![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রাকৃতিকভাবে মেয়ে ও ছেলেরা যৌন ও প্রজনন যোগ্যতা পেয়ে থাকে। এটা প্রতিটি মানুষের গর্ব এবং মহান মানবীয় সম্পদ। যে ছেলে ও মেয়ে এই যোগ্যতা পায় নাই সে-ই বুঝতে পারে প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত এই পুরস্কার কত মূল্যবান। যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে ভুল/অস্বচ্ছ/অল্প/অপর্যাপ্ত তথ্য থাকায় ছেলেরা ও মেয়েরা ভুল করে বিয়ের আগেই যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে - যা তার ভবিষ্যত জীবনকে দুর্বিসহ করে তোলে। বাবা-মা সন্তানের ভুলের সমাধান না করেই "শিশু বিবাহ" (১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই বিয়ে) দিয়ে নতুন সমস্যার সৃষ্টি করে। ফলে বিবাহিত শিশু উপযুক্ত হওয়ার আগেই কৈশোরে গর্ভধারণ, কমওজনের শিশু জন্মদান, প্রজনন অঙ্গের ক্ষতি ও যৌন রোগের ঝুঁকিতে পড়ে। সেই সাথে রয়েছে স্বামী কর্তৃক বহু বিবাহ, তালাক, পরকীয়া ও বহুগামীতার অতিরিক্ত ঝুঁকি।
কৈশোরে গর্ভধারণ এবং গর্ভপাত ছেলে (ছেলেকে বিবাহে বাধ্য করা বা স্ত্রীর দুর্দশার মাধ্যমে স্বামীর সমস্যা হওয়া)ব ও মেয়ে উভয়ের জন্যই বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। যেমন - গর্ভপাতের সময় প্রজনন অঙ্গের ক্ষতি ও সন্তান ধারণের ক্ষমতা হারানো। প্রজনন ক্ষমতার অভাবে সন্তান না হওয়া ও অন্যান্য সমস্যার ফল ছেলে ও মেয়ে উভয়কেই ভোগ করতে হয় নানানভাবে, নানান প্রেক্ষাপটে।
প্রকৃতি মেয়েদের মধ্যে প্রজনন ফল নিরাপদে রাখার আধার দিয়ে তাকে সৌভাগ্য দান করেছে ও ভবিষ্যত বংশধরকে আমানত রাখার মর্যাদা দিয়েছে। কিন্তু এই ব্লেসিং সুরক্ষা করার জ্ঞান ছেলে-মেয়ে উভয়েরই কম। তাই নানা রকম প্রতারণা হচ্ছে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের মধ্যে। যৌন স্বাস্থ্য ও প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা এসব প্রতারণা কমাতে পারে। বাবা-মায়ের সাথের সন্তানের সুসম্পর্ক এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। ৫ বছরের নীচের বয়সের সন্তান লালন-পালন আর কিশোর-কিশোরী সন্তান লালন পালন এক নয়। কিশোর-কিশোরী সন্তান লালন-পালনে বাবা-মায়ের দ্ক্ষতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অযাচিত যৌন সম্পর্ক ও গর্ভধারণের বিপরীতে বিয়ে কোন সমাধান নয়। বিবাহ পূর্ব বয়সে ছেলে ও মেয়েকে যৌন নির্যাতনকারীর ৮০% হচ্ছে নিকটাত্মিয়। বিবাহিত বয়স্করাও অনেক সময় ছেলে ও মেয়েকে যৌন নির্যাতন করে থাকে। ছেলে-মেয়ে উভয়ের উচ্চ শিক্ষা, স্বাবলম্বিতা এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষাই হল সমাধান।
©somewhere in net ltd.