![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে আড়াল রাখতে ভালোলাগে
ঢাকা শহরের যোগাযোগ ব্যাবস্থার মধ্যে লোকাল বাস একটি গুরুত্ব পূর্ণ মাধ্যম। মানুষের যাতায়াতের জন্য এই মাধ্যম টি অপরিহার্য।
তারিখ ২২ মার্চ ২০১৮ রাজধানির পূরানা পল্টন এলাকা থেকে আমি বাস এ উঠি রামপুরা যাওয়ার উদ্যেশ্যে। সেখানে মানুষের আচরনের কিছু বৈচিত্র অতি সহযেই দেখা যায় । সবার মধ্যে ই একটা কেমন ব্যাস্ততা লক্ষ করলাম এটা স্বাভাবিক কেননা ব্যাস্ত তম শহর শহরের সময় এর সাথে তাল মিলাতে মানুষের ব্যাস্ততা তো থাকবেই। আমি দেখলাম এখান বেশ কিছু জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির বেশ কিছু জটিল সমস্যা মানুষ এই বাস এ বসে নিমিষেই সমাধান করে ফেলছে । বেশ কিছু যাত্রি বসার সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলো। তাদের চেহারায় একধরনের বিরক্ত ভাব ফুটে উঠেছে । এর মধ্যে বাস এর কন্ট্রাকটার এলো ভাড়া নেয়ার উদ্যেশ্যে। কিছু যাত্রি কোন এক অজানা কারনে কন্ট্রাকটার কে বললেন ঘুরে এসে পরে নিতে। এর মধ্যে বাস মালিবাগ চলে এলো কিছু মানুষ নামলো এবং কিছু মানুষ উঠলো । যারা নতুন উঠলো তারা উঠেই পুরো বাস টিতে একবার চোখ বুলিয়ে নিলো । হয়তো বসার স্থান খুজছিলো । অবাক করা বিষয় হচ্ছে পুরো বাস টিতে যেখানে দাড়ানোর জায়গা পাওয়া মুশকিল সেখানে বলা হচ্ছে সিট খালি ।এবং বাস টি রাস্তার প্রায় মাঝখানে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে যাত্রি তোলার চেস্টা করলো তখন কিছু যাত্রি মেজাজ হারিয়ে বেশকিছু ধমকা ধমকি করলেন এবং বাস টি আবার চলতে শুরু করলো। যখন বাস টি জ্যাম এ আটকে যায় তখন অনেক মানুষ আর মেজাজ ধরে রাখতে পারে না তখনি চলে সরকারের বেশ কিছু সমালচনা । মালিবাগ ছেড়ে বাস টি চলতে শুরু করলে আবার কিছুক্ষন পর জ্যামের কারনে আটকে যায়। এর মধ্য কিছু বাক বিতন্ডার তৈরি হয় একজন পুরুষের মহিলা সিটে বসা নিয়ে, অথচ সেখানে দুই জন বয়স্কা মহিলা সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এভাবেই আমি রামপুরা ব্রিজে এসে থামি এবং বাস থেকে নেমে যাই। বাস টি তখন সেই বিচিত্র সব ব্যাস্ত মানুষ দের নিয়ে চলে গেলো
আবার ২৫ মার্চেও মোহাম্মদপুর থেকে খিলগাঁও তে যাওয়ার সময় মিডওয়ে লোকাল বাসটিতে প্রায় একই পরিবেশের সমুখীন হতে হয়।
আবার আআরেকদিন গুলিস্তান থেকে এটিসিল বাসের জন্য দাড়িয়ে আছি, ১৫ মিনিট পর বাস আসলো। আশে পাশে ধানমন্ডির কোন বাস না থাকায় ভীড় থাকা সত্তে¡ও বাসে উঠা হল। বাসে উঠতেই সুপারভাইসার বললো- পেছনে যান মামা, পেছনে জায়গা খালি। দাড়িয়ে থাকা এতো মানুষের মধ্যে ভীড় ঢেলে পেছনে যেতে হল। একটু পরে লক্ষ্য করলাম সুপারভাইসার দুই জন লোকের সাথে তর্ক করছে যারা কিনা মহিলা সিটে বসে আছে। ইতিমধ্যে আমরা প্রেস ক্লাব পেরিয়ে গেছি। বাস খুব আস্তেই চলছে বলা চলে কারণ লোকাল বাস হওয়াতে প্রতি স্টপেজেই কিছু যাত্রী নামার থাকে। অনেকক্ষন তর্ক চলার পর তারা দুইজন মহিলাকে সিট ছেড়ে বসতে দিল। ড্রাইভারও অনেক ধীরে গাড়ি চালাচ্ছিল তাই কয়েকজন মুরুব্বি আর কর্পোরেট মানুষজন তাকে গালাগাল দিতে থাকল। শাহবাগ আসার আগ পর্যন্ত গাড়ি প্রায় পিপড়ার মত এগোচ্ছে, এতো জ্যামজট যে গাড়ি ভালোভাবে এগোতে পারছে না। প্রায় আধ ঘন্টা পর যখন শাহবাগের জ্যামজট এর মিছিল শেষ হয় তখন গাড়ি একটু দ্রুত চলতে থাকে। এলিফ্যান্ট রোড, সাইন্সল্যাব পেরিয়ে গেলে কিছু মানুষ নেমে যায়, যার ফলে এতোক্ষণ দাড়িয়ে থাকাটা শেষ হয়। আর আমি একটা সিট পেয়ে বসে যাই। গাড়ি জিগাতলা আসলে দেখলাম একলোক সুপারভাইসার এর সাথে তর্ক করছে পাঁচ টাকা ভাড়া ১৫ টাকা চাওয়া হয়েছে বলে। তর্ক বেশি দূর এগোতে না এগোতে আমি ১৫ নম্বর চলে আসি।
শেষে এইটাই বলা চলে যে বাসে বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন চরিত্রের সাথে নিজেকে উপস্থাপন করে থাকে।আর লোকাল বাসগুলোতে এগুলোর প্রভাব বেশি দেখা যায়।
©somewhere in net ltd.