![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খ্রিস্টান ধর্মযাজক পোপ ফ্রান্সিস এর বক্তব্য বাংলাদেশের পোশাক কর্মীদের অবস্থা ক্রীতদাসের মতো। এ বক্তব্যটি যে কতোটুকু সময়োপযোগি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘শ্রমিকের দেহের ঘাম শুকানোর আগেই তার পাওয়া দিয়ে দাও।’’ অথচ আমাদের দেশের শতকরা ৯০ জন মুসলিম সে কথাটির প্রতি কোন গুরুত্ব দেয় না। ন্যায্য পাওয়া গ্রহণ একজন শ্রমিকের অধিকার। অথচ এ অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয়। শ্রমিকদের শোষণ করে এ দেশে মানুষ ধনী হয়। বড়ো লজ্জার বড়ো দুঃখের সাথে বলতে হয়, আমরা আজও সত্যিকারের মানুষ হতে পারি নি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাই বুঝি বলেছিলেন, ‘সাত কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী/রেখেছো বাঙালি করে মানুষ করো নি।” যতো দিন পর্যন্ত শ্রমিকের ন্যায় ভিত্তিক বণ্টন না করা হবে ততোদিন শান্তি আসতে পারে না। সমাজ সুন্দর হতে পারে না। মাসিক মাত্র ৫০ ডলার (প্রায় ৪০০০ বাংলাদেশি টাকা) এর উপর নির্ভর করে কীভাবে একজন লোক তার পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে? কতো মানবেতন জীবন তাকে যাপন করতে হয়?
আমাদের দেশে যারা ক্ষমতায় আসে, তারাই আগে নিজেদের পেট ভর্তি করে। দরিদ্র দেশবাসীর খাজনা কর এসব দিয়েই নিজেরা বিলাসী জীবন যাপন করে। বড় লজ্জা, জাতি হিসেবে বাঙালি পচে গেছে। তাই মনের দুঃখে কবিতা লিখি
দেশ প্রেমিক
তৈয়ব খান
ইতস্তত সমগ্র জাতি- ভুলে গেছে ঠিক পথ,
পনেরো কোটি যাত্রী সাজানো সারথি বিহীন রথ।
সুযোগ-এ বাড়া; হুজুগের ঘোড়া- ঘুরছে দিগি¦দিক,
কাঁদে মানবতা; আছো কেউ ত্রাতা! কোথায় গো দেশ প্রেমিক?
পথ জানা নাই- ভুল পথে তাই কেউ করে আগুপিছু,
ডানে বামে কেউ- গুণে জন ঢেউ, কেউ করে মাথা নিচু।
মহাবিভ্রান্তি ; দারুণ ক্রান্তি রথ কে চালাবে ঠিক!
কোথা’ তুমি নেতা- এ জাতির ত্রাতা! কোথায় গো দেশপ্রেমিক?
তৈয়ব খান
২ মে, ২০১৩
২| ০৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩১
ৈতয়ব খান বলেছেন: সৃষ্টি যারই হোক, উনার কথা যে কতোখানি সত্যি তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হয় না। কেউ দাসপ্রথা সৃষ্টি করলো, আর অন্যসবাই তা মেনে নিলো এটা বুদ্ধিমত্ত্বার পরিচয় নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
সরদার হারুন বলেছেন: পোপ যখন বলেছেন তখন মনে হয় এসপার্টকাসের ছবি তার চেখে ভেষে উঠেছিল।দাস প্রথা তো তাদেরই সৃষ্টি দাসত্তের সূর্য আমেরিকার আকাশেই উঠেছিল।সেই আলো টিকরে এসে আমাদের দেশে
পরেছে মাত্র।