নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ

তাহমিনা আকতার

০০৭

তাহমিনা আকতার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হে নারী প্রথা ভাঙ্গ

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬


মেয়েরা মোটা, শুকনা বা কাল হলেই যত বিপদ । ছোটবেলা থেকে ই বাবা মা, আত্নীয়স্বজন,পাড়াপ্রতিবেশীর রাতের ঘুম যেন হারাম হয়ে যায় মেয়েদেরকে নিয়ে। আমরা একজন মানুষের গায়ের রং অথবা শারীরিক গঠন দিয়ে ই বিচার করা শিখেছি। যেহেতু মেয়েটির গায়ের রং কালো সেহেতু সে সুন্দর নয়। আবার মেয়েটি মোটা তাই মেয়েটি দেখতে ভাল নয় । কালো মেয়েটি ছোটবেলা থেকেই কালি ,পেচিঁ, অসুন্দর , পেত্নি ,মোটা মেয়েটি মুটি , ভোটকি, হাতি,ফার্মের মুরগি, আর শুকনা মেয়েটি শুটকি, চিকনি, নামেই আশেপাশে বা স্কুল কলেজে পরিচিত হয়ে যায় ।

একসময় যখন সে বুঝতে পারে তার শারীরিক অক্ষমতার জন্য অন্যরা তাকে অপমান করছে প্রতিনিয়ত তখন ই সে ঘুরে দাঁড়ায় অর্থাৎ গায়ের রং কালো মেয়েটি রং ফর্সা করতে ব্যবহার শুরু করে বোটানিক এরোমা , মমতাজ হারবাল, হোয়াইটেনিং হারবাল টাইপ ক্রিম ।

মোটা মেয়েটি হয়ত ব্যবহার করা শুরু করে মাত্র ১৪ দিনে ১৫ কেজি ওজান কমান অমুক হারবাল বড়ি খেয়ে অথবা সার্জারি করে স্লিম হোন তমুক ডাক্তারের কাছে ।

শুকনা মেয়েটি আবার গরু মোটা তাজাকরণের বড়ি খেয়ে রাতারাতি হয়ে যায় হস্তিনী।
আর এ সবই করা হয় অন্যর চোখে নিজের শরীর কে ভাল লাগাবার জন্য , তাতে পাওয়া যাবে ভাল প্রেমিক নয়ত পয়সা আছে এমন স্বামী।
একবার ও কি ভেবে দেখেছেন রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারে হতে পারে আপনার স্কিন ক্যান্সার পর্যন্ত নষ্ট হতে পারে কিডনি ।ওজন কমানো ও বাড়ানোর ওষুধ খেয়ে নষ্ট হতে পারে আপনার লিভার, জমতে পারে ফুসফুসে পানি।

আমরা সবসময়ই কেন শারীরিক সৌন্দর্য নিয়ে ব্যস্ত থাকি ? যেখানে একটি পুরুষ এসব ব্যাপারকে পাত্তাই দেয় না ? কেন মেয়েদেরকে ই সবসময় নিজেকে আবেদনময়ী হিসেবে সবার সামনে তুলে ধরতে হবে ? তবে কি মেয়েদের জন্মই হয়েছে পুরুষের মনোরঞ্জন করার জন্য ? যুক্তিতে তাই বলে । নারী স্বাধীনতা কি তবে আপনার শরীরের ভাঁজে ? খোলামেলা পোশাকে ? সেজেগুজে পটের বিবি হয়ে থাকার মধ্য ?স্বাধীনতা কেবল ৩৬-২৪-৩৬ ? রাত বিরাতে আড্ডা শেষে বাসায় ফেরার মধ্য ?
আমেদের এ বডি শেপ কে তৈরি করেছে > পুরুষ
বিজ্ঞাপনে পণ্য আমদেরকে কে বানাচ্ছে >পুরুষ
প্রগতিশীলতার পথ কে দেখাচ্ছে আপনাকে > পুরুষ
আপনার মা কখনো আপনাকে বলেছে খোলামেলা পোশাকে দেখতে ভাল লাগে? কে বলেছে >পুরুষ
এরকম হাজার হাজার রুলস আছে মেয়েদের জন্য যা তৈরি করেছে পুরুষ।
একটি মানুষ কি শুধু শরীর সর্বস্ব? এসব নিয়ম ভাঙ্গুন , লুতুপুতু টাইপ মেয়ে হয়ে পুরুষের মনোরঞ্জন না করে নিজের পায়ে দাঁড়ান..নিজে উপার্জন করুন। সিদ্ধান্ত নেওযার ক্ষমতা অর্জন করুন।দায়িত্ব কাধে নিতে শিখুন । সেটাই স্বাধীনতা। বাবা মারা যাওয়ার পর আমাকে অনেকে বলেছেন এখন থেকে তোমাকে ছেলের মত হতে হবে , আমি বলেছিলাম আমি ছেলে হতে পারব না তবে দ্বায়িত্বশীল মানুষ হতে চাই। নিজেকে আগে মানুষ হিসেবে ভাবুন, নারী হিসেবে নয়। নিজেকে শ্রদ্ধা করুন তবে অন্যজন ও আপনাকে শ্রদ্ধা করবে । কখনো নারী হিসেবে সুবিধা ভোগ করতে যাবেন না । শারীরিক গঠন নিয়ে গর্ব করার কিছু নেই ওটা আপনার সৃষ্টি নয় । আপনি সিনেমার নায়িকা নন যে দেহ দেখিয়ে আপনাকে উপার্জন করতে হবে । জিরো ফিগার , আর র্ং ফর্সা করা ছাড়াও পৃথিবীতে আরও অনেক কাজ আছে । যে আপনাকে ভালবাসবে সে এসব কিছু দেখবে না । কারো ভালবাসা পাওয়ার জন্য শারীরিক গঠন বদলানোর প্রয়োজন হয় না।
ভালবাসতে কেবল একটি কারন লাগে আর তা হল অজানা ।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০১

আমি আবুলের বাপ বলেছেন: বিড়ি খাইয়া প্রথা ভাঙ্গবে? :)

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৫

হাসান বিন নজরুল বলেছেন: ভালো লাগলো... :)

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৬

হাসান বিন নজরুল বলেছেন: তবে আপনার বক্তব্যের সাথে শরীর বিকিকিনি করা নারীটার উশৃঙ্খল ছবিটি মানায় নি।

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৭

তাহমিনা আকতার বলেছেন: আবুলের বাপ এটা একটা প্রতিকী ছবি মাত্র ।

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

তাহমিনা আকতার বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান বিন নজরুল এ ছবিটা আপনার কাছে কেন উশৃঙ্খল মনে হল বলবেন কি ?

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

রায়হান চৌঃ বলেছেন: প্রথমেই বলছি ক্ষমা করবেন,
কথা গুলো আপনাকে আঘাত করার জন্য নয়, কিন্তু যাহারা এ ধরনের বলে থাকে তাদের জন্য।

কি চান আপনারা ? যে কয়টা টা মেয়ে সন্মানের সহিত জীবন যাপন করছে, তাদের কে টেনে রাস্তায় নামিয়ে বেস্যা বানাতে ?
বেস্যা দের যায়গা ঐ নোংরা পল্লিতে, করো ঘরে এদের যায়গা হয় না, কারো মনে এদের স্থান হ্য়না। আমার তো মনে হয় না আজ পর্যন্ত কোন মানুষ এদের কে সন্মানের চোখে দেখেছে।

আপনার নাম দেখে মনে হচ্ছে কোন সম্ভ্রান্ত মুসলিম ঘরের মেয়ে, ইসলাম কি বলে একবার দেখে নিবেন।

ভালো থাকবেন

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২০

তাহমিনা আকতার বলেছেন: ইসলামের কথা আসলে তো আর এসব হত না ।

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

আদি মিরাজ বলেছেন: oppsss

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০০

চলন বিল বলেছেন: আগে ফেসবুকে মেয়েদের ফেক আইডি খোলা হত, আজকাল ব্লগেও এ প্রবণতা বেড়েছে

৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৩

জুবায়ের আহসান বলেছেন: বিড়ি টানার ছবি দেইখা পোষ্ট পড়তে চাই নি। তবে শেষদিকে এসে ভাল লাগলো।
কিন্তু কথা হইলো ১০,০০০ টাকা বেতনের লোভে অফিসের পুরুষ বসের মনোরঞ্জন আর ধাবরানি খাইবার মাঝেই আপনারা স্বাধীনতা খুজে পান।
কিন্তু নিজের পুরুষ সঙ্গীটির কিছু আজ্ঞা পালনকে বন্দীদশা মনে করেন।

যাই হোক সবই প্রগতি পিতার ইচ্ছা, আমার কিচ্ছু করার নেই

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৩

তাহমিনা আকতার বলেছেন: সমস্যাটা এখানেই , পুরুষ সঙ্গীটির দাসী তো নই আমরা আর আজ্ঞা তো দাসীরা ই পালন করে। পুরুষ কে আগে নারীদেরকে স্মমান করাক শিখতে হবে । নারী পুরুষকে বদলাতে পারবে না এখন সময় পুরুষ নিজেই তাকে বদলাবে।

১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬

রোষানল বলেছেন: মাফ করবেন ।আপনাদের এই আগ্রাসী মনোভাবের কারনেই নারীরা তাদের নারীত্ব হারিয়ে আস্ত ডাকাতের পর্যায়ে নেমে এসেছে । স্কুল কলেজে মারা মারি করছে । একটা কথা মনে রাখবেন ছেলেরা কিন্তু শেষ মেষ লুতুর পুতুর টাইপের মেয়েকেই ঘরণী হিসেবে চাই ।কোন দস্যু রুপি মেয়েকে নয় ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৭

তাহমিনা আকতার বলেছেন: আপনি হয়ত আমার কথা বুঝতে পারেন নি, আমি মেয়েদের কে দস্যু হতে বলিনি, বলেছি দ্বায়িত্বশীল হতে, আত্ননিরভ্রশীল হতে । লুতুপুতু টাইপের মেয়েদের কে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরানো সহজ তাই পুরুষেরা এই ধরনের মেয়েদেরকে পছন্দ করে ।

১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

ইলা বলেছেন: এখানে যারা মন্তব্য করেছেন, তাদের অধিকাংশই ছেলেদের আইডি। আমার মনে হয় লেখক বুঝাতে চেয়েছেন- একটা মেয়ের নিজস্ব সত্তা আছে, তার নিজের একটা পরিচয় আছে, নিজস্ব যোগ্যতা থাকবে। দেশ, সমাজ, পরিবারের উন্নয়নে সে ও ভুমিকা রাখতে পারে । সেও তো বাবা-মায়ের সন্তান। একটা মেয়ে নিজেকে মানুষ ভাবতে শিখুক। শুধু পুরুষের মনোরঞ্জনের জন্য তার জন্ম হয়নি। তাই শরীর বা বাহ্যি ক সৌন্দর্য নিয়ে এতো উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নাই।
এখানে আগ্রাসী মনোভাবের কি দেখলেন? @ রোষানল, আপনি লিখেছেন নারীরা নারীত্ব হারিয়ে আস্ত ডাকাতের পর্যায়ে নেমে এসেছে। আমার প্রশ্ন প্রতিদিন খবরের কাগজে যা দেখি এবং টেলিভিশনে নারী নির্যাতনের যে চিত্র আ মরা দেখি বা শুনি - চোখ উপড়ে ফেলা, হাতের কব্জী কেটে ফেলা, আগুনে পুড়ায়ে মারা, এসিড ছুড়ে ঝলসে দেওয়া এই অপকর্ম গুলো কি নারীরা করে? একটা মেয়ে নিজে কে মানুষ হিসেবে দাবী করতে পারবে না। এখানে ও নারীদের ডাকাত বানিয়ে ছাড়লে ন?

১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৬

রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: প্রথম কথা হল, নারীকে নারী বানিয়েছে সৃষ্টিকর্তা। কোন পুরুষ তাকে বানায়নি। প্রত্যেক সমাজে সামাজিক ও বাস্তবিক বিষয়ই নারীকে নারীত্ব ও দ্বায়িত্ব এবং পুরুষকে পুরুষত্ব ও দ্বায়িত্ব দিয়েছে। নারী আর পুরুষ এক নয়।

প্রথা ভাঙ্গা মানে যদি এই হয় যে পুরুষের মত হতে হবে, তাহলে সর্বনাস। সেই নারী আর নারী থাকবেনা।

মানুষের জন্ম হতে হলে তাকে সঠিক মানুষ হতে হলে সুস্থ পরিবার দরকার। একটা পরিবারের জন্য একটি নারী এবং একটি পুরুষ দরকার। একজনকে ঘরে থাকতেই হয়।

চাকার জন্য টায়ার এবং টিউব দুইটাই দরকার। টায়ারের স্বাধীনতাই হল বাইরে থাকা, কঠিক পিচের সাথে সংগ্রাম করা। টিউবের স্বাধীনতার মানেই হল ভেতরে থাকা। টায়ারকে শক্তিশালী করা।

তবে, অবশ্যই নারীকে তার প্রাপ্য অধিকার দিতে হবে। নারীকে পণ্য বানানো যাবেনা। আধুনিকতা মানেই যেন পণ্য করে নারীকে উপস্থাপন করা!

চেহারার রঙ, ঢং এসব শুধু নারীকেই নয় একই ভাবে পুরুষকেও গর্বিত বা বিচলিত করে। সুন্দর নারী থাকলে সমাজে সুন্দর পুরুষ শব্দেরও প্রচলন আছে। মোটকির বিপরীতে মটু আছে। কালির বিপরীতে কাইল্লা আছে। শুটকি বিপরীতে শুইটকা আছে।

আধুনিকতার নামে সমাজের অপসংস্কৃতি যদি কাউকে আঘাত করে তাহলে সে ভেঙ্গে পড়তে পারে, কিন্তু আঘাত থেকে হীনমন্য হয়ে গেলে যেটা আঘাত নয় সেটাও আঘাত বলে মনে হতে পারে।

লেখিকা বাস্তবতার কারনে যে সংগ্রাম করেছেন সেজন্য তাকে অবশ্যই স্যালুট করি। তাই বলে স্বামর্থবান একজন নারীরও বাবার শৃংখল ভেঙ্গে ফেলার কোন মানে হয়না।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৯

তাহমিনা আকতার বলেছেন: আমি আপনার সাথে সহমত। আমি কোথাও বলিনি স্বামর্থবান একজন নারীকে বাবার শৃংখল ভেঙ্গে ফেলতে। চলতে গেলে অবশ্যি শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে।

১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২২

মারুফ তারেক বলেছেন: রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কবিতার অংশটি বারবার বলতে হয়ঃ
সমকালীন সুন্দরীগন অতি দ্রুত উঠে যাচ্ছে
অভিজাত বেডরুমে,
মূল্যবান আসবাবপত্রের মতোন নির্বিকার।



হ্যাঁ, এই স্বাধীনতাটুকুই বাকী ছিল।

১৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩২

নতুন বলেছেন: সবাই মনে হয় বিড়ির ছবি দেখেই মন্তব্য করেছেন পুরোপোস্ট পড়লে তাতে একমত না হবার তো কারন নেই।

আমার মেয়ের বয়স সাড়ে ৩ মাস। আমরা বাবা/মা দুজনই শ্যমলা। কিন্তু মেয়েকে দেখে অনেকেই বলে না ডানা ফসা হবে, লম্বাহবে... সুন্দরী হবে। ( কারন সমাজের সবার মাথাতেই নারীর সাথে ফসা`/স্লিম/লম্বা এই সব এক করে দেখে)

আর ছেলে কালো হলে বলে সোনার আংটি বাকাও ভাল...

ছেলে/মেয়ে যেই হোকনা কেন... সে যেন ভাল মানুষ হয় এটাই সবার কাম্য হওয়া উচিত।

১৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫

তাহমিনা আকতার বলেছেন: আমার লেখা পড়ে অনেকেই বোধহয় বুঝতে পারেননি। আমি কোথাও বলিনি নারীকে পুরুষের মত হতে হবে । নারী নিজে একটা স্বত্ত্বা অনেকে এটা ভুলে কেবল শারীরিক গঠন টাই সবকিছু বলে মনে করেন তাদের উদ্দেশ্য আমার এ লেখা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.