নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিরসুখী জন।

SwornoLota

এই আছি এই নেই হয়ে চুপিসার...

SwornoLota › বিস্তারিত পোস্টঃ

Paranormal activities……….1

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১

ঘটনাটি কিশোরগঞ্জ জেলার

হালিমা খাতুন যখন ছোট্ট ছিলেন, তখন একদিন স্কুলে যাবার সময় এক অশরিরী আক্রমণ হয় উনার উপর।

যথারীতি হুজুর আলেম মাওলানা সাহেবদের তদবির চললো। তাতে করে জানা গেলো, ছোট্ট হালিমা জ্বিনদের কাজের জায়গার উপর দিয়ে চলাফেরা করে তাদের অসুবিধা করেছিল। তাই তারা হালিমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে।

ঐ ছিলো শুরু। পরবর্তি বিভিন্ন সময়ে জীবনে বহুবার হালিমা খাতুন তাদের দ্বারা এরকম অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিলেন। সংসার জীবনেও।

অবশেষে একবার উনাকে তারা নিজেদের কাছেই নিয়ে রেখে দিলো।

১৯৭৭ সাল, যখন হালিমা খাতুন প্রৌঢ়া, একদিন তিনি নিজ বাড়ি থেকে উধাউ হয়ে গেলেন।
চারদিকে খুঁজা খুঁজি চলছে... কিন্তু কোত্থাও নেই তার খোঁজ !

পরিবারের সকলে মিলে বিভিন্ন পন্থায় চেষ্টা চালাতে থাকেন। এক পর্যায়ে হুজুরদের তদবিরে উত্তর মিলল-
ভদ্র মহিলা কতিপয় জ্বিনদের হেফাজতে রয়েছেন।

নানা প্রকার আচার অনুষ্ঠান করে রোগিণীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলল।

একদিন ঘরের সিলিং এর উপর বাড়ির কেউ একজন ভারি কিছু একটার অস্তিত্ব উপলব্ধি করলেন। বিষয়টি সকলে মিলে উদ্‌ঘাটন করতে গেলেই বেরিয়ে পরলো-
হালিমা খাতুন কে "তারা" এখানে এই সিলিং এর উপর রেখে গিয়েছে!

এভাবে উনাকে ফিরে পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ির মধ্যে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরী হল। আর শুরু হল দিন রাত পাহারার ব্যাবস্থা।

রুগিনীর অবস্থা সঙ্গিন। দিন রাত পরিবারের কেউ না কেউ পাশে থাকেন। যতোটা না সেবার জন্য, তার চেয়ে বেশি সাবধানতা, ভয়। যদি আবার কিছু ঘটে!

অনুপস্থিতির এই দিন গুলোতে রুগিনী কোথায় ছিলেন, কীভাবে ছিলেন সেই সম্পর্কে কিছু কথা জানালেন।
জিনেরা তাদের বাচ্চাদের কুর্‌আন পড়ানোর দায়িত্ব দিয়েছিলো। তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাদের কাছে, যেন একটিবার তাঁর সদ্যোজাত প্রথম নাতিকে দেখতে দেয়া হয়, পরিবারের কাছে যেনো তাকে ফিরতে দেয়া হয়।

যাইহোক, পাহারার ভেতর দিনরাত কাটছিল।
একরাতে রুগিনীর বৃদ্ধ বাবা মা রইলেন পাশে। ফজরের ওয়াক্ত হলে তাঁর বাবা নামাজ পড়তে গেলেন, তিনি ফিরে আসলে মা যাবেন নামাজে।

বাবা চলে যাবার পর মা মেয়ের পাশে, সারা রাতের শেষে ভোরে একটু ঝিমুনি এসে গেলো। একটু তন্দ্রা মতন।

হঠাৎ একটা ডানা ঝাপটানোর মতো আওয়াজে ঘোর কেটে গেলো মায়ের!
হুঁশ ফিরে দেখেন, বিছানা খালি !

আবারো শুরু হলো তদবির। কিন্তু এবার আর আগের বারের মত ফিরিয়ে দেয়া হলো না হালিমা খাতুনকে। এরপর আর কোনোদিন পরিবার তাকে ফিরে পায়নি।

হালিমা খাতুনের দেবর ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের vice চ্যান্সেলর (নামটা আমার জানা নাই), তিনি এগ্রি ভার্সিটি এরিয়াতেই থাকতেন। সেখানেই বেশ কয়েকমাস পর একদিন ভোর বেলা উনার কাছে কিছু শুভ্র পোশাকধারী দীর্ঘকায় লোক আসলো। এসে সালাম দিয়ে বললো-
আপনার ভাবি, আউয়াল সাহেবের wife মারা গেছেন। উনাকে দাফন করা হয়েছে।

এইটুকু বলেই তারা চলে গেলো।


শেষ মুহূর্তে পরিবারের কেউ কাছে ছিলেন না, দাফন টুকুও পরিবারের কাছে হয়নি, কিন্তু উনার কবরটা দেখার একটা আকাঙ্ক্ষা ছিলো উনার স্বামীর।

একদিন ফজরের নামাজ শেষে মোরাকাবা করছিলেন আউয়াল সাহেব। তারি মাঝে তিনি দেখতে পেলেন, এক সুসজ্জিত ফুলের বাগান , খুব সুন্দর একটা জায়গা। সেখানে একটি নতুন কবর। দেখা মাত্রই ধ্যান টুটে গেল...

Note : ঘটনাটি আমার খুব নিকটাত্মীয়ের পরিবারে ঘটেছিল। এই কাহিনীর সকলেই আমার relative, শুধু জ্বিনরা ছাড়া।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

আহলান বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। এমন অনেক অলৌকিক ঘটনা ঘটে থাকে ....

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:০৪

SwornoLota বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার সমর্থনমূলক মন্তব্যের জন্য। সত্যিই এমন ঘটে প্রায়ই।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

মাহমুদা আক্তার সুমা বলেছেন: সত্যিই কি এরকম হয়?

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

SwornoLota বলেছেন: জ্বি আপু। হয়। অনেকেই জানেন।

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৮

গন্ডোলার মাঝি বলেছেন: কিশোরগন্জের কোন উপজেলার ঘটনা?

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

SwornoLota বলেছেন: ঠিক জানি না। কিন্তু ঘটনা অনেক আগের।

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমার এক মামাত বোন ও এক মামাত ভাই এর বউ এর পাগলামি শুরু হয়েছিলো । লোকে বলেছিলো জ্বিনের আছড়!

আমার কাছে এগুলো cock and bull story মনে হয় ।

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭

SwornoLota বলেছেন: জ্বি নিশ্চই। মনে হবার জন্যই তো আমাদের মন দেয়া হয়েছে। সবারই কিছু না কিছু মনে করা উচিত। নইলে মন আর কাজ পাবে কই।

৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

কেমিক্যাল রিয়াদ বলেছেন: এর কোন লৌকিক ব্যাখ্যা অবশ্যই আছে । কাহিনীতে অনেক ফাঁক ফোঁকর আছে যেমনঃ "এইটুকু বলেই তারা চলে গেলো" । আমার পরিবারের কেউ যদি দীর্ঘকাল অপহৃত থাকে এবং একদিন কেউ এসে তার মৃত্যুর খবর দেয় তাহলে "এইটুকু বলেই তারা চলে গেলো" র মত সহজ ঘটনা নিশ্চয় ঘটবে না ।

এর একটা ব্যাখ্যা আমার কাছে আছে । আমার পরিচয়টা এখানে গুরুত্তবহন করে তারপরও দিচ্ছি না । তিনি ছোটবেলা থেকেই অসুস্ত ছিলেন । তার সেই অসুস্ততা নিয়ে লোকজন জীনের গল্প তৈরি করায় তিনি সেগুলো বিশ্বাস করেন এবং তিনি নিজেই একটি কল্পনার জগত তৈরি করেন । ফেরার পর তাকে প্রশ্ন করায় সেই কল্পনার জগত থেকেই উত্তর দেন । তিনি ২ বার গায়েব হয়ে যান নিজ থেকেই । এখানে অনেক তথ্যের ঘাটতি আছে । লোকজন জীনের গল্প হা করে বিশ্বাস করে নেয়ার কারনে সন্দেহজনক ও অতিরিক্ত তথ্যগুলো এমনিতেই বাদ হয়ে যায় । ফলে আপনি যা শুনেছেন তা পরিমার্জিত ও জীনের ফেভারে বিকৃত । প্রথমবার তিনি কোন লম্পটের আশ্রয়ে ও দ্বিতীয়বার নদীতে লাফিয়ে মরে যেতে পারেন ।

জীনে অপহরণ করা যদি এত সহজ হত তাহলে বেগম শেখ হাসিনা গনভবনে থাকতেন না । সাইদি সাহেবও কারাগারে থাকতেন না ।

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০৩

SwornoLota বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য। আপনার ব্যখ্যাগুলোও আপনার মতই মূল্য বহন করে।

সাধারণত যারা জ্বিন ব্যাপারে জানেন, তারা এটাও জানেন যে, সাধারণত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাসীনদের জীবনে কখনোই কোন ব্যাপারে জ্বিনরা হস্তক্ষেপ করে না। সেটা তাদের ব্যাপার।

সব মানুষকে নিয়ে খেলা করা যদি তাদের অভ্যাস হতো তাহলে আর শুধু হাসিনা আর সাইদি কেনো, আমাদের সকলেরই তো এমন ঘটনা থাকতে পারতো। কিন্তু তা তো থাকে না।

অত্যন্ত ধার্মিক পরিবারের একজন নারী কোন লম্পটের "আশ্রয়ে" "যাওয়ার" কথা না। অবশ্য আপনার মনে হলে হতেই পারে। কারো মনে হওয়ার উপর অন্যের হস্তক্ষেপ চলে না।

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

SwornoLota বলেছেন: "এইটুকু বলেই তারা চলে গেলো" এর সাথে সাথে অন্য কোন প্রশ্নের জবাব না দেওয়ার মত ঘটনাও ছিলো।

৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৮

কেমিক্যাল রিয়াদ বলেছেন: আপনি আমার কথা ঠিকভাবে বুঝেননি, আরেকটু বলি । আমি আপনার ঘটনাকে চেলেঞ্জ করছি না । এই ধরণের ঘটনা অনেক শুনেছি এবং সবগুলোই প্রাচীন ।

জীনরা বাজার করে, তাদেরও বাদশাহ আছে, জীনদের সাথে বিবাহ সম্ভব - এই সব গল্প একদিনে তৈরি হয়নি । জীন নামক এই অদ্ভুত কন্সেপ্টকে আপনি মহাসত্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছেন। এখন তাই যে যুক্তিই এর মাঝখানে আসবে "এটা তাদের ব্যাপার" - মূলক এক্সকিউজ দিয়ে আপনি তা খণ্ডন করবেন , সেটা যত বড়ই হক না কেন । আবার এর পক্ষে যত ছোট যুক্তিই থাকবে (অত্যন্ত ধার্মিক পরিবারের একজন নারী কোন লম্পট....) আপনি তার শক্তি বৃদ্ধি করে উপস্থাপন করবেন ।

যেমন ধরুনঃ জীন হাজিরা একসময় খুব প্রচলিত একটা বিষয় ছিল । এখন এইসব ভন্ডামি বন্ধ হয়ে গেছে । মানুষ টেকনিক ধরে ফেলেছে । লাইট অফ করে দাও জীন আলো ভয় পায় বলে, উপস্থিত লোকদের সম্পর্কে কিছু অগ্রিম তথ্য রাখো , বাকিটা অভিনয়ের ব্যাপার। একই ধরণের সব ঘটনার পিছে একটি মাত্র টেকনিক বিদ্যমান । এই টেকনিক শুধু বিশেষ লোকেরাই জানে, এটা গণহারে ছড়ায় না । যেমনটা একটি জাদুর মর্ম সাধারনত জাদুকররাই জানে । তেমনি অপহৃত হবার এই সকল ঘটনার পিছে কেবল একটি মাত্র টেকনিক ব্যাবহার করা হয় বলে আমার ধারণা । সরেজমিনে তদন্ত করলেই জীন বেরিয়ে আসতো নারী সহ ।

সন্তানদের পড়ানোর জন্য শিক্ষক গায়েব হন না, নারী হন । নারী ভোগের বস্তু , এটাকে কায়েম করতে অনেক দাড়ি টুপি ওয়ালা দুষ্ট লোক বুদ্ধি খরচ করবে এটাই স্বাভাবিক ।

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

SwornoLota বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আবারো অনেক কষ্ট করে এই পর্যন্ত এসেছেন বলে।

আসলে আপনার যুক্তিগুলো একদমই নূতন নয় আমার কাছে। এই যুক্তি তো জীবনে অনেক বার শুনেছি, পড়েছি, এমনকি বলেছিও। তাই যুক্তি না বোঝার আসলে কিছু নেই। আমি বুঝতে পেরেছি আপনার বক্তব্য। আপনি নিজের পারসেপশন অনুযায়ী যেকোন ভাবে ব্যাপারটা বুঝতেই পারেন। এতে আমার কোন অসুবিধা নেই। আমি তাতে কিছু মনেও করছি না। এটা সকলেরই ব্যক্তিগত ব্যাপার।

আমার কথা ছিলো যে, জ্বিন আছে কি নেই সেটা তো যার যার ব্যক্তিগত বিশ্বাস এর ব্যাপার। আমি যদি সত্যিই বিশ্বাস করি তবে সেটা সঙ্গত কারণেই করি। আমি কাউকে ফোর্স করি না যে অন্যদেরও আমার মতই ধ্যান ধারণা থাকতেই হবে।

জ্বিনরা আলো ভয় পায় সেটা ঠিক নয়। আমি কিছু ঘটনা দেখেছি যেখানে মিডিয়াম এর উপর জ্বিন এসেছে আলোর উপস্থিতিতেই। আলো কোন ব্যাপার না সেখানে।

সব কিছুকেই যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করতে যেয়ে আমি দেখেছি , যুক্তি আসলে সব জায়গায় খাটে না। কিছু বিষয় আমাদের জানা যুক্তির বাইরে, যে যুক্তিগুলো এখনো আমরা খুঁজে পাইনি। জ্ঞান অর্জনের শেষ ধাপ তো এখনো খুঁজে পেয়ে যায় নি মানুষ, তাই কনফিডেন্টলি বলতে পারছি না যে, আমরা সব জেনে গেছি।

আমার শরীর কে ছাড়াও আমার আত্মা এক্সিস্ট করে, -এভাবে যারা বিশ্বাস করেন তারা আত্মাকে ব্যাখ্যার চূড়ান্ত পর্যায় এখনো খুঁজে পাননি। তাই, শরীর বিহীন আত্মারও এক্সিস্টেন্স রয়েছে, - এটা অনেক মানুষই বিশ্বাস করেন। এতে খুব কোনো অস্বাভাবিকতাও নেই।

ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক মত বিনিময় হলো। আমি নিজের বিশ্বাসে বিশ্বাসী। কিন্তু আপনার বিশ্বাস বা যুক্তিকে খাটো বা অসম্মান করছি না।

৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: যাক কেউ একজন তো যুক্তির আশ্রয় নিলো!
প্রত্যেক ধর্মেরই নিজস্ব ভুত আছে। জিন হচ্ছে ভুতের ইসলামিক সংস্করণ ।

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

SwornoLota বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আপনার মতা মত জানানোর জন্য।

আমি আপনার কথাটা মানি। আপনি সত্য বলেছেন।
কিন্তু,
জ্ঞান অর্জনের শেষ ধাপ তো এখনো খুঁজে পেয়ে যায় নি মানুষ, তাই এখনো অনেক কিছু জানা যুক্তির বাইরে। এক সময় আরো অনেক কিছু ব্যাখ্যার অতীত ছিলো। সেগুলো এখন ব্যাখ্যা করা যায়। হয়তো এই ব্যাপারগুলোও করা যাবে। কোন কিছু ধ্রুব সত্য হবে, সেই নিশ্চয়তাও নেই।

শরীরবিহীন আত্মা অনেকে বিশ্বাস করেন। সেই বিশ্বাসকে খন্ডন করবার মতো শক্ত যুক্তি এখনো আমি পাই নি।
শুভেচ্ছা জানবেন। ভালো থাকবেন।

৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

কেমিক্যাল রিয়াদ বলেছেন: আপনি বলেছেন , আমি যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি । কিন্তু, আপনার ঘটনার "ঘর থেকে পাখার ঝাপ্টার মত আওয়াজ করে গায়েব হয়ে যাওয়া" ফিজিক্সের অতি প্রতিষ্ঠিত আপেক্ষিকতা < ৩ ডাইমেনশনাল থিওরিকেই উরিয়ে দেয় । দৈর্ঘ্য প্রস্থ ভেদ বিশিষ্ট কোন বস্তু কঠিন দেয়াল ভেদ করে যেতে পারে না । এটা "ল'স অফ নেচার" - বহুবার পরীক্ষিত প্রমান । যেমনটা গ্রাভেটি কিনবা আলোর গতির সুত্র । এই ল গুলো আপনি শুধু খণ্ডিত হতে শুনবেন , কখনই দেখবেন না । আপনি লিখে রাখুন - ' কখনই ঘটবে না আপনার সাথে"। Laws of nature is fixed and cant be changed - এইটা একমাত্র কথা যা মানবজাতি আজ পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পেরেছে । তাহলে এখানে যুক্তির কোন প্রয়োজন আসেই না । তবে, আপনি যদি মানবজাতির বহুকাল পরিশ্রমের ফলে অর্জিত সত্যকে করিম মেম্বারের ঘটনার নিচে ঠাই দেন সেটা আপনার ব্যাপার । আবার ৪র্থ ডাইমেনশানের কথা দয়া করে বলবেন না ।

মূল সমস্যাটা ওখানেই - আপনি চোখ বন্ধ করে জীন জিনিসটি বিশ্বাস করে নিয়েছেন । আপনার বিশ্বাসের পিছে রসদ হচ্ছে এই ঘটনাগুলোই । সাথে সাপোরটিং থিওরি হিসাবে আছে আত্মা, তাবিজ ইত্যাদি । এখন এই ঘটনার লৌকিক ব্যাখ্যা থাকতেই পারে । তাতে আপনার জীনে বিশ্বাস চলে যাবে কেন। এটাই সমস্যা - কোন একটা ঘটনার সাথে জীন জুড়ে দিলে তা নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না । তাতে ধর্মনষ্ট হয় । ওই লোকগুলার মধ্যে এমন লোক অবশ্যই ছিল যারা এই ঘটনার সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করতেন এবং গভীরে যেতে পারতেন । কিন্তু তারা ভয়ে বলতে পারেননি । বললে - নাস্তিক বলে কোপ দেয়া হত ।

আপনার ঘটনার সহজতর অংশগুলোতেই জটিল ধাঁধা বিদ্যমান । আমাকে যদি কেউ পরিবারের হারিয়ে যাওয়া লোকের তথ্য দিতে আসে আমি অবশ্যই তাকে ধরে ফেলব এবং সেখানে দুর্ধর্ষ একটি ঘটনা অবশ্যই ঘটবে । বলেই চলে গেল ??? এটা কি মামার বাড়ির আবদার ?? আমার সন্তানের অপহরন হবার সম্ভাবনা থাকলে আমার তন্দ্রা যাবার কথা নয়, মা তন্দ্রা গেলেন, বাবাই বা কোথায় গেলেন ?? উনার নিশ্চয় ঘুম পেয়েছিল ??

"সাধারণত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাসীনদের জীবনে কখনোই কোন ব্যাপারে জ্বিনরা হস্তক্ষেপ করে না" - এটা শুধু তাদের ব্যাপার হতে পারে না । এটা অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে । এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রশ্ন । এভাবে প্রতিটি সন্দেহের গভীরে গেলে ভাল হয় ।

আমি আমার নিজের কোন পারসেপসান দাড় করাতে চাচ্ছি না । ঘটনাটা আমার কাছে খুবই পরিষ্কার । প্রথমবার ফিরে আসার পর শরীরের আলামত পরীক্ষা করলেই জীনের ডিএনএ ধরা পড়ত । অতিপ্রাকৃত ঘটনাগুলো ৯৯ দশমিক ৯৯ ভাগই উপস্থিত ব্যাখ্যা করা সম্ভব । বাকি দশমিক ০১ ভাগ নিয়ে তদন্ত করা যেতে পারে । আপনি প্রবীর ঘোষের "অলৌকিক নয় লৌকিক" গ্রন্থটি পড়বেন । এখানে প্রচলিত ভুল ধারণাগুলোকে সুন্দরভাবে খণ্ডন করা হয়েছে ।



২৯ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

SwornoLota বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।

মা এর তন্দ্রা মত এসেছিলো, বাবা তখন ফজর এর নামাজে। সেটা উল্লেখ ছিলো লেখায়।

যারা কিছু বলেই মুহূর্তে দ্রুত উধাউ হতে পারে তাদের জন্য হয়ত বা অন্যের ডাকে দাঁড়িয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক।

"নারী"ই শুধু উধাউ হয় না। অনেক ক্ষেত্রে পুরুষেরও উধাউ হবার কথা শোনা যায়।

আলোকে ব্যাখ্যা করতে পারা আজো বহু বিতর্কিত।
আমরা কি নিজেদের আত্মাকেই ব্যাখ্যা করতে পারি? কী জিনিস এটা? কী দিয়ে তৈরি??

ফোর্থ ডাইমেনশন কখনোই ব্যাখ্যা হবেনা, সেটা আজকেই আপনি বলে দিতে পারেন না।
একদিন সূর্যও ঘুরতো পৃথিবীকে কেন্দ্র করে। সেটা ভুল বলায় কাউকে জীবনও দিতে হয়েছিলো। আজ সেই ভুল টা টের পাওয়া যায়।

একদিন দূর থেকে মানুষের কথা বলাটা অসম্ভব ছিলো। আজ আর নেই।

আজকে আমরা মনে করি দূর থেকে কোন কিছু স্পর্শ করা সম্ভব নয়। কাল সেটাও মিথ্যে হতে পারে।

আমি ধরেই নিয়েছি অথবা বিশ্বাস করেই নিয়েছি, এর বাইরেও কিছু থাকতে পারে। তর্ক করতে গেলেই যে সবটুকু প্রকাশ করতেই হবে এমনও তো নয়।

আমি কখনোই মনেকরি না আমিই সর্বজ্ঞ।
আমরা যতোই জানতে থাকি, ততোই আমরা জানতে পারি যে, আমরা কতো কম জানি।

৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:১১

নতুন বলেছেন: ভাই দুনিয়াতে অলৌকিক কিছু ঘটে না।

ডাইমেনশনাল থিওরিকেই উরিয়ে দেয় । দৈর্ঘ্য প্রস্থ ভেদ বিশিষ্ট কোন বস্তু কঠিন দেয়াল ভেদ করে যেতে পারে না । এটা "ল'স অফ নেচার" - বহুবার পরীক্ষিত প্রমান । যেমনটা গ্রাভেটি কিনবা আলোর গতির সুত্র । এই ল গুলো আপনি শুধু খণ্ডিত হতে শুনবেন , কখনই দেখবেন না । আপনি লিখে রাখুন - ' কখনই ঘটবে না আপনার সাথে"। Laws of nature is fixed and cant be changed - এইটা একমাত্র কথা যা মানবজাতি আজ পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পেরেছে । তাহলে এখানে যুক্তির কোন প্রয়োজন আসেই না ।

Laws of nature is fixed and cant be changed এটাই সত্য... এটা দিয়ে যখন অলৌকিক ঘটনাগুলিকে দেখবেন তখন সমস্যা কমে যাবে।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

SwornoLota বলেছেন: আলোকে ব্যাখ্যা করতে এখনো ওয়েভ থিওরি আর ফোটন থিওরি দুইটাই চলে। একদিন এগুলাও চলতো না।

আজ যা চলে না সেটা আর কোন দিনই চলবে না সেটা এক কথায় বলে দেবার মত অকাট মূর্খ এখনো হয়ে যাইনি।

কেউ অলৌকিকতা বিশ্বাস করে না, তাকে জোর করে বিশ্বাস করানোর দায়িত্ব নেই আমার। যার যার বিশ্বাস তার তার কাছে থাকুক।

১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৩৬

মহা সমন্বয় বলেছেন: কেমিক্যাল রিয়াদ @ আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ @ আর সাথে একমত।

আমি নিজেও একসময় এসব মহা আজগুবি বিষয় বিশ্বাস করতম। ( যখন অন্ধ ছিলাম ;) )

আমার আম্মার, খালাকে জ্বীনে নিয়ে গেছিল, আম্মার কাছ থেকে ছোট সময় থেকেই উনার খালাকে জ্বীনে নেওয়ার না না কাহিনী শুনে আসছি। নানু বাড়ির সকল আত্নীয় স্বজন এখনও বিশ্বাস করে এই জ্বীনের গপ্পোটি। এক বছর আগ পর্যন্ত আমি নিজেও এই গপ্পোটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতাম। কিন্তু এখন আর তা করি না কারণ এখন খুব বুঝতে পরি ওইটা জ্বীন ছিল না কি ছিল? ;)
কেউই মিথ্যা কথা বলে নি এটা ঠিক- কিন্তু সবাই অন্ধবিশ্বাস নামক বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে উক্ত জ্বীনের ঘটনাকে ভুল ব্যাখ্যা করেছে আর ফুঁলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করেছে।
এসব জ্বীন,ভূতের না না আজগুবি গপ্পো কাহিনি অন্তত হাজার খানেক গপ্পো আপনাকে শুনাতে পরব। ( যার একটিও সত্য নয় )
এমনও কিছু ঘটনা আছে যা আমার সামনেই ঘটেছে, মানে আমি নিজেই দেখেছি। ( কারণ আমিও তখন আন্ধ ছিলাম ;) )
এখন বুঝতে পারি এসব আসলে সব মিথ্যা,আর ভূঁয়া কাহিনী, গুজবের সমষ্টি যার কোনই সত্যতা নেই। ভূত,দৈত্য,দানবের আধুনিক বা ইসলামি সংস্করণ হচ্ছে জ্বীন। জ্বীন, ভূত বলতে কিছু ছিল না। জ্বীন, ভূত বলতে কিছু নেই এগুলা মানুষের মনের কল্পনা মাত্র, মস্তিষ্কের নিউরো ট্রান্সমিটারের কার্যক্রম মাত্র।
জ্বীন নিয়ে ইউটিউবে লক্ষ লক্ষ ভিডিও পাবেন যার একটিও সত্য নয়।

এই দেখেন জ্বীন কিভাবে তাড়ায়? =p~


এই দেখেন ভূত কিভাবে বোতলে ভরে? =p~


আসলে এগুলা হচ্ছে মানসিক রোগ, এই পোস্টটি দেখতে পারেন। রহস্যময় দুনিয়া, রহস্যময়ী মানুষ ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩২

SwornoLota বলেছেন: আপনার এসব ভিডিও দেখার সময় বা ঈচ্ছা কোনোটাই হচ্ছে না।

যে বা যারা সত্যিকার ক্রাইসিসে থাকবে তারা এট লিস্ট ইউ টিউব বিজনেস করবে না এসব নিয়ে!

আপনি যে কনসেপ্ট এর সাথে পরিচিত, এসব ভুং ভাং বুজরুকি আমিও দেখেছি। কিন্তু সব কিছুকে এক নজরে দেখি না।

যে কোন ঘটনা ঘটলেই আমরা যেমন সরকারি অথবা বিরোধী দলকে খুঁজে পাই, সেরকমই অলৌকিকের গন্ধ পাওয়া মাত্রই আপনারা এসব ভুং ভাংদের উদাহরণ নিয়ে আসেন।

আপনি অন্ধত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ায় আপনার প্রতি রইলো অশেষ শুভকামনা। দয়া করে আমাকে আর অত আলোর দিকে নেওয়ার কোন দরকার নাই।

আপনাকে আমি জোর করে কিছুই বিশ্বাস করতে বলি না। একই রকম আচরণ অন্যদের থেকেও আমি আশা করি।

১১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:২০

মহা সমন্বয় বলেছেন: যে কোন ঘটনা ঘটলেই আমরা যেমন সরকারি অথবা বিরোধী দলকে খুঁজে পাই, সেরকমই অলৌকিকের গন্ধ পাওয়া মাত্রই আপনারা এসব ভুং ভাংদের উদাহরণ নিয়ে আসেন।

কারণ অলৌকিক মানেই হচ্ছে ফাঁকিবাজি আর ভুজং ভাজং :-P যে যতবেশি ফাঁকিবাজি আর ভুজং ভাজং এ সিদ্ধহস্ত সে ততবেশী অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী। আর অন্ধকার যুগেই এসব ফাঁকিবাজি বেশি চলত। এই পৃথিবিতে প্রাকৃতিক নিয়ম বহির্ভুত কিছু ঘটা সম্ভব নয় এমনকি এটা গাছের পাতাও নড়ানো সম্ভব নয়। এই সাধারণ বিষয়টি মানুষ কেন যে বুঝে না?? |-)
আল্লাহ পাক প্রকৃত বিরুদ্ধ কোন কিছুই করেন না।
এই পৃথিবীতে যত লক্ষ কোটি অলৌকিক ঘটনা আছে তার সবই হচ্ছে ভুং ভাং তেরেনাম যার একটিও সত্য নয়।
তাই বর্তমান সময়ে এসব অন্ধকার এবং মিথ্যা বিষয়ের প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করা নৈতিকতা বিরুদ্ধ।
ধন্যবাদ ভাল থাকিবেন। :)

০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯

SwornoLota বলেছেন: নৈতিকতার বানী ধর্মের চেয়ে বেশি কোথাও শেখানো হয় না।

আত্মায় বিশ্বাস ধর্ম বিশ্বাসের অংশ। আত্মা এবং শক্তি উভয়ই অবিনশ্বর। সব রহস্যের ভেদক আপনাকে আমি মানতে পারবো না কখনোই।

আগে আস্তিক হোন, তারপর ধার্মিক, তবেই আপনার থেকে নৈতিকতার শিক্ষা গ্রহণযোগ্য হবে।

নতুবা কোন ধর্ম সমর্থিত কোন কনসেপ্ট নিয়ে আমি আপনার সাথে আলোচনায় যেতে নারাজ যেখানে আপনার ও আমার দৃষ্টি ভঙ্গী সম্পূর্ণ বিপরীত।

আমার বলা ঘটনার কোত্থাও কোন বিজনেস খুঁজে পাবেন না। মানবিক স্বার্থও নয়।

১২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪১

মহা সমন্বয় বলেছেন: আগে আস্তিক + ধার্মিক সবই ছিলাম। কিন্তু এখন আল্লাহ পাক আমাকে এসব থেকে মুক্ত করিয়াছেন। :)
ধর্ম মানুষকে নৈতিকতার শিক্ষা দেয় না, ধর্ম নৈতিকতার বুলি আওরায় মাত্র। প্রকৃত পক্ষে ধর্ম মানুষকে শিক্ষা দেয় অন্ধকার, আর কুঁসংস্কারের। মানুষকে নৈতিকতার শিক্ষা দেয় তার বিবেক, পরিবার,সামাজ, তথা প্রকৃত শিক্ষা।
খারাপ মানুষ করে খারাপ কাজ, ভাল মানুষ করে ভাল কাজ, কিন্তু ভাল মানুষকে দিয়ে খারাপ কাজ করানোর লইসেন্স দেয় ধর্ম।

আর আত্না বলতে কিছু নেই এটা মানুষের মনগড়া মুখের বুলিমাত্র আত্না নিয়ে গবেষণার কাজ হচ্ছে ধর্মের। আর ধর্ম এসব মিথ্যে মিথ্যে বিষয় নিয়ে গবেষণা করে। =p~

আচ্ছা আমরা না অলৌকিকতায় ছিলাম? আপনি এখানে ধর্ম টেনে আনলেন ক্যারে?? B:-/
তার মানে কি এমন? ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না। ;)
অলৌকিকতার সাথে ধর্মের কুনু সম্পক্কো নাই, খেয়াল কইরা ... ;) :P

আমার বলা ঘটনার কোত্থাও কোন বিজনেস খুঁজে পাবেন না। মানবিক স্বার্থও নয়।
বিজনেসও নেই মানবিক স্বার্থও নেই তাহলে এসব মিথ্যা বিষয় পোস্ট করার মানে কি?
তবে হ্যাঁ নিছক কৌঁতুহল বশত বা মজা করে বা গল্পের মত করে যদি পোস্ট করে থাকেন তাহলে ভিন্ন কথা। :)

০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১

SwornoLota বলেছেন: ধর্ম আনলাম কারণ আমি ধর্মের আত্মা-বিশ্লেষণে বিশ্বাসী।
ধর্ম আনলাম কারণ আমি ধর্ম দ্বারা ব্যাখ্যাকৃত অলৌকিকতায় বিশ্বাসী।
ধর্ম আনলাম কারণ আমি ধর্মে বিশ্বাসী, আর আপনি তা নন, তাই আত্মা এবং অলৌকিকতা নিয়ে আপনার আর আমার ব্যাখ্যা পরস্পর বিরোধী। সুতরাং আপনি আমাকে অথবা আমি আপনাকে উক্ত বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান দান করবার উপযুক্ত নই। কারণ দুই জনের অন্তঃকরণ ভিন্ন। এই কথাটা স্পষ্ট করবার অভিপ্রায়ে ধর্মের আনয়ন।

আমার যতটুকু ধর্ম শিক্ষা তাতে কারো ক্ষতির কথা বা কাজ নেই। আপনার পূর্ববর্তী ধর্ম সম্পর্কেও কোন জ্ঞান রাখি না তাই কিছু বলতে পারছিনা।

আমার বলা ঘটনার কোত্থাও কোন বিজনেস খুঁজে পাবেন না। মানবিক স্বার্থও নয়।
- এর মানে হচ্ছে, আমি যে ঘটনা গুলো লিখেছি, তাতে এমন কোন চরিত্র নেই যারা বুজরুকি দেখিয়ে দুই পয়সা কামাই করছে। অথবা ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে সুবিধা নিচ্ছে, আমি অন্ততঃ সেরকমই জেনেছি এবং চিনেছি তাদের। সুতরাং ভুংভাং বিজনেস পার্সন তারা নন।

আর এটা নিছকই একটা গল্প না হলেও শেয়ার করার করাটা নিছকই শেয়ার করা। কাউকে শিক্ষা দেয়ার ব্যপার নেই।
কত কিছুই তো লিখি আমরা ব্লগে, একটা দুইটা অভিজ্ঞতা অথবা কাহিনীও শেয়ার করলাম, এই আর কি।

শেষ পর্যন্ত বলি, আমাদের সকলেরই চিন্তা ধারা বোধ বুদ্ধি ভিন্ন জগতের, আমাদের সব মত না মিলতেই পারে। তাতে বিশেষ কিছু যায় আসে না কোথাও। ভালো থাকুন।

১৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০১

মহা সমন্বয় বলেছেন: দারুণ প্রতি উত্তর +++ :)
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.