নতুন কিছু না, সাকা বলে কথা

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় খালেদা জিয়া কে উদ্দেশ্য করে সাকা বলেন "আগে শুনেছিলাম কুত্তা লেজ নাড়ায় এখন তো দেখি লেজ কুত্তারে নাড়ায়" বেগম খালেদা জিয়া বড় মনের অধিকারিণী সহনশীল তাই সাকাকে ক্ষমা করে দেন।ভুলে যান বেগম খালেদা জিয়া কে সাকা কুত্তা বলে সম্বোধন করেছেন।

শেখ হাসিনা সাকা কে সোনা চোরাচালানকারী বলে আখ্যায়িত করলে সাকা বলেন "আমি কবে কাকে সোনা চালান করালাম" এই কথার পর আওামিলিগ তীব্র নিন্দা জানানো ছাড়া কিছুই করতে পারে নাই হয়ত ওই সময় তাঁরা বিরোধী দলে ছিল বলে কিছু করা সম্ভব হয় নাই।



আওয়ামিলিগ সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী সাকা কে একজন রাজাকার বলে সম্বোধন করলে সাকা বলেন "কী মামাতো বোন চাচারে যা আমরা জেলে এক সাথে খাবার দিতে যেতাম ভুলে গেলেন"।প্রধানমন্ত্রী তত্ত্বাবধায়ক আমলে জেলে থাকার সময় তাঁর উপর সল্প মাত্রায় বিষ প্রয়োগের অভিযোগ তুললে সাকা এই নিয়ে মামলা করে।সাকা আরও বলেন হাসিনার সাথে আমার বিয়ে হবার কথা ছিল তাই আমার প্রতি তাঁর বিশেষ দুর্বলতা আছে।



সাকা এমন এক ব্যক্তি যার পুত্র বিবাহ অনুষ্ঠানে সকালে হাসিনা, বিকালে খালেদা উপস্থিত থাকতে বাধ্য হন।সাকার নামে হত্যা, লুণ্ঠন, যুদ্ধ অপরাধ অভিযোগ, জমি দখল, সন্ত্রাসী দল পরিচালনা সহ বহু মামলা দিয়েও কোন রাজনৈতিক শাসক, সেনা শাসক, তত্ত্বাবধায়ক, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাঁর প্রকৃত বিচার করতে পারেনি।তাঁর পিতৃ আবাস স্থান সহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে তাঁর অপকর্মের বহু প্রচলিত গল্প আছে।বহু মানুষ তাঁর জন্য এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।



বর্তমানে সাকার বিরুদ্ধে করা যুদ্ধ অপরাধের বিচার কাজ চলছে, এই নিয়েও বহু কথা আছে।তাঁর বিচার কাজ চলছে ঢিলে ঢালা ভাবে এমন কথাও উঠছে।এর মধ্যে সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির নতুন মামলা করা হয়েছে যা কিনা বর্তমান আলোচ্য বিষয়।সত্যি মিথ্যা বাদ দিয়ে বা প্রকৃত বিচারের কথা বাদ দিয়ে এই নিয়ে সবাই হাঁসি তামাশায় দারুন সময় পার করছে।অনেকে তদন্তের আগেই সাকা এই কাজ করছে বলে বিশ্বাস করেন কেননা সাকার পূর্বের সকল কর্ম কাণ্ড এর পিছনে শক্ত ভুমিকা রাখে।



সাকার মতো একজন অশালীন মন্তব্য প্রদানকারী রাজনীতিবিদ কোন ভাবেই রাজনীতি করার অধিকার রাখেনা, এই রকম আরও অনেক কাল সাপ আজ রাজনৈতিক নেতা লেবাস নিয়ে আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে।এরাই মুলত রাজনীতির গণতন্ত্রের ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।আওামিলিগের অমুকের কথা বললে বিএনপির তমুকের নাম নিয়ে খেলা, তত্ত্বাবধায়ক আমলের অমুকের নাম তো এরশাদ আমলের তমুকের নাম এই সব করে এই সমস্ত রাজনীতিবিদ শাসক শ্রেণীর অপশক্তিকে রক্ষা করার কারনেই আজ রাজনৈতিক এই অবক্ষয়।



সাকার অপরাধ সমুহের বিচার হোক আদালত পাড়ায়, আর তাকে লাথি মেরে বের করা হোক দল থেকে।এই সমস্ত খাটাশ দিয়ে আর যাই হোক জনতার সেবা হবেনা, এরা রক্ষকের নামে ভক্ষক।এদের সমাজ নামের আবাস ভুমিতে বসবাস করার কোন অধিকার নাই।

৮ টি +১/-০