![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কয়েকটি ঘটনা দেখুন-
১.
ছোট্ট মেয়েটি তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিলো। তার মা তাকে এক শিক্ষয়িত্রীর কাছে পড়তে নিয়ে যেতেন। প্রতিদিন পড়তে যেতো মেয়ে। কোনদিন সে তার শিক্ষিকা অথবা উনার বাসার কোন মুরব্বীকে সালাম দিতে শেখেনি। তার মা চাল চলনে বেশ ধার্মিক হলেও মেয়েকে সালাম এর ব্যপারে কখনো কিছু বলতে শোনা যায়নি।
যদিও অনেকে মুরব্বীদের সামনে হলেও বাচ্চাদের বলে দেন, - "সালাম দাও।"
২.
ছেলেটি বেশ চটপটে। বুদ্ধিমান। বলার আগেই পড়া শেষ করে রাখে। বোঝেও ভালো। নতুন টিচার নিয়োগ হলো পড়ানোর জন্য। প্রতিদিন পড়ছে টিচারের কাছে। কিন্তু একদিনও সালাম দেওয়ার বালাই নাই। একজন বয়স্ক মানুষ একদিন শিখিয়ে দিলেন, "দেখা হলে সবাইকে সালাম দিবা।"
তথাপিও অবস্থা তথৈবচ।
৩.
খুবই ছোট্ট এক শিশু। ঘরের ফ্লোরে বসে ঘর মুছতে থাকা বয়স্কা পরিচারিকার গায়ে লাথি দিয়ে বসলো। বারংবার বিরক্ত হয়ে অবশেষে বয়স্কা মহিলাটি শিশুটির তরুণী মায়ের কাছে অভিযোগ উত্থাপন করলেন।
শিক্ষিতা তরুণীটির জবাব-
"এখন কি পা টা কাইট্টা ফেলবো??"
সে খুব সহজেই বাচ্চার আচরণের প্রেক্ষিতে মহিলাকে বিনীত ভাবে বুঝিয়ে বলতে পারতো। নিজের বাচ্চাকেও এটা না করতে বলা উচিৎ ছিলো। কিন্তু...
৪.
এক মা কে দেখেছিলাম, তার বাসার বারান্দা লাগোয়া প্রতিবেশীর আম গাছের ফলবতী গাছের ডাল থেকে আম চুরির জন্য তার স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে জাল আর লাঠি তৈরি করছে। সন্ধ্যার পর মা ছেলে মিলে মিশে আম চুরি অভিযান শুরু। একের পর এক আম এনে জমা করছে। তাই দিয়ে ভর্তা অথবা ডাল খাওয়া হচ্ছে।
...উপরের প্রতিটি ঘটনা বাস্তব জীবন থেকে দেখা।
এভাবেই সন্তানদের মানুষ করা হচ্ছে বহু পরিবারে। যাদের সামাজিকতা, সৌজন্য, ধার্মিকতা, ন্যায়-অন্যায় বোধ সমস্তই জিরো লেভেলে।
এই সব বাচ্চাদের কিছু বলার নেই। পরিবারকে বলার আছে। যেসব পরিবারে এভাবেই সন্তান মানুষ করা হয় তাদের সন্তানদের বিবেকবোধ অন্যায় বুঝতে বা প্রতিহত করতে কতটুকু সুগঠিত হবে সেটা আর বুঝতে বাকি নেই কারো।
ধরুন, বড়ো হবার পরে এরাই যদি হঠাৎ করে জানতে পারে যে অনেক বিষয়ে এতোদিন সে বিরাট ভুলের মধ্যে ছিলো, (আসলেই হয়ত ছিলো), আর তখন কেউ থাকে "সুপথে" ডাকার নাম করে কোন চরমপন্থী রাস্তা ধরিয়ে দেয়, নিজের পরিবারের শেখানো ভুল অতিক্রম করে সেই মানুষটি "ন্যায়পরায়ণ" অথবা "বিবেকবোধ" জাগ্রত করবার নাম করে হয়ে গেলো "জিহাদী"।
পরিবারের শেখানো অথবা না শেখানো বিষয়গুলো নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সে র্যাডিক্যাল হয়ে পড়তেই পারে!
যে বাচ্চাকে প্রতিবেশির সম্পদ চুরির শিক্ষা দেওয়া হয়, সে একদিন নিজের ঘরেই চুরি করতে শিখবে।
আমরা জানি ইসলাম অথবা অন্য ধর্মে প্রতিবেশি কতখানি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের সামাজিক জীবন এবং ধর্মীয় জীবনকে পরিপূর্ণ করতে। অথচ তারই সম্পদ চুরির পাঠ দেওয়া হচ্ছে তাকে! নৈতিকতার এই স্তরের শিক্ষাই যে একদিন মানুষকে চরম অমানুষ হতে শেখায় আমার কোন সন্দেহ নেই!
জঙ্গী প্রতিহত করবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আহ্বান জানায়, ছাত্ররা অনুপস্থিত থাকলে তাদের নামে থানায় রিপোর্ট করতে বলে, আইডি কার্ড ছাড়া কোথাও ঢুকার উপর নিষেধাজ্ঞা। টিভি চ্যানেলও বন্ধ করে দেয়!
কী আছে এসব করে...। যদি ঘরেই মানুষকে সম্মান দিতে না শেখানো হলো!!
২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:১৪
SwornoLota বলেছেন: কৃতার্থ হলাম
২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪
নতুন বলেছেন: মা/বাবার যদি নিজেই মন্দের মাঝে থাকে তবে তার সন্তানদের ভালো সেখাতে পারেনা।
২৪ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:০৫
SwornoLota বলেছেন: জ্বি, আমিও সেটাই বলি
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বুঝলাম ।