![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খেলা একটি অপূর্ণাঙ্গ জনসেবা তাই সুযোগ পেলে রাজনীতির মাধ্যমে মানুষকে সহযোগিতা করতে চান মাশরাফি। না এমনটা উনি বলেননি! উনি শুধু বলেছিলেন 'সুযোগ পেলে মানুষকে সহযোগিতা করতে চান'। মাশরাফির মনোনয়ন সংগ্রহে আওয়ামী সরকার নিজেদের পবিত্রতার উচ্চতা প্রদর্শনের আরেকটি সুযোগ পেল। কিছুদিন পূর্বে কওমীরা আঃলীগের সহিহ রাজনীতিকে আবারো বৈধতার সার্টিফিকেট দিয়ে পবিত্রতার নর্দমায় গোছল করিয়েছেন। এখন মাশরাফি সেটাকে পূর্ণতা দিলেন।
আওয়ামীলীগ একটি গণতান্ত্রিক সহিহ-রাজনৈতিক সংঘটন; যা ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রকাশ পেয়েছিল। এরপর থেকে চলতে থাকা প্রত্যেকটা আন্দোলনকে তারা তাদের প্রশাসন দিয়ে ধ্বংস করে দিয়ে গণতন্ত্র রক্ষা করেছেন। গণজাগরণ মঞ্চের কথা তো অনেক কষ্টের। স্বার্থ ফুরিয়ে যাওয়ার পর এমন অনেক আন্দোলনকেই তারা নিয়ন্ত্রণের নামে ঘরমুখো করেছেন। ঘরের ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে দিয়ে গণতান্ত্রিক দায়িত্ব রক্ষা করেছেন। এই তরুণেরা যেন বিপথে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোন সুসংবাদ প্রচার না করে সেজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে তাদের পরাধীনতাকে দূর করার অপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছে।
কথা বলার অধিকার, ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা এ বিষয়গুলোকে শুধুমাত্র সরকার ও প্রশাসনের প্রশংসার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কথা বলার স্বাধীনতার অর্থ হচ্ছে, সরকার ও প্রশাসনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তাদের প্রশংসা করে যাওয়া। এর মধ্যে আবার সীমানা অতিক্রম করা যাবে না। সীমানা অতিক্রম করলে বন্দুক যুদ্ধে বা সাদা কাপড় পরিহিত মানুষগুলোর সাহায্যে আপনাকে মিষ্টি ভোজন করানো হবে।
আওয়ামীলীগের প্রশংসা সাময়িক সময়ের জন্য এখানেই ইতি টানছি।
আওয়ামীলীগে মাশরাফির আসনগ্রহণ নিয়ে যে ঝড় উঠেছে সেটা থামানোর ক্ষমতা কেবল মাশরাফিরই আছে। কেউ বলছেন, ভাল মানুষ রাজনীতিতে না গেলে রাজনীতি পবিত্র হবে না! ( এদের কাছে জানতে ইচ্ছে করে, রাজনীতি অপবিত্র হল কেমনে? ) আবার কেউ কেউ বলছেন, আওয়ামীলীগে মাশরাফির আসনগ্রহণে তিনি অপবিত্র হয়ে গেছেন! (এদের কাছে জানতে ইচ্ছে করে, আপনার দলে আসলে কি পবিত্র থাকতেন?)
আমি আমার পূর্বের পোস্টে বলেছি যে, আমেরিকান সরকার তাদের জনমতকে নিয়ন্ত্রণে এনে বিশ্বে শান্তিরক্ষার জন্য সমর্থন আদায় করেছিল এবং এই সমর্থনের উপর দাঁডিয়েই কিন্তু ওরা আজ পর্যন্ত বিশ্বে অশান্তি সৃষ্টি করে চলেছে।
এখন প্রশ্ন হল,
মাশরাফিকে দিয়ে জনসমর্থন আদায় ও আমেরিকান সরকারের জনমত নিয়ন্ত্রণের মধ্যে পার্থক্য কী?
11.10 am
12.11.18
New York
ছবি : ইন্টারনেট
১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৬
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
আসলে বাংলাদেশের জন্য একজন বাঘের আজ খুব প্রয়োজন। যে এসে সকল দুর্নীতিবাজদের গিলে খাবে।
২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৩
হাবিব বলেছেন: জনসমর্থন আদায়ের রাজনীতিতে ব্যবহৃত হচ্ছেন মাশরাফি?
হতেও পারে...........
১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৮
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
হাবিব স্যার, আপনি বলছেন হতেও পারি, আর আমি সেটাকে কেন যেন নিশ্চয়তার সাথে সন্দেহ করছি।
যেই সরকার কিছুদিন আগে যাদেরকে রাজাকার বলেছিল আজ তাদেরকে দাওয়াত খাবায় ক্ষমতার জন্য। সেই সরকার মাশরাফির জনপ্রিয়তাকে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করবে না তার নিশ্চয়তা কী?
৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৬
সাইন বোর্ড বলেছেন: অাপনার লেখার শিরোনামেই সব বলা হয়ে গেছে, যারা বোঝার তারা এখান থেকেই বুঝে নিবে ।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৩
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: দাঁড়াও শিরোনাম পাল্টাচ্ছি
হা হা হা...
৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মাশরাফিকে ব্যবহার করছে এটা পুরোপুরি পরিস্কার। আওয়ামী লীগ/বিএনপি এমন দল যে আপনার ইচ্ছা করলেই আপনি মনোনয়ন পাবেন না। হয় টাকা ঢালতে হবে, নতুবা উচ্চ পর্যায়ের প্রফেশনাল/সেলিব্রিটি হতে হবে। বলা নেই, কওয়া নেই জাতীয় দলের অধিনায়ক দাঁড়িয়ে গেল নির্বাচনে? ঈদের দিন নামাজ আর ফাউন্ডেশন করলেই এম পি হওয়ার ইঙ্গিত দেয়??
১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৯
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
আর সেজন্যই বাংলাদেশের রাজনীতির এই বেহাল অবস্থা! তারা কেবল আমেরিকান গণতন্ত্রের খারাপ দিকগুলোকেই ফলো করে। কিন্তু মাশরাফির তো সেটা বুঝা উচিত ছিল যে, সাধারণ জনগণের বিশ্বাসকে এভাবে বিকিয়ে দেয়া কোন ভাবেই তার জন্য সঠিক নয়! আসলে তাকেও রাজনীতির খারাপ দুর্গন্ধ মুগ্ধ করেছে।
৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৯
আরোগ্য বলেছেন: মাশরাফির অকালে ভীমরতি হয়েছে। জনসেবা করবে বেশতো নিজে একটা দলগঠন করুক। এধরনের দূর্নীতিগ্রস্ত দলের সমর্থনে যাওয়ার মানে কি?
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০২
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: মাশরাফি এটাকে তার ক্ষমতার স্বাদ নেয়ার সঠিক সুযোগ ভাবছেন, হ্যা তার চিন্তা সঠিক তবে একই সাথে এটা তার প্রতি তার সাবোর্টারদের বিশ্বাসের বিষয়ও রয়েছে। তিনি সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন সাধারণ মানুষের বিশ্বাস বিকিয়ে। তার মত একজন সচেতন দেশ প্রেমিকের থেকে এমনটা অকাম্যই ছিল!
৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৫১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এত গাজালার কারনটা কি।
সে নিশ্চয় যুদ্ধাপরাধীদের সাথে বা দলছুট আদর্শবিহীন খাম্বাচোরা খুনিদের দলে যাবে না।
মাশরাফির অধিকার আছে যেখানে ইচ্ছে যাওয়ার। সে সঠিক দলে স্থান বেছে নিয়েছে।
এখন অযথা কান্নাকাটি করে লাভ নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: এমপি ইলেকশন করতে চাই বাঘ মার্কায়। আমার বাঘ সকল দূর্নীতিবাজকে গিলে খাবে।