নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মনাং বিধিই হোক যাপিত জীবনের প্রেরণার উৎস।

তাজা কলম

সেই কবে ... সভ্যতার আদিলগ্নে সূচিত হয়েছিল নিজেকে জানার অদম্য বাসনা। গ্রিক দর্শনের ‘know thyself’ কিংবা ভারতবর্ষের প্রাচীন দার্শনিকদের, “আত্মনাং বিধি”–র উত্তর আজো মেলেনি লাখো লাখো বছরের মানব ইতিহাসে। এই আত্মঅন্বেষণই তাজাকলমের জীবন তপস্যা। তবে নিজেকে জানার সাধনা বৈরাগ্যের পথে নয় বরং মানুষের সাথে থেকে, মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের মাঝেই তাজা কলম খুজেঁ পেতে চায় আপন অস্তিত্বের ভূভাগ। তবুও তাজা কলম পৃথিবীতে এক গৃহী সন্নাসী কারন সে নিয়ত খুজেঁ ফিরছে শূণ্য খেকে আসা এবং শূণ্যতেই বিলীন হওয়া মানব জীবনের গুঢ় রহস্য। বিশেষ অনুরোধ: এ ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলো কপিরাইটের আওতাভূক্ত । লেখকের অনুমতি ছাড়া এখানে প্রকাশিত কোন লেখা কিংবা লেখার অংশ বিশেষ কেহ অন্য কোথাও প্রকাশ করলে বেআইনি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রয়োজনে লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।

তাজা কলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীনতাচেতনার ধারক বিএনপি সমর্থকদের প্রতি আবেদন

০১ লা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

বদলে গেছে দিন ।

প্রজন্ম এখন জাগ্রত এবং ইতিহাসমুখী।



১৯৭৫-এর পটপরিবর্তনে সামরিক শাসক থেকে রূপান্তরিত রাজনৈতিক নেতা জিয়াউর রহমানকে তার রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খাকে বাস্তবায়িত করতে গিয়ে যে ভুল করেছিলেন দেশের মানুষকে তার মাশুল দিতে হচ্ছে আজ পর্যন্ত। এ প্রসঙ্গে প্রথমেই আসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়া। এ স্বীকৃতির কারণেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সরাসরি বিরুদ্ধে অবস্থানকারী জামাতে ইসলামী, নেজামী ইসলামী, মুসলিম লীগ ইত্যাদি যুদ্ধাপরাধী দলগুলো স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায় । নিজে মুক্তিযোদ্ধা হয়েও মুক্তযুদ্ধের চেতনা বিরোধী এ ভূমিকা নেয়ায় তার মুক্তযোদ্ধা হিসেবে যে অহংকার তার পুরোটুকুই ভুলুন্ঠিত হয়ে যায়।



ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেয়া তার প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি-তে ভিড় জমায় অনেক স্বাধীনতা বিরোধী চিহ্নিত মুখ । এ প্রসংগে উল্রেখ করা যায়, প্রয়াত মশিউর রহমান (যাদু মিয়া), শাহ আজিজুর রহমান, আব্দুর রহমান বিশ্বাস, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন প্রমুখের নাম। তবুও বিএনপিতে আছেন বেশ কিছু মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী ব্যক্তিবর্গ। এছাড়া নব প্রজন্মের বেশীরভাগ তরুণ যে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। এর বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটে চলমান গণজাগরণ মঞ্চের সাথে ব্যক্তিগতভাবে অনেক বিএনপিপন্থী ছাত্র-যুবকের অংশগ্রহণ, যারা অদ্যাবধি ১৯৭১-এর গণহত্যাকারী রাজাকারদের সর্বোচ্চা শাস্তির দাবিতে সোচ্চার এবং কুখ্যাত রাজাকার দেলোয়ার হোসেন সাঈদির মৃত্যুদন্ডে উল্রসিত।



দেশের এই বাস্তবতায় নবপ্রজন্মের যারা বিএনপি করছেন তাদেরকে আমাদের দেশের ভবিষ্যতের কথা ভেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে জামাতের বর্তমান নাজেহাল অবস্থায় বিএনপির মাঝে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এখন তৎপর এবং তারা জামাতের স্বার্থে কাজ করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আপনাদেরকে সজাগ থাকতে হবে।



দেশে এখন একটি ক্রান্তিলগ্ন চলছে। বর্তমান সংকটময় অবস্থান থেকে উদ্ধারের জন্য বিএনপি যদি সঠিক পথে অগ্রসর হয় তবে তা হবে একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা। বিশেষতঃ আওয়ামীলীগের সর্বগ্রাসী দূর্ণীতি, রাজনৈতিক প্রতপক্ষ গুম অনাচার থেকে উদ্ধারের জন্য সত্যিকার অর্থে বিএনপি এগিয়ে আসলে নিঃসন্দেহে জনসমর্থন পাবে।



দেশে গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য আওয়ামী লীগ ছাড়াও আরো একটি বড় দল থাকা বাঞ্চনীয়। দুর্ভাগ্য হলো, স্বাধীনতা বিপক্ষ শক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা করতে যেয়ে বিএনপি ক্রমশঃই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দলটির এ শোচনীয় অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।



কিন্তু এ জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন বিএনপির নেতৃত্বে বড় ধরণের পরিবর্তন। দূর্ণীতিবাজ তারেক জিয়ার কল্যাণে জাতির কাছে ইতোমধ্যেই জিয়া পরিবারের ইমেজ ধুলিস্যাত এবং নেত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার আবেদন আর নেই। এই প্রেক্ষিতে নবপ্রজন্মসহ বিএনপিতে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী সমর্থক আছেন তাদেরকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। বেগম জিয়ার বিকল্প নেতৃত্বের কথা আপনারা ভাবতে পারেন।



ইতোমধ্যে জনগণের মাঝে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। যতদূর জানা যায় তিনি ব্যক্তিজীবনে সৎ এবং উচ্চশিক্ষিতও বটে। তার নিজস্ব ক্যারিশমা রয়েছে, যা নেত্রী খালেদা জিয়ার চেয়েও অনেক বেশী। উনি রাজি হলে ওনাকে কেন্দ্র করে নতুনভাবে বিএনপি সাজানো সম্ভব। এ বিষয়ে আপনারা ভেবে দেখতে পারেন।



জয় বাংলা।



বি. দ্র- আমার বক্তব্য আপনাদের মনঃপুতঃ হলে তা শেয়ার করবেন যাতে করে বিএনপির দেশপ্রেমিক সমর্থকদের চোখে এ আবেদনটি চোখে পড়ে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

মুনতাশীর বলেছেন: তাজা কলমকে অনেকেরমত আমিও এতদিন রাজাকার বলেই জানতাম-হঠাত পল্টি খাওয়ার রহস্য কি?

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

তাজা কলম বলেছেন: আমাকে রাজাকার হিসেবে জানার কোন কার্যকারণ আছে কি? আমার ব্লগে পুরানো লেখেগুলো পড়ুন, তাহলেই বুঝতে পারবেন আমি কোন পক্ষের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.