নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ . . .

আমার মুক্তি আলোয় আলোয় ; ধূলায় ধূলায় ; ঘাসে ঘাসে এই আকাশে ।।

জাকরিন কাদির

আমার মুক্তি আলোয় আলোয় ; ধূলায় ধূলায় ; ঘাসে ঘাসে এই আকাশে ।।

জাকরিন কাদির › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দেখা নারী .।।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪

আজকাল ফেসবুকে প্রায়ই মেয়েরা খারাপ পোশাক পরে, মেয়েদের চরিত্র খারাপ , মেয়েরা ধোঁকা দেয়, মেয়েদের সাথে এমনই হওয়া উচিত ; এসব কথা নিয়ে তর্ক হতে দেখি। এবার আসি প্রাসঙ্গিক কিছু কথায়। আমাদের দেশের ২৪% মানুষ শহরে বসবাস করে আর ৭৬% গ্রামে। আমি বিভাগীয় ও জেলা শহর খুলনায় বড় হয়েছি। ১/২% মেয়ে ছাড়া খুলনার বাকি মেয়েরা সাধারণ থ্রী পিস ও বোরখা পরে থাকে। এইচ এস সি শেষে গেলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে। মেধাবি ছাত্রীরা সবাই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পড়তে আসে। আমার সহপাঠীদের কারও পোশাকই আমার কাছে উগ্র তো মনে হয়নি। এর মধ্যে ৫% ছাত্রী উগ্র পোশাক পড়েই থাকে কিন্তু বেতিক্রম কখনও উদাহরণ তো হতে পারেনা।

এবার আসি ঢাকার স্থানীয় মেয়েদের কথায়। তাদের মধ্যে আমাদের সাথে যাদের দেখা হয় তারা তো সাধারণ পোশাকই পড়ে আর অসাধারন পোশাকের অধিকারিণীরা তো আমাদের মাঝে থাকেনা ; তাদের হয়ত কালে ভদ্রে চোখে দেখা যায়।

তারপরও ধরলাম এই ২৪% মেয়েরাই খারাপ। এবার আসি বাকি ৭৬% এর কথায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষে বর্তমানে স্বামীর কর্মস্থল সাতক্ষীরার আশাশুনির অধিবাসী আমি।

আপনার বিশ্বাস না হলেও সত্য এই যে এখানকার মেয়েদের জীবন এখনও মধ্যযুগীও অবস্থাতেই আছে। মোটামুটি উচ্চবিত্ত পরিবারে বৌ হল ঘরের একটি বাড়তি শোভা বা শোপিস। যার কাজ শুধু বাচ্চ জন্ম ( বংশের প্রদীপের ) দেওয়া । মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে ভাত নমর হওয়া থেকে শুরু করে যৌতূক এর জন্য প্রায়শই স্বামীর প্রহারের স্বীকার হওয়া এখানকার নিত্যনৈমিত্তিক চিত্র ! সারাদিন ঘরের কাজ করার পরও তা মূল্যহীন এখানে। নিম্নবিত্তদের অবস্থা তো আরও চমকপ্রদ। নিজে সারাদিন গাধার মতো খেটে স্বামীর নেশার জোগান দিয়ে যাচ্ছেন তারা। আর না দিতে চাইলেই _প্রহার। যেখানে একটা নতুন আই ফোন বা অ্যাপেল ল্যাপটপ এর চিন্তায় আপনার রাতের ঘুম হারাম হয়েছে সেখাণে কোথাও কোথাও এক থালা শাদা ভাত, কোথাও এক ফোঁটা বিশুদ্ধ পাণি, কোথাও একটু সহানুভূতির জন্য তারা তৃষ্ণার্ত !!

বিশ্বাস করুন তারা খারাপ পোশাক পরার সুযোগ পায়না কারণ তাদের পোশাকটি বড়ই জীর্ণ। তারা প্রেমিক/ স্বামীকে ধোঁকা দেওয়া বা কটু কথা বলার অবকাশ পায়না কারণ তারা অসহায়।

এর মধ্যেও সংগ্রাম করে কিছু কিছু নারী এগিয়ে চলেছে। তারা পড়ালেখা শিখছে এবং নিজে চাকুরী করে সংসারের ভার বহন করে চলেছে।

ঐ ২৪% নিয়ে তো অনেক হৈচৈ করলেন। এঈ ৭৬% এর আওয়াজ তো কাণেই আসেণা। তাদের কথা তো কোথাও দেখিনা।

একচক্ষু হরিণের মতই আচরণ আমাদের। তাদের কথা বলতে বা ভাবতে আমাদের ভালো লাগেণা।

তাদের চোখের অশ্রু চোখেঈ শুকিয়ে যায়।



অতিরিক্ত লিঙ্ক ঃ

১) Click This Link

২) Click This Link

৩) Click This Link

৪) Click This Link

৫) Click This Link



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩

সকাল হাসান বলেছেন: এক গামলা দুধের মধ্যে যদি একটু ফোটা মল থাকে, তাহলে কিন্তু আমরা পুরো দুধটাকেই নষ্ট হিসেবে গন্য করি!



এই নারী বা মেয়েদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই রকম! তাদের মধ্যে সংখ্যায় অল্পরাই উগ্র হলেও চোখে শুধু ওটা ভাসে দেখেই আমরা পুরো মেয়েজাতকেই খারাপ ভাবি!

আরেকটা ব্যাপার, সাধারন ঘটনাগুলো কিন্তু আমাদের চোখে অতটা ধরা পড়ে না! কারন ওগুলো সাধারন! চোখে পড়ার মত আকর্ষন নেই!
সাধারনের থেকে একটু ব্যতিক্রম হলেই তা চোখে পড়ে এবং ওগুলো নিয়ে মাতামাতি সবাই ই করি!

আপনার পোষ্টের মন্তব্যে আমি এইটাকেই মূল কারন বলব!

তবে লেখায় গুরুত্বপূর্ন একটা ব্যাপার তুলে এনেছেন!

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৫

জাকরিন কাদির বলেছেন: সত্য কথা স্বীকার করার জন্য ধন্যবাদ @সকাল হাসান। আশা রাখি কালকের ব্লগটিও আপনি পড়বেন। ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.