকায় কুকুর পোষ্য প্রানি হিসেবে সকলের খুব আদরণীয় । এর জন্যই সেখানে কুকুরের মাংস নিষিদ্ধ । আবার কুকুরের মাংসই কিন্তু কোরিয়ানদের প্রিয় । এখন কোন কোরিয়ান ব্যাক্তি অ্যামেরিকার যদি নাগরিকত্ব লাভ করে তবে তার কি কুকুরের মাংস সেখানে খাওয়াটা সমীচীন হবে ? সংখ্যা গরিষ্ঠ জনগনের কথা ভেবে তার কুকুরের মাংস না খাওয়াটা কি মানবিকতার মধ্যে পরে না ?

শেষের প্রশ্নটির উত্তর আশা করি যা আলোচনা করলাম তাতেই পাবেন । ধন্যবাদ

৪| ৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:৫৫

হুজ্জাত বলেছেন: ""ইসলাম বলে কোন শব্দই ছিল না । আপনার ধর্মগ্রন্থে যেমন এসব ঠাসা ঠাসা কল্পকাহিনী আছে , ঠিক তেমনি পৃথিবীর সব যত ধর্মগ্রন্থ আছে সেখানেও আছে""।
এটা আপনার ইসলাম সম্বন্ধে ভুল ধারনা।
আর হ্যা এটা সত্য যে আপনি মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে মারাত্মক টানাপোড়ন সম্পর্কে বলেছেন, আর আমি এটা জানি যে জ্ঞানি হিসেবে এটা অবশ্যই বলবেন যে ভুল গুটি কয়েক লোকই করে তার মাসুল সবাই দিতে হয়।
যদি মানবিক হতে হয় সবাই সমান ভাবে হতে হবে হোক সে বাঙালি নয়তো ভারতিয়।

৩০ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৪:১৪

এস বি সুমন বলেছেন: ঐ মিয়া লাইন অর্ধেক করেন কেন যার কারনে অর্থ অন্য কিছু বুঝায় ? আমি বলছি এইটা ১৪০০ বছরের আগে ইসলাম বলে কোন শব্দই ছিল না ভুল গুটি কয়েক লোক মানে । জ্ঞান বিজ্ঞানে কি এমনটা করেছেন তাতেই মুসলিম কবি, মুসলিম সাহিত্যিক , মুসলিম বিজ্ঞানি বলে নিজেকে আলাদা হিসেবে পরিচয় করেন যদিও আপনাদের জ্ঞান বিজ্ঞান ইহুদি নাসারদের অনলাইনেই সীমাবদ্ধ । তাইলে নামের আগে পিছনে আলী, মোঃ ,ইসলাম, মিয়া এসব থাকা সত্ত্বেও যারা জঙ্গি হামলা করে তারা ইসলামের নয় কেন ? কি দারুন ট্রাজেডি রে ভাই !!!

৫| ৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
এখানেও দেখবেন অনেককে যারা আপনার লেখা নয় হিন্দুত্ব নিয়ে কথা বলবে। আর আসবে যুদ্ধের মুডে।

৬| ৩০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সবচেয় মজার ব্যাপারটা হচ্ছে, চোরের মায়ের বড় গলা। আমাদের দেশে, হিন্দুরা নিরাপদ নয়, তারপরও বলা হচ্ছে উচ্চ স্বরে তারা নিরাপদ।
গরু শুকোর কোন ফ্যাক্টর না। আসল মানসিকতা। আমি অনেক উচ্চ শিক্ষিতকে দেখেছি বলতে, "মালায়ুন ত মালায়ুনই"!
আবার আমার অনেক ক্লোজ ফ্রেন্ডদের বলতে শুনেছি, " তুই মালায়ুনদের চিনিস না। ওরা সেই"
মানে, হিন্দুদের আলাদা একটা জাতি ভাবা হয়। যেন তারা বাঙ্গালি না। আসলে এই বাঙ্গালি জাতিয়তাবাদ যতোদিন না আমাদের মনে জন্ম নিচ্ছে, এটা হবেই।
আর সে হিন্দু হোক বা মুসলিম , হয় যদি ধার্মিক তার মতো বাজে মানসিকতার লোক আর পাবেন না। এরা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মানুষ মনে করে না

০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৩৯

এস বি সুমন বলেছেন: যেখানে খোদ কোরানেই বিধর্মীদের কাফের ,বিপথগামি,মুসরিক,জাহান্নামি ,শয়তানের সাথে তুলনা করা হয়েছে সেখানে তাদের কাছ থেকে ভাল ব্যাবহার আশা করাটা বোকামির সামিল ।

৭| ৩০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২৫

এ আর ১৫ বলেছেন: গরুর মাংস খাওয়া মুসলমানদের ঈমানের প্রধান শর্ত কবে হোল ? গরুর মাংস খাওয়া মুসলমানদের ঈমানের প্রধান শর্ত কবে হোল ?

০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪৪

এস বি সুমন বলেছেন: মুলত গরুর মাংস প্রথমদিকে যতটা না সুস্বাদুর জন্য মুসলিমদের প্রিয় ছিল তার চেয়ে বেশি প্রিয় ছিল হিন্দুদের খোটকা মেরে গরুর মাংস খেতে ।

৮| ৩০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

আহলান বলেছেন: ছোট বেলা একটি বাগধারা পড়েছিলাম- ধান ভানতে শিবের গীত! আপনার পোষ্টে হেডিং আর ভেতরে পড়ে সেই বাগধারাটির কথা মনে পড়ে গেলো।

আপনি কি বলতে পারবেন সনাতন ধর্মের কোন গ্রন্থে গরু না খাওয়ার ব্যপারে নির্দেশনা আছে ? যদি না থাকে, তবে কিসের ভিত্তিতে গরু খাওয়া না খাওয়া নিয়ে এত কথা? সব ধর্মেরই কিছু বাইলজ আছে। তার ভিত্তিতেই ধর্মচর্চা হয়। বিষয়টি জানা থাকলে জানাবেন।

আপনি তিতুমির বখতিয়ার এর কথা বলেছেন। আপনি কি রাজা গৌঢ় গোবিন্দের নাম শুনেছেন? যে রাজা গরু জবাই করার কারণে বোরহান নামে এক মুসলমানের হাত কেটে দিয়েছিলো আর বোরহানের শিশুপুত্রকে জবাই করে হত্যা করেছিলো? আর এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্যই হযরত শাহজালাল (রহঃ) এঁর আগমন এই দেশের সিলেটের মাটিতে!

এই দেশের মানুষ আগে সনাতন ধর্মাবলম্বীই ছিলেন। কেন তারা দলে দলে সেই ধর্ম ত্যাগ করে ইসলামে দীক্ষা নিলেন, সেই ইতিহাস আগে জানুন। এক ব্রাহ্মণ ছাড়া সনাতন ধর্মে মানুষকে মানুষ বলে ভাবা হয়নি। স্তনকর, সতীদাহ সহ নানা রকম অমানবিক প্রথায় জর্জরিত মানুষ মুক্তি পেতেই ইসলামে দাখিল হয় কোটি কোটি মানুষ। মন্দিরে গরুর রক্ত ছিটিয়ে হিন্দু থেকে মুসলিম ধর্মে কনভার্ট করা হয়নি .... ব্রাহ্মণদের চরম নির্যাতনের শিকার হয়েই দলে দলে মানুষ তখন মুসলমান হয়েছিলেন।

রাজা গৌড় গোবিন্দের মতোই আচরণ করছে ভারতের কিছু লোক। যারা গরু নিয়ে রাজনীতি করছে, মানুষ হত্য করছে ... তাহলে কি নতুন করে কোন শাহজালালের আগমন প্রয়োজন নয় কি? সময়ই এর উত্তর দেবে ..

০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:০৩

এস বি সুমন বলেছেন: আপনি কি বলতে পারবেন সনাতন ধর্মের কোন গ্রন্থে গরু না খাওয়ার ব্যপারে নির্দেশনা আছে ? যদি না থাকে, তবে কিসের ভিত্তিতে গরু খাওয়া না খাওয়া নিয়ে এত কথা? সব ধর্মেরই কিছু বাইলজ আছে। তার ভিত্তিতেই ধর্মচর্চা হয়। বিষয়টি জানা থাকলে জানাবেন। গরু না খাওয়ার কথা কোথাও মানা আছে কিনা জানি না তবে হাজার বছর ধরে হিন্দুদের গরু না খাওয়ার যে একটা রীতি চলে আসছে সেই রীতির কি কোনই মূল্য নেই ? কুকুরের মাংস না খাওয়ার ব্যাপারে বাঙ্গালিদের কোথায় নির্দেশনা আছে সেটা বলতে পারবেন । বাংলাদেশে তো কুকুর অগনিত, আপনি কি কুকুরের মাংস খাইতে পারবেন ? খাদ্যাভ্যাস বলে একটা কথা আছে তাই না । সব কিছুতেই সবার রুচি নাও হতে পারে । আর গরুভিত্তিক ইস্যুটা রাজনীতিতে কারা প্রথম নিয়ে আসে নিশ্চয়ই আপনার জানা আছে ।

৯| ৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৭

কল্লোল পথিক বলেছেন:







সংখ্যালঘুরা সবদেশেই অনিরাপদ।
তবে আপনিও কম চুলকানি শুরু করেননি!

০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১৯

এস বি সুমন বলেছেন:
সংখ্যালঘুরা সবদেশেই অনিরাপদ।
তবে আপনিও কম চুলকানি শুরু করেননি!
আপনার প্রথম বাক্যটার সাথে আমি ১০০% একমত । চুলকানি টা তখনই শুরু হয় যখন দেখি যে এদেশের প্রগতিশীল লোকেরা সংখ্যালঘু নির্যাতনের ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ না করে বরং নির্যাতন গুলোকে বৈধ করার চেষ্টা করে । বিশিষ্ট প্রগতিশীল ব্যাক্তি মুমতাসির মামুনের সংখ্যালঘু নিয়ে জনকন্ঠের কলামটি নিশ্চয়ই পড়েছেন ।

১০| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:২৭

কল্লোল পথিক বলেছেন:








সংখ্যালঘু নির্যাতনে দুঃখ প্রকাশ নয়,
প্রতিবাদ করতে হবে।

১১| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৪৪

এস বি সুমন বলেছেন: সংখ্যালঘু নির্যাতনে কেমন প্রতিবাদ হয় আপনারে একটু জানায় দেই

১। সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই, এগুলো মিডিয়ার সৃষ্টি । বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের লোকেরাও তো নির্যাতনের শিকার হচ্ছে ।

২। এদেশের হিন্দুরা বাংলাদেশের চেয়ে ভারতকেই বেশি ভালবাসে,তাই তারা ভারতে চলে যায় ।

৩। ইহা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ।

১২| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৩১

মহা সমন্বয় বলেছেন: গরুর মাংস এবং শুকুরের মাংস এই দুটোই খেতে সুস্বাধু কিন্তু স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকারক। তাই আজ থেকে এই দুইডাকেই সবাই বর্জন করুন আস সুস্থ থাকুন। :)

০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৫৯

এস বি সুমন বলেছেন: এই জন্য আমি এসব পোঁচা খাবার খাই না :)

১৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বাংলাদেশের প্রথম সারির পত্রিকা গুলো যতটা গুরুত্বের সাথে এই খবর তুলে ধরেছিল তার তুলনায় বাংলাদেশের মালোয়ন ঘড়ের গনিমতের মাল তুলসি রানী দাসের পেটে লাথি মেরে গর্ভপাত করার ঘটনা পত্রিকার পাতায় তেমন একটা গুরুত্ব পায় নি ।

একই কথাটা ভারতের অন্যান্য পত্রিকাগুলোও কিন্তু এই চাইপের খবর গুলো এখন আর গুরুত্ব দিচ্ছে না।

বাংলাদেশে যেটা হচ্ছে সেটা অস্বাস্থ্যকর এবং ভয়ানক। তবে এটঅ ঠিক ভারতেও যা হচ্ছে তাও ভয়ানক। হয়তো ফ্রিজে খাসির গোস্ত রাখছে কিন্তু গরুর গোস্ত মনে করে বৃদ্ধ লোকটা পিটিয়ে মেরে ফেললো তারই প্রতিবেশী এবং এলাকার ছোট ছোট পোলাপান যারা তাকে চাচা চাচা বলে ডাকতো।

আমাদের সরকার ইচ্ছা করলেই এসব জঙ্গিবাদ তুড়ি মেরে উড়াতে পারে। বিএনপি জামাত এটা পেরেছিলো। এ সরকার এটা পারছে না কারন জন গনের সমর্থন তেমন নেই এই সরকারের প্রতি। ভারতে দেখেন মোদী যখন আসে, তখন কিন্তু সব ঠিকই ছিলো। সবাই মোদী কই খায় কি করে সব কিছু নিয়ে পত্রিকায় পৃষ্ঠা ভরে লিখতো আর বাহবা দিতো। মোদী কি বলে, কিভাবে বড় হয়েছে সেটা নিয়েও অনেক কথা হয়েছিলো। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টে যায় যখন লোকসভায় হারা শুরু করে। পার্লামেন্টের ওপর নীচ সবখানেই মোদী হুমকিতে পরে। তখন মোদী সে পুরানা ট্রাম্পের কার্ড ছাড়ে সেটা হলো বাংলাদেশী ইস্যু ও মুসলিম ইস্যু।

সবই রাজনীতি ভাই। একসময় বলা হতো বিনএপি জামাত সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনীতি করে। যখন লীগের মুখোশ পড়লো তখন বল হচ্ছে মুসলমানরাই খারাপ। আসলে এই খারাপ শুধু মুসলমান বলতে নেই, আপনি আমি যারা এই মাটিতে জন্ম নিছেন তাদের সবার মধ্যে আছে। পার্থক্য হলো শিক্ষিত মানুষ বলতে যারা এসব রিপুকে দমন করতে পারে, আর অশিক্ষিত সে যতবড় ডিগ্রী ধারীই হোক, জানোয়ার তুল্য কারন সে তার মুখ আর হাত আর দুই পায়ের মাঝখানের দন্ড নিয়ন্ত্রন করতে পারে না।

ভালো থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০১

এস বি সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান সুন্দর মন্তবের জন্য । অনেক দিন পর ব্লগে আইলাম , তাই এই বিষয় নিয়ে আর এহন আলাপ করছি না । কেমন আছেন আপনি ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.