![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্রিটেনে মুসলিম বিদ্বেষ বাড়ছে click this link । শুধু ব্রিটেন কেন ? গোটা অমুসলিম বিশ্বেই ইসলাম বিদ্বেষ বেড়েই চলেছে সেটা আমরা প্রতিনিয়ত খবরের কাগজগুলো দেখলেই বুঝতে পাই । এর পিছনে কারণটা কি ? হিন্দু বিদ্বেষ, বৌদ্ধ বিদ্বেষ, খ্রিস্টান বিদ্বেষ,নাস্তিক বিদ্বেষ এমন কথা তো তেমন শুনি না ।তাহলে শুধুমাত্র মুসলিম বিদ্বেষই কেন এত শুনা যায় ? এর পেছনে যদি কোন কারণ এক লাইনেই বলতে হয় তবে আমি বলব হয়ত অমুসলিমরা খারাব মুসলিমরা ভাল, নয়ত মুসলিমরা খারাব অমুসলিমরা ভাল । এখন অমুসলিম, মুসলিমদের মধ্যে কে খারাব কে ভাল তা নিয়ে একটু আলোকপাত করলেই আমরা সেটা বুঝতে পাব । প্রথমে আসি সারাবিশ্বে মুসলিম, অমুসলিমদের মধ্যে জনসংখ্যা কার কত ? পৃথিবীতে মোট জনসংখ্যা ৬৫০ কোটি (হয়ত এর বেশিও হতে পারে) যার মধ্যে মুসলিম ১৫০ কোটি এবং অমুস্লিম(অন্যান্য ধরমাবলম্বি+নাস্তিকবাদি) ৫০০ কোটি । এই ৫০০ কোটি অমুসলিমদের মধ্যে বিভিন্ন আদর্শের গোষ্ঠী সম্প্রদায় যদি এক হয়ে থাকতে পারে তাহলে ১৫০ কোটি মুসলিম সবারই সাথে মিলেমিশে থাকতে পারবে না কেন ? বুঝতেই পারছেন মুসলিমরা কতটা ভাল(!)
অমুসলিমদের মধ্যে যে সম্পর্কের অবনতি হয় না সেটা কিন্তু না, কিন্তু সেটা বৈশ্বিক রাজনীতির কারনে । এটা মূলত তীব্র জাতীয়তাবোধের কারনে সম্পর্কের ফাটলের সৃষ্টি হয়ে থাকে । কিন্তু মুসলিমদের বেলায় এর সাথে ইসলামী জাতীয়তাবোধ যুক্ত হয়ে ব্যাপারটা অনেকটাই ডামাডোলের সৃষ্টি করে । আর একারনেই সেটা আধুনিক সমাজব্যাবস্থার সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় মুসলিমরা সেটাকে ধর্মীয় কারণ বসত মেনে নিলেও অমুসলিমরা মেনে নিতে পারে না । ফলে শুরু হয় সংঘর্ষ । যেমন নিজের দেশে মারামারি শুরু করে যখন পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে বাহিরের অন্য কোন দেশে আশ্রয় নিতে হয় আর যখন একটু সংখ্যায় বেশি হয় ঠিক তখনি দাবি করে বসে শরিয়া আইন যা অন্যের জীবন ব্যাবস্থার সাথে সাংঘর্ষিক । শুরু হয়ে যায় সেখানে মুসলিম বিদ্বেষ । আর এই খবরের হেড লাইন শুনে মুসলিমরা মনে মনে কতই না ক্ষোভ করে, অমুসলিমরা কত খারাব । তাদের দাবি, চাওয়া পাওয়া যে একদমই অযৌক্তিক এই আসল সত্যটা তারা মানতে চায় না ।
বুরখা কেন এই আধুনিক যুগেও পরতে হবে ? যেই বুরখার ভিতরে সন্ত্রাশি,জঙ্গিবাদি,বোমাবাজি করা হয় সেই বুরখা দেখে যে কেউ আতকে যাবে এবং সেই মনের ভয় দূরীকরণে বুরখার বিরোধিতা যে কেউ সচেতন মানুষ হিসেবে করবে এটাই তো স্বাভাবিক । একটা ধর্ম যখন গড়ে উঠে তখন সেটা সেখানকার পরিবেশ, পরিস্থিতি, ভৌগলিক অবস্থান,আর্থ সামাজিক অবস্থা সব কিছু বিবেচনা করেই কিন্তু ধর্ম টা গড়ে উঠে । ইতিহাস পড়লে জানা যায় আগেরকার দিনে রাজা বাদসারা সুন্দরি কোন মেয়ে দেখলেই নাকি তার চ্যালাপেলাদের দ্বারায় ধরে নিয়ে যেয়ে ফুর্তি করত । সেই বিবেচনা প্রসূত মেয়েদের বুরখার আবির্ভাব । কাজেই ১৪০০ বছর আগে ইসলামে মেয়েদের জন্য বুরখা নিশ্চয়ই তখনকার সমাজ ব্যাবস্থায় গ্রহণযোগ্য ছিল । কিন্তু সেই বুরখা এখন সময়ের প্রয়োজনে তার স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলছে । এখন তো সেই একনায়কতন্ত্র শাসন ব্যাবস্থা নেই যে মেয়েদের হেনস্থার শিকার হতে হবে । পুরুসতান্ত্রিকতার থাবা আমাদের আধুনিক সমাজ থেকে দূর করে সমতা আনার চেষ্টা চলছে সেখানে ধর্মের দোহাই দিয়ে মেয়েদের ঘরবন্দি করে রাখাটা মোটেও সমীচীন নয় । অবশ্য তেতুল তত্ত্ব কাজ করলে যাদের মেয়ের চোখ দেখলেই নাকি যৌন সুড়সুড়ি জাগে তাদের বিরুদ্ধে আমার বলার তেমন কিছু নেই । শুধু বলব নিজের বিকৃত মস্তিষ্ক টার একটু চিকিৎসা করে মেয়েদের শুধুমাত্র নারী না ভেবে মানুষ ভাবতে শিখুন ।
সব ধর্মেই কম বেশি কুসংস্কার আছে , নানা ফতোয়াবাজ কথা বাত্রা আছে ।যেমন হিন্দুদের মনুসংহিতায় এরকম অনেক ফতোয়াবাজ কথা আছে । সেকেলের সেই প্রাচীন ধর্ম গুলোর মধ্যে এসব ফতোয়াবাজ কথা থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয় । সমস্যাটা তখনি দ্বারায় যখন ঐ সময় গুলোকে বর্তমানে টেনে নিয়ে আসা হয় । অবশ্য এক্ষেত্রে মুসলিমরা বাদে অমুসলিম সম্প্রদায় অনেকটাই আপডেট । অমুসলিমদের মধ্যে কেউ ধর্মের পুরাতন ভার্সনে আবদ্ধ থাকলেও তারা তাদের ব্যাক্তিত্বকে নতুন ভার্সনে আপডেট করে নিয়েছে । কিন্তু মুসলিমরা তারা তাদের ধর্মের পুরাতন ভার্সনে নিজের ব্যাক্তিত্বকেও পুরাতন ভার্সনে আবদ্ধ করে রেখেছে । কেননা সবসময়ই তাদের মাথায় ঘোরপাক খায় ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনবিধান ।যতদিন না মুসলিমদের মাথা থেকে এই পুরাতন ভার্সনের ভাবনাগুলো সরে যাচ্ছে ততদিনই তারা শুধু অন্য সম্প্রদায়ের বিদ্বেষের শিকার হবে এবং মুসলিমরা ততদিন পিছিয়েও থাকবে ।
০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৫৪
এস বি সুমন বলেছেন: নিরক্ষর না হবার কোন কারন দেখছি না । ওয়াজ মৌসুমে তো মোল্লারা গলা ফাটায় চিৎকার করতে করতে বলে যে, যত পার বেশি বেশি করে সন্তান নাও । কয়েকদিন আগে বিবিসি বাংলার খবরে এসেছিল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদগান সাহেব বেশি বেশি করে মুসলিমদের সন্তান নিতে । একজন প্রেসিডেন্ট হয়ে যখন এই কথা উনি বলতে পারে তখন সাধারন মুসলিমদের কাছে কি আর আশা করা যায় । এইসব বোকাদের কে আর বুঝাবে যে ইসলাম যদি সারা বিশ্বে কায়েম করতেই হয় জনসংখ্যা বাড়ায় ইসলাম কায়েম সম্ভব না । কেননা আগেরকার দিন আর এখন নেই । এখন যুদ্ধ হয় মেধার দ্বারা , কোন পেশি শক্তি দিয়ে নয় । বরং জনসংখ্যা বাড়ায় আর্থিক অভাবে শিশুদের পুষ্টি হীনতায় বড় করে আস্ত একটা ঘিলু হীন জঙ্গি বানা সম্ভব,মানুষ বানা সম্ভব না ।
২| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৫৭
এস বি সুমন বলেছেন: এরদোগান সাহেবের বক্তব্যে বাংলাদেশি ধর্মান্ধদের কমেন্ট গুলো দেখতে পারেন
৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:৩০
সুবল চন্দ্র বর্মন বলেছেন: একটা সংস্কার দরকার। সেটা হচ্ছিল, হচ্ছে, আর ভবিষ্যতেও হবে। পরিবর্তন জগতের নিয়ম। হয় সেটা স্বাভাবিকভাবে নয়তো কোন প্রলয়ংকারী মহাসংগ্রামের মধ্য দিয়ে। কারন এ ধরিত্রীতে এমন কিছু নেই যা অপরিবর্তনীয়। যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ সময়ের সাথে পরিবর্তন হবে না,ততক্ষণ সে পুরাতন জরায় ভুগবে।
৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:০৯
নীলাকাশ ২০১৬ বলেছেন: মুসলিম বিদ্বেষের কারণ -
১। মুসলিমরা ক্রমে শক্তিশালী হচ্ছে । সেজন্যে ভারত পারমাণবিক শক্তি অর্জন করলে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু পাকিস্তান আর ইরানের বেলায় নানা বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়।
২। মুসলিমরা অন্য কালচারের সংগে সহজে মিশে যায়না। যেখানেই যাক তারা স্বকীয়তা ও ঐক্য বজায় রাখে।
৩। মুসলিমরা সুযোগ পেলেই অন্য মতাদরশীদেরকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করে এবং এতে বেশ সফলতাও পায়।
৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭
বিবেক ও সত্য বলেছেন: ভাল লিখেছেন
৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:১৮
মহা সমন্বয় বলেছেন: আল্লাহ পাক ভাল জানেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ২:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
সবচেয়ে বেশী নিরক্ষর মুসলিম এলাকাগুলোতে