নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অরুণালোক

ৈতয়ব খান

আমি শুধু কবিতায় কথা বলবো আসে আসুক ঝড় করিনা তো ভয় আমি শুধু বাণী নিয়ে খেলবো। ছন্দোবদ্ধ করে মনের মতন সৃষ্টি করবো আমি শব্দ রতন হৃদ পাপড়িগুলো মেলবো। বাজ পড়ে পুড়ে যাক পৃথিবী বাঁধুক না যুদ্ধ ক্ষতি কী আমি তবু কবিতায় কথা বলবো।।

ৈতয়ব খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নজরুল পুরস্কার প্রদান -২০১২

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

ঢাকায় শুরু হয়েছে তিনদিন ব্যাপী বিভাগীয় পর্যায়ে নজরুল সম্মেলন

২০১২ এর নজরুল পুরস্কার প্রদান

তৈয়ব খান





জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় ২৫, ২৬ ও ২৭ আগস্ট ২০১৩ তিন দিন ব্যাপী বিভাগীয় পর্যায়ে জাতীয় নজরুল সম্মেলন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে নজরুল ইন্সটিটিউট আয়োজিত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি হিসেবে আগত সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এএন সামসুদ্দীন আজাদ চৌধুরী। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক প্রকাশ চন্দ্র দাশ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস।

পবিত্র আল কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করার পর প্রথমেই নজরুল ইন্সটিউটের নির্বাহী পরিচালক রশীদ হায়দার স্বাগত বক্তব্য দেন। পরে নজরুল ইন্সটিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং কবি নাতনী বেগম খিলখিল কাজী শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। কবি কাজী নজরুল সম্পর্কে আলোচনা করেন নজরুল ইন্সটিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর এমিরিটাস রফিকুল ইসলাম ও পরে প্রফেসর মোহীত উল আলম। এরপর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক প্রকাশ চন্দ্র দাশ সম্মানিত অতিথি হিসেবে তাঁর বক্তব্য প্রদান করেন। এরপর ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এএন সামসুদ্দীন আজাদ চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। পরে রণজিৎ কুমার ও প্রফেসর মোহীত উল আলম তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। এরপরেই ২০১২ এর নজরুল পুরস্কার প্রদান করা হয়। দেশের দুই বরেণ্য নজরুল সাধক যথাক্রমে সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে এমএ মান্নান ও গবেষক হিসেবে অনুপম হায়াত এ পুরস্কার দুটি গ্রহণ করেন। এর পরেই সম্মানিত প্রধান অতিথি ও অনুষ্ঠানের আকর্ষণ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ তাঁর বক্তব্য প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদানকারী কবি নাতনী বেগম খিলখিল কাজী তাঁর দাদা কাজী নজরুল ইসলামের গানকে বিকৃত করা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দাদুর গান নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। দাদুর গান নাকি ৫৬জন সুরকার সুর দিয়েছেন। কিন্তু এ দাবী সম্পূর্ণ মিথ্যা। কবি বাক্ শক্তি হারিয়ে ফেলার পর কিছু দিনের জন্য তার সৃষ্টি হারিয়ে যেতে বসেছিলো। তার এ কথার সূত্র ধরে প্রধান অতিথি মাননীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, নজরুল সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে নজরুল সাহিত্য ও দর্শন আমাদের অন্তহীন অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন। কালজয়ী প্রতিভার অধিকারী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সাম্য, মানবতা, প্রেম, তারুণ্যের কবি। তিনি পরাধীন দেশে শোষিত সাধারণ মানুষকে তিনি দারিদ্র্য ও পরাধীনতা থেকে মুক্তির গান শুনিয়েছেন। বাঙালির বহুমাত্রিক মুক্তি অর্জনের অভিযানে নজরুল সাহিত্য আমাদের উজ্জীবিত করেছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা মুক্তিকামী মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছে। মাননীয় মন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২৪ মে কাজী নজরুলকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। পরে তাঁকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয় এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদা দেয়া হয়। তাঁর অন্তিমশয্যা হয়েছে ঢাকার মাটিতেই। তাই কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও তার সাহিত্য আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আমাদের গৌরবময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিকাশ এবং দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক কর্মকা-কে বেগবান করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে ২০১২সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৩তম জন্মবার্ষিকী এবং কাজী নজরুল ইসলাম-এর ঐতিহাসিক ‘বিদ্রোহী’ কবিতা রচনার ৯০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে। নজরুল চর্চা ও গবেষণার কর্মকে ব্যাপৃত করার জন্য ময়মনসিংহে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, নজরুল বিষয়ক জাদুঘর ও কুমিল্লাতে নজরুল ইন্সটিটিউটের কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নজরুল এ্যালবাম প্রকাশ, নজরুল সঙ্গীতের সিডি প্রকাশ, শুদ্ধ সুর ও বাণীতে নজরুল সঙ্গীতের প্রশিক্ষক তৈরির বিশেষ কোর্স ও নজরুল সম্মেলন করা হয়েছে এবং কবি নজরুলকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে এবং তাঁর সাহিত্যকে বিশ্বসভায় সুপ্রতিষ্ঠিত করতে নজরুল সাহিত্যকে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হচ্ছে। মাননীয় মন্ত্রীর বক্তব্যের পরে শুরু হয় নজরুল ইন্সটিটিউটের শিশুকিশোর শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় গান ও আবৃত্তি। পরে নজরুল পুরস্কার ২০১২ প্রাপ্ত নজরুল সঙ্গীত শিল্পী এমএমান্নান ও প্রয়াত নজরুল সঙ্গীত সাধক সোহরাব হোসেনের কন্য রাহাত আরা গীতি সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এরপরে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ঢাকার শিল্পীবৃন্দের একক সঙ্গীত। এতে গান পরিবেশন করেন এমএ মান্নান, ফাতেমাতুজ জোহরা, রাহাত আরা গীতি, একেএম শহীদ কবির পলাশ ও ছন্দা চক্রবর্তী। এরপরের একক সঙ্গীত ছিলো ঢাকা জেলার বিভিন্ন শিল্পীবৃন্দ। নজরুলের কবিতার একক আবৃত্তি করেন লায়লা আফরোজ ও ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু।



ছবিতে কাজী নজরুল ইসলামের বংশধর বেগম খিলখিল কাজীকে তার বক্তব্য দিতে দেখা যাচ্ছে।

ছবি: তৈয়ব খান/২৫ আগস্ট ২০১৩



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.