![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডিজিএফআই’র সাবেক ব্যুরো চিফ, উইং কমান্ডার (অবঃ) গোলাম মোস্তফা’র আহ্বানে গত ১৯ এপ্রিল ২০১৩ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত “সংসদ নির্বাচনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবীঃ আজকের প্রেক্ষিত” শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা শুনতে গেলাম। আলোচনা সভার মূল আলোচক ছিলেন জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল হক মিয়া। আরো যারা ছিলেন তাদের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনির্ভাসিটিজ অব বাংলাদেশ ও সাবেক সহসভাপতি এফবিসিসিআই, লেখক ও কলামিষ্ট আবুল কাসেম হায়দার, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকসহ অন্যান্য পেশার বেশ কিছু ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার সভার সব বক্তারই দাবী ছিলো আগামী নির্বাচন যেন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। পুরো আলোচনা সভা জুড়েই ছিলো আওয়ামীলীগের সমালোচনা। এক সময় আলোচনা শেষ হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার প্রত্যয় নিয়ে।
আওয়ামীলীগ থেকে বলা হচ্ছে, কোন ক্রমেই আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিতে প্রত্যাবর্তন নয়। এ বিষয়েও জনমত তৈরি হচ্ছে। আবার হেফাজতে ইসলাম নামের ইসলাম ধর্ম ভিত্তিক সংগঠন সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি বিষয় নিয়ে মঞ্চে আবির্ভুত হয়েছে। বিষয়টি হচ্ছে ইসলাম ধর্ম অবমাননাকারীদের শাস্তি প্রদানসহ ১৩ দফা দাবী আদায়। এতেও জনমত তৈরি হচ্ছে। কিন্তু তাদের উত্থানের পেছনে জামায়াতে ইসলাম ও বিএনপি’র হাত আছে বলে অনেকেই মন্তব্য করছেন। আবার স্বাধীনতা বিরোধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি হয়েছে এবং জনমত তৈরিতে সরকারি দলের পরোক্ষ হাত আছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের জনসাধারণকে এখন তিনটি ধারায় বিভক্ত করার পাঁয়তারা চলছে। এক. মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি তথা আওয়ামী সমর্থিত একটি ধারা, দুই. বিএনপি’র তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবী সমর্থিত একটি ধারা এবং তিন. ইসলাম ধর্ম রক্ষার জন্য হেফাজতে ইসলাম নামের আরেকটি ধারা। এ ত্রিবিধ ধারা গড়ে তোলার পেছনে সুনির্দিষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সেটি হলো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা। যদিও হেফাজতে ইসলামি নেতৃবৃন্দ ক্ষমতায় যাওয়া তাদের লক্ষ্য নয় বলে বিভিন্ন সময়ে বক্তব্য বিবৃতি দিয়ে চলেছেন।
প্রথম ধারা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে শুধুমাত্র আওয়ামীলীগই কথা বলছে? না, তা নয়। আমরা জানি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আওয়ামী প্লাটফর্ম থেকেই স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালিত হয়েছিলো। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের পরে কালের বিবর্তনে সেই আওয়ামীমনাদের অনেকেই দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে আলাদা দল গঠন করেছিলেন। যাদের প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। তাই আওয়ামীলীগকেই একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক রাজনৈতিক দল মনে করলে ভুল করা হবে। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে এমন জনতার ভোটের ভিত্তিতেই আওয়ামীলীগ তিনবার ক্ষমতার আসে। এক্ষেত্রে বিএনপি বা জাতীয় পার্টি পুরোপুরি মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনকারীদের ভোটে নির্বাচিত হয় নি, এটাও অস্বীকার করা যাবে না। তাই মুক্তিযুদ্ধের একনিষ্ঠ সমর্থনকারী হিসেবে যদি কেউ আওয়ামীলীগের কথাই বলে, তবে তাকেও হেলাফেলা করা ঠিক হবে না। এবং এ কারণেই জনসাধারণের একটি বিশাল অংশকে যদি আওয়ামীলীগ আকৃষ্ট করতে পারে তবে রাজনৈতিকভাবে তারা সফলকাম হবে।
অপরপক্ষে বিএনপি’র নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আগামী সংসদ নির্বাচনের যে দাবী, তাতেও বিপুল জনমত তৈরিকেও খাটো করে দেখার উপায় নেই। তাহলে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে এখনই তা স্পষ্ট করে কেউ বলতে পারছেন না। ফলে একদিকে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি পূর্ণবহালের বিপক্ষে অনড় অবস্থান, বিএনপি’র এ বিষয়ে জোড়ালো দাবী, হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবীর উপর গড়ে উঠা আন্দোলন বাংলাদেশকে সংঘাতের পথে ঠেলে দিচ্ছে। এ ত্রিবিধ বিষয় এমন একটা সময়ে উপস্থাপিত হয়েছে যখন আওয়ামীলীগের ক্ষমতা প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর মাত্র কয়েক মাস পরেই অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন। এ সময় মাঠ গোছানোর কাজে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভীষণ রকম ব্যস্ত। আওয়ামীলীগ যদি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগেই সঠিক সময়ে যুদ্ধাপরাধিদের বিচার শেষ করতে পারে তরে হয়তো দেশের একটা অংশের সমর্থন পেয়ে নির্বাচনের বৈতরণী পাড় হতে পারবে। এক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল হোক কিংবা দলীয় সরকারের অধিনেই নির্বাচন হোক তাতে কোন প্রভাব পড়বে না বলেই অনেকে বলছেন। এদিকে, যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাতে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের ভরাডুবি হবে এবং তারা ক্ষমতায় যাবেন বলেই বিএনপি পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য যে, ২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সংখ্যা গরিষ্ঠ বিচারকদের মতের ভিত্তিতে আপিল বিভাগের সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষিত হয়। ১৯৯৬ সালে আনা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় এখন থেকে এটি বাতিল করা হলো। তবে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিদ্যমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কাঠামোতে অনুষ্ঠিত হতে পারে। যদিও এটা আইনের চোখে বে-আইনি। জনগণ, রাষ্ট্রের বৃহৎ স্বার্থ এবং প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করেই এ বিধানের আইনগত বৈধতা দেওয়া গেল বলে আদালত রায় প্রদান করে।
প্রসঙ্গত: ১৯৯৫ সালে মেয়াদের শেষের দিকে তৎকালীন বিএনপি সরকার যখন দলীয় সরকারের অধীনে ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করেছিল, সেসময় আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টিসহ প্রধান প্রধান বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে রাজপথে একসঙ্গে কর্মসূচি পালন করে। বিরোধী দলগুলোর নির্বাচন বয়কট ও টানা হরতাল-অবরোধের মধ্যেই ‘৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ শেষে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে বিএনপি। তবে আওয়ামী-জামায়াত-জাতীয় পার্টির একযোগে পরিচালিত আন্দোলনের মুখে নতি স্বীকার করে সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে সংযুক্ত করে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। এর ফলে অর্থাৎ নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং ২০০১ সালের ১ অক্টোবর ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। তারপর একই প্রক্রিয়ায় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশের থেকেও বেশি আসনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। সরকার গঠনের পরেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখা উচিত কী-না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার নামে অনির্বাচিত ব্যক্তিরা ক্ষমতায় আসে। এই অনির্বাচিত ব্যক্তিদের সরকার রাজনীতিবিদদের জেলে ঢুকিয়ে দিনের পর দিন ক্ষমতায় থাকতে চায়, তাই এই ব্যবস্থা বাতিল করা উচিত।’ সরকার দলীয় রাজনীতিবিদদের দাবীর ফলে আদালতের রায় এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল হয়। কিন্তু সরকার কর্তৃক তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বাতিলের বিরুদ্ধে বিএনপির জোরালো অবস্থান নেয়। সংবিধান সংশোধনীর পরপরই ২০১১ সালের ৩০ জুন বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বেগম জিয়া বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হওয়ায় দেশে সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠেছে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের সব সম্ভাবনা তিরোহিত হলো।” এরপর থেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনঃ প্রবর্তনের জন্য রাজপথে নিয়মিত আন্দোলন করে আসছে বিএনপি।
কিন্তু, বিএনপি’র এ আন্দোলনকে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে ‘যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতেই তাদের এ আন্দোলন’ বলে বারবারই অভিযুক্ত করা হয়েছে, হচ্ছে। যদিও স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার দাবীতে বর্তমান সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। কিন্তু বিএনপি’র এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান খোলামেলাভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরে নি। যা রহস্যময় বলেই অনেকে মনে করেন। তবে কি তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান না? নাকি হেফাজতে ইসলাম, জামায়াতে ইসলাম, জাতীয় পার্টি এবং জাতীয়তাবাদী দল সবাই মিলেই কি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতেই মাঠে নেমেছে? যদিও তাদের রাজনৈতিক প্লাটফর্ম ভিন্ন।
এদিকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারই যদি বিএনপি’র কাম্য হয়ে থাকে, তবে সরকারি দলই বা কেন তাদের সে দাবী মানছে না? তবে কি বিএনপি’র অনুমানই সত্য যে, যদি এরূপ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, তবে আওয়ামীলীগের ভরাডুবি হবে? একটা বিষয় স্পষ্ট হওয়া দরকার যে, আওয়ামীলীগ যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে গত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জাতীয় সংসদের আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ক্ষমতায় এসেছে, তবে এই একই পদ্ধতিতে আগামী সংসদ নির্বাচন সংঘটিত হওয়ার বাধা কোথায়? যেহেতু তারাই একসময় বিএনপি’র বিরোধিতা সত্ত্বেও এ সরকার পদ্ধতি প্রবর্তন করেছিলো? তবে এখন কেন তারা বিরোধীদলীয় দাবী মানছে না? তাহলে কি সব লাভের ভাগিদার একমাত্র আওয়ামীলীগই হতে চায়? এমন কথাও জনসাধারণের আলোচনায় উঠে আসছে। জনগণের জন্যই যদি রাজনীতি, তবে তাদের কথার মূল্যায়ন করাটা জরুরি।
দেশের চলমান সঙ্কট নিরসরের জন্য অবিলম্বে বিএনপি’র দাবী মেনে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ বলে অনেকের অভিমত। এতে করে দু’টি লাভ হবে। এক. যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে সক্রিয় একটি গোষ্ঠির আন্দোলন স্তিমিত হবে এবং সময়োপযোগী না হওয়ায় হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা সংবলিত দাবীও ততোটা প্রভাব ফেলবে না। দুই. দেশের বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান স্পষ্ট করা যাবে। কেননা, তত্ত্বাবধায়ক দাবী মানা মানেই আন্দোলনের পঞ্চাশ শতাংশ ঝুঁকি কমিয়ে আনা। আওয়ামী বুদ্ধিজীবী মহল বিষয়টি নিশ্চয়ই হৃদয়াঙ্গম করতে পারছেন। তারপরেও যদি তারা নিজেদের অবস্থানকে আঁকড়ে ধরে বসে থাকে এবং দলীয় সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তবে এর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
বর্তমান বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে অর্থনৈতিকভাবে দেশ বিপর্যস্ত হতে বসেছে। সহিংসতার কারণে প্রায় প্রতিদিনই মানুষ খুন হচ্ছে, জাতীয় সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে, উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে এবং আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে দেশবাসী। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া জরুরি। আওয়ামীলীগের জন্য একটি সুসংবাদ এই যে, তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ’র মতো একজন সৎ যোগ্য বিচক্ষণ রাষ্ট্রপতি উপহার দিতে পেরেছে। জাতি খুবই আশাবাদি, আব্দুল হামিদ চলমান রাজনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবেন। তিনি আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সরকারি দলের একটি সমন্বয় করতে পারবেন যাতে আলোচনার মাধ্যমে চলমান সঙ্কট, আগামী নির্বাচন পদ্ধতি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইত্যাদি বিষয় সুরাহা করা যায়।
একটা কথা খুবই স্পষ্ট যে, সাধারণ মানুষ এখন বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে রাজনীতিবিদদের প্রতি বিতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় সরকার ও বিরোধী দলসমূহকে পরস্পর আলোচনা সাপেক্ষে বর্তমান সঙ্কট কাটিয়ে উঠার জন্য দ্রুত একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে। তা না হলে দেশের মানুষ বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোকে বয়কট করবে ।
এপ্রিল ২৪, ২০১৩।
©somewhere in net ltd.