১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:১৪

গদ্য ঢেউ বলেছেন: দিলু নাসের ভাই, আপনাদের মতো এমন সৃজনশীল মানুষরাও যদি এধরনের একটি ব্যাপারে এমন খুশীর ধুমের ছড়া লিখে বসে থাকেন, তাহলে কার কাছে যাবো আমরা আম জনতা? মানলাম সে রাজনাতি, তাতে আসলেই কি এমন একটি ছড়া লিখার কিছু আছে? একটি শিশুর জন্ম সবসময়ই আনন্দের। তা ঠিক আছে। কিন্তু এ শিশুটিতো আজকেই পৃথিবীতে এলো, তাকে কি যোগ্য হতে হবে না সোনার বৃটিশ সিংহাসন (!?, আপনি কি আসলেই তাই মনে করেন?) অধিকার করার, সে যদি বদমাশ হয় ভবিষ্যতে, খল হয়, ধর্মাণ্ধ হয় ইত্যাদি ইত্যাদি, তখন? এখনও কি পৃথিবীর সময় আসেনি বংশ পরিচয় বাদ দিয়ে ব্যাক্তিকে তার কাজ দেখে মূল্যায়ন করার? রাজা বানানোর? নেতা বানানোর? এ শতাব্দীতে এসেও যদি তার দাদা পরদাদার কারনে পৃথিবীর মুখ দেখার আগেই রাজা বনে যায়, আমরাও তালিয়া বাজাই আহারে আহারে বলে, তাহলে এককথায় বলবো, পৃথিবীর সামনে এগুয়নি কখনোই, কেবলি আই ওয়াশ চলছে চলছে চলছে...
আপনি কি আসলেই মনে করেন বৃটেনের সব লোক তাদের ভাবী রাজাকে দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে? গত তিনদিন ধরে পেপার গুলোর আদিখ্যেতা দেখেছেন? কেট কবে কি ড্রেস পরে রাস্তায় বের হয়, তা যেভাবে এরা তিনপাতা জুড়ে নিউজ করে, তা দেখে আপনার মত সৃষ্টিশীল মানুষের একটুও মেজাজ খারাপ হয় না? সে যদি চিত্র তারকা হতো, তবু না হয় বুঝতাম এন্টারটেইনার। কে সে? উইলিয়াম তাকে বিয়ে করেছে বলে সে এখন এই হয়ে গেলো? উইলিয়াম শাকচুন্নী একটাকে বিয়ে করলে শাকচুন্নীকে নিয়ে নাচতে হতো, হতো না? বাই দ্যা ওয়ে, উইলিয়ামটাই বা কে? চার্লসের ছেলে? তো? হু ইজ চার্লস? হোয়াট দে রিয়েলি ডিড ফর ওর্য়াল্ড? ঠিক কিসের জন্য এদের কে নিয়ে এত মাতামাতি করতে হবে, একটা কারণও যদি বলতেন?

সরি, আসলে মেজাজ খুব খারাপ আপনাদের বৃটেনের এইসব দেখে।এরা পৃথিবীর সভ্যতম দেশ, চিন্তাভাবনায় এখনো সেই মধ্যশতক কিংবা এখনো আগের রয়ে গেছে। আর আমরা আম জনতা হাততালি দিতে দিতে ভাবি, মাগো, বাকিংহাম .. কত বড় দেখছো... হীরা দেখছো কত বিশাল রানীর মুকুটের, ইত্যাদি ইত্যাদি ছাগল মার্কা কথা বার্তা লিখতে গেলে মহাভারত হবে।
থাক, আপনার খুশী লাগছে লিখছেন। ছড়া কবিতা যা ইচ্ছে লিখে ফেলুন।
ছোট দেশের ছোট মানুষের অনধিকার চর্চার জন্য সরি।

২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: তস্কর ও লুটেরা ব্রিটিশরাজের উত্তরসূরীর আগমনে আমাদের এতো আনন্দ কীসের! এই উত্তরপুরুষ নিঃসন্দেহে হবে আরো সুচতুর, আরো ভয়ঙ্কর! !

ধন্য আমাদের উপনিবেশীয় মানsickতা (মানসিকতা)!