নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিরসুখী জন।

SwornoLota

এই আছি এই নেই হয়ে চুপিসার...

SwornoLota › বিস্তারিত পোস্টঃ

Paranormal activities……….3

১১ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২

আনুমানিক ১৯৬২ সাল।
ময়মনসিংহের বালিপাড়া গ্রাম।

আজিজুল ১২/১৩ বছরের কিশোর।
যৌথ পরিবারে অনেকের সাথে একই বাড়ীতে থাকতো ।

একদিন আজিজুল বাবা আর ভাই দের সাথে মিলে বাড়ী থেকে কিছুটা দূরে এক বিলে মাছ ধরতে গেলো। কথা ছিলো, প্রথম কিস্তির মাছ ধরা হয়ে গেলে আজিজুল সেগুলো বাড়ী নিয়ে আসবে। আর তারপর সারাদিন ধরে যতো মাছ ধরা হবে, তা অন্যরা বিকালে নিয়ে বাড়ী ফিরবেন।

কথামতো প্রথম দিকে ধরা মাছগুলো দিয়ে আজিজুলকে বাড়ী পাঠানো হলো। আর অন্য সবাই দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মাছ ধরার জন্য রয়ে গেলেন বিলে।

বিকালে মাছ ধরা শেষ করে সবাই ফিরে আসলেন। তাদেরকে দেখে বাড়ীর মহিলারা আজিজুল এর ব্যাপারে প্রশ্ন করলেন, তাকে দিয়ে তো আগেই কিছু মাছ পাঠিয়ে দেবার কথা। তাহলে পাঠানো হলোনা কেনো ??

প্রশ্ন শুনে অবাক হলেন তারা। আজিজুল তো ফিরে এসেছে সেই কখন! তাহলে বাড়ীতে নেই কেনো ?? আর কোথায় যেতে পারে সে? মাছ নিয়ে তো বাড়ীতেই আসার কথা....

আসেপাশে খুঁজা খুঁজি হলো। খুঁজতে খুঁজতে বহুদূর দেখা হলো। কোত্থাও সে নেই। কেউ দেখেনি তাকে। এমন কী পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতেও নয়।

নিরুদ্দেশ আজিজুল। উৎকন্ঠিত পরিবার। আর তার মায়ের অবস্থা আরো করুণ। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর তিনি পথ চেয়ে থাকেন ছেলের আশায়...

এলাকায় নতুন কোন অল্প বয়েসী মানুষের খোঁজ পেলেই তিনি আকুল হয়ে খবর নেন। যদি হারিয়ে যাওয়া ছেলেটিই ফিরে আসে, হয়তো তার স্মৃতি বা হুঁশ নেই...

দীর্ঘ ১২ বছর এই অপেক্ষায় কেটে গেলো।

তারপর একদিন......
এক অপ্রকৃতিস্থ যুবক এলো আজিজুলের বাড়িতে। সোজা ভাষায় যাদেরকে পাগল বলা হয় সাধারণত, সেইরকম একজন। কথা বলতে গেলে জিহ্বায় আটকে যায়, আর অনেকটা শিশুসুলভ আচরণ। সে ওই বাড়িতে ভিক্ষা করতে এলো।

সে বাড়িতে ঢুকেই কেমন যেনো অদ্ভুত আচরণ করতে লাগলো। কেমন পরিচিত ভঙ্গিতে এটা ওটার বর্ণনা দিতে লাগলো। উঠোনের কোথায় কী ছিলো একসময় সব বলতে লাগলো। আর, একটা ছোট্ট মেয়েকে দেখে তার ছোট বোন রাজি-র নাম করতে লাগলো। আরেকজন মহিলাকে দেখেই জেঠী বলে ডেকে উঠলো।

এসব দেখে আজিজুলের মা লোকজনকে অনুরোধ করলেন, ওর হাতের কনুই এর পাশে কোনো দাগ আছে কিনা দেখতে।

দেখা গেলো, সত্যি একটা দাগ আছে!

নিশ্চিত হওয়া গেলো, হারানো আজিজুল ফিরে এসেছে, মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে...

কিন্তু হারিয়ে যাবার আগে তো সে এমন ছিলোনা।

তাকে প্রশ্ন করা হলো, এতোগুলো দিন কোথায় ছিলো সে?

তার ভাঙ্গা ভাঙ্গা উত্তর-
"এক বুড়ি... এক বুড়ি নিয়ে গেছিল।"

আরো জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেলো, যে বুড়ি তাকে নিয়ে গিয়েছিলো, সে এতোদিন পর তাকে বলেছে, তুই চলে যা !

সেই বুড়ি তাকে দিয়ে কিছু কাজ করাতো, কিন্তু কী কাজ তা আজিজুল বলতে পারেনি।

তার বর্ণনা শুনে মনে হতে পারে, কোনো ছেলেধরার কবলে পড়েছিলো। কিন্তু গত ১২ বছর ধরে যার সন্ধান কোনো লোকালয়ে পাওয়া যায়নি, সে আর যাই হোক, কোন মানুষের কাছে ছিলোনা...

সে নির্জন দুপুরে খাল বিলের এলাকায় মাছ হাতে হারিয়ে গিয়েছিলো, এবং তার খোঁজ কোনো মানুষের কাছে পাওয়া যায়নি। আদতে সে কোনো মানুষের কাছে ছিলো না।

ফিরে আসার কিছুদিন পর আজিজুল একটা দুর্ঘটনায় মারা যায়।

Note : ঘটনাটি আমার খুব নিকটাত্মীয়ের পরিবারে ঘটেছিলো । এই কাহিনীর সকলেই আমার relative, শুধু জ্বিনরা ছাড়া।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৫৮

মহা সমন্বয় বলেছেন: হাঃ হাঃ আপনার রুপকথার গল্পটি ভাল লাগিল। :)
এসব রুপকথার গল্প শুধু দাদার আমলেই শুনা যেত। দাদার দাদা এভাবে যত পিছন দিকে যাওয়া যাবে ততই এসব রুপ কথা বেশি বেশি পাওয়া যাবে। :D
লেখাটি পড়ে দাদার কথা মনে পরে গেলে। :(
ধন্যবাদ দাদা, থুক্কু ভাই। :P

১২ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৩০

SwornoLota বলেছেন: অত্যন্ত উল্লাসের সাথে ধন্যবাদ জানাচ্ছি প্রথমেই। আপনার আনন্দে আমি অত্যন্ত পুলকিত।
(যদিও আপনার আনন্দে নিরানন্দে আমার কিছুই যায় আসে না।)

এর পর জানাচ্ছি, আমি দাদাও নই, ভাইও নই।

২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫

মহা সমন্বয় বলেছেন: মানুষের আনন্দ, বেদনায় আপনার কিছুই আসে যায় না। আপনি দাদাও নন আবার ভাইও নন, তাহলে আপনি কি? আপনি কি জ্বীন :-P হাঃ হাঃ জ্বীন বাবা । =p~

১২ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

SwornoLota বলেছেন: ওয়াও!! কী দারুণ পিকটা! থ্যাংকস। অনেক পছন্দ হয়েছে।

নাহ আমি জ্বিন নই।
পৃথিবীতে যতো প্রজাতির মানুষ রয়েছে তাদের সবাইকে আপনি জীবনেও দাদা বা ভাই বলবেন না। যাদের বলবেন না, আমি সেই প্রজাতির একজন।

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:৫৪

মহা সমন্বয় বলেছেন: হুমম বুঝতে পরেছি, আর এসব Paranormal activities মানে হচ্ছে দড়িকে সাপ বানানোর মত এগুলা আমিও অনেক শুনেছি। বাংলার গ্রাম গঞ্জের প্রতি ঘরে ঘরে রয়েছে এসব activities এর ভূড়ি ভূড়ি গাল গপ্পো।
কিন্তু অবাক হই যখন দেখি আপনার মত একজন সচেতন ব্লগার এসব আষাড়ের গপ্পোকে সত্যি হিসবে উপস্থাপন করে। :(
নিছক গল্প হিসেবে পোস্ট করলে অবাক হতাম না। :)

১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

SwornoLota বলেছেন: আচ্ছা আপনি বলুন তো, পৃথিবীতে যা যা ঘটেছে তার সব কিছু কি একদিনে ব্যাখ্যা হয়ে গেছে?
সময় লাগেনি?
যে ব্যাখ্যা একদিন করা হলো, সেটাও তো কিছু সময়ের ব্যবধানে আবার অন্য ব্যাখ্যা হয়ে গেছে।

আজ পর্যন্ত পৃথিবীর জন্ম রহস্যও উদ্ঘাটিত নয় সুনির্দিষ্ট ভাবে।
পৃথিবীতে যে সকল প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটে, সেই একই প্রকার ঘটনা অন্য গ্রহে ঘটলে তার রূপটা হয় অন্য রকম, যা পৃথিবীর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা করা দুষ্কর।

প্রকৃতি কখন কোথায় কতটুকু উন্মোচিত হবে আর কোথায় হবে না সেটা সব সময় বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করতে চাওয়া যথেষ্ট নয়।

আমরা সময়ে সময়ে বিভিন্ন প্রকার ইচ্ছা পোষণ করে থাকি। সেগুলো কেন করি?
অন্যায়ের প্রতিবাদ করি।
ইথিকস নিয়ে পড়াশুনা করি, সেগুলো মেনেও নেই।
আইন অথবা চিকিৎসা যাদের হাতে তোলা থাকে তাদেরকেও ইথিকস মানতে হয়।
মানুষকে কষ্ট পেতে দেখলে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াই।
-এসব ঠিক কী কারণে করি? কেন করি??
বিজ্ঞান দিয়ে এর একটা ব্যাখ্যা দেবেন?

সব কিছু মগজ দিয়ে বুঝতে নেই সমন্বয় সাহেব!
আমি বিশ্বাস করি মগজও চলে হৃদয়ের অধীন। আর কিছু সূক্ষ্ম প্রাকৃতিক বিষয় আমি মনের অনুভূতিতে টের পেয়ে বিশ্বাস করি। সব কিছু মগজ খাটিয়ে বিশ্বাস করতে নেই। মগজ যা ঘোলা করে অন্তর তাকে স্পষ্ট করে।

আমরা নিজেদের আত্মাকেই চিনি না। আমরা পৃথিবীর সব আত্মাকে চেনার দাবীও করতে পারি না।
আমি ফেরশতাদের বিশ্বাস করি। তারা অদৃশ্য।
আমি জ্বিনদেরও বিশ্বাস করি। তারাও অদৃশ্য।
আমি কোন কারণ ছাড়া এসব বিশ্বাস করছি না। সব সত্য জানার সুযোগ সব সময় হয় না।
যা এখনো জানেননি, তা হয়তো অন্য কোন সময়ে জানতে পারেন। অথবা কোনদিনও নাও জানতে পারেন।

কিন্তু আপনি যে ব্যবসায়িদের কথা মিন করছেন, আমি তাদের বিশ্বাস করি না।

৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:১০

মহা সমন্বয় বলেছেন: পৃথিবীতে বহু রহস্যময়ী ব্যাপার রয়েছে যা এখনও উৎঘটন করা সম্ভব হয়নি। আর সেই সূত্র ধরে যদি দাবি করি আমার খাঁটের নিচে বাঘ আছে তাহলে কেমন হয় ব্যপারটা বলুন তো?
একসময় মানুষ জানত পৃথিবী স্থীর, সূর্য পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরছে, এখন তা বাতিল হয়ে গেছে। মানে সময়ের ব্যবধানে সর্বোত্তম ব্যাখাটিই মানুষ জানতে পেরেছে। - তার মানে এই না যে আপনার বর্ণিত ঘটনাটি সত্যি। এটা নিছক গল্প মাত্র।
আজ পর্যন্ত পৃথিবীর জন্ম রহস্যও উদ্ঘাটিত নয় সুনির্দিষ্ট ভাবে। আর তাতেই এসব Paranormal activities নামের আজগুবি বিষয় সত্যি হয়ে যায় না। :-P

পৃথিবীতে যে সকল প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটে, সেই একই প্রকার ঘটনা অন্য গ্রহে ঘটলে তার রূপটা হয় অন্য রকম, যা পৃথিবীর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা করা দুষ্কর।
হাঃ হাঃ কি সব আজগুবি গপ্প শুনাচ্ছেন আমাকে ? আপনার উক্ত ঘটনা কি তাহলে ভিন গ্রহের কোন ঘটনা? না গ্রহের কোন প্রভাব বলতে চাচ্ছেন? ;)

মানুষকে কষ্ট পেতে দেখলে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াই।
-এসব ঠিক কী কারণে করি? কেন করি??
বিজ্ঞান দিয়ে এর একটা ব্যাখ্যা দেবেন?

মনবতার কারণে করি, প্রোয়োজনের তাগিদেই করি, আর এর পিছনে থাকে সমাজ,সামাজিকতা, দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। থাকে মনোস্তাত্বিক আর জেনেটিক কিছু কারণ।

সব কিছু মগজ দিয়ে বুঝতে নেই সমন্বয় সাহেব! সব কিছু মগজ খাটিয়ে বিশ্বাস করতে নেই। হাঃ হাঃ এসব কি বলতেছেন আপু ? =p~
আপনি যে আমাকে কমেন্টটি লিখলেন বা পোস্টটি লিখলেন যা সম্পূর্ণই আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্রম। :)

আমি আপনাকে কি করে বুঝাই বলুন তো? কি করে বুঝালে আপনি বুঝবেন যে, জ্বীন,পরী,ভূত, ফেরেশতা, আত্না এসবের বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই বা এখন পর্যন্ত এর কোন হদিস পাওয়া যায়নি। এগুলো সবই মানুষের কল্পনা মাত্র। আর এ জন্য দায়ী মানুষের মস্তিষ্ক, মস্তিষ্ক ছাড়া কোন কিছুই কল্পনা করা সম্ভব নয়। আর এর মূলে রয়েছে অন্ধ বিশ্বাস।
প্রকৃতি বিরুদ্ধ কোন কিছু হয় না যারা এসব দাবী করে তারা সবাই মিথ্যাবদীর দল। ( ব্যক্তিগত ভাবে নিবেন না প্লিজ) বিভিন্ন কারণেই মানুষ মিথ্যাবাদীদের দলে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে তার মনের অজান্তেই।

আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে প্রকৃত সত্য বা সঠিক বিষয়টি বুঝার তৌফিক দান করুন- আমিন। :) এছাড়া আমার আর কিচ্ছু বলার নেই। :(
ভাল থাকবেন।

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:০৭

মহা সমন্বয় বলেছেন: এসব রুপকথার গপ্পো বেশি বেশি পাবেন আরব্য উপন্যাসে যা পড়ে হাজার রজনীতেও শেষ করতে পারবেন না। ;)
আপনি যে Paranormal activities পোস্টগুলো করছেন, এগুলো হচ্ছে মিথ, সমাজিক মিথ। পৃথিবীর সবগুলো দেশ এবং জাতির মধ্যেই এ সকল সামাজিক মিথ রয়েছে।
কথায় আছে না? যা কিছু রটে তার কিছু না কিছু ঘটেও বটে। কথা কিন্তু সত্যি, এসব মিথের ব্যাপারটাও তাই। একটু ভিন্ন কিছু ঘটেছে বটে আর তাকে অতি উৎসাহী, রহস্যপ্রীয় কিছু মানুষ রং চং মাখিয়ে আজগুবি ব্যাখা দাঁড় করিয়ে, কাকতলীয় কিছু ব্যাপার জড়ো করে রুপকথার গপ্পো সাজিয়েছে।অন্ধকার সমাজে অনেক অপরাধ, অপকর্ম জ্বীন,ভূতের উপর চাপিয়ে দেয়ার একটা অঘোষিত রীতি চালু রয়েছে। বিভিন্ন কারণে জীবন যুদ্ধের প্রচন্ড চাপ, না পাওয়ার বেদনা অনেকই সহ্য করতে না পেরে মানসিক ভারসম্যহীনতার অভিনয় করে এক ধরনের প্রশান্তি অনুভব করে। কেউ কেউ সত্যিকারেই মানসিক ভারসম্য হারিয়ে ফেলে জ্বীন,ভূত, দেখতে পায়। না না অসগলগ্ন কথা বার্তা,কার্জ ক্রম করে বেড়ায়। কেউ কেউ অতি সচেতন ভাবেই এসব মিথ বা গুজব রটায় স্বর্থ হাসিলের উদ্দ্যেশ্যে কেউ সফল হয় কেউ হয় না।
( আমি মনগড়া কথা বলছি কি না? তা যাচাইয়ের জন্য অতি সম্প্রতি ঘটেছে এমন কিছু আজগুবি ঘটনা সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করুন। শুধু আপনার সাথে রাখুন বাংলাদেশী একজন মনোস্তাত্ববিদ এবং একজন নৃবিজ্ঞানী তাহলেই থলের বিড়াল সব বেড়িয়ে যাবে এবং আপনার ভুল ভাঙ্গবে ) :)

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৫২

SwornoLota বলেছেন: আপনার কাছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা চাওয়ায় আপনি আমাকে সামাজিক ব্যাখ্যা দিলেন। ওয়েল, আমি আশাও করিনি আপনি কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। যা নেই তা কই থেকে আনা যেতে পারে?

আপনি যেমন সামাজিকতার মধ্যে বসবাস করতে করতে সামাজিক ব্যাখ্যাগুলো মেনে নিয়েছেন, তেমনি আমরা ধর্মকে জীবনের মৌলিক উপাদান মেনে তার ব্যাখ্যাগুলোকে বিশ্বাস করেছি।

আপনি হতে পারেন আত্মাবিহীন মানুষ, কিন্তু আমি তা নই। আপনার আত্মা নেই, আমার আছে। আপনি আত্মাকে উড়িয়ে দেন আমি দেই না। সুতরাং, আত্মাওয়ালা একজন আত্মাবিহীন একজনের কথা উড়িয়ে দেবে এটাই স্বাভাবিক।

মিথ, গুজব, ত্রাস, স্বার্থ -এসব কথা বার্তা দূরে রাখুন। এগুলো আমার লেখার সাথে যায় না।
যা কিছু আপনি নিজের জন্য অস্বাস্থ্যকর মনে করেন, তা থেকে দূরে থাকাই আপনার কর্তব্য। সুতরাং দূরেই থাকুন।
আমি যা কিছুকে নিজের জন্য অস্বাস্থ্যকর মনে করছি তা থেকে নিজেও দূরে থাকছি।

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:১৮

মহা সমন্বয় বলেছেন: ভাল, দারুণ বলেছেন।
কিন্তু কথা হচ্ছে আপু সমাজ বিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান কি বিজ্ঞান নয়? এগুলোকে কি আপনার বিজ্ঞান মনে হয় না? আর আমি এখানে শুধুই সমাজ বিজ্ঞানের কথা উল্লেখ করিনি, মনোবিজ্ঞান এবং জীব বিজ্ঞানের কথাও উল্লেখ করেছি যদিও বিস্তারিত ব্যাখ্যা করিনি।
বিজ্ঞান বলতে কি আপনি শুধুই, ফিজিক্স, ক্যামিস্ট্রি, অণূ, পরামাণূ, আকাশ, মহাকাশ বুঝেন? ;)
পৃথিবীর কোন মানুষই তার সমাজ এবং পরিবেশের বলয় মুক্ত নয় এটাই হচ্ছে আসল কথা।
আর আপনি এখানে ধর্ম কে টেনে আনছেন কেন? আমি যদি ধর্মের বিরুদ্ধে দু্ইডা কথা কই তাহলেই আমাকে ধর্মদ্রোহী বলে খেতাব দিবেন :( তাতে ক্যাচাল আরও বৃদ্ধি পাবে। সূতরাং ধর্ম টেনে না এনে যথা সম্ভব যৌক্তিক উপায়ে আলোচনা করাই শ্রেয়।
আর ধর্ম কি এসব আজগুবি বিষয় বিশ্বাস করতে বলে? হ্যাঁ হিন্দু ধর্মে নানা কুসংস্কারে পূর্ণ আর ভারত বাংলাদেশের পাশে হওয়াতে না না হিন্দুয়ানী কুসংস্কার আমাদের দেশেও ছড়িয়ে পরেছে। ইসলাম এসব আজগুবি বিষয় বিশ্বাস করতে বলে না।

মিথ, গুজব, ত্রাস, স্বার্থ -এসব কথা বার্তা দূরে রাখুন। এগুলো আমার লেখার সাথে যায় না।
আরে এই ঘটনার জন্য আমি তো আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করছি না। আমি দায়ী করছি উক্ত ঘটনাকে আপনাকে না, এগুলো শ্রেফ গুজব।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৪০

SwornoLota বলেছেন: ঠিক যে যুক্তিতে আপনি নৃবিজ্ঞান, প্রত্নতত্ত্ব আর সমাজবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলবেন, একই উপায়ে আমি ধর্মকেও বিজ্ঞান বলি। ধর্ম সম্পর্কে আপনাকে আমি কোন জ্ঞান দেবো না। তবে নিজে যে জ্ঞান লাভ করেছি তার উপর আমার সন্দেহ নেই।
কেন বারবার ধর্মকে টেনে আনি, বুঝিয়ে বলিনি কি পূর্বেও?

ধর্ম দ্বারা অলৌকিকতা আর আত্মা-ফেরেশতা-অদৃশ্য জগৎ এই ব্যাপারগুলোকে ব্যাখ্যা না করা হলে হয়ত আমারো কোন প্রকার বাধ্যবাধকতা থাকতো না এই জিনিসগুলো বিশ্বাস করার। তখন আমি এক তরফা যুক্তিগুলো মেনে নিতাম। কিন্তু এখন দুই তরফেই চিন্তা করি।

আমি একবারও বলিনি যে আপনার যুক্তি আর ব্যাখ্যাগুলো মিথ্যা অথবা ভ্রান্ত অথবা অপব্যাখ্যা। আপনি যা বলছেন যা যে কারো পক্ষে বোঝা সম্ভব। কিন্তু আমি যা বলছি তা যে কেউ বুঝবে না বা মানবে না। কারণ অদৃশ্য জগতে সবার বিশ্বাস নেই।

আপনি ধর্মদ্রোহী কি না সেটা আমি বলছি না। আমি শুধু বলছি, আপনার আর আমার বিশ্বাসের ভিত্তি এবং প্রকৃতি ভিন্ন।
আমি ঈশ্বর, শয়তান, ফেরেশতা, অদৃশ্য আত্মা... এসব কিছুই বিশ্বাস করি। আপনার যুক্তিগুলো যে কখনো আমার মনেও আসেনি তা নয়। একদিন আমিও এই ঘটনাগুলো এভাবে বিশ্বাস করতাম না। এবং আমি রেপিটেডলি বলেছি, এই বিশ্বাসের পেছনে কারণ আছে।

আজকে বিজ্ঞান যা দেবে কাল তাই পরিবর্তন করে দেবে। তাই বিজ্ঞানের সব ব্যাখ্যর উপর বিশ্বাস কখনো চিরস্থায়ী না হওয়াই ভালো।

৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:০১

নতুন বলেছেন: কিন্তু গত ১২ বছর ধরে যার সন্ধান কোনো লোকালয়ে পাওয়া যায়নি, সে আর যাই হোক, কোন মানুষের কাছে ছিলোনা...

১২ বছর ধরে নিশ্চই তাকে সারা বাংলাদেশে সবখানে খুজে বেড়ানো হয় নি। কিছু দিন তার খোজ করেছে এবং ১৯৬২ সালের কথা ... তখন কতদুর খোজ করবেন?

তখন মনে হয় মাইকও তত প্রচলিত ছিলো না যে রিক্সায় করে মাইক লাগিয়ে একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছিলো!!!

এখন ১২ বছর পরে ফিরে এলো তাই আপনি উপসংহার টেনেছেন যে সে জীন/ভুতের কাছে ছিলো????

আমার বত`মানের এক টিম লিডার ১৪ বছর ভারতে কাজ করেছে এবং বাড়ীতে খোজ দেয়নাই... তার বাড়ীর মানুষও মনে করেছে হয়তো মারা গেছে.... ভারতে উত্তর-দক্ষিন সব খানেই এই ১৪ বছরে সে কাজ করেছে... তার পরে বাড়ী ফিরে গিয়েছে...বিয়ে করেছে ২ কন্যা সন্তানের বাবা ....এখন আমার সহকমী` ৮ বছর ধরে কাজ করছি... তার কথায় বাংলাদেশি টানের চেয়ে ভারতীয় বাংলার টান বেশি... ।

অনেক দিন ঘরের বাইরে ছিলো...মানুষ মনে করেছে সে মারা গেছে... তারপরে ফিরে এসেছে এমন হাজারো কাহিনি পাবেন...তাদের অপহরন করাহয়েছিলে...নতুবা দুরে চলে গিয়েছিলো...হারিয়ে ছিলো...

এমন অনেক কারন থাকে....

কিন্তু জীনে নিয়ে গিয়েছিলো... :) এটা পুরাই অবাস্তব

৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

মহা সমন্বয় বলেছেন: এবং আমি রেপিটেডলি বলেছি, এই বিশ্বাসের পেছনে কারণ আছে।
অবশ্যই কারণ আছে কারণ ছাড়া এই পৃথিবীতে কিছু ঘটে নাকি? কিন্তু যৌক্তিক কারণ থাকতে হবে তো নাকি? যৌক্তিক কারণ আর অযৌক্তিক করাণ কি এক হল?
আপনি যে কারণে এসব বিশ্বাস করছেন তা নিতান্তই ভুল মানে অন্ধবিশ্বাস, অযৌক্তিক কারণ। মনোস্তাত্বিক এবং সামাজিক কারণেই এমনটা হয়ে থাকে। এগুলা সঠিক হলে আমারও বিশ্বাস করতে সমস্যা নেই। যা সঠিক তা অবিশ্বাস করব কোন দু:খে? আপনার মত আমিও এসব আগে অন্ধবিশ্বাস করতাম।আমিও এসব Paranormal activities এর অনেক ঘটনা জানি.. হুমম। ;)

তাই বিজ্ঞানের সব ব্যাখ্যার উপর বিশ্বাস কখনো চিরস্থায়ী না হওয়াই ভালো। তার মানে এই না যে আমাদের মনগড়া গপ্পে বিশ্বাস করতে হবে। বিজ্ঞান ভুল পাওয়া মাত্রই তা বাতিল করে দেয় এভাবেই বিজ্ঞান সর্বোচ্চ সঠিকতার দিকে ধ্বাবিত হয়।
জ্ঞান বিজ্ঞান মানুষ একদিনে অর্জন করেনি আর জ্ঞান বিজ্ঞানের এই ধরা কখনও বন্ধ হবার নয়। আর সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ধর্ম মানুষের চোখে ধুলা দিয়ে অন্ধত্বতা দান করেছে। একজনের থেকে আরেকজন তারপর আরেক জন এভাবে নানা গাল গপ্পের জন্ম দিয়েছে।


ধর্মের ভুল ধরা মাত্রই তাকে কতল করা হয় অধবা দেশান্তরীত করা হয়, আর বিজ্ঞানের ভুল ধরা হলে তাকে পুরুষ্কৃত করা হয়। এখনেই ধর্ম এবং বিজ্ঞানের পর্থক্য। সময়ের সাথে সাথে বিজ্ঞান পরিবর্তন, পরিমর্জন হয়ে সঠিকতার দিকেই ধ্বাবিত হয় তাই বিজ্ঞান সর্বদা পরিবর্তনশীল।
গতীশীলতা, পরিবর্তনশীলতা মানেই হচ্ছে শক্তি এবং প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম। পৃথিবীর কেউই এই নিয়মকে লংঘণ করতে পারে না।
অপরিবর্তনশীলতা হচ্ছে প্রকৃত বিরুদ্ধ স্থবিরতা এবং গোড়ামীই হচ্ছে যাবতীয় অন্ধত্বতার মূল এবং তা মনব জাতিকে কখনও ভাল কিছু দিতে পারে না। স্থবীরতা, গোড়ামীর আরেক নাম হচ্ছে ধর্ম। ধার্মিকরা মনে করে দুনিয়ার যাবতীয় জ্ঞান তারা অর্জন করেছে ধর্ম থেকে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। ধর্ম মানুষকে কখনও জ্ঞান দিতে পারে না ধর্ম মানুষকে দিতে পারে শুধু অন্ধত্বতা। ধর্ম মোটেও কোন বিশেষ জ্ঞান নয়।


ধর্ম নিয়ে কঠিন কিছু কথা বলে ফেল্লাম :-P এর কারণ কি জানেন? আপনিই আমাকে সে সুযোগ করে দিয়েছেন তাই। আপনার বিভিন্ন কমেন্টে যেহেতু আপনি বার বার ধর্ম টেনেই্ আনলেন তাহলে ধর্ম নিয়ে আমার দুইডা কথা কইতে দোষ কি?? ;)

এভাবে সবকিছুতেই ধর্ম টেনে এনে সবকিছুই ধর্ম দ্বারা যাচাই কররার মাধ্যমে ধর্মের ১২ টা বাজাচ্ছেন আপনারা আর এ জন্য দায়ী ধার্মীকরা কোন মুক্তমানা নয়। view this link

যেখানেই সঠিক কোন ব্যাখা পেতে একটু দেরী হয়েছে বা একটু জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে সেখানেই টেনে আনা হচ্ছে অন্ধ বিশ্বাস আর ধর্ম এবং যত্তসব আজগুবি ব্যাখ্যা দাঁড় করানো হচ্ছে। সঠিক ব্যাখ্যা বা পরীক্ষা নিরীক্ষা করার কোন সুযোগই দেয়া হচ্ছে না। অন্ধবিশ্বাসের চাদের তা ঢেকে রাখা হচ্ছে। এভাবেই ধর্ম মানুষকে সঠিকতা থেকে শত সহস্র মাইল অবস্থান করিয়ে অন্ধত্বতার চাদর পরিধান করায় এবং অন্ধবিশ্বাসের মূলো দেখায়।

৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

মহা সমন্বয় বলেছেন: আরে কি আশ্চর্য্য সমাজ বিজ্ঞান,মনোবিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান এগুলা কি বিজ্ঞান নয়? আমি কোন কিছুকে বিজ্ঞান বা অবিজ্ঞান বলে দাবী করলেই কি তা বিজ্ঞান বা অবিজ্ঞান হয়ে যাবে??
আপনি ধর্মকে আপনার বিজ্ঞান বলে দাবী করছেন!! খিক খিক =p~
ধর্ম বিজ্ঞান তো নয়ই বরং তা হচ্ছে অন্ধবিশ্বাস। ধর্ম মোটেও মনোবিজ্ঞান নয়। ধর্ম মনোবিজ্ঞানের অপব্যবহার করেছে মাত্র।
আর এসব Paranormal activities ও সমাজ বিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানের অপব্যবহার করছে।
নৃবিজ্ঞান এবং প্রত্নতত্ত্ব দুটো এক বিষয় নয়। অনেকেই নৃবিজ্ঞানকে মাটি সমন্ধীয় বিজ্ঞান মনে করে। নৃবিজ্ঞান সমাজ বিজ্ঞানেরই একটি অংশ বিশেষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.