নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

২০০৬-২০১৬

আলী

© ALI 2006, ALL Rights Reserved

আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'কেউ জোর করেনি, বাংলাদেশের পতাকা নিজেই নিয়েছিলাম\'

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

'কেউ জোর করেনি, বাংলাদেশের পতাকা নিজেই নিয়েছিলাম'

ঢাকার মাঠে পাকিস্তানের একজন সমর্থককে জোর করে বাংলাদেশের পতাকা পরিয়ে দেবার অভিযোগ নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে নানা আলোচনা সমালোচনার প্রেক্ষাপটে সেই পাকিস্তানী সমর্থক বলছেন মাঠে তিনি কোন হেনস্থার শিকার হননি।
অভিযোগ উঠেছে , ঢাকার মিরপুর এলাকার বাসিন্দা আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার উৎসাহে এবং তার সামনেই জোর করে পাকিস্তানী নাগরিককে বাংলাদেশের পতাকা পরিয়ে দেয়া হয়।
তবে মিস্টার মোল্লা এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা ও বানোয়াট খবর প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাতে মোহাম্মদ বশির নামে ওই পাকিস্তানি সমর্থক বিবিসি বাংলাকে বলেন বাংলাদেশ যখন জিতল তখন তিনি তার এক বন্ধু সোয়েব আলীর কাছ থেকে বাংলাদেশের পতাকা নিজেই চেয়ে নিয়েছিলেন।
“আমি বললাম বাংলাদেশের পতাকাটা আমাকে দাও। তারপর আমি নিজেই নিলাম পতাকাটা এবং আমি খুবই খুশী। আমি বললাম বাংলাদেশ জিন্দাবাদ”।
ছবিতে আপনাকে কাঁদতে দেখা গেছে, কেন ? --এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কারণ পাকিস্তান হেরেছে। কেউ যখন হারে চোখ থেকে তো পানি আসেই। কেও আমাকে কষ্ট দেয়নি। পাকিস্তান হেরেছে বলেই একটু কেঁদেছি”।
বাংলাদেশের পতাকা গায়ে চড়াতে কেউ জোর করেছে কি-না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি বয়স্ক বলে বাংলাদেশী এক বন্ধু আমার সাথে আমার রুমেই থাকে। সেই আমার যত্ন নিয়ে থাকে। তার হাতেই বাংলাদেশের পতাকাটা ছিলো। আমি বললাম পতাকাটা আমাকে দাও। তোমার বাংলাদেশ জিতেছে, আমি বাংলাদেশের পতাকা বহন করতে চাই, কেউ আমাকে জোরে করেনি। আমি নিজেই নিয়েছিলাম”।
তিনি বলেন অনেক সময় ভারত জিতলেও আমি ভারতের পতাকা নেই। ভারতের মানুষ ভালো। বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত ভালো।
'বশির চাচা' হিসেবে সমর্থকদের কাছে পরিচিত হওয়া মোহাম্মদ বশির বলেন শুরুতে আমি পাকিস্তানের পতাকা নেয়ার সময় দু একজন তাকে সরে যেতে বলেছিলো যার মধ্যে একজন ফটোগ্রাফারও ছিলো। এটি তাকে কিছুটা কষ্ট দিয়েছিলো। কিন্তু পরে কোন ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার সামনে বাংলাদেশী পতাকা জড়ানো সেই পাকিস্তানী সমর্থক কাঁদছেন।
ফেসবুকের বিভিন্ন পোস্টে জানা যায়, সেই পাকিস্তানী নাগরিকের নাম বশির আহমেদ (যদিও প্রকৃত নাম মোহাম্মদ বশির)। পাকিস্তান দল যেখানেই খেলতে যায়, তাকে সে মাঠে গিয়ে তার দলকে সমর্থন জানান।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানী সেই সমর্থন যখন কাঁদছেন তখন তাকে ঘিরে বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ উল্লাস করছেন এবং মোবাইল ফোনে ছবি তুলছেন।
তাদের মাঝখানে সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাকে নির্বিকারভাবে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। একটি ছবিতে সেই পাকিস্তানী সমর্থকের সাথে সংসদ সদস্যকে কথা বলতেও দেখা যাচ্ছে।
আমি ওরে ধরিও নাই, ছুঁইও নাই : ইলিয়াস মোল্লা
সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ও পাকিস্তানের সাপোর্টার আমি ওকে দেখিও নাই। আমি অনেকদূরের থেকে দেখছি ওকে কে বা কারা বাংলাদেশের পতাকা ওর গায়ে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।”
তিনি আরো বলছিলেন, “ তখন আমি এমন একটা জায়গায় বসছিলাম নিচে মাঠের সাথেই। আমার সামনে শেষ কর্নার পর্যন্তই ছিল। তা আমি বললাম যে এখানে তোমরা হুড়াহুড়ি কইর না। আমি চুপচাপ বসে আছি। আমি ওরে ধরিও নাই, ছুঁইও নাই। এবং আমি বলছি এখানে তোমরা কোন কিছু কইর না। তোমরা চলে যাও।”
ইলিয়াস মোল্লা বলছেন, পাকিস্তানের সেই সমর্থকদের সাথে তার কোন কথা হয়নি। এ রকম কোন ছবি কেউ দেখাতে পারবেনা।
মি: মোল্লা বলেন, “আমি বসা ছিলাম। উঠিও নাই। আমি বলছি যে তোমরা এই লোকটারে এদিকে আনতেছ কেন? উনি পাকিস্তানের সাপোর্টার। উনি ওনার দেশকে ভালোবাসে। ওরটা ও যা ইচ্ছা তাই করবে। যখন আসতেছে তখন লোকটার মুখে আমি একটা শব্দ পাইছিলাম পাকিস্তান জিন্দাবাদ। আর সবাই বলে যে বাংলাদেশ। শুধু এই টুকুই শুনলাম।”
তিনি অভিযোগ করেন তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা বানোয়াট খবর ছড়ানো। এ ধরনের ‘ভিত্তিহীন খবর’ ছড়ানোর তিনি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি-জামায়াতকে দোষারোপ করেন।
'কেউ জোর করেনি, বাংলাদেশের পতাকা নিজেই নিয়েছিলাম'

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩০

বিজন রয় বলেছেন: তাই নাকি?

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩২

বিজন রয় বলেছেন: যারা লাফালাফি করলো তারা এখন কি বলবে।
তারা সবসময় গুজবে কান দেয়, গুজব ছড়ায়।

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩২

মুহিব মোরসালিন বলেছেন: বাহ বাহ!! ভালো!

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

মুহিব মোরসালিন বলেছেন: আসুন এই রিপোর্ট টার পোস্ট মর্টেম করি...

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

আলী বলেছেন: কোন প্রয়োজন নেই শুধু সত্য প্রচার করেন

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

কঙ্কাল দ্বীপ বলেছেন: বাংলাদেশের নাগরিকদের মুখোশে প্রো-পাকিস্তানী আর প্রো-ইন্ডিয়ানদের মুখে জুতার বাড়ি পড়ুক।

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪২

বিজন রয় বলেছেন: নতুন পোস্ট দিন।

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কিন্তু তখন একটা হাতজোড় করা ছবি দেখেছিলাম!

যাই হোক, এরকম ঘটনা ঘটলে তো তাহলে ভয়ের কিছু নাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.