![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের নারী সমাজ এই আধুনিক সমাজেও কত অসহায়! চারপাশে কতো আধুনিক ও রুচিবান মানুষের ছড়াছড়ি। পোশাকে আধুনিক, চলায় আধুনিক, বলায় আধুনিক হয়েও মনের গহীনে লালন করে এক পশুকেই। তা নইলে এমন হবে কেন? কেন আমাদের নারীরা আজও লাঞ্চিত হবে!
আসলে আমাদের যেখানে থাকার কথা, সেখানে আমরা নেই, থাকতে পারিনি। থাকতে দেওয়া হয়নি। আমি বেশি কিছু বলতে চাই না। এমনিতেই মত প্রকাশ করতে যেয়ে সামহয়ারে আমার দেওয়া পোস্ট প্রকাশ করা হচ্ছে না। এডমিন প্রথম পেজে আমার কোন লেখাই আর প্রকাশ করছে না। এর নাম হচ্ছে গণতন্ত্র। কতো বালখিল্যতায় ভোগে আমাদের দেশের লোকজন! ঘেন্না লাগে, বড় ঘেন্না..............।
যাইহোক, কিছু পোস্ট দিলাম, নিউজ ২৪ডট থেকে........। পাঠক.....
পবিত্র কোরআন শরীফ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে জাপটে ধরে গর্ভবতী গৃহবধূ ও তার শাশুড়ীকে গণধর্ষণ: ইজ্জতের মূল্য দশ হাজার টাকা
নাটোরের সিংড়ায় রাতের আঁধারে বউ ও শাশুড়ীকে গণধর্ষণ করেছে পাষণ্ডরা। ৮ মাসের গর্ভবতী গৃহবধূর আকুতি মিনতি শোনেনি তারা। পাষণ্ডদের হাত থেকে
বাঁচার জন্য পবিত্রগ্রন্থ বুকে নিয়ে হাত জোড় করলেও নরপশুদের বুক একটুও কাঁপেনি। বরং পবিত্র কোরআন শরীফ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে জাপটে ধরে ওই গৃহবধূ ও তার শাশুড়ীকে ঘর থেকে টেনে বাইরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ জুন রাত্রিতে উপজেলা সদর হতে প্রায় ১৬ কিঃমিঃ অদূরে এক নিভৃত পল্লী সুকাশ ইউনিয়নের জিয়াপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় দিনমজুর ওই পরিবার স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইলে তারা মামলা না করে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার আশ্বাস দেন। গত বৃহস্পতিবার শালিসে বসার কথা থাকলেও প্রভাবশালীদের কলকাঠিতে শালিস হয়নি। পরে স্থানীয় লোকজনের চাপে গত শনিবার ধর্ষিতার বাড়িতে শালিস বসে। শালিসে ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলামকে প্রধান করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট বোর্ড গঠন করা হয়। পরে বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধর্ষক ৪ জনকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও ২১টি করে জুতা মারার রায় দেয়া হয়। এ রায় স্থানীয় জণগণের মনঃপুত না হওয়ায় তারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এক পর্যায়ে গ্রামবাসীর গালিগালাজের মুখে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য শালিস ত্যাগ করে দ্রুত বেরিয়ে যান। সরেজমিনে ওই বাড়িতে গেলে ধর্ষিতা বউ ও শাশুড়ী সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।শালিশকারী ইউপি বলেন, এ ঘটনায় তারা আমার কাছে এসেছিলো, আমি উদ্যোগ নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য উভয়পক্ষকে একত্রিত করেছিলাম। কিন্তু শালিসের রায় গ্রামবাসীরা মানেনি। বরং বোর্ডের সদস্যদের হেনস্থা করেছে। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, শালিস না মানায় আমরা মর্মাহত।
নারী নিয়ে আমোদ-প্রমোদ করার সময় পুলিশের হাতে আটক হলো পুলিশর এক কর্মকর্তা
নারী নিয়ে আমোদ-প্রমোদ করার সময় কক্সবাজারে হোটেল থেকে পুলিশের হাতে আটক হলো পুলিশর এক কর্মকর্তা। রোববার রাতে এ ঘটনাটি ঘটে। মেয়ের অভিভাবকের অভিযোগের ভিক্তিতে তাকে আটক করা হয় বলে জানা গেছে।
সুত্র জানায়, পুলিশের চাকরির ইন্টারভিউ
দিতে পরিচয়, অতঃপর প্রেম। সবশেষে বিয়ের প্রলোভনে ওই নারীর সর্বনাশ করেছে পুলিশের এএসআই মো. মহসিন। তিনি ঢাকা নারায়ন গঞ্জের ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এলাকায় চাকরি করছেন।
শনিবার মেয়েটি বোনের সাথে কক্সবাজার শহরতলির লিংক রোড এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ীতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে চলে যান হোটেলে।
প্রতারিত ওই নারীর অভিভাবকের লিখিত অভিযোগ সূত্রে কক্সবাজার মডেল থানার সহকারী সাব ইন্সপেক্টর জমিরুল এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে কলাতলি হোটেল ডালিয়ার ৩য় তলার ২০২ নাম্বার রুম থেকে ভিকটিম ওই নারীসহ প্রতারক এএসআই মো. মহসিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। মেয়েটির বাড়ী পেকুয়া উপজেলার শেখের কিল্লা নামক এলাকায় (নাম পরিচয় গোপন রাখা হলো)।
জানা যায়, বছর খানেক আগে পুলিশ বাহিনীতে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যান মেয়েটি। সেখানে পরিচয় ঘটে নোয়াখালীর যুবক মো. মহসিনের সাথে। মহসিন পুলিশের চাকরি পেলেও মহিলাটির চাকরি হয়নি। চাকরি না হলেও কি হবে? প্রেম তো লেগে গেছে। পরে বিষয়টি দৈহিক সম্পর্কে গড়ায়। পরিশেষে মেয়ের পরিবারে জানা জানি। এভাবে চলতে থাকে উভয়ের প্রেম খেলা। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নারী এবং এএসআই মহসিন সদর মডেল থানা হেফাজতে রয়েছে।
কক্সবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, বিষয়টি মিমাংসার পর্যায়ে।
কুষ্টিয়া আড়ুয়াপাড়ার ব্যাংকের পেছনে পান্না মাস্টারের প্রমোদ মহল
কুষ্টিয়ার ‘রাসপুটিন’ হেলাল উদ্দিন পান্না শুধু মেয়েদেরই পড়াতো। তার টিউশন হাউজে ছেলেদের কোন স্থান ছিল না। পান্নার লালসা থেকে রেহাই পায়নি তার সহকর্মীর মেয়েও। তার নিজ গ্রাম হরিপুরবাসী বলছে, তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এ ধরনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এখন দাবি
উঠেছে তাদের সামাজিকভাবে বয়কটের। সরজমিন অনুসন্ধান ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বারখাদা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের আগে থেকেই লাম্পট্য শুরু করে হেলাল উদ্দিন পান্না। গণিতের শিক্ষক হওয়ার কারণে মেয়েরা তার কাছে প্রাইভেট পড়তে যেতো। আর এ সুযোগটি নিয়েছিল সে। তবে এ স্কুলে পড়ানো শুরুর পর থেকেই পান্নার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠলেও আদর্শ স্কুলের শিক্ষকরা ছিলেন নীরব। অনুসন্ধানে জানা যায়, আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকরিতে যোগদানের পরপরই হেলাল উদ্দিন পান্না জুগিয়া পালপাড়ায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে শুরু করে প্রাইভেট পড়ানো। সেখানে ওই বিদ্যালয়েরই এক শিক্ষিকার মেয়ে পড়তে গেলে পান্নার দৃষ্টি পড়ে তার ওপর। প্রেমের ফাঁদে ফেলে মেয়েটিকে। পরে এলাকার লোকজনের চাপে ওই বাসা ছেড়ে দেয় পান্না। এরপর বাসা ভাড়া নেয় জুগিয়া দরগাপাড়ায়। আবারও শুরু হয় প্রাইভেট পড়ানো। শুরু হয় প্রেমের ফাঁদে ফেলে মেয়েদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন। এক পর্যায়ে বিষয়টি এলাকাবাসী টের পেয়ে বিতাড়িত করে তাকে। এবার পান্না একটি রুম ভাড়া নেয় আদর্শ বিদ্যালয়ের পেছনের দিকে জনৈক হীরার বাড়িতে। এখানেও এসে প্রতীতি বিদ্যালয়ের এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। মেয়েটির আত্মীয়স্বজন বিষয়টি টের পেয়ে গণধোলাই দেয়। প্রকাশ হয়ে পড়ে পান্নার সেক্স ভিডিও’র ছবি।
বারখাদা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া এক ছাত্রী জানায়, আমি অল্পদিন ওই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়েছি। সে ছেলেদের প্রাইভেট পড়ায় না। শুধু মেয়েদের পড়ায়। প্রাইভেট পড়ানো অবস্থায় শরীরে হাত দিতো। এ ছাড়া বিভিন্ন পর্নো গল্পের বই (চটিগল্প) বই ও খাতার মধ্যে গুঁজে দিতো। বই পাওয়ার পরের দিন পড়তে গেলে ওই শিক্ষক এসব গল্প নিয়ে আলোচনা করতো আর গায়ে হাত দিতো। একপর্যায়ে সে ফ্রি হয়ে গেলে প্রেমের সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতো। পরে গোপন ক্যামেরায় তোলা ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতো। মেয়েটির দাবি, তার এক বান্ধবীর সঙ্গে এভাবে সম্পর্ক তৈরি হলে সে কিছু দিন পরেই প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে দেয়।
অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, কোন মেয়েকে পান্না টার্গেট করলে প্রথমে তাকে মেধাবী বলে খুব উৎসাহ দিতো। এরপর তার লেখাপড়ার খোঁজখবর নেয়ার নামে তার সঙ্গে ভাল সম্পর্ক করতো। একটু ভাল সম্পর্ক হলেই প্রেমের প্রস্তাব দিতো। একপর্যায়ে মেয়েটির বই বা খাতার মধ্যে দিয়ে দিতো চটিগল্পের বই। এভাবে মেয়েটি চটিগল্পের বইটি পড়লে ওই শিক্ষক তার সঙ্গে সেক্সুয়াল আলোচনা করে ফ্রি করে নিতো। এরপর মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়া হতো শহরের আড়ুয়াপাড়ার সোনালী ব্যাংকের পেছনের একটি ভাড়া করা প্রমোদ মহলে। সেখানে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের নগ্ন ভিডিও ধারণ করা হতো। পরে নগ্ন ভিডিও দেখিয়ে দীর্ঘদিন তার সঙ্গে মেলামেশা করতে বাধ্য করা হতো। প্রতারণার শিকার বুঝতে পেরেও অনেকেই ভিডিও থাকার কারণে মুখ খুলতে পারেনি। তারা বাধ্য হয়েছে শিক্ষক নামের ওই পিশাচের সঙ্গে সেক্স করতে। এমনকি তার বন্ধুদের সঙ্গেও সেক্স করতে বাধ্য করেছে। বর্তমানে বিবাহিত ও ২০০৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ভুক্তভোগী জানান, মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে অনেক মেয়ের সর্বনাশ করেছে। আজেবাজে বই পড়তে দিতো। ওই বিদ্যালয় থেকে কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজের বিজ্ঞান বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে ওই শিক্ষকের ভাড়া করা বাসায় গিয়ে তার সর্বনাশ হয় বলে দাবি তার। বর্তমানে একটি চিকিৎসা কেন্দ্রের নার্সের দায়িত্ব পালনকারী ওই বিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্রী বলেন, শিক্ষক-ছাত্রী সম্পর্ক পিতা ও সন্তানের সম্পর্কের মতোই পবিত্র। কিন্তু এ শিক্ষক তা ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। তার এক বান্ধবীর ঘটনা বর্ণনায় মেয়েটি বলে, পান্নার কাছে প্রাইভেট পড়তে যেতো আমার এক বান্ধবী। স্কুলের পাশেই ছিল ওই প্রাইভেট পড়ানোর বাসা। একপর্যায়ে আমার বান্ধবী তার সম্ভ্রম হারানোর কথা জানায়। আরও ছাত্রী দাবি করেন, এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মোবাইল ফোনে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং সে সময় অঙ্ক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর দেখি আমি ফেল করেছি। খাতা চ্যালেঞ্জ করলে আমি ৬০ পেয়েছিলাম। এ রকম নানা অভিযোগ বেরিয়ে আসছে। পান্নার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, তার বন্ধু কুষ্টিয়ার নামী পরিবহন ব্যবসায়ীর জামাতা গাংনী এলজিডিইতে কর্মরত এক ইঞ্জিনিয়ারের সেক্স ভিডিও পান্নার ল্যাপটপ থেকে উদ্ধার হয়েছে।
এর আগে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলীমুন রাজীব এ ঘটনাটিকে সরাসরি ফৌজদারি বিধানে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে স্বীকার করলেও আজও পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ কর্তৃক মামলাসহ যথাযথ আইনি পদক্ষেপ না নেয়ায় এলাকাবাসী ফুঁসে উঠছে। এ বিষয়ে এডভোকেট শামিম-উল হাসান অপু বলেন, কোন দুর্বৃত্ত বা অপরাধী কর্তৃক অপরাধ সংঘটনের ফলে নাগরিক জীবনে কোন এক বা একাধিক বা কোন নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী সংক্ষুব্ধ হওয়ার প্রতীয়মানযোগ্য দৃষ্টান্ত থাকে এবং সংক্ষুব্ধ পক্ষগণ থেকে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পেলেও সে ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে পাবলিক সিকিউরিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিজ উদ্যোগেই আইনি পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু এ ঘটনা ফাঁস হওয়ার ফলে স্কুল পরিচালনা পর্ষদ প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষক পান্নাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্তও নিয়েছে অথচ এখনও এ শিক্ষককে গ্রেপ্তারে পুলিশের পক্ষ থেকে কেন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি তা বোধগম্য নয়।
অন্যদিকে স্কুল পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান ওই বিদ্যালয়ের বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের অধ্যাপক ওবাইদুল ইসলাম বলেন, তদন্তে উদ্ঘাটিত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে লিখিত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে ৭ দিন। এ জঘন্য অপরাধের যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি হয় সেটাই করা হবে তদন্ত কমিটির সুপারিশে
পান্নার তার শিক্ষকতা জীবনে শতাধিক ছাত্রী সহ ১৩০-১৪০ জনের সঙ্গে সেক্স করেছে!
শতাধিক ছাত্রী-গৃহবধূকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে হেলাল উদ্দিন পান্নার পরিচিতি এখন পরিমলকে ছাড়িয়ে রাসপুটিন হতে চলেছে। কারণ গণিতের শিক্ষক পান্না ভিকারুননিসা নূন স্কুলের শিক্ষক পরিমল জয়ধর স্টাইলে সেক্স করে গোপন ক্যামেরায় ভিডিও করলেও তার শিকারের তালিকায় আছে ছাত্রী থেকে কলগার্ল পর্যন্ত (ছাত্রী-গৃহবধূ-কলগার্ল)। কুষ্টিয়া শহরতলীর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিতের এ শিক্ষক পরে এসব ছাত্রীকে ব্ল্যাক মেইল করে আরও অনেককে ফাঁদে ফেলেছে। এমনকি কিছু ছাত্রীর স্বামীর আত্মীয় স্বজনকে পর্যন্ত ফাঁদে ফেলেছে। এ কারণেই পরিমলকে ছাড়িয়ে রাসপুটিন (সম্মোহনী প্রভাবের অধিকারী রাশিয়ার আধ্যাত্মিক গুরু) হতে চলেছে পান্না। সে কিছু সম্মানীয় ব্যক্তি, রাজনৈতিক প্রভাবশালীকে ছাত্রী, ছাত্রীর শ্বশুরকুলের আত্মীয় বা কলগার্লের সঙ্গে তার ডেরায় সেক্স করিয়ে ভিডিও করেছে। যাতে বিপদে কাজে লাগে। আর এখানেই পান্নার সঙ্গে পরিমলের পার্থক্য। পরিমল জেল খাটলেও পান্না পার পেয়ে যাচ্ছে। কারণ গত শুক্রবার ব্যাপারটি টের পেয়ে জনগণ তাকে গণধোলাই দিতে শুরু করলে স্থানীয় বারখাদা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সহ প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। আর এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে জেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করলেও অভিযোগ দিতে এগিয়ে আসছেন না অভিভাবকরা। কারণ টাউট রাজনীতিবিদ আর মান-সম্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো মামলা বা স্কুল কমিটির কাছে অভিযোগ দিতে ইচ্ছুক নন। পান্নার কাছের একটি সূত্রের দাবি, এই সুযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক পান্না স্কুল কমিটির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে। সূত্র আরও জানায়, পান্না তার শিক্ষকতা জীবনে ১৩০-১৪০ জনের সঙ্গে সেক্স করেছে। শতাধিক ভিডিও করেছে। বন্ধুদের ভিডিওগুলো তাদের ব্ল্যাকমেইল বা নিজের নিরাপত্তার কাজে লাগিয়েছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পান্নার একাধিক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধারণ করা সেক্স ভিডিও ও ছবি তার ঘনিষ্ঠজনেরাই ফাঁস করে দিয়েছে। পরে একই স্কুলের পরিচালনা কমিটির এক অভিভাবক সদস্য এগুলো হস্তগত করেন। এসব সেক্স ভিডিও’র খবরে এক ছাত্রীর ফুপাতো ভাই স্কুলশিক্ষক হেলাল উদ্দিন পান্নার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ কেড়ে নেয়।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষক হেলাল উদ্দিন পান্না’র আড়াই ঘণ্টার ৬টি নগ্ন ভিডিও চিত্রের কপি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে মেমোরি কার্ড, পেন ড্রাইভের মাধ্যমে বিভিন্ন সাংবাদিক ও স্থানীয় পত্রিকা অফিসে। এটা করেছে একই স্কুলের এক অভিভাবক সদস্য।
এব্যাপারে বারখাদা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুর রহমান বলেন, শিক্ষক পান্নার সেক্স ভিডিও ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এর ভিত্তিতে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সদস্যরা তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটির সদস্যরা হলেন বিদ্যা উৎসাহী সদস্য ওবায়দুর রহমান, অভিভাবক সদস্য আবু তালেব ও শিক্ষক আবু তৈয়ব। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তদন্তের পর তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তিনি আরও বলেন, এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার সায়েদুর রহমান জানান, গত সোমবার দুপুরে ব্যাপারটি শুনে আমি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। প্রধান শিক্ষককে বলেছি আমাকে জানাননি কেন? উনি বলেছেন, স্কুল কমিটি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। তদন্ত কমিটি করে আপনাকে লিখিত জানানো হবে। তিনি আরও জানান, আজ (গতকাল মঙ্গলবার) এক অভিভাবক সদস্য এসেছিলেন। তিনি বলেছেন, উনি ভিডিও দেখেছেন কিন্তু উনার কাছে সেটা নাই। শিক্ষা অফিসার আরও বলেন, ভিডিও প্রমাণ বা অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ না দিলে শিক্ষক পান্নাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া কঠিন।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১নং হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাটশ হরিপুর গ্রামের তসলিম উদ্দিনের (কাঠমিস্ত্রি) পুত্র হেলাল উদ্দিন পান্না। সে কুষ্টিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০০৩ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই সে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিদ্যালয়ের ছাত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে তাদের ব্ল্যাকমেইল করতো। সূত্র আরও জানায়, নগ্ন ভিডিও দেখিয়ে দীর্ঘদিন তার সঙ্গে মেলামেশা করতে বাধ্য করা হতো। এমনকি বিয়ের পরও তার লালসা থেকে রেহাই পায়নি কয়েক ছাত্রী। এসব ছাত্রীর মাধ্যমে কয়েক জনের স্বামীর আত্মীয়কেও সে ফাঁদে ফেলেছে বলে সূত্র জানিয়েছে। পান্নার গ্রামবাসীদের ভাষ্য অনুযায়ী এলাকায় একাধিক অপকর্মের কারণে কয়েক বছর আগে তাকে গ্রাম থেকে বিতাড়িত করে এলাকাবাসী। দু’-তিন বছর পরে প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় আবারও সে গ্রামে ফিরে আসে। এদিকে, গতকাল মানবজমিনে ‘কুষ্টিয়ায় আরেক পরিমল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। প্রিন্ট কপি না পেয়ে ফটোকপির দোকানগুলোতে ভিড় জমায় সাধারণ মানুষ।
©somewhere in net ltd.