![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ২২ ফেব্রুয়ারি ১৪ তারিখ শনিবার বাংলা একাডেমি বই মেলায় গিয়েছিলাম। এদিন আমার স্নেহভাজন কবি রাজিব'র 'দেবদাস পার্বতী আজ আর নেই' কাব্যগ্রন্থ , প্রবাসী বাংলাদেশী লেখক আমীর আহমেদ সিংকাপনির "অভিজ্ঞান (১,২,৩ খন্ড) এবং প্রবাসী বাংলাদেশী লেখিকার একটি কবিতার বইয়ের মোড়ক উন্তোচনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাই। কিন্তু নজরুল মঞ্জে ঢোকার মুখে দেখলাম এক ভিক্ষুক এভাবে ভিক্ষা করছে। তাকে দেখে বই মেলায় আগত মায়ের কোলে থাকা এ শিশু ভয় পেয়ে আৎকে উঠলো। তাকে দেখে আমিও আঁতকে উঠলাম-- দেখলাম তার একটি পা ভীষণভাবে ফোলা। প্রথমে ভেবেছিলাম এটি কিউলেক্স জাতীয় মশার কামড়ে সম্ভবত গোদ রোগ। পরে ভাবলাম- আসলেই কি এটা গোদ রোগ নাকি এর অন্য কোন নাম আছে? আর এ রোগের উৎপত্তিই বা কীভাবে? এর কি কোন চিকিৎসা আছে??
বর্তমানে সারা বিশ্বে চিকিৎসা বিজ্ঞান এগিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন রোগ ও অষুধ আবিষ্কারে। আমাদের দেশও পিছিয়ে নেই। তবে কি এ রোগটির চিকিৎসা সম্ভব??
আমাদের দেশে এরকম অজস্র ভিক্ষুক নিজের দৈহিক অক্ষমতা দেখিয়ে মানুষের মনে করুণা জাগিয়ে তোলে নোংরা ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িত। সমাজের উচ্চবিত্ত মানুষ, সরকার এবং পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি এক্ষেত্রে এসব ভিক্ষুকদের রোগমুক্তি ও পরবর্তী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে তবে রাস্তার ধারে এদের দেখে কেউ ভয় পাবে না। পরন্তু রোগমুক্তির পর এরা হয়তো জনশক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে।
তৈয়ব খান
কবি, লেখক ও গ্রাফিক ডিজাইনার
©somewhere in net ltd.