নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুশান্ত হাসান

ভালোবাসো এবং ভালোবাসতে দাও...

সুশান্ত হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাজার ও ইসলাম.........

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯

আসুন জেনে নেই মাজার সম্মন্ধে জরুরী কিছু
হাদিস সমুহঃ কারন কিছু মুর্খ মতবাদপ্রবর্তক হয়েছে
যারা এইসব হাদীস অস্বিকার করেন, এগুলা জানতে
হবে কারন আপনার আশেপাশেই আছে ইসলামের
মাসায়েল সম্মন্ধে ভুল ব্যাখ্যাকারী, দাড়িটুপিওয়ালা,, তাই জেনে
নিন....(না জেনে ফেবুতে বা ব্লগে মাসয়ায়েল সম্মন্ধে
কিছু পোস্ট করবেন না ) ধন্যবাদ।!!

মাজার জিয়ারত জায়েজ এবং সুন্নাতে রাসুল (সাল্লাল্লাহু
তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। দেখুন প্রমাণ>
ইব্রাহিম বিন মুহাম্মদ (রা) বর্ণনা করেন যে, নবী
করীম (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বছরে
প্রারম্ভে ওহুদ যুদ্ধে শহীদদের সমাধি
জেয়ারতে যেতেন এবং বলতেন:
আপনাদের উপর সালাম! আপনারা আপনাদের ধৈর্যের
ফলস্বরূপ আখেরাতে কি চমৎকার জায়গাই না
পেয়েছেন।
আবু বকর, উমর এবং ওসমান (রা) একই ভাবে
জেয়ারতে যেতেন।
সুত্র: -
১. মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক: ৩:৫৭৩
২. আইনি, উমদাদুল কারী, ৮:৭০
৩. তাবরী, জামি আল কুরআন, ১৩:১৪২
৪. ইমাম সুউতি, দারুল ময়ানসুর, ৪:৬৪১
৫. তাফসীর ইবনে ই কাসীর।
মহানবী (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন
"তোমরা ক্কবর জিয়ারত কর কারণ এই অভ্যাস
পরকালের কথা মনে করিয়ে দেয়। (এ হাদিসে
নির্দেশ দেয়া হয়েছে)
সুত্র:
১. মুসলিম ১:৬৭১ .. ৯৭৬
২. হাকীম আল মুস্তাদরাক: ১:৫৩১ .. ১৩৯০
পবিত্র মহানবী (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম) '
রওজা জিয়ারতের ফজিলত: -
নবী করীম (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
বলেন: যে আমার রওজা জিয়ারত করবে, কিয়ামতে
দিনে তাঁর জন্যে আমার শাফায়াত অবধারিত।
সুত্র:
১. দারুল কুতনী, আল সুনান ২: ২৭৮)
হযরত বুরহিদাহ্ রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত
রসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছে
আমি তোমাদেরকে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ
করেছিলাম, এখন তোমরা তা করতে পারো (মুসলি
শরীফ)।
পুরুষের জন্য কবর জিয়ারত করা মোস্তাহাব।
(ফিক্বহুস সুন্নাহ্, ১ম খন্ড পৃঃ৪৯৯)
এমন অসংখ্য দলীলপত্র থাকা সত্ত্বেও কিছু দাড়ি টুপি
ওয়ালা আপনার ঈমান নস্ট করতে আগ্রহী,,, তাই
সাবধান,,, আর ইসলাম সম্মন্ধে কিছু বাজে মন্তব্য করে অনেকে নিজেকে জাহির করার জন্য করে থাকেন এটা, প্লিজ এগুলা বন্ধ করুন...........

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: আল কুরান ও সহি হাদিস শরিফ তা নাই

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০১

সুশান্ত হাসান বলেছেন: জানুন,,,,, ধন্যবাদ

৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১

ফজলুভাই বলেছেন: অবশ্যই মাজার এবং কবর জিয়ারত করা জায়েয!
কিন্তু ভাই কথা হচ্ছে, মানুষ বর্তমানে মাজারে যায় কি জন্যে? যায় হইল যে ব্যক্তির মাজার, উনি কিছু দিবেন ঐ আশায়। মাজারে গিয়া মোমবাত্তি দেয় হেন দেয় তেন দেয়! উরস মাহফিলে গরু দেয় ঐ যার মাজার সেই ব্যক্তির কাছ থেকে সওয়াব পাবার আশায়!
নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক!
দেয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ এটা কে বুঝাবে কারে? -_-

৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

সুশান্ত হাসান বলেছেন: যথার্থ বলেছেন,,,কে কিভাবে নিলো তার জন্য মাঝারে যাওয়া হারাম তাতো আর বলা যায়না,,,তবে মনে রাখা উচিৎ যে

ইহুদীদের বিখ্যাত পন্ডিত হযরত কা’ব ইবনে আহবার
যখন ইসলাম গ্রহন করেন তখন হযরত ওমর ইবনে
খাত্তাব রাদিআল্লাহু আনহু আনন্দিত হয়ে তাঁকে হুজুর
পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রওজা মোবারক
জিয়ারতের জন্য মদীনা শরীফ আসতে বলেন,
তিনি এটা কবুল করে মদীনা শরীফ এসেছিলেন।
কবর ও মাজার জিয়ারতের সময় যেসব বিষয় লক্ষ্য
রাখতে হবে :
একটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, কবর বা
মাজার জিয়ারত করতে গিয়ে যাতে শরীয়ত
বিরোধী কোন কার্যকলাপ সংঘঠিত না হয়। এটা
সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য। শরীয়ত বিরোধী
কার্যকলাপ বলতে: কবরস্থানে বা মাজারে গিয়ে
সিজদা করা, গান বাজনা করা, মহিলা পুরুষের বেপর্দা
চলাফেরা ইত্যাদি এসমস্ত কার্যকলাপ মূলতঃই হারাম । @ফজলু_ভাই

৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২

ফজলুভাই বলেছেন: এটাই বুঝাতে চেয়েছি ভাই। মৃতদের উদ্দেশ্যে আমাদের একটা জিনিষ-ই আমাদের থাকতে পারে বলে আমি মনে করি আর তা হল শুধুই দোয়া করা! কিন্তু উরস এ কি হয়? এটা কি মুসলমানের লক্ষন? আর আমার দেখা যারা মাজারে যায় তার ৯০% শুধুই যায় কিছু লাভের আশায়! আল্লাহ ছাড়া কেউ নাই দেয়ার।

ধন্যবাদ সুশান্ত ভাই, বেশ কিছু জিনিষ নতুন জানতে পারলাম :)

৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কবর জিয়ারত জায়েজ। আর আমাদের দেশে যে মাজার সিস্টেম আছে সেটা জায়েজ নয়। যেমন - মান্নত করা, উনার কাছে চাওয়া, ওরশ করা। আর পয়সা খরচ করে দূরে যাওয়ারও নিষেধ আছে। যেমন - অনেকে খাজা বাবা, শাহজালাল, মাইজভান্ডারে যান পয়সা খরচ করে। শুধুমাত্র ৩ জায়গা ব্যতীত টাকা দিয়ে আর কোথাও সওয়াবের উদ্দেশ্যে জিয়ারত করা যাবে না। এগুলো হলো - মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, আল আকসা।

৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২২

সুশান্ত হাসান বলেছেন: মকসুদ অনুযায়ী সফরের হুকুম র্বতায় । অর্থাৎ
হারাম কাজের জন্য সফর করা হারাম। জায়েজ
কাজের জন্য জায়েজ, সুন্নাত কাজের জন্য সুন্নাত।
এবং ফরজ কাজের জন্য ফরজ । যেমন ফরজ
হজ্বের জন্য সফর করাও ফরজ । মাঝে মধ্যে
জিহাদ ও বাণ্যিজের জণ্য সফর করা সুন্নাত কেননা
এ কাজ সুন্নাত । হুযূর আলাইহিস সালামের রওযা পাক
যিয়ারতের উদ্দ্যেশ সফর করা ওয়াজিব কেননা এ
যিয়ারত ওয়াজিব । বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা সাক্ষাত
আত্নীয়-স্বজনের বিবাহ শাদী খতনা ইত্যাদি
অনুষ্ঠানের যোগদান এবং চিকিৎসার জন্য সফর করা
জায়েয । কেননা এগুলোজায়েয কাজ। চুরি-ডাকাতির
জন্য সফর করা হারাম । মোট কথা হলো, সফরের
হুকুমটা জানতে হলে, প্রথমে এর মকসুদটা জেনে
নিতে হবে । মুলত: কবর যিয়ারত হচ্ছে সুন্নাত ।
সুতরাং কবর যিয়ারতে জন্য সফর করাটাও সুন্নাত
বলে বিবেচ্য হবে । কুরআন করীমে
অনেক ধরনের সফর প্রমানিত আছে- (যে ব্যক্তি আল্লাহ ও রসূলের উদ্দেশ্য নিজ
গৃহ থেকে মুহাজির হয়ে বের হলো এবং
(পথে) তার মৃত্যু ঘটলো, তার পুরষ্কার আল্লাহর
কাছে অবধারিত হয়ে গেল । হিজরত উপলক্ষে
সফর প্রমানিত,,, (হে আমার পুত্রগন, ইউসুফ ও তার ভাইয়ের অনুসন্ধান
কর এবং আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হইও না) হযরত
ইয়াকুব (আ:) তাঁর অন্যান্য সন্তানদেরকে হযরত
ইউসুফ (আ:) এর সন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মুলকথা,, নিয়ত জানতে হবে,,,,#বিচার

৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

সুশান্ত হাসান বলেছেন: ফতুওয়ায়ে শামীর ভূমিকায় ইমাম আবু হানিফা
(রহ:) এর ফজিলত বর্ণনা প্রসংগে ইমাম শাফেঈ
(রহ:) এর উক্তিটি উল্লেখ করা হয়েছ ।

আমি ইমাম আবু হানিফা থেকে বরকত হাসিল করি এবং তাঁর
মাযারে আসি । আমার কোন সমস্যা দেখা দিলে,
প্রথমে দু’রাকাত নামায পড়ি । অতঃপর তাঁর মাযারে গিয়ে
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তখন সহসা আমার
সমস্যার সমাধান হয়ে যায় ।
উপরোক্ত বক্তব্য থেকে কয়েকটি বিষয় জানা
গেল- কবর যিয়ারতের জন্য সফর কেননা ইমাম
শাফেঈ (রহঃ) নিজের জন্ম ভূমি ফিলিস্তিন থেকে
ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) এ মাযার যিয়ারত করার
উদ্দেশ্যে সুদূর বাগদাদ শরীফ আসতেন,
কবরবাসীদের থেকে বরকত গ্রহণ ওনাদের
মাযারের কাছে গিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা
এবং কবরবাসীদের অভাব পূর্ণ করার মাধ্যম মনে করা !!!

বিতর্কিত মাসআলা নিয়ে বাড়াবাড়ি ঠিক নয় ।
আর আমাদের মত ইমামের অনুসারীদের পক্ষ
থেকে সমাধান দেওয়াও অসম্ভব-রশীদ আহমদ
এখন আর উরস উপলক্ষে সফর করতে কাউকে
নিষেধ করার কোন অধিকার দেওবন্দীদের
নেই । কেননা মৌলভী রশীদ বাড়াবাড়ি করতে
নিষেধ করেছেন এবং এর কোন সিদ্ধান্তও দেননি
। বিবেকও বলে যে যিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর
জায়েয হওয়া চাই । কেননা আমি ইতিপূর্বে উল্লেখ
করেছি যে সফর হালাল বা হারাম হওয়াটা এর মকসুদ
থেকেই বোঝা যায়। এ সফরের উদ্দেশ্য
হচ্ছে কবর যিয়ারত যা নিষেধ নয় , কেননা যিয়ারতে
কবর সাধারণভাবেই অনুমোতিত!! তাহলে
সফর কেন হারাম হবে,, অধিকন্তু দ্বীনি ও
দুনিয়াবী কাজ কারবারের জন্য সফর করা হয় । এটাও
একটি দ্বীনি কাজের জন্য সফর হেতু হারাম কেন
হবে ,,

৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

সুশান্ত হাসান বলেছেন: ফতুওয়ায়ে শামীর ভূমিকায় ইমাম আবু হানিফা
(রহ:) এর ফজিলত বর্ণনা প্রসংগে ইমাম শাফেঈ
(রহ:) এর উক্তিটি উল্লেখ করা হয়েছ ।

আমি ইমাম আবু হানিফা থেকে বরকত হাসিল করি এবং তাঁর
মাযারে আসি । আমার কোন সমস্যা দেখা দিলে,
প্রথমে দু’রাকাত নামায পড়ি । অতঃপর তাঁর মাযারে গিয়ে
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তখন সহসা আমার
সমস্যার সমাধান হয়ে যায় ।
উপরোক্ত বক্তব্য থেকে কয়েকটি বিষয় জানা
গেল- কবর যিয়ারতের জন্য সফর কেননা ইমাম
শাফেঈ (রহঃ) নিজের জন্ম ভূমি ফিলিস্তিন থেকে
ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) এ মাযার যিয়ারত করার
উদ্দেশ্যে সুদূর বাগদাদ শরীফ আসতেন,
কবরবাসীদের থেকে বরকত গ্রহণ ওনাদের
মাযারের কাছে গিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা
এবং কবরবাসীদের অভাব পূর্ণ করার মাধ্যম মনে করা !!!

বিতর্কিত মাসআলা নিয়ে বাড়াবাড়ি ঠিক নয় ।
আর আমাদের মত ইমামের অনুসারীদের পক্ষ
থেকে সমাধান দেওয়াও অসম্ভব-রশীদ আহমদ
এখন আর উরস উপলক্ষে সফর করতে কাউকে
নিষেধ করার কোন অধিকার দেওবন্দীদের
নেই । কেননা মৌলভী রশীদ বাড়াবাড়ি করতে
নিষেধ করেছেন এবং এর কোন সিদ্ধান্তও দেননি
। বিবেকও বলে যে যিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর
জায়েয হওয়া চাই । কেননা আমি ইতিপূর্বে উল্লেখ
করেছি যে সফর হালাল বা হারাম হওয়াটা এর মকসুদ
থেকেই বোঝা যায়। এ সফরের উদ্দেশ্য
হচ্ছে কবর যিয়ারত যা নিষেধ নয় , কেননা যিয়ারতে
কবর সাধারণভাবেই অনুমোতিত!! তাহলে
সফর কেন হারাম হবে,, অধিকন্তু দ্বীনি ও
দুনিয়াবী কাজ কারবারের জন্য সফর করা হয় । এটাও
একটি দ্বীনি কাজের জন্য সফর হেতু হারাম কেন
হবে ,,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.